বিতর নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ 103.108.90.14-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Siratul Mustakim-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
EditBangla (আলোচনা | অবদান) অ সম্প্রসারণ |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''বিতর''' |
'''বিতর নামাজ''' রাতে ইশার নামাজ আদায়ের পড়তে হয়। ইশার নামাজের পর থেকে [[ফজরের নামাজ|ফজরের নামাজের]] পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়। |
||
বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। [[ইশার নামাজ|ইশার নামাজের]] পর তিন রাকআত বিতর নামাজ আদায় করা [[ওয়াজিব]]।<ref>দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা - ২৭১</ref> |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
==হাদীস== |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
বিতর মানে বেজোড়। এক রাকাত থেকে এগারো রাকাআত পড়া যায়। তবে সাধারণতঃ তিন রাক্বাত পড়া হয়। তিন রাকাআত বিতর নামাজ পরতে চাইলে অন্যান্য নামাজের ন্যায় দুই রাকআত শেষে সালাম ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে অথাবা দুই রাকাআত নামাজ শেষে তাশাহহুদের জন্য না বসে পড়ে তৎক্ষণাৎ দাঁড়াতে হবে। সাধারণতঃ দুই রাকাআত নামাজ শেষে তাশাহহুদের জন্য না বসে পড়ে তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাক্বাত শুরু করতে হয়। |
|||
⚫ | |||
== দোয়া কুনুত == |
|||
'''দোয়া কুনুত''' ({{lang-ar|القنوت}} বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে পড়তে হয়।<ref name="pns">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://pnsnews24.com/news/islam/71806 |title=দোয়া কুনুত ও ফজিলত - ইসলাম |date=2016-02-08 |website=Premier News Syndicate Limited (PNS) |access-date=2018-05-02}}</ref> তৃতীয় রাক্বাতে [[সূরা]] পাঠ শেষে কানের লতি অবধি হাতে উঠিয়ে [[তাকবির]] দিয়ে পুনরায় পেটের ওপর হাত বাঁধতে হয় এবং অনুচ্চ স্বরে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হয়। দোয়া কুনুত পড়ার পর তাকবির অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে [[রুকু|রুকুতে]] যেতে হয়। |
|||
<blockquote>اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ |
|||
=== উচ্চারণ === |
|||
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।<ref name="qurane">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://quranerbishoy.com/%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A4 |title=দোয়া কুনুত |date=2018-05-02}}</ref></blockquote> |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
{{সূত্র তালিকা}} |
{{সূত্র তালিকা}} |
০০:৫৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বিতর নামাজ রাতে ইশার নামাজ আদায়ের পড়তে হয়। ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়।
বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। ইশার নামাজের পর তিন রাকআত বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।[১]
হাদীস
বিতর নামাজ সম্পর্কে ইসলামের রাসুল মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন:
- " আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে আরও একটি অতিরিক্ত নামাজ দিয়েছেন, যা তোমাদের সর্বাধিক প্রিয় লাল রঙের উটের চেয়েও উত্তম।সেটা হচ্ছে বিতর নামাজ। "[২]
- " বিতর নামাজ ওয়াজিব। যে ব্যক্তি বিতর আদায় করবে না, আমাদের জামায়াতের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। "[৩] [৪]
বিতর নামাজের পদ্ধতি
বিতর মানে বেজোড়। এক রাকাত থেকে এগারো রাকাআত পড়া যায়। তবে সাধারণতঃ তিন রাক্বাত পড়া হয়। তিন রাকাআত বিতর নামাজ পরতে চাইলে অন্যান্য নামাজের ন্যায় দুই রাকআত শেষে সালাম ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে অথাবা দুই রাকাআত নামাজ শেষে তাশাহহুদের জন্য না বসে পড়ে তৎক্ষণাৎ দাঁড়াতে হবে। সাধারণতঃ দুই রাকাআত নামাজ শেষে তাশাহহুদের জন্য না বসে পড়ে তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাক্বাত শুরু করতে হয়।
তৃতীয় রাকআতে উঠে সুরা ফাতেহার পর অন্য কোন সুরা বা আয়াত পড়তে হবে। তারপর দোয়া কূনুত পাঠ করে রুকুতে যেতে হবে, আবার রুকুর পরেও দোয়া কূনুত পড়া যায়। এবং অন্যান্য নামাজের মত নামাজ শেষ করবে।[৫]
দোয়া কুনুত
দোয়া কুনুত (আরবি: القنوت বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে পড়তে হয়।[৬] তৃতীয় রাক্বাতে সূরা পাঠ শেষে কানের লতি অবধি হাতে উঠিয়ে তাকবির দিয়ে পুনরায় পেটের ওপর হাত বাঁধতে হয় এবং অনুচ্চ স্বরে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হয়। দোয়া কুনুত পড়ার পর তাকবির অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকুতে যেতে হয়।
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।[৭]
তথ্যসূত্র
- ↑ দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা - ২৭১
- ↑ মুমিনের জীবনযাপন পদ্ধতি, ডাঃ মাহমূদ (অনুবাদক- মহিউদ্দিন খান) পৃষ্ঠা -২৯৩
- ↑ আবু দাউদ শরীফ, সূত্রঃ মিশকাত, পৃষ্ঠা -১১৩
- ↑ বেসিক নলেজ অব ইসলাম,আ ন ম শহীদুল ইসলাম, পৃষ্ঠা -১০৬
- ↑ https://www.youtube.com/watch?v=KLznXYJ3ZfA
- ↑ "দোয়া কুনুত ও ফজিলত - ইসলাম"। Premier News Syndicate Limited (PNS)। ২০১৬-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০২।
- ↑ "দোয়া কুনুত"। ২০১৮-০৫-০২।