অ্যামিবা (গণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
* ''[[অ্যামিবা ভেস্পার্টিলিও]]''
* ''[[অ্যামিবা ভেস্পার্টিলিও]]''
}}
}}
'''অ্যামিবা''' ({{lang-en|Amoeba}}) [[অ্যামিবোজোয়া]] [[পর্ব (জীববিদ্যা)|পর্বের]] [[অ্যামিবিডা]] [[পরিবার (জীববিদ্যা)|পরিবারের]] একটি [[গণ (জীববিদ্যা)|গণ]] বিশেষ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url = http://www.nies.go.jp/chiiki1/protoz/morpho/flagella/amoeba.htm|title = National Institute for Environmental Studies, Japan|date = 2007-|accessdate = Sep 11, 2014|website = The World of Protozoa, Rotifera, Nematoda and Oligochaeta|publisher = National Institute for Environmental Studies, Japan|last = Xu|first = Kaigin}}</ref>
'''অ্যামিবা''' ({{lang-en|Amoeba}}) [[অ্যামিবোজোয়া]] [[পর্ব (জীববিদ্যা)|পর্বের]] [[অ্যামিবিডা]] [[পরিবার (জীববিদ্যা)|পরিবারের]] একটি [[গণ (জীববিদ্যা)|গণ]] বিশেষ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল = http://www.nies.go.jp/chiiki1/protoz/morpho/flagella/amoeba.htm|শিরোনাম = National Institute for Environmental Studies, Japan|তারিখ = 2007-|সংগ্রহের-তারিখ = Sep 11, 2014|ওয়েবসাইট = The World of Protozoa, Rotifera, Nematoda and Oligochaeta|প্রকাশক = National Institute for Environmental Studies, Japan|শেষাংশ = Xu|প্রথমাংশ = Kaigin}}</ref>


== শ্রেণীবিন্যাসের ইতিহাস ==
== শ্রেণীবিন্যাসের ইতিহাস ==
[[File:Der Kleine Proteus from Roesel.jpg|thumb|340x340px|left|রোসেল ভন রোসেনহফের চিত্রে অ্যামিবা সদৃশ জীব ''দের ক্লেইন প্রোটিয়াস'']]
[[File:Der Kleine Proteus from Roesel.jpg|thumb|340x340px|left|রোসেল ভন রোসেনহফের চিত্রে অ্যামিবা সদৃশ জীব ''দের ক্লেইন প্রোটিয়াস'']]
১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে [[অগস্ট যোহান রোসেল ভন রোসেনহফ]] [[গ্রিক পুরাণ|গ্রিক পৌরাণিক]] রূপ-পরিবর্তনকারী সমুদ্র দেবতা [[প্রোতিয়ুস|প্রোতিয়ুসের]] নামে ''দের ক্লেইন প্রোটিয়াস'' ({{lang-de|Der Kleine Proteus}}; ছোট্ট প্রোটিয়াস) নামে অ্যামিবা সদৃশ একটি জীবের বর্ণনা দেন।<ref>Rosenhof, R. (1755). ''Monatlich herausgegebene Insektenbelustigungen'', vol. 3, p. 621, [https://books.google.com/books?id=q9JCAQAAMAAJ&hl=&pg=PA621#v=onepage&q&f=false].</ref> যদিও রোসেলের চিত্রে এই জীবের সঙ্গে বর্তমানযুগে পরিচিত [[অ্যামিবা প্রোটিয়াস]] প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে, কিন্তু কোন প্রজাতির সঙ্গে নিশ্চিতভাবে এক করা যায় না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Biology of Amoeba|last = Jeon|first = Kwang W.|publisher = Academic Press|year = 1973|isbn = |location = New York|pages = 2–3}}</ref> অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে অ্যামিবা সদৃশ যে কোন স্বাধীন এককোষী জীবকে ''প্রোটিয়াস অ্যানিমেলকিউল'' বলা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Biological atlas: a guide to the practical study of plants and animals|last = McAlpine|first = Daniel|publisher = W. & A. K. Johnston|year = 1881|isbn = |location = Edinburgh and London|pages = 17}}</ref>
১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে [[অগস্ট যোহান রোসেল ভন রোসেনহফ]] [[গ্রিক পুরাণ|গ্রিক পৌরাণিক]] রূপ-পরিবর্তনকারী সমুদ্র দেবতা [[প্রোতিয়ুস|প্রোতিয়ুসের]] নামে ''দের ক্লেইন প্রোটিয়াস'' ({{lang-de|Der Kleine Proteus}}; ছোট্ট প্রোটিয়াস) নামে অ্যামিবা সদৃশ একটি জীবের বর্ণনা দেন।<ref>Rosenhof, R. (1755). ''Monatlich herausgegebene Insektenbelustigungen'', vol. 3, p. 621, [https://books.google.com/books?id=q9JCAQAAMAAJ&hl=&pg=PA621#v=onepage&q&f=false].</ref> যদিও রোসেলের চিত্রে এই জীবের সঙ্গে বর্তমানযুগে পরিচিত [[অ্যামিবা প্রোটিয়াস]] প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে, কিন্তু কোন প্রজাতির সঙ্গে নিশ্চিতভাবে এক করা যায় না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Biology of Amoeba|শেষাংশ = Jeon|প্রথমাংশ = Kwang W.|প্রকাশক = Academic Press|বছর = 1973|আইএসবিএন = |অবস্থান = New York|পাতাসমূহ = 2–3}}</ref> অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে অ্যামিবা সদৃশ যে কোন স্বাধীন এককোষী জীবকে ''প্রোটিয়াস অ্যানিমেলকিউল'' বলা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Biological atlas: a guide to the practical study of plants and animals|শেষাংশ = McAlpine|প্রথমাংশ = Daniel|প্রকাশক = W. & A. K. Johnston|বছর = 1881|আইএসবিএন = |অবস্থান = Edinburgh and London|পাতাসমূহ = 17}}</ref>


১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে রোসেলের প্রোটিয়াসের চিত্র না দেখেই [[কার্ল লিনিয়াস]] তাঁর নিজের শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে এই জীবকে ''ভলভক্স ক্যাওস'' নাম দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু যেহেতু ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শৈবালের একটি গণের নামের সঙ্গে ভলভক্স শব্দটি যুক্ত করা হয়ে গেছিল, তাই তিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ''ক্যাওস ক্যাওস''। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে [[ডেনমার্ক|ডেনমার্কের]] প্রকৃতিবিদ [[অটো ফ্রেইডরিশ্‌ মূলর]] একটি প্রজাতির বর্ণনা করেন, যার নাম তিনি রাখেন ''প্রোটিয়াস ডিফ্লুয়েন্স'', যা সম্ভবতঃ [[অ্যামিবা প্রোটিয়াস]] প্রজাতি হিসেবে বর্তমানযুগে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Biology of Amoeba|last = Jeon|first = Kwang W.|publisher = Academic Press|year = 1973|isbn = |location = New York|page = 5}}</ref>
১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে রোসেলের প্রোটিয়াসের চিত্র না দেখেই [[কার্ল লিনিয়াস]] তাঁর নিজের শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে এই জীবকে ''ভলভক্স ক্যাওস'' নাম দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু যেহেতু ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শৈবালের একটি গণের নামের সঙ্গে ভলভক্স শব্দটি যুক্ত করা হয়ে গেছিল, তাই তিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ''ক্যাওস ক্যাওস''। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে [[ডেনমার্ক|ডেনমার্কের]] প্রকৃতিবিদ [[অটো ফ্রেইডরিশ্‌ মূলর]] একটি প্রজাতির বর্ণনা করেন, যার নাম তিনি রাখেন ''প্রোটিয়াস ডিফ্লুয়েন্স'', যা সম্ভবতঃ [[অ্যামিবা প্রোটিয়াস]] প্রজাতি হিসেবে বর্তমানযুগে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Biology of Amoeba|শেষাংশ = Jeon|প্রথমাংশ = Kwang W.|প্রকাশক = Academic Press|বছর = 1973|আইএসবিএন = |অবস্থান = New York|পাতা = 5}}</ref>


১৮২২ খ্রিস্টাব্দে [[বোরি দে সেন্ট-ভিন্সেন্ট]] [[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]] ''আমোইবে'' ({{lang-el|ἀμοιβή}}; পরিবর্তন) শব্দটি থেকে আমিবা ({{lang-en|Amiba}}) নামটি রাখেন।<ref>Bory de Saint-Vincent, J. B. G. M. "Essai d'une classification des animaux microscopiques." Agasse, Paris (1826).p. 28</ref><ref name="EOS1">{{বই উদ্ধৃতি |editor1-first = Kimberley |editor1-last = McGrath |editor2-last=Blachford |editor2-first=Stacey | title = Gale Encyclopedia of Science Vol. 1: Aardvark-Catalyst |edition=2nd | year = 2001 | isbn = 0-7876-4370-X | publisher = Gale Group | oclc = 46337140}}</ref> ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৃতিবিদ [[ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রেইড এহ্রেনবার্গ]] তাঁর নিজের তৈরিকৃত আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণীবিন্যাসে এই গণকে অন্তর্ভুক্ত করেন, কিন্তু বানান পরবর্তন করে ''Amoeba'' (''অ্যামিবা'') রাখেন।<ref>Ehrenberg, Christian Gottfried. Organisation, systematik und geographisches verhältniss der infusionsthierchen: Zwei vorträge, in der Akademie der wissenschaften zu Berlin gehalten in den jahren 1828 und 1830. Druckerei der Königlichen akademie der wissenschaften, 1832. p. 59</ref>
১৮২২ খ্রিস্টাব্দে [[বোরি দে সেন্ট-ভিন্সেন্ট]] [[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]] ''আমোইবে'' ({{lang-el|ἀμοιβή}}; পরিবর্তন) শব্দটি থেকে আমিবা ({{lang-en|Amiba}}) নামটি রাখেন।<ref>Bory de Saint-Vincent, J. B. G. M. "Essai d'une classification des animaux microscopiques." Agasse, Paris (1826).p. 28</ref><ref name="EOS1">{{বই উদ্ধৃতি |সম্পাদক১-প্রথমাংশ = Kimberley |সম্পাদক১-শেষাংশ = McGrath |সম্পাদক২-শেষাংশ=Blachford |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=Stacey | শিরোনাম = Gale Encyclopedia of Science Vol. 1: Aardvark-Catalyst |সংস্করণ=2nd | বছর = 2001 | আইএসবিএন = 0-7876-4370-X | প্রকাশক = Gale Group | oclc = 46337140}}</ref> ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৃতিবিদ [[ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রেইড এহ্রেনবার্গ]] তাঁর নিজের তৈরিকৃত আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণীবিন্যাসে এই গণকে অন্তর্ভুক্ত করেন, কিন্তু বানান পরবর্তন করে ''Amoeba'' (''অ্যামিবা'') রাখেন।<ref>Ehrenberg, Christian Gottfried. Organisation, systematik und geographisches verhältniss der infusionsthierchen: Zwei vorträge, in der Akademie der wissenschaften zu Berlin gehalten in den jahren 1828 und 1830. Druckerei der Königlichen akademie der wissenschaften, 1832. p. 59</ref>


== বৈশিষ্ট্য ==
== বৈশিষ্ট্য ==
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
{{Wikispecies|Amoeba}}
{{Wikispecies|Amoeba}}
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Amoeba}}
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Amoeba}}
ঐতিহাসিকভাবে, গবেষকরা অ্যামিবার [[সাইটোপ্লাজম|সাইটোপ্লাজমকে]] দানাদার [[এন্ডোপ্লাজম]] এবং স্বচ্ছ [[এক্টোপ্লাজম]] এই দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যা একটি নমনীয় [[কোষ পর্দা]] দ্বারা বেষ্টিত থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Biology of Amoeba|last = Jeon|first = Kwang W.|publisher = Academic Press|year = 1973|isbn = |location = New York|pages = 102}}</ref> এই কোষে একটিমাত্র দানাদার [[কোষ নিউক্লিয়াস|নিউক্লিয়াসের]] মধ্যে জীবের প্রায় সমস্ত [[ডিএনএ]] থাকে।
ঐতিহাসিকভাবে, গবেষকরা অ্যামিবার [[সাইটোপ্লাজম|সাইটোপ্লাজমকে]] দানাদার [[এন্ডোপ্লাজম]] এবং স্বচ্ছ [[এক্টোপ্লাজম]] এই দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যা একটি নমনীয় [[কোষ পর্দা]] দ্বারা বেষ্টিত থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Biology of Amoeba|শেষাংশ = Jeon|প্রথমাংশ = Kwang W.|প্রকাশক = Academic Press|বছর = 1973|আইএসবিএন = |অবস্থান = New York|পাতাসমূহ = 102}}</ref> এই কোষে একটিমাত্র দানাদার [[কোষ নিউক্লিয়াস|নিউক্লিয়াসের]] মধ্যে জীবের প্রায় সমস্ত [[ডিএনএ]] থাকে।


অ্যামিবা গণের প্রজাতিরা [[সিউডোপড]] নামক অস্থায়ী অঙ্গ তৈরী করে চলাফেরা ও খাদ্যসন্ধান করে থাকে। [[সাইটোপ্লাজম|সাইটোপ্লাজমে]] অবস্থিত [[মাইক্রোফিলামেন্ট]] দ্বারা সমন্বয়মূলক ভাবে কাজ করে কোষ থেকে [[কোষ পর্দা|কোষ পর্দাকে]] বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Molecular Biology of the Cell 5th Edition|last = Alberts Eds.|publisher = Garland Science|year = 2007|isbn = 9780815341055|location = New York|pages = 1037|display-authors=etal}}</ref> অ্যামিবার [[সিউডোপড]] নলাকার ও শেষ প্রান্তে গোলাকার মুণ্ড বিশিষ্ট হয়ে থাকে। [[সিউডোপড]] ক্রমাগত প্রসারিত ও সঙ্কুচিত হয় বলে অ্যামিবার আকার খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল হয়। ভাসমান অবস্থায় অ্যামিবা অনেকগুলি [[সিউডোপড]] একসঙ্গে তৈরী করলেও কঠিন ভূমির ওপর চলার সময় একটিমাত্র [[সিউডোপড]] চলনের দিকে তৈরী হয় এবং সমগ্র কোষটি একটি চোঙার আকৃতি ধারণ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url = http://www.arcella.nl/amoeba|title = Amoeba|date = |accessdate = Sep 11, 2014|website = Microworld: World of Amoeboid Organisms|publisher = Ferry Siemensma|last = Siemensma|first = Ferry}}</ref>
অ্যামিবা গণের প্রজাতিরা [[সিউডোপড]] নামক অস্থায়ী অঙ্গ তৈরী করে চলাফেরা ও খাদ্যসন্ধান করে থাকে। [[সাইটোপ্লাজম|সাইটোপ্লাজমে]] অবস্থিত [[মাইক্রোফিলামেন্ট]] দ্বারা সমন্বয়মূলক ভাবে কাজ করে কোষ থেকে [[কোষ পর্দা|কোষ পর্দাকে]] বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Molecular Biology of the Cell 5th Edition|শেষাংশ = Alberts Eds.|প্রকাশক = Garland Science|বছর = 2007|আইএসবিএন = 9780815341055|অবস্থান = New York|পাতাসমূহ = 1037|লেখক-প্রদর্শন=etal}}</ref> অ্যামিবার [[সিউডোপড]] নলাকার ও শেষ প্রান্তে গোলাকার মুণ্ড বিশিষ্ট হয়ে থাকে। [[সিউডোপড]] ক্রমাগত প্রসারিত ও সঙ্কুচিত হয় বলে অ্যামিবার আকার খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল হয়। ভাসমান অবস্থায় অ্যামিবা অনেকগুলি [[সিউডোপড]] একসঙ্গে তৈরী করলেও কঠিন ভূমির ওপর চলার সময় একটিমাত্র [[সিউডোপড]] চলনের দিকে তৈরী হয় এবং সমগ্র কোষটি একটি চোঙার আকৃতি ধারণ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল = http://www.arcella.nl/amoeba|শিরোনাম = Amoeba|তারিখ = |সংগ্রহের-তারিখ = Sep 11, 2014|ওয়েবসাইট = Microworld: World of Amoeboid Organisms|প্রকাশক = Ferry Siemensma|শেষাংশ = Siemensma|প্রথমাংশ = Ferry}}</ref>
অ্যামিবা [[ফ্যাগোসাইটোসিস]] পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ও জৈব পদার্থ এবং [[পিনোসাইটোসিস]] পদ্ধতিতে [[ভেসিকল]] তৈরি করে দ্রবীভূত পদার্থ গ্রহণ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title = Biology of Amoeba|last = Jeon|first = Kwang W.|publisher = Academic Press|year = 1973|isbn = |location = New York|pages = 100}}</ref> এই সকল খাদ্যকণা [[ভ্যাকুওল]] নামক অঙ্গাণুতে জমা হয়।
অ্যামিবা [[ফ্যাগোসাইটোসিস]] পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ও জৈব পদার্থ এবং [[পিনোসাইটোসিস]] পদ্ধতিতে [[ভেসিকল]] তৈরি করে দ্রবীভূত পদার্থ গ্রহণ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Biology of Amoeba|শেষাংশ = Jeon|প্রথমাংশ = Kwang W.|প্রকাশক = Academic Press|বছর = 1973|আইএসবিএন = |অবস্থান = New York|পাতাসমূহ = 100}}</ref> এই সকল খাদ্যকণা [[ভ্যাকুওল]] নামক অঙ্গাণুতে জমা হয়।


অন্যান্য এককোষী [[সুকেন্দ্রিক]] জীবের মত অ্যামিবা [[মাইটোসিস]] ও [[সাইটোকাইনেসিস]] পদ্ধতিতে [[অযৌন প্রজনন]] সম্পন্ন করে। অন্যান্য [[অ্যামিবাজোয়া]] প্রজাতির মধ্যে জিনগত বস্তুর যৌন আদানপ্রদান লক্ষ্য করা গেলেও এই জীবের দেহে [[যৌন প্রজনন]] লক্ষ্য করা যায়নি।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |author=Lahr DJ, Parfrey LW, Mitchell EA, Katz LA, Lara E |title=The chastity of amoebae: re-evaluating evidence for sex in amoeboid organisms |journal=Proc. Biol. Sci. |volume=278 |issue=1715 |pages=2083–6|date=July 2011 |pmid=21429931 |pmc=3107637 |doi=10.1098/rspb.2011.0289 |url=http://rspb.royalsocietypublishing.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=21429931}}</ref>
অন্যান্য এককোষী [[সুকেন্দ্রিক]] জীবের মত অ্যামিবা [[মাইটোসিস]] ও [[সাইটোকাইনেসিস]] পদ্ধতিতে [[অযৌন প্রজনন]] সম্পন্ন করে। অন্যান্য [[অ্যামিবাজোয়া]] প্রজাতির মধ্যে জিনগত বস্তুর যৌন আদানপ্রদান লক্ষ্য করা গেলেও এই জীবের দেহে [[যৌন প্রজনন]] লক্ষ্য করা যায়নি।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক=Lahr DJ, Parfrey LW, Mitchell EA, Katz LA, Lara E |শিরোনাম=The chastity of amoebae: re-evaluating evidence for sex in amoeboid organisms |সাময়িকী=Proc. Biol. Sci. |খণ্ড=278 |সংখ্যা নং=1715 |পাতাসমূহ=2083–6|তারিখ=July 2011 |pmid=21429931 |pmc=3107637 |ডিওআই=10.1098/rspb.2011.0289 |ইউআরএল=http://rspb.royalsocietypublishing.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=21429931}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৪:২৭, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অ্যামিবা
অ্যামিবা প্রোটিয়াস
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
ক্ষেত্র: ইউক্যারিওটা
পর্ব: অ্যামিবোজোয়া
উপপর্ব: লোবোসা
শ্রেণী: টিউবিউলিনিয়া
পরিবার: অ্যামিবিডা
গণ: অ্যামিবা
বোরি দে সেন্ট-ভিনসেন্ট, ১৮২২[১]
প্রজাতি

অ্যামিবা (ইংরেজি: Amoeba) অ্যামিবোজোয়া পর্বের অ্যামিবিডা পরিবারের একটি গণ বিশেষ।[২]

শ্রেণীবিন্যাসের ইতিহাস

রোসেল ভন রোসেনহফের চিত্রে অ্যামিবা সদৃশ জীব দের ক্লেইন প্রোটিয়াস

১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে অগস্ট যোহান রোসেল ভন রোসেনহফ গ্রিক পৌরাণিক রূপ-পরিবর্তনকারী সমুদ্র দেবতা প্রোতিয়ুসের নামে দের ক্লেইন প্রোটিয়াস (জার্মান: Der Kleine Proteus; ছোট্ট প্রোটিয়াস) নামে অ্যামিবা সদৃশ একটি জীবের বর্ণনা দেন।[৩] যদিও রোসেলের চিত্রে এই জীবের সঙ্গে বর্তমানযুগে পরিচিত অ্যামিবা প্রোটিয়াস প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে, কিন্তু কোন প্রজাতির সঙ্গে নিশ্চিতভাবে এক করা যায় না।[৪] অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে অ্যামিবা সদৃশ যে কোন স্বাধীন এককোষী জীবকে প্রোটিয়াস অ্যানিমেলকিউল বলা হত।[৫]

১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে রোসেলের প্রোটিয়াসের চিত্র না দেখেই কার্ল লিনিয়াস তাঁর নিজের শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে এই জীবকে ভলভক্স ক্যাওস নাম দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু যেহেতু ফ্ল্যাজেলাযুক্ত শৈবালের একটি গণের নামের সঙ্গে ভলভক্স শব্দটি যুক্ত করা হয়ে গেছিল, তাই তিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ক্যাওস ক্যাওস। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের প্রকৃতিবিদ অটো ফ্রেইডরিশ্‌ মূলর একটি প্রজাতির বর্ণনা করেন, যার নাম তিনি রাখেন প্রোটিয়াস ডিফ্লুয়েন্স, যা সম্ভবতঃ অ্যামিবা প্রোটিয়াস প্রজাতি হিসেবে বর্তমানযুগে পরিচিত।[৬]

১৮২২ খ্রিস্টাব্দে বোরি দে সেন্ট-ভিন্সেন্ট গ্রিক আমোইবে (গ্রিক: ἀμοιβή; পরিবর্তন) শব্দটি থেকে আমিবা (ইংরেজি: Amiba) নামটি রাখেন।[৭][৮] ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৃতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রেইড এহ্রেনবার্গ তাঁর নিজের তৈরিকৃত আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণীবিন্যাসে এই গণকে অন্তর্ভুক্ত করেন, কিন্তু বানান পরবর্তন করে Amoeba (অ্যামিবা) রাখেন।[৯]

বৈশিষ্ট্য

সিউডোপডের সাহায্যে অ্যামিবার চলন

ঐতিহাসিকভাবে, গবেষকরা অ্যামিবার সাইটোপ্লাজমকে দানাদার এন্ডোপ্লাজম এবং স্বচ্ছ এক্টোপ্লাজম এই দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যা একটি নমনীয় কোষ পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে।[১০] এই কোষে একটিমাত্র দানাদার নিউক্লিয়াসের মধ্যে জীবের প্রায় সমস্ত ডিএনএ থাকে।

অ্যামিবা গণের প্রজাতিরা সিউডোপড নামক অস্থায়ী অঙ্গ তৈরী করে চলাফেরা ও খাদ্যসন্ধান করে থাকে। সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মাইক্রোফিলামেন্ট দ্বারা সমন্বয়মূলক ভাবে কাজ করে কোষ থেকে কোষ পর্দাকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।[১১] অ্যামিবার সিউডোপড নলাকার ও শেষ প্রান্তে গোলাকার মুণ্ড বিশিষ্ট হয়ে থাকে। সিউডোপড ক্রমাগত প্রসারিত ও সঙ্কুচিত হয় বলে অ্যামিবার আকার খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল হয়। ভাসমান অবস্থায় অ্যামিবা অনেকগুলি সিউডোপড একসঙ্গে তৈরী করলেও কঠিন ভূমির ওপর চলার সময় একটিমাত্র সিউডোপড চলনের দিকে তৈরী হয় এবং সমগ্র কোষটি একটি চোঙার আকৃতি ধারণ করে।[১২]

অ্যামিবা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ও জৈব পদার্থ এবং পিনোসাইটোসিস পদ্ধতিতে ভেসিকল তৈরি করে দ্রবীভূত পদার্থ গ্রহণ করে।[১৩] এই সকল খাদ্যকণা ভ্যাকুওল নামক অঙ্গাণুতে জমা হয়।

অন্যান্য এককোষী সুকেন্দ্রিক জীবের মত অ্যামিবা মাইটোসিসসাইটোকাইনেসিস পদ্ধতিতে অযৌন প্রজনন সম্পন্ন করে। অন্যান্য অ্যামিবাজোয়া প্রজাতির মধ্যে জিনগত বস্তুর যৌন আদানপ্রদান লক্ষ্য করা গেলেও এই জীবের দেহে যৌন প্রজনন লক্ষ্য করা যায়নি।[১৪]

তথ্যসূত্র

  1. Bory de Saint-Vincent, J.B.G.M. (1822-1831). Article "Amiba". In: Dictionnaire classique d'histoire naturelle par Messieurs Audouin, Isid. Bourdon, Ad. Brongniart, De Candolle, Daudebard de Férusac, A. Desmoulins, Drapiez, Edwards, Flourens, Geoffroy de Saint-Hilaire, A. De Jussieu, Kunth, G. de Lafosse, Lamouroux, Latreille, Lucas fils, Presle-Duplessis, C. Prévost, A. Richard, Thiébaut de Berneaud, et Bory de Saint-Vincent. Ouvrage dirigé par ce dernier collaborateur, et dans lequel on a ajouté, pour le porter au niveau de la science, un grand nombre de mots qui n'avaient pu faire partie de la plupart des Dictionnaires antérieurs. 17 vols. Paris: Rey et Gravier; Baudoin frères, vol. 1, p. 260, [১].
  2. Xu, Kaigin (2007-)। "National Institute for Environmental Studies, Japan"The World of Protozoa, Rotifera, Nematoda and Oligochaeta। National Institute for Environmental Studies, Japan। সংগ্রহের তারিখ Sep 11, 2014  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. Rosenhof, R. (1755). Monatlich herausgegebene Insektenbelustigungen, vol. 3, p. 621, [২].
  4. Jeon, Kwang W. (১৯৭৩)। Biology of Amoeba। New York: Academic Press। পৃষ্ঠা 2–3। 
  5. McAlpine, Daniel (১৮৮১)। Biological atlas: a guide to the practical study of plants and animals। Edinburgh and London: W. & A. K. Johnston। পৃষ্ঠা 17। 
  6. Jeon, Kwang W. (১৯৭৩)। Biology of Amoeba। New York: Academic Press। পৃষ্ঠা 5। 
  7. Bory de Saint-Vincent, J. B. G. M. "Essai d'une classification des animaux microscopiques." Agasse, Paris (1826).p. 28
  8. McGrath, Kimberley; Blachford, Stacey, সম্পাদকগণ (২০০১)। Gale Encyclopedia of Science Vol. 1: Aardvark-Catalyst (2nd সংস্করণ)। Gale Group। আইএসবিএন 0-7876-4370-Xওসিএলসি 46337140 
  9. Ehrenberg, Christian Gottfried. Organisation, systematik und geographisches verhältniss der infusionsthierchen: Zwei vorträge, in der Akademie der wissenschaften zu Berlin gehalten in den jahren 1828 und 1830. Druckerei der Königlichen akademie der wissenschaften, 1832. p. 59
  10. Jeon, Kwang W. (১৯৭৩)। Biology of Amoeba। New York: Academic Press। পৃষ্ঠা 102। 
  11. Alberts Eds.; ও অন্যান্য (২০০৭)। Molecular Biology of the Cell 5th Edition। New York: Garland Science। পৃষ্ঠা 1037। আইএসবিএন 9780815341055 
  12. Siemensma, Ferry। "Amoeba"Microworld: World of Amoeboid Organisms। Ferry Siemensma। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টে ১১, ২০১৪ 
  13. Jeon, Kwang W. (১৯৭৩)। Biology of Amoeba। New York: Academic Press। পৃষ্ঠা 100। 
  14. Lahr DJ, Parfrey LW, Mitchell EA, Katz LA, Lara E (জুলাই ২০১১)। "The chastity of amoebae: re-evaluating evidence for sex in amoeboid organisms"Proc. Biol. Sci.278 (1715): 2083–6। ডিওআই:10.1098/rspb.2011.0289পিএমআইডি 21429931পিএমসি 3107637অবাধে প্রবেশযোগ্য 

টেমপ্লেট:অ্যামিবোজোয়া