তিতাস একটি নদীর নাম (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) অ 103.38.18.13-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
৩১ নং লাইন: | ৩১ নং লাইন: | ||
অদ্বৈত মল্লবর্মণের [[তিতাস একটি নদীর নাম (উপন্যাস)|তিতাস একটি নদীর নাম]] শীর্ষক উপন্যাসের কাহিনীকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্রস্রষ্টা [[ঋত্বিক কুমার ঘটক]] ১৯৭৩ সালে তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহের কারণ হিসেবে ঋত্বিক কুমার ঘটক বলেন,<ref name="প্রথম আলো"/> |
অদ্বৈত মল্লবর্মণের [[তিতাস একটি নদীর নাম (উপন্যাস)|তিতাস একটি নদীর নাম]] শীর্ষক উপন্যাসের কাহিনীকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্রস্রষ্টা [[ঋত্বিক কুমার ঘটক]] ১৯৭৩ সালে তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহের কারণ হিসেবে ঋত্বিক কুমার ঘটক বলেন,<ref name="প্রথম আলো"/> |
||
{{উক্তি|তিতাস পূর্ব বাংলার একটা খণ্ডজীবন, এটি একটি সৎ লেখা। ইদানীং সচরাচর বাংলাদেশে (দুই বাংলাতেই) এ রকম লেখার দেখা পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আছে প্রচুর নাটকীয় উপাদান, আছে দর্শনধারী ঘটনাবলী, আছে শ্রোতব্য বহু প্রাচীন সঙ্গীতের টুকরো - সব মিলিয়ে একটা অনাবিল আনন্দ ও অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করা যায়। ব্যাপারটা ছবিতে ধরা পড়ার জন্য জন্ম থেকেই কাঁদছিল। ... অদ্বৈতবাবু অনেক অতিকথন করেন। কিন্তু লেখাটা একেবারে প্রাণ থেকে, ভেতর থেকে লেখা। আমি নিজেও বাবুর চোখ দিয়ে না দেখে ওইভাবে ভেতর থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। অদ্বৈতবাবু যে সময়ে তিতাস নদী দেখেছেন, তখন তিতাস ও তার তীরবর্তী গ্রামীণ সভ্যতা মরতে বসেছে। বইয়ে তিতাস একটি নদীর নাম। তিনি এর পরের পুণর্জীবনটা দেখতে যাননি। আমি দেখাতে চাই যে, মৃত্যুর পরেও এই পুণর্জীবন হচ্ছে। তিতাস এখন আবার |
{{উক্তি|তিতাস পূর্ব বাংলার একটা খণ্ডজীবন, এটি একটি সৎ লেখা। ইদানীং সচরাচর বাংলাদেশে (দুই বাংলাতেই) এ রকম লেখার দেখা পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আছে প্রচুর নাটকীয় উপাদান, আছে দর্শনধারী ঘটনাবলী, আছে শ্রোতব্য বহু প্রাচীন সঙ্গীতের টুকরো - সব মিলিয়ে একটা অনাবিল আনন্দ ও অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করা যায়। ব্যাপারটা ছবিতে ধরা পড়ার জন্য জন্ম থেকেই কাঁদছিল। ... অদ্বৈতবাবু অনেক অতিকথন করেন। কিন্তু লেখাটা একেবারে প্রাণ থেকে, ভেতর থেকে লেখা। আমি নিজেও বাবুর চোখ দিয়ে না দেখে ওইভাবে ভেতর থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। অদ্বৈতবাবু যে সময়ে তিতাস নদী দেখেছেন, তখন তিতাস ও তার তীরবর্তী গ্রামীণ সভ্যতা মরতে বসেছে। বইয়ে তিতাস একটি নদীর নাম। তিনি এর পরের পুণর্জীবনটা দেখতে যাননি। আমি দেখাতে চাই যে, মৃত্যুর পরেও এই পুণর্জীবন হচ্ছে। তিতাস এখন আবার যৌবনগর্বিত নরের মতোই বহমান। যেন পূর্ণযৌবনের নর আর তিতাস মিলে একাকার হয়ে যাবে। তিতাস যেন এখন যৌবনবান নরদেরকে উপভোগ করবে। এই ভরা যৌবনের নরদের বাসস্থান তিতাস তীরের গ্রাম, কিন্তু তারা তাঁদের ভরা যৌবনের নরদেহ বিক্রি করে তিতাসের কাছে। তিতাস তাদের বেঁচে থাকার উপজীব্য। তিতাস এই নরদের শরীর নেবে এবং বিনিময়ে মাছ দেবে। আমার ছবিতে গ্রাম নায়ক, গ্রামের ভরা যৌবনের মালো নররা নায়ক আর তিতাস নায়িকা।|sign=|source=}} |
||
== কাহিনী সংক্ষেপ == |
== কাহিনী সংক্ষেপ == |
১৮:৫৬, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
তিতাস একটি নদীর নাম | |
---|---|
চিত্র:Titas Ekti Nadir Naam.jpg | |
পরিচালক | ঋত্বিক ঘটক |
প্রযোজক | হাবিবুর রহমান খান |
রচয়িতা | ঋত্বিক ঘটক (চিত্রনাট্য) অদ্বৈত মল্লবর্মণ(মূল কাহিনী) |
শ্রেষ্ঠাংশে | গোলাম মুস্তাফা, কবরী চৌধুরী, রোজী সামাদ, প্রবীর মিত্র
|
সুরকার | উস্তাদ বাহাদুর খান |
চিত্রগ্রাহক | বেবী ইসলাম |
সম্পাদক | বাসীর হুসেন |
মুক্তি | ১৯৭৩ |
স্থিতিকাল | ১৫৯ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ ভারত |
ভাষা | বাংলা |
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩) ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত চলচ্চিত্রবিশেষ। বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচিত বিখ্যাত উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম অবলম্বনে চলচ্চিত্র উপযোগী করে নির্মিত হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম শীর্ষক উপন্যাসের কাহিনীকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্রস্রষ্টা ঋত্বিক কুমার ঘটক ১৯৭৩ সালে তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহের কারণ হিসেবে ঋত্বিক কুমার ঘটক বলেন,[১]
তিতাস পূর্ব বাংলার একটা খণ্ডজীবন, এটি একটি সৎ লেখা। ইদানীং সচরাচর বাংলাদেশে (দুই বাংলাতেই) এ রকম লেখার দেখা পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আছে প্রচুর নাটকীয় উপাদান, আছে দর্শনধারী ঘটনাবলী, আছে শ্রোতব্য বহু প্রাচীন সঙ্গীতের টুকরো - সব মিলিয়ে একটা অনাবিল আনন্দ ও অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করা যায়। ব্যাপারটা ছবিতে ধরা পড়ার জন্য জন্ম থেকেই কাঁদছিল। ... অদ্বৈতবাবু অনেক অতিকথন করেন। কিন্তু লেখাটা একেবারে প্রাণ থেকে, ভেতর থেকে লেখা। আমি নিজেও বাবুর চোখ দিয়ে না দেখে ওইভাবে ভেতর থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। অদ্বৈতবাবু যে সময়ে তিতাস নদী দেখেছেন, তখন তিতাস ও তার তীরবর্তী গ্রামীণ সভ্যতা মরতে বসেছে। বইয়ে তিতাস একটি নদীর নাম। তিনি এর পরের পুণর্জীবনটা দেখতে যাননি। আমি দেখাতে চাই যে, মৃত্যুর পরেও এই পুণর্জীবন হচ্ছে। তিতাস এখন আবার যৌবনগর্বিত নরের মতোই বহমান। যেন পূর্ণযৌবনের নর আর তিতাস মিলে একাকার হয়ে যাবে। তিতাস যেন এখন যৌবনবান নরদেরকে উপভোগ করবে। এই ভরা যৌবনের নরদের বাসস্থান তিতাস তীরের গ্রাম, কিন্তু তারা তাঁদের ভরা যৌবনের নরদেহ বিক্রি করে তিতাসের কাছে। তিতাস তাদের বেঁচে থাকার উপজীব্য। তিতাস এই নরদের শরীর নেবে এবং বিনিময়ে মাছ দেবে। আমার ছবিতে গ্রাম নায়ক, গ্রামের ভরা যৌবনের মালো নররা নায়ক আর তিতাস নায়িকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
শ্রেষ্ঠাংশে
- ফকরুল হাসান বৈরাগী - নিবারণ
- নারায়ণ চক্রবর্তী - মোড়ল
- বনানী চৌধুরী - মোড়লের গিন্নী
- কবরী চৌধুরী - রাজার ঝি
- চেতনা দাস
- ঋত্বিক ঘটক - তিলকচাঁদ
- শফিকুল ইসলাম - অনন্ত
- সিরাজুল ইসলাম - মাগন সরদার
- রওশন জামিল - মা
- এম এ খায়ের - বাসন্তির বাবা
- প্রবীর মিত্র - কিশোর (প্রবীর মিত্র)
- গোলাম মুস্তাফা - রামপ্রসাদ এবং কাদের মিয়া
- সুফিয়া রুস্তম - উদয়তারা
- রোজী সামাদ - বাসন্তী
- রানী সরকার - মুংলি
সম্মাননা
২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক জরীপে দর্শক, চলচ্চিত্র সমালোচকদের ভোটে এটি সবার সেরা ১০টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করেছে।[১][২]
সংগীত
তিতাস একটি নদীর নাম ছবির সংগীত পরিচালনা করেন উস্তাদ বাহাদুর খান।
গানের তালিকা
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ দৈনিক প্রথম আলো, ছুটির দিনে, তিতাস একটি নদীর নাম, মুদ্রিত সংস্করণ, ৭ জানুয়ারি, ২০১২
- ↑ Top 10 Bangladeshi Films, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট।