বিলিম্বি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
| image = Averrhoa_bilimbi_dsc03692.jpg
| image = Averrhoa_bilimbi_dsc03692.jpg
| image_width = 240px
| image_width = 240px
| regnum = [[Plant]]ae
| regnum = [[Plantae]]
| divisio = [[Flowering plant|Magnoliophyta]]
| divisio = [[Flowering plant|Magnoliophyta]]
| classis = [[Dicotyledon|Magnoliopsida]]
| classis = [[Dicotyledon|Magnoliopsida]]

১৬:৫৫, ১১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিলিম্বি
Averrhoa bilimbi
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Oxalidales
পরিবার: Oxalidaceae
গণ: Averrhoa
প্রজাতি: A. bilimbi
দ্বিপদী নাম
Averrhoa bilimbi
L.

বিলিম্বি অক্সিডেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। বিলিম্বি কামরাঙ্গা গোত্রের ফল। এটি কামরাঙ্গার নিকট আত্মীয়। এর স্বাদও অনেকটা কামরাঙ্গার মতোই। শুধু স্বাদই নয় প্রজাতি, বিন্যাস, পরিবার, গুণ সবকিছুতেই কামরাঙ্গার নিকটাত্মীয় এই ফলটি। বাংলা নাম : বিলিম্বি। ইংরেজি নাম : Bilimb [বিলিম্বি]। বৈজ্ঞানিক নাম : Averrhoa bilimbi [এভারোয়া বিলিম্বি]। অন্যান্য নাম : বিলিম্বি, বিলিম্বি বিলিম্বির গাছ । বিলিম্বি ইংরেজিতে Cucumber tree বা Tree sorrel নামেও পরিচিত।

বিবরণ

বিলিম্বি দেখতে অনেকটা পটলের মতো, তবে আরো ছোট। ফল ৩-৬ সে.মি. পর্যন্ত বড় হয় এবং রং উজ্জ্বল, হালকা সবুজ। বিলিম্বি গাছে প্রচুর ফল আসে এবং ধরে খুবই অদ্ভুতভাবে। গাছের ডালে তো বটেই, কান্ড ঘিরেও ফল ধরে। গাছ খুব বেশি বড় হয় না, ৫-১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। পাতাগুলো কামরাঙ্গার মতোই। । নিয়মিত পাতা ছেটে ও ডালপালা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে সারা বছরই এ গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। গাছে বেশি ফুল ফোটে ফেব্রুয়ারিতে এবং মোটামুটি সারা বছরই ফল পাওয়া যায়। শীতকালে বিলিম্বি গাছের পাতা ঝরে পড়ে তবে বসন্তের আগমণে আবার নতুন কুঁড়ি ও পাতা গজাতে থাকে। একটি পূর্ণ গাছে বছরে প্রায় ৩০০ কেজি বিলিম্বির ফলন হয়।

বিস্তৃতি

এর উৎপত্তি সম্ভবতঃ ইন্দোনেশিয়ার মলুক্কাসে, তবে অনেক উদ্ভিদবিজ্ঞানীর মতে, বিলিম্বির উত্‍পত্তি ব্রাজিলে এবং পরে তা দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এটি মূলতঃ উষ্ণ আবহাওয়ার উদ্ভিদ। ভারতের উষ্ণ আবহাওয়ায় বিলিম্বি খুব ভালো জন্মে। বিশেষ করে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিল নাড়ু এবং গোয়ায় বিলিম্বি খুবই জনপ্রিয়। এই গাছটি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মায়ানমার প্রভৃতি দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই চাষ করা হয় অথবা আধ-বুনো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এশিয়ার বাইরে, গাছ জানজিবার মধ্যে চাষ করা হয়। ১৭৯৩ সালে বিলিম্বি টিমর থেকে জামাইকা চালু করা হয় এবং বেশ কিছু বছর পর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা যেখানে এটি mimbro হিসাবে পরিচিত হয় সর্বত্র চাষ করা হয়।

ব্যবহারসমূহ

বাংলাদেশ, বিলিম্বি কাঁচা খাওয়া হয়। বিলিম্বি কামরাঙ্গার মতোই ঝাল-লবণ দিয়ে খেতে ভালো লাগে। ছোট মাছ ও ডালের সঙ্গে বিলিম্বিের জুড়ি নেই। ডাল বা মাংশতেও বিলিম্বি ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া বিলিম্বি কামরাঙ্গার মতোই ঝাল লবণ দিয়ে খেতে ভালো লাগে। ফলের স্বাদ টক, পাকা বিলিম্বি দিয়ে আচার বা চাটনি তৈরি করা হয়। বিলিম্বি দিয়ে তৈরি চাটনি ও আচার খুবই মজাদার। এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় খুব টক হলেও রান্নার পর বা চাটনি কিংবা আচার তৈরি করার পর টক থাকে না।

ফিলিপাইন, বিলিম্বি গাছ সেখানে সাধারণভাবে বাড়ির পিছনে অথবা উঠোনে পাওয়া যায়। ফল সাধারণত লবণ দিয়ে কাঁচা খাওয়া হয়। ফিলিপাইননে সাধারণ খাবারের টক ভাব আনার জন্য বিলিম্বি curried বা এই ধরনের sinigang এবং paksiw যোগ করা হয়। অসিদ্ধ বিলিম্বি সুস্বাদ জন্য ভাত ও কোস্টারিকা মধ্যে মটরশুটি সঙ্গে পরিবেশিত হয়। যেখানে গাছ সম্ভূত এখানে ইস্ট, ইন, কখনও কখনও তরকারি যোগ করা হয়।

ইন্দোনেশিয়া, তেঁতুল বা টমেটোর বদলে, এটা কিছু খাবারের যোগ করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় এটা রোদে শুকিয়ে সংরক্ষিত হয়। মালয়েশিয়াতেও মিষ্টি জ্যাম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

ভারতের কেরল ও ভাটকলে এটা আচার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং মাছ তরকারি তৈরিতে, বিশেষ করে সার্ডিনের সঙ্গে একে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় এই ফল সাধারণত লবণ ও মসলা দিয়ে কাঁচা খাওয়া হয়। রোদে শুকনো বিলিম্বিকে আসামে সুনতি (sunti) বলা হয়। বিলিম্বি আসামেও sunti আসেনিজ রন্ধনপ্রণালী মধ্যে জনপ্রিয়। এটা আমের চাটনি বদলে ব্যবহৃত হয়।

সিসিলি, এটা প্রায়ই অনেক সেশেলয়েস ক্রয়েল ডিশ, বিশেষত মাছ খাবারের টাঙ্গি গন্ধ দিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, এটা প্রায়ই একটি হাঙ্গর মাংস থালা, satini Reken নামক (প্রায় সবসময়) ভাজা মাছ ব্যবহার করা হয়।

ঔষুধি গুনাগুণ

ফিলিপাইননে বিলিম্বির পাতা চুলকানি, ফোলা, বাত, মাম্পস বা চামড়া ফাটার জন্য পেস্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অন্যত্র বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করে। যখন ফুল আধান জন্য গায়ক পক্ষী, ঠাণ্ডা, এবং কাশি ব্যবহার করা হয় পাতার আধান, একটি পরে জন্ম টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মালয়েশিয়াতে, তাজা বিলিম্বির পাতা যৌনরোগ রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ফরাসি গায়ানাতে, ফল থেকে তৈরি সিরাপ প্রদাহজনক ও চিকিত্সা করতে ব্যবহৃত হয়। তবে, ব্যবহারের কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

ভারতের তিরুবনন্তপুরম জেলার কিছু গ্রামে সালে বিলিম্বি ফল স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের জন্য লোক ঔষধ ব্যবহার করা হতো। এইটা antihyperlipidemic বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গবেষণা করার মতো।

বিলিম্বি oxalate উচ্চ মাত্রা ধারণ করে। উচ্চ কলেস্টেরল চিকিত্সার জন্য কয়েক জন ক্রমাগত বিলিম্বি রস পান করেছেন; তারা বিলিম্বির oxalate কারণে তীব্র কিডনির সমস্যায় পড়েন। স্থানীয় গণমাধ্যম, এই ব্যক্তিরা এই অভিসন্ধি যা পরীক্ষামূলক পশুদের মধ্যে সম্পন্ন গবেষণার আপ অভিনয় গ্রাসকারী মধ্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অন্যান্য ব্যবহার

মালয়েশিয়াতে, খুব আম্লিক বিলিম্বি ক্রিস ব্লেড পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়। ফিলিপাইননে, এটা প্রায়ই একটি বিকল্প দাগ উন্মুলয়িতা হিসাবে গ্রামে ব্যবহার করা হয়। বিলিম্বি রস (4.47 সম্পর্কে একটি pH এর এর সঙ্গে) একটি শীতল পানীয় জন্য ব্যবহার করা হয়। পরন্তু, ফল pickling দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়, যা তার অম্লতা হ্রাস করে। ফুল মাঝে মাঝে চিনি জন্য সংরক্ষিত হয়। ইন্দোনেশিয়াতে, তার লাল ফুল ঐতিহ্যগত টেক্সটাইল জন্য প্রাকৃতিক লাল ছোপানো এর একটি অঙ্গ হিসাবে চাওয়া হয়।

১০০ গ্রাম বিলিম্বির পুষ্টিগুণ

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ