নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন
নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন
	চিত্র:No Country for Old Men poster.jpg প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালক	জোয়েল কোয়েন; ইথান কোয়েন
প্রযোজক	জোয়েল কোয়েন; ইথান কোয়েন; স্কট রুডিন
চিত্রনাট্যকার	জোয়েল কোয়েন; ইথান কোয়েন
উৎস	করম্যাক ম্যাকার্থি কর্তৃক ; নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন
শ্রেষ্ঠাংশে	টমি লি জোন্স; জশ ব্রোলিন; হাভিয়ের বারদেম; কেলি ম্যাকডোনাল্ড; উডি হ্যারেলসন;
সুরকার	কার্টার বারওয়েল
চিত্রগ্রাহক	রজার ডিকিন্স
সম্পাদক	রডেরিক জেইন্‌স
পরিবেশক	মিরাম্যাক্স ফিল্মস (যুক্তরাষ্ট্র); প্যারামাউন্ট ভ্যান্টেজ (যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে)
মুক্তি	১৯ মে ২০০৭ (কান); ৯ নভেম্বর ২০০৭ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র); ; ; ;
স্থিতিকাল	১২২ মিনিট
দেশ	মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা	ইংরেজি
নির্মাণব্যয়	২৫০ কোটি মার্কিন ডলার

ইতিহাস ব্রাউজ করুন

← পূর্বের পার্থক্য পরবর্তী পার্থক্য →

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে

দৃশ্যমানউইকিপাঠ্য

রৈখিক

২০:০০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি: No Country for Old Men) ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন জোয়েল এবং ইথান কোয়েন। এটি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে এবং সেই সাথে আরও তিনটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরস্কার জিতে নেয়। করম্যাক ম্যাকা‌র্থি রচিত একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পশ্চিম টেক্সাসের মরু অঞ্চলে মাদক ব্যবসা থেকে উদ্ভূত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। তিনটি চরিত্র একে অন্যকে ধাওয়া করতে গিয়ে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের পটভূমিতে এটি নির্মিত হয়েছে।

সমালোচকদের দ্বারা এই ছবিটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। "শিকাগো সান-টাইম্‌স"-এর রজার এবার্ট বলেন, "এটি কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের করা সেরা চলচ্চিত্র।"^[১] গার্ডিয়ান সাংবাদিকদের মতে এই সিনেমার মাধ্যমে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় কৌশলগত ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এবং পশ্চিমা ধ্রুপদি পটভূমিতে তাদের অনুভূতির সফল বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাদের মতে খুব অল্প সংখ্যক পরিচালকই এই দিকটি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিলেন।^[২]

চরিত্রসমূহ

টমি লি জোন্স - শেরিফ এড টম বেল
জশ ব্রোলিন - লিউয়েলিন মস
হাভিয়ের বারদেম - অ্যান্টন শিগার (এই চরিত্রকে ইংমার বারিমান-এর ধ্রুপদী সিনেমা দ্য সেভেন্‌থ সিলের মৃত্যু চরিত্রটির আধুনিক সংস্করণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে)
কেলি ম্যাকডোনাল্ড - কার্লা জিন মস
উডি হ্যারেলসন - কার্সন ওয়েল্‌স
টেস হার্পার - লোরেটা বেল
ব্যারি কোর্বিন - এলিস
বেথ গ্র্যান্ট - অ্যাগনেস
স্টিফেন রুট - যে ওয়েল্‌সকে ভাড়া করে
জিন জোন্স - টমাস থেয়ার
গ্যারেট ডিলাহান্ট - ওয়েন্ডেল

মূলভাব ও শৈলী

ছবি করতে গিয়ে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় মূল উপন্যাসের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত থেকেছেন। মূল উপন্যাসে ভাগ্যকেন্দ্রিক যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছিল সিনেমাতেও সেগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। ভাগ্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে কাকতাল, স্বাধীন ইচ্ছা এবং গন্তব্য নির্ধারণ। অ্যান্টন শিগার এমনই দূর্ধর্ষ হিটম্যান যাকে ধরার সাধ্য কারও নেই। কোয়েনদের ছবিতে এমন চরিত্র প্রায়শই দেখা যায়।

দ্য ভিলেজ ভয়েসের স্কট ফাউন্ডাস বলেন, ব্যাপারটা এমন যে, এক বিলুপ্তপ্রায় জাতি প্রাকৃতিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে নিজেরাই নিজেদের বিলুপ্ত করে দেয়ার অভিযানে নেমেছে। রজার ইবার্ট বলেন, চূড়ান্ত অবিচারের সামনে মানবিক অনুভূতি কতটা নির্মমভাবে সাধারণ হয়ে উঠে তা-ই যেন দেখানো হয়েছে।

ভ্যারাইটির সমালোচক, টড ম্যাক্‌কার্থির বলেন, শিগার যেখানেই যায় মৃত্যু তার সাথে সাথে যায়। সে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত না নিলে এই মৃত্যু কার্যকর হবেই, সামনে যে থাকে তারই উপর।

নির্মাণ

প্রযোজক স্কট রুডিন করম্যাক ম্যাকা‌র্থির উপন্যাসের সত্ত্ব কিনে কোয়েনদেরকে সিনেমা বানানোর আহ্বান জানান। উপন্যাসের নিজেদের পছন্দনীয় কিছু উপাদান পেয়ে কোয়েনরা রাজি হয়ে যান। উপাদানগুলো হল: মানুষের আস্থাকে পরাহত করার ক্ষমতা, ভাল মানুষের সাথে সত্যিকার অর্থে কখনও খারাপ মানুষের দেখা হয় না এমন ধারণা এবং উপন্যাসের নির্মমতার গুণ।^[৩]

রচনা

চিত্রনাট্য রচনার সময় কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় উপন্যাসের প্রায় পুরোটাই অনুসরণ করেছেন। তবে শেষটা একরকম করেননি। বইয়ের শেষে কার্লা জিনের সাথে যখন শিগারের দেখা হয় তখন জিন প্রায় ভেঙে পড়ে। কিন্তু, ছবিতে কার্লা জিনকে বেশ সংহত মনে হয়। এরকম করার কারণ, মুভিতে বোঝানো হয়েছে তার হারাবার আর কিছু ছিল না।

ছবিটিতে সংলাপ খুব কম। নাটকীয় ভাব আনার জন্য মূলত চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনার উপর নির্ভর করা হয়েছে।

চরিত্রায়ন

জোল কোয়েন বলেন, শেরিফ বেলকে মুভির আত্মা বলা যায়। তাই খুব উঁচুমানের এমন একজন অভিনেতার প্রয়োজন ছিল যিনি সূক্ষ্মতার সাথে অভিনয় করতে পারবেন। টমি লি জোন্স সেদিক থেকে একেবারে উপযুক্ত।

শুটিং

মূলত নিউ মেক্সিকো ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্য শুটিং হয়েছে। মাইরাম্যাক্স ও প্যারামাউন্টের ৫০/৫০ শেয়ারে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। চিত্রগ্রাহক রজার ডিকিন্সের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, ছবিকে খুব বাস্তবসম্মত হিসেবে ফুটিয়ে তোলা। তার উপর পরিপ্রেক্ষিত ছিল অনেকদিন আগের আর দেখানোর প্রয়োজন ছিল জনমানবশূন্য বিরানভূমি।

পরিচালনা

দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে দুই শক্ত-সমর্থ ব্যক্তি একে অপরকে ধাওয়া করছে। এ ধরণের দৃশ্যের প্রসঙ্গ আসলেই বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম পিকেনপাহ্‌-র নাম চলে আসে। কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় পিকেনপাহ্‌-র সিনেমার দৃশ্যগুলোর সাথে সামঞ্জসে ঘটে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ সতর্ক ছিলেন। নৃশংস ও নির্মম দৃশ্যগুলো বরাবরের মত বেশ মজার সাথে করেছেন তারা। এগুলো করতে তাদের বেশ মজা লাগে। এতো সিরিয়াস ঘটনা, অথচ শুটিংয়ের সময় কৌতুকের মত লাগে। জেভিয়ার বার্ডেমও এই বিষয়টিতে খুব মজা পেয়েছেন। তিনি তো মুভি শেষে প্রতিদিন কোয়েনদের কাছে এসে দুই হাত ঘষে মজা করে বলতেন, আজকে কাকে মারতে যাচ্ছি?

সঙ্গীত ও সুর

হলিউডের সাধারণ থ্রিলার সিনেমায় সঙ্গীত ও সুরের আতিশয্য থাকে। কোয়েনরা এদিক দিয়ে হলিউডের প্রথার পুরো উল্টো কাজ করেছেন। পুরো ছবিতে মাত্র ১৬ মিনিট সঙ্গীত ও সুরের ব্যবহার আছে। বাকি পুরোটা সাধারণ।

প্রতিক্রিয়া

প্রায় সব সমালোচকই ছবিটির প্রশংসা করেছেন। রটেন টম্যাটোস-এ ১৮৯টি রিভিউয়ের মধ্যে ৯৪% ই ইতিবাচক বিবেচিত হয়েছে। মেটাক্রিটিকে ৩৭ রিভিউয়ের মধ্যে ৯১% ই ইতিবাচক। এছাড়া ছবিটি আটটি ক্ষেত্রে অস্কার মনোনয়ন লাভ করে যার মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করে।

তথ্যসূত্র

↑ Roger Ebert Chicago Sun-Times, November 8, 2007.
↑ Patterson, John (2007-12-21)। "'We've killed a lot of animals'"। Guardian। পৃষ্ঠা Film/Interviews। সংগ্রহের তারিখ 2007-12-27। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
↑ টুরান, কেনেথ (১৮ মে ২০০৭)। "Coens' Brutal Brilliance Again on Display"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।

বহিঃসংযোগ

Official site
Official Canadian site
অলমুভিতে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি)
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি)
বক্স অফিস মোজোতে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি)
মেটাক্রিটিকে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি)
রটেন টম্যাটোসে নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (ইংরেজি)
Review at Film.com
Trailer in Divx format
নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন সিনেমার বাংলা রিভিউ - সচলায়তন।

[1] Roger Ebert Chicago Sun-Times, November 8, 2007.

[Guardian-2] Patterson, John (2007-12-21)। "'We've killed a lot of animals'"। Guardian। পৃষ্ঠা Film/Interviews। সংগ্রহের তারিখ 2007-12-27। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

[3] টুরান, কেনেথ (১৮ মে ২০০৭)। "Coens' Brutal Brilliance Again on Display"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।

[১]

[২]

[৩]

@@ ২ নং লাইন: / ২ নং লাইন: @@
 | নাম           = নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন
 | চিত্র         = No Country for Old Men poster.jpg
-| ক্যাপশন       = থিয়েটারধর্মী পোস্টার
+| ক্যাপশন       = প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
 | পরিচালক       = [[কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়|জোয়েল কোয়েন]]<br />[[কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়|ইথান কোয়েন]]
 | প্রযোজক       = জোয়েল কোয়েন<br />ইথান কোয়েন<br />স্কট রুডিন
+| রচয়িতা       =
-| রচয়িতা       = '''চিত্রনাট্য:'''<br />জোয়েল কোয়েন<br />ইথান কোয়েন<br />'''উপন্যাস:'''<br />[[করম্যাক ম্যাকার্থি]]
-| চিত্রনাট্যকার =
+| চিত্রনাট্যকার = জোয়েল কোয়েন<br />ইথান কোয়েন
+| ভিত্তি করে     = {{ভিত্তি করে|''[[নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন]]''|[[করম্যাক ম্যাকার্থি]]}}
-| কাহিনীকার     =
+| শ্রেষ্ঠাংশে   = {{প্রান্তরতালিকা|
-| শ্রেষ্ঠাংশে   = [[টমি লি জেম্‌স]]<br />[[জশ ব্রোলিন]]<br />[[Javier Bardem]]<br />[[কেলি ম্যাকডোনাল্ড]]<br />উডি হ্যারেলসন
+* [[টমি লি জোন্স]]
+* [[জশ ব্রোলিন]]
+* [[হাভিয়ের বারদেম]]
+* [[কেলি ম্যাকডোনাল্ড]]
+* উডি হ্যারেলসন
+}}
 | সুরকার        = কার্টার বারওয়েল
 | চিত্রগ্রাহক   = রজার ডিকিন্স
 | সম্পাদক       = রডেরিক জেইন্‌স
 | স্টুডিও       =
-| পরিবেশক       = [[মাইরাম্যাক্স ফিল্ম]] (যুক্তরাষ্ট্র)<br />[[প্যারামাউন্ট ভেন্টেইজ]] (যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে)
+| পরিবেশক       = [[মিরাম্যাক্স ফিল্মস]] (যুক্তরাষ্ট্র)<br />[[প্যারামাউন্ট ভ্যান্টেজ]] (যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে)
+| মুক্তি        = {{চলচ্চিত্রের তারিখ|2007|05|19|[[কান চলচ্চিত্র উৎসব|কান]]|2007|11|09|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র}}
-| মুক্তি        = '''[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]]''':<br />[[৯ই নভেম্বর]] [[২০০৭]]<br />''(সীমিত)''<br />[[২১শে নভেম্বর]] [[২০০৭]]<br />''(ব্যাপক)''<br />'''[[অস্ট্রেলিয়া]]:'''<br />[[২৬শে ডিসেম্বর]] [[২০০৭]]<br />'''[[যুক্তরাজ্য]]:'''<br />[[১৮ই জানুয়ারি]] [[২০০৮]]
 | দৈর্ঘ্য       = ১২২ মিনিট
 | দেশ           = [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]]
-| ভাষা          = [[English language|ইংরেজি]]
+| ভাষা          = ইংরেজি
 | নির্মাণব্যয়  = ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার
 | আয়           =
 }}
-'''নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন''' ([[ইংরেজি ভাষায়]]: ''No Country for Old Men'') [[২০০৭]] সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন [[জোয়েল এবং ইথান কোয়েন]]। এটি সেরা চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে এবং সেই সাথে আরও তিনটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরস্কার জিতে নেয়। [[করম্যাক ম্যাকা‌র্থি]] রচিত একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পশ্চিম [[টেক্সাস|টেক্সাসের]] মরু অঞ্চলে মাদক ব্যবসা থেকে উদ্ভূত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। তিনটি চরিত্র একে অন্যকে ধাওয়া করতে গিয়ে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। [[১৯৮০]] সালের পটভূমিতে এটি নির্মিত হয়েছে।
+'''নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন''' ({{lang-en|No Country for Old Men}}) ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন [[জোয়েল এবং ইথান কোয়েন]]। এটি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে এবং সেই সাথে আরও তিনটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরস্কার জিতে নেয়। [[করম্যাক ম্যাকা‌র্থি]] রচিত একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পশ্চিম [[টেক্সাস|টেক্সাসের]] মরু অঞ্চলে মাদক ব্যবসা থেকে উদ্ভূত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। তিনটি চরিত্র একে অন্যকে ধাওয়া করতে গিয়ে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। [[১৯৮০]] সালের পটভূমিতে এটি নির্মিত হয়েছে।
 সমালোচকদের দ্বারা এই ছবিটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। "শিকাগো সান-টাইম্‌স"-এর ''রজার এবার্ট'' বলেন, "এটি কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের করা সেরা চলচ্চিত্র।"<ref>Roger Ebert [http://rogerebert.suntimes.com/apps/pbcs.dll/article?AID=/20071108/REVIEWS/711080304/1023 ''Chicago Sun-Times''], November 8, 2007.</ref> গার্ডিয়ান সাংবাদিকদের মতে এই সিনেমার মাধ্যমে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় কৌশলগত ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এবং পশ্চিমা ধ্রুপদি পটভূমিতে তাদের অনুভূতির সফল বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাদের মতে খুব অল্প সংখ্যক পরিচালকই এই দিকটি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিলেন।<ref name="Guardian">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Patterson | প্রথমাংশ = John | লেখক-সংযোগ = | শিরোনাম = 'We've killed a lot of animals' | প্রকাশক = Guardian | খণ্ড = | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = Film/Interviews | বছর = | তারিখ = [[2007-12-21]] | ইউআরএল = http://film.guardian.co.uk/interview/interviewpages/0,,2230352,00.html | সংগ্রহের-তারিখ = 2007-12-27}}</ref>
+== চরিত্রসমূহ ==
+* [[টমি লি জোন্স]] - শেরিফ এড টম বেল
+* [[জশ ব্রোলিন]] - লিউয়েলিন মস
+* [[হাভিয়ের বারদেম]] - অ্যান্টন শিগার (এই চরিত্রকে [[ইংমার বারিমান]]-এর ধ্রুপদী সিনেমা [[দ্য সেভেন্‌থ সিল|দ্য সেভেন্‌থ সিলের]] মৃত্যু চরিত্রটির আধুনিক সংস্করণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে)
+* কেলি ম্যাকডোনাল্ড - কার্লা জিন মস
+* উডি হ্যারেলসন - কার্সন ওয়েল্‌স
+* টেস হার্পার - লোরেটা বেল
+* ব্যারি কোর্বিন - এলিস
+* বেথ গ্র্যান্ট - অ্যাগনেস
+* স্টিফেন রুট - যে ওয়েল্‌সকে ভাড়া করে
+* জিন জোন্স - টমাস থেয়ার
+* গ্যারেট ডিলাহান্ট - ওয়েন্ডেল
 == মূলভাব ও শৈলী ==
@@ ৩৩ নং লাইন: / ৫২ নং লাইন: @@
 == নির্মাণ ==
-প্রযোজক ''স্কট রুডিন'' করম্যাক ম্যাকা‌র্থির উপন্যাসের সত্ত্ব কিনে কোয়েনদেরকে সিনেমা বানানোর আহ্বান জানান। উপন্যাসের নিজেদের পছন্দনীয় কিছু উপাদান পেয়ে কোয়েনরা রাজি হয়ে যান। উপাদানগুলো হল: মানুষের আস্থাকে পরাহত করার ক্ষমতা, ভাল মানুষের সাথে সত্যিকার অর্থে কখনও খারাপ মানুষের দেখা হয় না এমন ধারণা এবং উপন্যাসের নির্মমতার গুণ।
+প্রযোজক স্কট রুডিন করম্যাক ম্যাকা‌র্থির উপন্যাসের সত্ত্ব কিনে কোয়েনদেরকে সিনেমা বানানোর আহ্বান জানান। উপন্যাসের নিজেদের পছন্দনীয় কিছু উপাদান পেয়ে কোয়েনরা রাজি হয়ে যান। উপাদানগুলো হল: মানুষের আস্থাকে পরাহত করার ক্ষমতা, ভাল মানুষের সাথে সত্যিকার অর্থে কখনও খারাপ মানুষের দেখা হয় না এমন ধারণা এবং উপন্যাসের নির্মমতার গুণ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=টুরান|প্রথমাংশ1=কেনেথ|শিরোনাম=Coens' Brutal Brilliance Again on Display|কর্ম=[[লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস]]|তারিখ=১৮ মে ২০০৭}}</ref>
 === রচনা ===
@@ ৫১ নং লাইন: / ৭০ নং লাইন: @@
 === সঙ্গীত ও সুর ===
 হলিউডের সাধারণ থ্রিলার সিনেমায় সঙ্গীত ও সুরের আতিশয্য থাকে। কোয়েনরা এদিক দিয়ে হলিউডের প্রথার পুরো উল্টো কাজ করেছেন। পুরো ছবিতে মাত্র ১৬ মিনিট সঙ্গীত ও সুরের ব্যবহার আছে। বাকি পুরোটা সাধারণ।
-== চরিত্রসমূহ ==
-* [[টমি লি জোন্স]] - শেরিফ এড টম বেল
-* জশ ব্রোলিন - লিউয়েলিন মস
-* [[জেভিয়ার বার্ডেম]] - অ্যান্টন শিগার (এই চরিত্রকে [[ইংমার বারিমান]]-এর ধ্রুপদী সিনেমা [[দ্য সেভেন্‌থ সিল|দ্য সেভেন্‌থ সিলের]] মৃত্যু চরিত্রটির আধুনিক সংস্করণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে)
-* কেলি ম্যাকডোনাল্ড - কার্লা জিন মস
-* উডি হ্যারেলসন - কার্সন ওয়েল্‌স
-* টেস হার্পার - লোরেটা বেল
-* ব্যারি কোর্বিন - এলিস
-* বেথ গ্র্যান্ট - অ্যাগনেস
-* স্টিফেন রুট - যে ওয়েল্‌সকে ভাড়া করে
-* জিন জোন্স - টমাস থেয়ার
-* গ্যারেট ডিলাহান্ট - ওয়েন্ডেল
 == প্রতিক্রিয়া ==
@@ ৭৫ নং লাইন: / ৮১ নং লাইন: @@
 * [http://www.nocountryforoldmen.com/ Official site]
 * [http://www.nocountrymovie.com Official Canadian site]
+* {{অলমুভি শিরোনাম}}
 * {{আইএমডিবি শিরোনাম}}
+* {{মোজো শিরোনাম}}
-* {{rotten-tomatoes|id=no_country_for_old_men|title=No Country for Old Men}}
+* {{মেটাক্রিটিক চলচ্চিত্র}}
-* {{metacritic film|id=nocountryforoldmen|title=No Country for Old Men}}
+* {{রটেন টম্যাটোস}}
-* {{mojo title|id=nocountryforoldmen|title=No Country for Old Men}}
-* {{amg movie|id=1:348834|title=No Country for Old Men}}
 * [http://www.film.com/movies/story/reviewnocountryforoldmenwillbelovedbyfansoffargo/17250644 Review] at Film.com
 * [http://www.stage6.com/user/cinematrailers/video/2182919/No-Country-for-Old-Men Trailer in Divx format]
 * [http://www.sachalayatan.com/muhammad/16757 নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন সিনেমার বাংলা রিভিউ] - সচলায়তন।
-[[বিষয়শ্রেণী:২০০৭-এর চলচ্চিত্র]]
+{{একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র}}
-[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র]]
-[[বিষয়শ্রেণী:অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্র]]
 [[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:২০০৭-এর চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর দশকের থ্রিলার চলচ্চিত্র]]
 [[বিষয়শ্রেণী:কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয় পরিচালিত চলচ্চিত্র]]
-[[বিষয়শ্রেণী:মাইরাম্যাক্সের চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন গ্যাংস্টার চলচ্চিত্র]]
+[[বিষয়শ্রেণী:মিরাম্যাক্স ফিল্মসের চলচ্চিত্র]]
 [[বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার]]
-[[fa:کشوری برای پیرمردها نیست]]
-[[no:No Country for Old Men]]
-[[pl:To nie jest kraj dla starych ludzi]]
-[[pt:No Country for Old Men]]

দে স শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার
১৯২৭/২৮–১৯৪০	উইংস (১৯২৭/২৮) দ্য ব্রডওয়ে মেলডি (১৯২৮/২৯) অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (১৯২৯/৩০) সিমারন (১৯৩০/৩১) গ্র্যান্ড হোটেল (১৯৩১/৩২) ক্যাভ্যালকেড (১৯৩২/৩৩) ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট (১৯৩৪) মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫) দ্য গ্রেট জিগফেল্ড (১৯৩৬) দ্য লাইফ অব এমিল জোলা (১৯৩৭) ইউ ক্যান্ট টেক ইট উইথ ইউ (১৯৩৮) গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) রেবেকা (১৯৪০)
১৯৪১–১৯৬০	হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি (১৯৪১) মিসেস মিনিভার (১৯৪২) কাসাব্লাঙ্কা (১৯৪৩) গোয়িং মাই ওয়ে (১৯৪৪) দ্য লস্ট উইকেন্ড (১৯৪৫) দ্য বেস্ট ইয়ার্স অব আওয়ার লাইভস্‌ (১৯৪৬) জেন্টলম্যান্‌স এগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) হ্যামলেট (১৯৪৮) অল দ্য কিংস মেন (১৯৪৯) অল অ্যাবাউট ইভ (১৯৫০) অ্যান অ্যামেরিকান ইন প্যারিস (১৯৫১) দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ (১৯৫২) ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি (১৯৫৩) অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট (১৯৫৪) মার্টি (১৯৫৫) অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ (১৯৫৬) দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (১৯৫৭) জিজি (১৯৫৮) বেন-হার (১৯৫৯) দি অ্যাপার্টমেন্ট (১৯৬০)
১৯৬১–১৯৮০	ওয়েস্ট সাইড স্টোরি (১৯৬১) লরেন্স অব অ্যারাবিয়া (১৯৬২) টম জোন্স (১৯৬৩) মাই ফেয়ার লেডি (১৯৬৪) দ্য সাউন্ড অব মিউজিক (১৯৬৫) আ ম্যান ফর অল সিজনস্‌ (১৯৬৬) ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট (১৯৬৭) অলিভার! (১৯৬৮) মিডনাইট কাউবয় (১৯৬৯) প্যাটন (১৯৭০) দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন (১৯৭১) দ্য গডফাদার (১৯৭২) দ্য স্টিং (১৯৭৩) দ্য গডফাদার পার্ট ২ (১৯৭৪) ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট (১৯৭৫) রকি (১৯৭৬) অ্যানি হল (১৯৭৭) দ্য ডিয়ার হান্টার (১৯৭৮) ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার (১৯৭৯) অর্ডিনারি পিপল (১৯৮০)
১৯৮১–২০০০	চ্যারিয়ট্‌স অব ফায়ার (১৯৮১) গান্ধী (১৯৮২) টার্মস অব এনডিয়ারমেন্ট (১৯৮৩) আমাডেয়ুস (১৯৮৪) আউট অব আফ্রিকা (১৯৮৫) প্লাটুন (১৯৮৬) দ্য লাস্ট এম্পেরার (১৯৮৭) রেইন ম্যান (১৯৮৮) ড্রাইভিং মিস ডেইজি (১৯৮৯) ড্যান্সেস উইথ উল্‌ভস্‌ (১৯৯০) দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস (১৯৯১) আনফরগিভেন (১৯৯২) শিন্ডলার্স লিস্ট (১৯৯৩) ফরেস্ট গাম্প (১৯৯৪) ব্রেভহার্ট (১৯৯৫) দি ইংলিশ পেশন্ট (১৯৯৬) টাইটানিক (১৯৯৭) শেকসপিয়ার ইন লাভ (১৯৯৮) অ্যামেরিকান বিউটি (১৯৯৯) গ্ল্যাডিয়েটর (২০০০)
২০০১–বর্তমান	আ বিউটিফুল মাইন্ড (২০০১) শিকাগো (২০০২) দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং (২০০৩) মিলিয়ন ডলার বেবি (২০০৪) ক্র্যাশ (২০০৫) দ্য ডিপার্টেড (২০০৬) নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন (২০০৭) স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (২০০৮) দ্য হার্ট লকার (২০০৯) দ্য কিংস স্পিচ (২০১০) দি আর্টিস্ট (২০১১) আর্গো (২০১২) টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেইভ (২০১৩) বার্ডম্যান বা (দি আনেক্সপেক্টেড ভার্চু অব ইগনোরেন্স) (২০১৪) স্পটলাইট (২০১৫) মুনলাইট (২০১৬) দ্য শেপ অব ওয়াটার (২০১৭) গ্রিন বুক (২০১৮) প্যারাসাইট (২০১৯) নোম্যাডল্যান্ড (২০২০) কোডা (২০২১) এভরিথিং এভরিওয়েআর অল অ্যাট ওয়ান্স (২০২২) অপেনহাইমার (২০২৩)