জনি ওয়ারডল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শৈশবকাল - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কাউন্টি ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৫৪ নং লাইন: ৫৪ নং লাইন:
}}
}}


'''জন হেনরি ওয়ারডল''' ({{lang-en|Johnny Wardle}}; [[জন্ম]]: [[৮ জানুয়ারি]], [[১৯২৩]] - [[মৃত্যু]]: [[২৩ জুলাই]], [[১৯৮৫]]) ইয়র্কশায়ারের হ্যাটফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী যুদ্ধ পরবর্তীকালের বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।<ref name="Cap">{{cite book |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= |pages= 180–181 |url= }}</ref> [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৭ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ স্পিন বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন '''জনি ওয়ারডল'''।
'''জন হেনরি ওয়ারডল''' ({{lang-en|Johnny Wardle}}; [[জন্ম]]: [[৮ জানুয়ারি]], [[১৯২৩]] - [[মৃত্যু]]: [[২৩ জুলাই]], [[১৯৮৫]]) ইয়র্কশায়ারের হ্যাটফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী যুদ্ধ পরবর্তীকালের বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।<ref name="Cap">{{cite book |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= |pages= 180–181 |url= }}</ref> [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৭ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ার দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ স্পিন বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন '''জনি ওয়ারডল'''।


== শৈশবকাল ==
== শৈশবকাল ==
ইয়র্কশায়ার ওয়েস্ট রাইডিংয়ের আর্ডস্লে এলাকায় জন হেনরি ওয়ারডলের জন্ম। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়াথ গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। খনি শ্রমিক পরিবারের সন্তান ছিলেন জনি ওয়ারডল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন। স্পিন বোলার ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অধিকারী হিসেবে খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ইয়র্কশায়ার দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। যুদ্ধে নিহত [[হেডলি ভেরিটি|হেডলি ভেরিটির]] যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁকে দেখা হতো।
ইয়র্কশায়ার ওয়েস্ট রাইডিংয়ের আর্ডস্লে এলাকায় জন হেনরি ওয়ারডলের জন্ম। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়াথ গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। খনি শ্রমিক পরিবারের সন্তান ছিলেন জনি ওয়ারডল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন। স্পিন বোলার ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অধিকারী হিসেবে খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ইয়র্কশায়ার দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। যুদ্ধে নিহত [[হেডলি ভেরিটি|হেডলি ভেরিটির]] যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁকে দেখা হতো।


== কাউন্টি ক্রিকেট ==
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও পরবর্তীতে কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেছেন জনি ওয়ারডল। ১৯৪৬ সালে একটি মাত্র খেলার জন্য তাঁকে দলে রাখা হয়। ৪৩ বছর বয়সী [[আর্থার বুথ|আর্থার বুথের]] গড়ই কেবল তাঁর চেয়ে শীর্ষে ছিল। কিন্তু, আর্থার বুথ অসুস্থ হয়ে পড়লে জনি ওয়ারডল তাঁর স্থান দখলে তৎপর হন। ১৯৪৭ সালে শুষ্ক গ্রীষ্মের পরও [[গাবি অ্যালেন|গাবি অ্যালেনের]] নেতৃত্বাধীন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে অনেকাংশে পরীক্ষামূলকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দলে রাখা হয় জনি ওয়ারডলকে।
ঘরোয়া [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] ইয়র্কশায়ার ও পরবর্তীতে কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেছেন জনি ওয়ারডল। ১৯৪৬ সালে একটি মাত্র খেলার জন্য তাঁকে দলে রাখা হয়। ৪৩ বছর বয়সী [[Arthur Booth (cricketer, born 1902)|আর্থার বুথের]] গড়ই কেবল তাঁর চেয়ে শীর্ষে ছিল। কিন্তু, আর্থার বুথ অসুস্থ হয়ে পড়লে জনি ওয়ারডল তাঁর স্থান দখলে তৎপর হন।

১৯৪৭ সালে শুষ্ক গ্রীষ্মের পরও [[গাবি অ্যালেন|গাবি অ্যালেনের]] নেতৃত্বাধীন [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের]] সদস্যরূপে অনেকাংশে পরীক্ষামূলকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দলে রাখা হয় জনি ওয়ারডলকে। ঐ সফরে তিনি তেমন ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। কিন্তু পরের বছরের ভেজা গ্রীষ্মে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯৪৯ সালে আঘাতের কারণে এক-চতুর্থাংশ সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ঐ গ্রীষ্মের বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচে মারাত্মক হয়ে উঠেন। তাঁর বোলিং ইয়র্কশায়ারকে শেষদিকে [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপার লড়াইয়ে]] নিয়ে আসে ও যৌথভাবে মিডলসেক্সের সাথে শিরোপা জয় করতে সমর্থ হয়।

১৯৫০ সালে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্টে খেলার সুযোগ পান। [[সনি রামাদিন]] ও [[আল্ফ ভ্যালেন্টাইন|আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের]] বেশ কিছু দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে তিনি কমই সফল হয়েছিলেন। তবে, [[বিল বোস]] ও হেডলি ভেরিটির তুলনায় তিনি ক্ষাণিকটা পিছিয়ে ছিলেন। তাসত্ত্বেও জনি ওয়ারডলের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফলাফল প্রথমবারের মতো চোখে পড়ে।


টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২০.৩৯। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর টেস্ট ক্রিকেটে স্বীকৃত যে-কোন স্পিন বোলারের তুলনায় তাঁর এ গড় সর্বনিম্ন।
টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২০.৩৯। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর টেস্ট ক্রিকেটে স্বীকৃত যে-কোন স্পিন বোলারের তুলনায় তাঁর এ গড় সর্বনিম্ন।


== খেলার ধরন ==
== খেলার ধরন ==
মূলতঃ ধ্রুপদী অর্থোডক্স বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জনি ওয়ারডল। সম্ভবতঃ সর্বকালের সেরা স্পিন বোলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। উৎপত্তিগত ও নিখুঁততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। বামহাতি রিস্ট স্পিনার হিসেবে বলকে বাঁক খাওয়াতে পারতেন ও বেশ দ্রুততার সাথে তীক্ষ্নভাবে বাউন্স করতে কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে নিজের সেরা দিনগুলোয় [[টনি লক|টনি লকের]] তুলনায় বেশ এগিয়ে রাখতেন।
মূলতঃ ধ্রুপদী অর্থোডক্স বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জনি ওয়ারডল। সম্ভবতঃ সর্বকালের সেরা স্পিন বোলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। উৎপত্তিগত ও নিখুঁততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। বামহাতি রিস্ট স্পিনার হিসেবে বলকে বাঁক খাওয়াতে পারতেন ও বেশ দ্রুততার সাথে তীক্ষ্ণভাবে বাউন্স করতে কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে নিজের সেরা দিনগুলোয় [[টনি লক|টনি লকের]] তুলনায় বেশ এগিয়ে রাখতেন।


একমাত্র ইংরেজ বোলার হিসেবে এ পদ্ধতিতে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তার করেছেন। এরফলে তিনি অনেক সফলতা পেয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। সেখানে তিনি ইংল্যান্ডের বাইরে এক মৌসুমে শতাধিক উইকেট লাভের ন্যায় অনন্য কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে চায়নাম্যান বোলিং করেছেন।
একমাত্র ইংরেজ বোলার হিসেবে এ পদ্ধতিতে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তার করেছেন। এরফলে তিনি অনেক সফলতা পেয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। সেখানে তিনি ইংল্যান্ডের বাইরে এক মৌসুমে শতাধিক উইকেট লাভের ন্যায় অনন্য কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে চায়নাম্যান বোলিং করেছেন।

১৪:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জনি ওয়ারডল
১৯৫৪ সালে জে.এইচ. ওয়ারডল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন হেনরি ওয়ারডল
জন্ম(১৯২৩-০১-০৮)৮ জানুয়ারি ১৯২৩
আর্ডস্লে, বার্নস্লে, ইয়র্কশায়ার ওয়েস্ট রাইডিং, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৩ জুলাই ১৯৮৫(1985-07-23) (বয়স ৬২)
হ্যাটফিল্ড, ডনকাস্টার, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স; স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৮ ৪১২
রানের সংখ্যা ৬৫৩ ৭,৩৩৩
ব্যাটিং গড় ১৯.৭৮ ১৬.০৮
১০০/৫০ –/২ –/১৮
সর্বোচ্চ রান ৬৬ ৭৯
বল করেছে ৬,৫৯৭ ১০২,৬২৬
উইকেট ১০২ ১,৮৪৬
বোলিং গড় ২০.৩৯ ১৮.৯৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩৪
ম্যাচে ১০ উইকেট ২৯
সেরা বোলিং ৭/৩৬ ৯/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/– ২৫৭/–
উৎস: [১], ১৭ নভেম্বর ২০১৮

জন হেনরি ওয়ারডল (ইংরেজি: Johnny Wardle; জন্ম: ৮ জানুয়ারি, ১৯২৩ - মৃত্যু: ২৩ জুলাই, ১৯৮৫) ইয়র্কশায়ারের হ্যাটফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী যুদ্ধ পরবর্তীকালের বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৭ সময়কালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ স্পিন বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন জনি ওয়ারডল

শৈশবকাল

ইয়র্কশায়ার ওয়েস্ট রাইডিংয়ের আর্ডস্লে এলাকায় জন হেনরি ওয়ারডলের জন্ম। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়াথ গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। খনি শ্রমিক পরিবারের সন্তান ছিলেন জনি ওয়ারডল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন। স্পিন বোলার ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অধিকারী হিসেবে খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ইয়র্কশায়ার দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। যুদ্ধে নিহত হেডলি ভেরিটির যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁকে দেখা হতো।

কাউন্টি ক্রিকেট

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও পরবর্তীতে কেমব্রিজশায়ারের পক্ষে খেলেছেন জনি ওয়ারডল। ১৯৪৬ সালে একটি মাত্র খেলার জন্য তাঁকে দলে রাখা হয়। ৪৩ বছর বয়সী আর্থার বুথের গড়ই কেবল তাঁর চেয়ে শীর্ষে ছিল। কিন্তু, আর্থার বুথ অসুস্থ হয়ে পড়লে জনি ওয়ারডল তাঁর স্থান দখলে তৎপর হন।

১৯৪৭ সালে শুষ্ক গ্রীষ্মের পরও গাবি অ্যালেনের নেতৃত্বাধীন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে অনেকাংশে পরীক্ষামূলকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দলে রাখা হয় জনি ওয়ারডলকে। ঐ সফরে তিনি তেমন ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। কিন্তু পরের বছরের ভেজা গ্রীষ্মে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯৪৯ সালে আঘাতের কারণে এক-চতুর্থাংশ সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ঐ গ্রীষ্মের বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচে মারাত্মক হয়ে উঠেন। তাঁর বোলিং ইয়র্কশায়ারকে শেষদিকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপার লড়াইয়ে নিয়ে আসে ও যৌথভাবে মিডলসেক্সের সাথে শিরোপা জয় করতে সমর্থ হয়।

১৯৫০ সালে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্টে খেলার সুযোগ পান। সনি রামাদিনআল্ফ ভ্যালেন্টাইনের বেশ কিছু দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে তিনি কমই সফল হয়েছিলেন। তবে, বিল বোস ও হেডলি ভেরিটির তুলনায় তিনি ক্ষাণিকটা পিছিয়ে ছিলেন। তাসত্ত্বেও জনি ওয়ারডলের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফলাফল প্রথমবারের মতো চোখে পড়ে।

টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২০.৩৯। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর টেস্ট ক্রিকেটে স্বীকৃত যে-কোন স্পিন বোলারের তুলনায় তাঁর এ গড় সর্বনিম্ন।

খেলার ধরন

মূলতঃ ধ্রুপদী অর্থোডক্স বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জনি ওয়ারডল। সম্ভবতঃ সর্বকালের সেরা স্পিন বোলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। উৎপত্তিগত ও নিখুঁততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। বামহাতি রিস্ট স্পিনার হিসেবে বলকে বাঁক খাওয়াতে পারতেন ও বেশ দ্রুততার সাথে তীক্ষ্ণভাবে বাউন্স করতে কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে নিজের সেরা দিনগুলোয় টনি লকের তুলনায় বেশ এগিয়ে রাখতেন।

একমাত্র ইংরেজ বোলার হিসেবে এ পদ্ধতিতে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তার করেছেন। এরফলে তিনি অনেক সফলতা পেয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। সেখানে তিনি ইংল্যান্ডের বাইরে এক মৌসুমে শতাধিক উইকেট লাভের ন্যায় অনন্য কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে চায়নাম্যান বোলিং করেছেন।

তথ্যসূত্র

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 180–181। আইএসবিএন 1-869833-21-X 

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
বালু গুপ্তে
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব
পেশাদার

১৯৫৯–১৯৬২
উত্তরসূরী
ডেস হোর