মুস্তাফিজুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
| lastT20Iyear = ২০১৮
| lastT20Iyear = ২০১৮
| lastT20Iagainst = ওয়েস্ট ইন্ডিজ
| lastT20Iagainst = ওয়েস্ট ইন্ডিজ



| club1 = [[খুলনা বিভাগ ক্রিকেট দল|খুলনা বিভাগ]]
| club1 = [[খুলনা বিভাগ ক্রিকেট দল|খুলনা বিভাগ]]
১১৫ নং লাইন: ১১৪ নং লাইন:
}}
}}


'''মুস্তাফিজুর রহমান''' ([[জন্ম]]: [[৬ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৯৫]]) [[সাতক্ষীরা জেলা|সাতক্ষীরায়]] জন্মগ্রহণকারী [[বাংলাদেশী|বাংলাদেশের]] উদীয়মান [[ক্রিকেট|ক্রিকেটার]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/player/330902.html|title=Mustafizur Rahman|work=Cricinfo|accessdate=24 April 2015}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://cricketarchive.com/Archive/Players/1248/1248675/1248675.html|title=The Home of CricketArchive|work=cricketarchive.com|accessdate=24 April 2015}}</ref> [[বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল|বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য হিসেবে দলে তিনি বাহাতি মিডিয়াম [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] করে থাকেন। বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তার প্রথম দুই ম্যাচে এগারোটি [[উইকেট]] লাভ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=‘রত্ন’ মুস্তাফিজে বিস্মিত সাকিব|url=http://www.prothomalo.com/sports/article/558958/%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E2%80%99-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC|accessdate=জুন ২১, ২০১৫|agency=প্রথম আলো|publisher= shahriar |date=২২:০৬, জুন ২১, ২০১৫}}</ref> ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেড, খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এছাড়া ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএলে তিনি "সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ" দলে খেলছেন । এবং সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি২০ -তে সাসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি । তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি উভয় [[একদিনের আন্তর্জাতিক]] এবং টেস্টের অভিষেকে 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' পুরস্কার লাভ করেন।
'''মুস্তাফিজুর রহমান''' ([[জন্ম]]: [[৬ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৯৫]]) [[সাতক্ষীরা জেলা|সাতক্ষীরায়]] জন্মগ্রহণকারী [[বাংলাদেশী|বাংলাদেশের]] উদীয়মান [[ক্রিকেট|ক্রিকেটার]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/player/330902.html|শিরোনাম=Mustafizur Rahman|কর্ম=Cricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=24 April 2015}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://cricketarchive.com/Archive/Players/1248/1248675/1248675.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|কর্ম=cricketarchive.com|সংগ্রহের-তারিখ=24 April 2015}}</ref> [[বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল|বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য হিসেবে দলে তিনি বাহাতি মিডিয়াম [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] করে থাকেন। বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তার প্রথম দুই ম্যাচে এগারোটি [[উইকেট]] লাভ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=‘রত্ন’ মুস্তাফিজে বিস্মিত সাকিব|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/sports/article/558958/%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E2%80%99-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC|সংগ্রহের-তারিখ=জুন ২১, ২০১৫|এজেন্সি=প্রথম আলো|প্রকাশক= shahriar |তারিখ=২২:০৬, জুন ২১, ২০১৫}}</ref> ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেড, খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এছাড়া ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএলে তিনি "সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ" দলে খেলছেন । এবং সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি২০ -তে সাসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি । তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি উভয় [[একদিনের আন্তর্জাতিক]] এবং টেস্টের অভিষেকে 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' পুরস্কার লাভ করেন।


[[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আইসিসি]] ঘোষিত ২০১৫ সালে আইসিসি বর্ষসেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হন।<ref>http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/story/947671.html</ref>
[[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আইসিসি]] ঘোষিত ২০১৫ সালে আইসিসি বর্ষসেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হন।<ref>http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/story/947671.html</ref>


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার<ref name="Mustafizur ESPNcricinfo bio">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Mustafizur Rahman|url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/player/330902.html|website=[[ESPNcricinfo]]|accessdate=16 January 2016}}</ref> [[কালীগঞ্জ]] উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০১২ সালে ফাস্ট-বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে [[ঢাকা|ঢাকায়]] আসেন। নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এরপর তাকে [[বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড|বিসিবি’র]] পেস ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক [[২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০১৫]] সালের বিশ্বকাপের জন্যও তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার<ref name="Mustafizur ESPNcricinfo bio">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Mustafizur Rahman|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/player/330902.html|ওয়েবসাইট=[[ESPNcricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=16 January 2016}}</ref> [[কালীগঞ্জ]] উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০১২ সালে ফাস্ট-বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে [[ঢাকা|ঢাকায়]] আসেন। নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এরপর তাকে [[বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড|বিসিবি’র]] পেস ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক [[২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০১৫]] সালের বিশ্বকাপের জন্যও তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।


২০১৩-১৪ মৌসুমে খুলনার পক্ষে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] তার অভিষেক ঘটে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আট উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ এ দলের সফরে অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এ সংক্ষিপ্ত সফরের পর অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তিনি বিবেচিত হন ও ধীরে ধীরে বলের বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। শুরুতে তার বলে পেস কম থাকলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।
২০১৩-১৪ মৌসুমে খুলনার পক্ষে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] তার অভিষেক ঘটে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আট উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ এ দলের সফরে অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এ সংক্ষিপ্ত সফরের পর অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তিনি বিবেচিত হন ও ধীরে ধীরে বলের বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। শুরুতে তার বলে পেস কম থাকলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।
১২৭ নং লাইন: ১২৬ নং লাইন:
== আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন ==
== আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন ==
=== টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ===
=== টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ===
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্র্রদর্শন করায় [[২০১৪-১৫ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর|২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে]] সফরকারী [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের]] বিরুদ্ধে একমাত্র [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে]] তাকে দলের সদস্য করা হয়। খেলায় তিনি [[শহীদ আফ্রিদি]] ও [[মোহাম্মদ হাফিজ|মোহাম্মদ হাফিজের]] উইকেট পান। মিরপুরের [[শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম|শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে]] অনুষ্ঠিত একমাত্র [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক]] ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-pakistan-2015/content/story/865341.html|title=Uncapped Litton, Mustafizur in Bangladesh T20 squad|work=espncricinfo|accessdate=22 April 2015|date=24 April 2015}}</ref> খেলায় বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে ৭ [[উইকেট|উইকেটের]] বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্র্রদর্শন করায় [[২০১৪-১৫ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর|২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে]] সফরকারী [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের]] বিরুদ্ধে একমাত্র [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক|টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে]] তাকে দলের সদস্য করা হয়। খেলায় তিনি [[শহীদ আফ্রিদি]] ও [[মোহাম্মদ হাফিজ|মোহাম্মদ হাফিজের]] উইকেট পান। মিরপুরের [[শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম|শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে]] অনুষ্ঠিত একমাত্র [[টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক]] ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-pakistan-2015/content/story/865341.html|শিরোনাম=Uncapped Litton, Mustafizur in Bangladesh T20 squad|কর্ম=espncricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=22 April 2015|তারিখ=24 April 2015}}</ref> খেলায় বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে ৭ [[উইকেট|উইকেটের]] বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।


=== একদিনের আন্তর্জাতিক ===
=== একদিনের আন্তর্জাতিক ===
এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের]] বিপক্ষে তার [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ [[উইকেট]] লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে [[ম্যান অব দ্য ম্যাচ|ম্যাচ সেরা]] হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি [[বিশ্বরেকর্ড]] গড়েন৷ [[ব্রায়ান ভিটোরি|ব্রায়ান ভিটোরি’র]] পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন মুস্তাফিজুর।
এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের]] বিপক্ষে তার [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ [[উইকেট]] লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে [[ম্যান অব দ্য ম্যাচ|ম্যাচ সেরা]] হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি [[বিশ্বরেকর্ড]] গড়েন৷ [[ব্রায়ান ভিটোরি|ব্রায়ান ভিটোরি’র]] পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন মুস্তাফিজুর।


মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ওডিআইয়ের ইতিহাসেব যে-কোন বোলারের তুলনায় সেরা। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়। ভারতকে তিনি তৃতীয়বার ২০০ বা তার নিচে রান তুলতে বাধ্য করান। এরফলে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পায়। এ জয়ে বাংলাদেশ [[আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ|আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে]] ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে উত্তরণ ঘটায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে [[মাশরাফি বিন মর্তুজা]] ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও [[রুবেল হোসেন]] ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।<ref name="bvi">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first=Bishen |last=Jeswant|title =Mustafizur's record-breaking ODI genesis, Bangladesh v India, 2nd ODI, Mirpur | url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-india-2015/content/story/890051.html |date =2015-6-24 |accessdate = 2015-6-21|publisher= [[Cricinfo]]}}</ref>
মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ওডিআইয়ের ইতিহাসেব যে-কোন বোলারের তুলনায় সেরা। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়। ভারতকে তিনি তৃতীয়বার ২০০ বা তার নিচে রান তুলতে বাধ্য করান। এরফলে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পায়। এ জয়ে বাংলাদেশ [[আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ|আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে]] ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে উত্তরণ ঘটায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে [[মাশরাফি বিন মর্তুজা]] ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও [[রুবেল হোসেন]] ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।<ref name="bvi">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|প্রথমাংশ=Bishen |শেষাংশ=Jeswant|শিরোনাম =Mustafizur's record-breaking ODI genesis, Bangladesh v India, 2nd ODI, Mirpur | ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-india-2015/content/story/890051.html |তারিখ =2015-6-24 |সংগ্রহের-তারিখ = 2015-6-21|প্রকাশক= [[Cricinfo]]}}</ref>


== সম্মাননা ==
== সম্মাননা ==
১৩৮ নং লাইন: ১৩৭ নং লাইন:


== রেকর্ডসমূহ ==
== রেকর্ডসমূহ ==
* ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.oneindia.com/sports/cricket/mustafizur-rahman-sets-another-world-record-against-india-1787222.html|title=Mustafizur Rahman sets another world record against India|work=oneindia.com|accessdate=2015-07-10}}</ref>
* ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oneindia.com/sports/cricket/mustafizur-rahman-sets-another-world-record-against-india-1787222.html|শিরোনাম=Mustafizur Rahman sets another world record against India|কর্ম=oneindia.com|সংগ্রহের-তারিখ=2015-07-10}}</ref>
* বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=Mustafizur Rahman – 4th player to receive 2 Man of the Match awards in his first 2 ODIs|url=https://in.news.yahoo.com/mustafizur-rahman-4th-player-receive-173908561.html|publisher=Yahoo News|accessdate=24 June 2015|date=22 June 2015}}</ref>
* বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Mustafizur Rahman – 4th player to receive 2 Man of the Match awards in his first 2 ODIs|ইউআরএল=https://in.news.yahoo.com/mustafizur-rahman-4th-player-receive-173908561.html|প্রকাশক=Yahoo News|সংগ্রহের-তারিখ=24 June 2015|তারিখ=22 June 2015}}</ref>


== আন্তর্জাতিক পারফরমেন্স ==
== আন্তর্জাতিক পারফরমেন্স ==
১৮৫ নং লাইন: ১৮৪ নং লাইন:
| ২০১৫
| ২০১৫
| ১ম ইনিংস: ১৭.৪-৬-৩৭-৪; ৩ (১৩ বল: ০×৪, ০×৬) <br /> ২য় ইনিংস: ৫–০–২১–০ ; ব্যাট করেনি
| ১ম ইনিংস: ১৭.৪-৬-৩৭-৪; ৩ (১৩ বল: ০×৪, ০×৬) <br /> ২য় ইনিংস: ৫–০–২১–০ ; ব্যাট করেনি
| ম্যাচ ড্র হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=South Africa tour of Bangladesh, 1st Test: Bangladesh v South Africa at Chittagong, Jul 21–25, 2015|url=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/817213.html|website=[[ESPNcricinfo]]|accessdate=19 January 2016}}</ref>
| ম্যাচ ড্র হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=South Africa tour of Bangladesh, 1st Test: Bangladesh v South Africa at Chittagong, Jul 21–25, 2015|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/817213.html|ওয়েবসাইট=[[ESPNcricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=19 January 2016}}</ref>
|}
|}


২০৫ নং লাইন: ২০৪ নং লাইন:
| ১৮ জুন ২০১৫
| ১৮ জুন ২০১৫
| ০* (০), ৯.২–১–৫০–৫
| ০* (০), ৯.২–১–৫০–৫
| {{cr|BAN}} ৭৯ রানে বিজয়ী।<ref name="BangladeshvIndia 1st ODI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/current/match/870731.html|title= India tour of Bangladesh, 1st ODI: Bangladesh v India at Dhaka|date=June 18, 2015|publisher=[[ESPNcricinfo]]|accessdate=22 June 2015}}</ref>
| {{cr|BAN}} ৭৯ রানে বিজয়ী।<ref name="BangladeshvIndia 1st ODI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/current/match/870731.html|শিরোনাম= India tour of Bangladesh, 1st ODI: Bangladesh v India at Dhaka|তারিখ=June 18, 2015|প্রকাশক=[[ESPNcricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=22 June 2015}}</ref>
|- style="background:White;"
|- style="background:White;"
| ২
| ২
২১২ নং লাইন: ২১১ নং লাইন:
| ২১ জুন ২০১৫
| ২১ জুন ২০১৫
| ১০-০-৪৩-৬; ব্যাট করেনি
| ১০-০-৪৩-৬; ব্যাট করেনি
| {{cr|BAN}} ৬ উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল)।<ref name="BangladeshvIndia 2nd ODI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-india-2015/engine/match/870733.html|title= India tour of Bangladesh, 2nd ODI: Bangladesh v India at Dhaka|date=June 18, 2015|publisher=[[ESPNcricinfo]]|accessdate=22 June 2015}}</ref>
| {{cr|BAN}} ৬ উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল)।<ref name="BangladeshvIndia 2nd ODI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/bangladesh-v-india-2015/engine/match/870733.html|শিরোনাম= India tour of Bangladesh, 2nd ODI: Bangladesh v India at Dhaka|তারিখ=June 18, 2015|প্রকাশক=[[ESPNcricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=22 June 2015}}</ref>
|}
|}


২২৯ নং লাইন: ২২৮ নং লাইন:
| ২০১৫
| ২০১৫
| ২ বার ৫ উইকেট অর্জন সহ ১৩ উইকেট। গড় ১১.৫৩ <br> ৯ রান। গড় ৯.০০ ; ১টি ক্যাচ (৩ ম্যাচ)
| ২ বার ৫ উইকেট অর্জন সহ ১৩ উইকেট। গড় ১১.৫৩ <br> ৯ রান। গড় ৯.০০ ; ১টি ক্যাচ (৩ ম্যাচ)
| {{cr|BAN}} ২-১ এ সিরিজ জয় করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/series/870727.html|title=India in Bangladesh ODI Series, 2015|work=[[ESPNcricinfo]]|accessdate=12 July 2015}}</ref>
| {{cr|BAN}} ২-১ এ সিরিজ জয় করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/ci/engine/series/870727.html|শিরোনাম=India in Bangladesh ODI Series, 2015|কর্ম=[[ESPNcricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=12 July 2015}}</ref>
|}
|}


২৪৭ নং লাইন: ২৪৬ নং লাইন:
* [http://www.cricbuzz.com/profiles/9863/mustafizur-rahman ক্রিকবাজ]
* [http://www.cricbuzz.com/profiles/9863/mustafizur-rahman ক্রিকবাজ]
* [https://www.facebook.com/MustafizurOfficial/ ফেসবুক]
* [https://www.facebook.com/MustafizurOfficial/ ফেসবুক]
* [https://twitter.com/Mustafiz90 টুইটার]
* [https://twitter.com/Mustafiz90 টুইটার]


{{S-start}}
{{S-start}}

২০:১৭, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মুস্তাফিজুর রহমান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমুস্তাফিজুর রহমান
জন্ম (1995-09-06) ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ (বয়স ২৮)
কালিগঞ্জ|সাতক্ষীরা, খুলনা, বাংলাদেশ
উচ্চতা৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কআবুল কাসেম গাজী (বাবা)
মাহফুজা খাতুন (মা)
মাহফুজুর রহমান (বড় ভাই)
মোখলেছুর রহমান পল্টু (সেজো ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৮)
২১ জুলাই ২০১৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১৫ মার্চ ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১৮)
১৮ জুন ২০১৫ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১ এপ্রিল ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই শার্ট নং৯০
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৪)
২৪ এপ্রিল ২০১৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টি২০আই৫ আগস্ট ২০১৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০১৪-বর্তমানখুলনা বিভাগ
২০১৬-বর্তমানমোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
২০১৫-বর্তমানঢাকা ডায়নামাইটস
২০১৬-বর্তমানলাহোর কালান্দার্স
২০১৬-বর্তমানসানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
২০১৬-বর্তমানসাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১৭ ১৯
রানের সংখ্যা ১৬ ৩৮
ব্যাটিং গড় ১.৭৫ ৫.৩৩ ৩.৮০
১০০/৫০ -/- ০/০ -/- ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৪
বল করেছে ৬০৪ ৭২৫ ৩৯২ ২৭১৮
উইকেট ১২ ৩৬ ২৭ ৫৬
বোলিং গড় ২৩.১৬ ১৬.২৭ ১৪.৯২ ২০.১৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৩৭ ৬/৪৩ ৫/২২ ৫/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৩/– ৩/– ৪/–
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, 07 এপ্রিল ২০১৭

মুস্তাফিজুর রহমান (জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫) সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটার[১][২] বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে দলে তিনি বাহাতি মিডিয়াম বোলিং করে থাকেন। বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তার প্রথম দুই ম্যাচে এগারোটি উইকেট লাভ করেন।[৩] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেড, খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এছাড়া ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএলে তিনি "সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ" দলে খেলছেন । এবং সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি২০ -তে সাসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি । তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি উভয় একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টেস্টের অভিষেকে 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' পুরস্কার লাভ করেন।

আইসিসি ঘোষিত ২০১৫ সালে আইসিসি বর্ষসেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[৪]

প্রারম্ভিক জীবন

খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার[৫] কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বামহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০১২ সালে ফাস্ট-বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। এরপর তাকে বিসিবি’র পেস ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের জন্যও তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

২০১৩-১৪ মৌসুমে খুলনার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আট উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ এ দলের সফরে অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এ সংক্ষিপ্ত সফরের পর অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তিনি বিবেচিত হন ও ধীরে ধীরে বলের বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। শুরুতে তার বলে পেস কম থাকলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।

নিজ পরিবারের সাথে মুস্তাফিজুর

আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্র্রদর্শন করায় ২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে সফরকারী পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে তাকে দলের সদস্য করা হয়। খেলায় তিনি শহীদ আফ্রিদিমোহাম্মদ হাফিজের উইকেট পান। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৬] খেলায় বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।

একদিনের আন্তর্জাতিক

এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ উইকেট লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন৷ ব্রায়ান ভিটোরি’র পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন মুস্তাফিজুর।

মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ওডিআইয়ের ইতিহাসেব যে-কোন বোলারের তুলনায় সেরা। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়। ভারতকে তিনি তৃতীয়বার ২০০ বা তার নিচে রান তুলতে বাধ্য করান। এরফলে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পায়। এ জয়ে বাংলাদেশ আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে উত্তরণ ঘটায়। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও রুবেল হোসেন ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।[৭]

সম্মাননা

ক্রিকেটের বৈশ্বিক পরিচালনা পরিষদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক ২০১৫ সালের আইসিসি ওডিআই বর্ষসেরা দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে তাকে মনোনীত করে। মূলতঃ ঐ বছরের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের একজনরূপে গণ্য করায় তাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।এরফলে প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এ বিরল সম্মানের অধিকারী হন। এছাড়াও, সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি'র যে-কোন দলে দ্বিতীয় ব্যক্তি তিনি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। ”প্রথম আলো” বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার (২০১৫ এবং ২০১৬ সালের জন্য, পেয়েছেন এ বছর)

রেকর্ডসমূহ

  • ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান।[৮]
  • বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান।[৯]

আন্তর্জাতিক পারফরমেন্স

একদিনের আন্তর্জাতিকে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি

মুস্তাফিজুর রহমানের একদিনের আন্তর্জাতিকে পাঁচ উইকেট লাভ
# পরিসংখ্যান ম্যাচ প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ বছর ফলাফল
৫/৫০  ভারত বাংলাদেশ ঢাকা, বাংলাদেশ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০১৫ বিজয়ী
৬/৪৩  ভারত বাংলাদেশ ঢাকা, বাংলাদেশ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০১৫ বিজয়ী
৫/৩৪  জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ ঢাকা, বাংলাদেশ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০১৫ বিজয়ী

টুয়েন্টি আন্তর্জাতিকে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি

মুস্তাফিজুর রহমানের টুয়েন্টি আন্তর্জাতিকে পাঁচ উইকেট লাভ
# পরিসংখ্যান ম্যাচ প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ বছর ফলাফল
৫/২২  নিউজিল্যান্ড ভারত কলকাতা, ভারত ইডেন গার্ডেনস ২০১৬
হার 

আন্তর্জাতিক পুরস্কার

টেস্ট ক্রিকেট

ম্যাচসেরা পুরস্কার

নং সিরিজ মৌসুম ম্যাচে পারফরমেন্স ফলাফল
১ম টেস্ট – বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ ২০১৫ ১ম ইনিংস: ১৭.৪-৬-৩৭-৪; ৩ (১৩ বল: ০×৪, ০×৬)
২য় ইনিংস: ৫–০–২১–০ ; ব্যাট করেনি
ম্যাচ ড্র হয়।[১০]

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

ম্যাচসেরা পুরস্কার

নং বিপক্ষ মাঠ তারিখ ম্যাচে পারফরমেন্স ফলাফল
ভারত শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ১৮ জুন ২০১৫ ০* (০), ৯.২–১–৫০–৫  বাংলাদেশ ৭৯ রানে বিজয়ী।[১১]
ভারত শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ২১ জুন ২০১৫ ১০-০-৪৩-৬; ব্যাট করেনি  বাংলাদেশ ৬ উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল)।[১২]

সিরিজ সেরা পুরস্কার

# সিরিজ মৌসুম সিরিজে পারফরমেন্স ফলাফল
বাংলাদেশে ভারত ২০১৫ ২ বার ৫ উইকেট অর্জন সহ ১৩ উইকেট। গড় ১১.৫৩
৯ রান। গড় ৯.০০ ; ১টি ক্যাচ (৩ ম্যাচ)
 বাংলাদেশ ২-১ এ সিরিজ জয় করে।[১৩]

তথ্যসূত্র

  1. "Mustafizur Rahman"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  2. "The Home of CricketArchive"cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. "'রত্ন' মুস্তাফিজে বিস্মিত সাকিব"। shahriar। প্রথম আলো। ২২:০৬, জুন ২১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ জুন ২১, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/story/947671.html
  5. "Mustafizur Rahman"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. "Uncapped Litton, Mustafizur in Bangladesh T20 squad"espncricinfo। ২৪ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৫ 
  7. Jeswant, Bishen (2015-6-24)। "Mustafizur's record-breaking ODI genesis, Bangladesh v India, 2nd ODI, Mirpur"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-6-21  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. "Mustafizur Rahman sets another world record against India"oneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-১০ 
  9. "Mustafizur Rahman – 4th player to receive 2 Man of the Match awards in his first 2 ODIs"। Yahoo News। ২২ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৫ 
  10. "South Africa tour of Bangladesh, 1st Test: Bangladesh v South Africa at Chittagong, Jul 21–25, 2015"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ 
  11. "India tour of Bangladesh, 1st ODI: Bangladesh v India at Dhaka"ESPNcricinfo। জুন ১৮, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫ 
  12. "India tour of Bangladesh, 2nd ODI: Bangladesh v India at Dhaka"ESPNcricinfo। জুন ১৮, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫ 
  13. "India in Bangladesh ODI Series, 2015"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৫ 

আরো দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
তাসকিন আহমেদ
(১৭ জুন, ২০১৪ ব ভারত)
ওডিআই অভিষেকে ৫-উইকেট লাভকারী বাংলাদেশী ক্রিকেটার
(১৮ জুন, ২০১৫ ব ভারত)
উত্তরসূরী
কাগিসো রাবাদা
(১০ জুলাই, ২০১৫ ব বাংলাদেশ

টেমপ্লেট:বাংলাদেশ ক্রিকেট দল