কালীগঞ্জ উপজেলা, লালমনিরহাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৮′৩.৪″ উত্তর ৮৯°১২′২৪.৫″ পূর্ব / ২৫.৯৬৭৬১১° উত্তর ৮৯.২০৬৮০৬° পূর্ব / 25.967611; 89.206806
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
→‎কৃতী ব্যক্তিত্ব: নুরুজ্জামান আহমেদ এম, পি সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ( বীর মুক্তিযোদ্ধা )
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষা: কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
৫৩ নং লাইন: ৫৩ নং লাইন:


== শিক্ষা ==
== শিক্ষা ==
<nowiki>*</nowiki><nowiki>[[কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]]</nowiki>

১৯৫৯ খৃষ্টাব্দের ০৪ জানুয়ারী অনাড়ম্বর পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসের চেয়ে সেদিন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের অভিমত গুলি বেশী অর্থবহ বলে এখানে আরেকবার স্মরন করা হলো। সাবেক পার্লামেন্ট সেক্রেটারী প্রয়াত জছির উদ্দিন আহম্মেদ অনাড়ম্বর পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন- কোন মহৎ কাজই তুর্যধ্বনী দিয়ে আসে না। মহা অনাড়ম্বরে শুরুও হয় না। সেই আলোকে আজ আমরা একটি মহৎ কাজই আল্লাহ চায় সূচনা করলাম। সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক প্রয়াত জনাব শেখ ফজলে করিম বলেন- সব দীর্ঘ যাত্রাই তো ছোট একটি পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়। এখানে হয়তো সেরুপই হলো। সাংগঠনিক কমিটির প্রথম সভায় প্রয়াত জনাব আব্দুল জব্বার মিয়া বলেন, এখানে করিম উদ্দিন আহম্মেদ এর সব কাজেই এলাকাবাসী ‌‌<nowiki>''</nowiki>ভাল ভাল<nowiki>''</nowiki> বলেই মাথায় তুলে নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটির নাম করিম উদ্দিন পাবলিক জুনিয়র স্কুল বলেই এলাকাবাসীর দৃষ্টিটা এদিকেই থাকবে। প্রতিষ্ঠাতা করিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাজার বক্তৃতার চেয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করলেই বক্তব্য পরিস্কার হয়। শিক্ষার সাগরে অনেক বড় বড় জাহাজ ভাসানো হয়েছে। আজ আমি এক টুকরা কাঠ ভাসালাম। কারো উপকার হবে ভেবে ভাসাই নাই। মনের আনন্দে ভাসালাম। প্রানের তাগিদে ভাসালাম। লাভ হল কিনা ভবিষ্যতেই বলবে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমতি লাভ করে । পরিবেশটি স্নিগ্ধ ও সুনিবিড় হওয়ার কারনে ১৯৬৭ সালে থানা হেড কোয়ার্টার হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এটি বহুমুখি পর্যায়ে উন্নীত হয়। ১৯৭১সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমতি প্রাপ্ত হয় এবং ১৯৮০সালে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

বর্তমানে একশ শতকের মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটিতে কারিগরি শিক্ষাসহ সাধারন শিক্ষার সব রকম সুয়োগেই বর্তমান। পাঠ্যক্রমের অনেক শিক্ষার্থীদের ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯৯৫ সালে বাংলদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউটোরিয়াল কেন্দ্র হিসেবে এস,এস,সি কোর্সেও চালু আছে বর্তমানে ২৮জন শিক্ষকসহ ৬জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। বৃত্তিমুলক শিক্ষার জন্য ৭জন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষক আছেন। বিদ্যালয়টিতে যন্দ্রপাতি সংযোজিত রয়েছে।

বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠে প্রতিনিয়তই পুরানো ছাত্র-ছাত্রীরা আসে দল বেধে শুভেচ্ছা জানাতে। যেন শরতের নীল আকাশে দল ছুটো মেঘ। এখানে প্রাক্তনরা ফিরে এসে স্মৃতি মন্থন করছে আর নব প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরাও গেীরবময় ইতিহাস শুনে মুগ্ধ হচ্ছে। ২০০৯সালে সারাদেশে TQI SEPএর ১৫টি নির্বাচিত CCS (Cluster Center School) এর ১টি CCS হিসেবে নির্বাচিত হয় ২০১০সালে British Council এর Schools online প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব খুরশীদুজ্জামান আহমেদ যিনি প্রতিষ্ঠাতার ৫ম পুত্র তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের একজন স্কুল এম্বাসেডর ( Schools Ambassador) নিযুক্ত হন।

বিতর্কে দেশ সেরা লালমনির হাটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানশুধু প্রথমবারের পর পুনরায় ২০১৩ সালে সোমা, রুমা, রাব্বীর, টুম্পা ও সঞ্চয় এর একটি দল জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে জয় রথ। ২০১৪ সালে প্রথম আলো ও পেপসোডেন্ট এর আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অংশগ্রহণ এই টিম। এবার দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও বারোয়ারী বিতর্কে জান্নাতুল নাঈম সোমা জাতীয়ভাবে  সেরাদের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অর্থাৎ ২০১৪ সালেই  বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, রংপুর অঞ্চলের আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় কে,ইউ,পি স্কুল  চ্যাম্পিয়ন হয় এবং শ্রেষ্ঠ বক্তাদের মধ্যে বারোয়ারী বিতর্ক হলে সেখানেও  আলীরাজ আনছারী চ্যাম্পিয়ন হয়।

জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর আয়োজন ২০১৩ সালে উপস্থিত বিতর্কে কে ইউ পি স্কুলের দল জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে ইসলামিক ফাঊন্ডেশন আয়োজিত তাৎক্ষণিক বক্তৃতায় জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় শাহনেওয়াজ সম্রাট। শুধু দলগতভাবে নয় একক অর্জনেও সেরা শিক্ষার্থীরা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত একক বক্তৃতায় আমীর সোহেল রাব্বী জাঁতীয় ভাবে স্বর্ণ পদক লাভ করে।  ২০১৭ সালেও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত একক বক্তৃতায় দশম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা সুলতানা বন্যা শ্রেষ্ঠ হয় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ মহোদয়ের হাত থেকে স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন। 

২০১৬ সালের শুরুতেই আফিয়া জাহিন রোদসী জাঁতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে একক বিতর্কে” জাঁতীয় ভাবে অংশগ্রহণ করে তাঁরা বিভাগীয় পর্যায়ে সেরাদের তালিকায় থাকে।  গত ৬ ও ৭ মে, ২০১৬ তারিখে জাঁতীয় মানবাধিকার কমিশন, বিডিএফ ও ইউনিসেফ আয়োজিত জাঁতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রংপুর অঞ্চল চ্যাম্পিয়ন হয় । জাতীয়ভাবে উক্ত আয়োজনে তাঁরা প্রথম রানার আপ। ‘সমকাল বিজ্ঞান বিষয়ক বিতর্ক ২০১৬’ এ তাঁরা রংপুর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় । তাঁদের বির্তক বাসনা অদম্য। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত হলেও বির্তক কর্মে প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়েছে সারা দেশে।

প্রতি বছরেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ৯-১৩ ফেব্রুয়ারী এ বিদ্যালয় থেকে দুই কৃতি ছাত্রী উম্মে হাবিবা লিমা ও আফিয়া জাহীন রোদসি এশিয়ান ইংলিশ অলিম্পিকে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় নেয়। ২০১৮ সালে নেপালে পোখারায় ৬-৯ জানুয়ারী আন্তর্জাতিক স্ক্র্যাবল চ্যাম্পিয়নশীপে ১০ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে অংশ নিলেও এ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাকিব চৌধুরী চ্যাম্পিয়ন হয়।


== অর্থনীতি ==
== অর্থনীতি ==

০৭:০৭, ১৭ জুন ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কালীগঞ্জ
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৮′৩.৪″ উত্তর ৮৯°১২′২৪.৫″ পূর্ব / ২৫.৯৬৭৬১১° উত্তর ৮৯.২০৬৮০৬° পূর্ব / 25.967611; 89.206806 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলালালমনিরহাট জেলা
আয়তন
 • মোট২৩৬.৯৪ বর্গকিমি (৯১.৪৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২,৪৫,৫৯৫ [১]
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৫২ ৩৯
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কালীগঞ্জ বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান

কালীগঞ্জ উপজেলার আয়তন ২৩৬.৯৬ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে হাতীবান্ধা উপজেলা ও ভারতের কুচবিহার জেলা, পূর্বে আদিতমারী উপজেলা, পশ্চিমে জলঢাকা উপজেলা (নীলফামারী জেলা) এবং দক্ষিনে গংগাচড়া উপজেলাকিশোরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা

এই উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে; এগুলো হলোঃ

ইতিহাস

শিক্ষা

*[[কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]]

১৯৫৯ খৃষ্টাব্দের ০৪ জানুয়ারী অনাড়ম্বর পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসের চেয়ে সেদিন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের অভিমত গুলি বেশী অর্থবহ বলে এখানে আরেকবার স্মরন করা হলো। সাবেক পার্লামেন্ট সেক্রেটারী প্রয়াত জছির উদ্দিন আহম্মেদ অনাড়ম্বর পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন- কোন মহৎ কাজই তুর্যধ্বনী দিয়ে আসে না। মহা অনাড়ম্বরে শুরুও হয় না। সেই আলোকে আজ আমরা একটি মহৎ কাজই আল্লাহ চায় সূচনা করলাম। সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক প্রয়াত জনাব শেখ ফজলে করিম বলেন- সব দীর্ঘ যাত্রাই তো ছোট একটি পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়। এখানে হয়তো সেরুপই হলো। সাংগঠনিক কমিটির প্রথম সভায় প্রয়াত জনাব আব্দুল জব্বার মিয়া বলেন, এখানে করিম উদ্দিন আহম্মেদ এর সব কাজেই এলাকাবাসী ‌‌''ভাল ভাল'' বলেই মাথায় তুলে নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটির নাম করিম উদ্দিন পাবলিক জুনিয়র স্কুল বলেই এলাকাবাসীর দৃষ্টিটা এদিকেই থাকবে। প্রতিষ্ঠাতা করিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাজার বক্তৃতার চেয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করলেই বক্তব্য পরিস্কার হয়। শিক্ষার সাগরে অনেক বড় বড় জাহাজ ভাসানো হয়েছে। আজ আমি এক টুকরা কাঠ ভাসালাম। কারো উপকার হবে ভেবে ভাসাই নাই। মনের আনন্দে ভাসালাম। প্রানের তাগিদে ভাসালাম। লাভ হল কিনা ভবিষ্যতেই বলবে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমতি লাভ করে । পরিবেশটি স্নিগ্ধ ও সুনিবিড় হওয়ার কারনে ১৯৬৭ সালে থানা হেড কোয়ার্টার হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এটি বহুমুখি পর্যায়ে উন্নীত হয়। ১৯৭১সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমতি প্রাপ্ত হয় এবং ১৯৮০সালে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

বর্তমানে একশ শতকের মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটিতে কারিগরি শিক্ষাসহ সাধারন শিক্ষার সব রকম সুয়োগেই বর্তমান। পাঠ্যক্রমের অনেক শিক্ষার্থীদের ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯৯৫ সালে বাংলদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউটোরিয়াল কেন্দ্র হিসেবে এস,এস,সি কোর্সেও চালু আছে বর্তমানে ২৮জন শিক্ষকসহ ৬জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। বৃত্তিমুলক শিক্ষার জন্য ৭জন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষক আছেন। বিদ্যালয়টিতে যন্দ্রপাতি সংযোজিত রয়েছে।

বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠে প্রতিনিয়তই পুরানো ছাত্র-ছাত্রীরা আসে দল বেধে শুভেচ্ছা জানাতে। যেন শরতের নীল আকাশে দল ছুটো মেঘ। এখানে প্রাক্তনরা ফিরে এসে স্মৃতি মন্থন করছে আর নব প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরাও গেীরবময় ইতিহাস শুনে মুগ্ধ হচ্ছে। ২০০৯সালে সারাদেশে TQI SEPএর ১৫টি নির্বাচিত CCS (Cluster Center School) এর ১টি CCS হিসেবে নির্বাচিত হয় ২০১০সালে British Council এর Schools online প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব খুরশীদুজ্জামান আহমেদ যিনি প্রতিষ্ঠাতার ৫ম পুত্র তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের একজন স্কুল এম্বাসেডর ( Schools Ambassador) নিযুক্ত হন।

বিতর্কে দেশ সেরা লালমনির হাটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানশুধু প্রথমবারের পর পুনরায় ২০১৩ সালে সোমা, রুমা, রাব্বীর, টুম্পা ও সঞ্চয় এর একটি দল জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে জয় রথ। ২০১৪ সালে প্রথম আলো ও পেপসোডেন্ট এর আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অংশগ্রহণ এই টিম। এবার দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও বারোয়ারী বিতর্কে জান্নাতুল নাঈম সোমা জাতীয়ভাবে  সেরাদের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অর্থাৎ ২০১৪ সালেই  বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, রংপুর অঞ্চলের আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় কে,ইউ,পি স্কুল  চ্যাম্পিয়ন হয় এবং শ্রেষ্ঠ বক্তাদের মধ্যে বারোয়ারী বিতর্ক হলে সেখানেও  আলীরাজ আনছারী চ্যাম্পিয়ন হয়।

জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর আয়োজন ২০১৩ সালে উপস্থিত বিতর্কে কে ইউ পি স্কুলের দল জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে ইসলামিক ফাঊন্ডেশন আয়োজিত তাৎক্ষণিক বক্তৃতায় জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় শাহনেওয়াজ সম্রাট। শুধু দলগতভাবে নয় একক অর্জনেও সেরা শিক্ষার্থীরা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত একক বক্তৃতায় আমীর সোহেল রাব্বী জাঁতীয় ভাবে স্বর্ণ পদক লাভ করে।  ২০১৭ সালেও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত একক বক্তৃতায় দশম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা সুলতানা বন্যা শ্রেষ্ঠ হয় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ মহোদয়ের হাত থেকে স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন। 

২০১৬ সালের শুরুতেই আফিয়া জাহিন রোদসী জাঁতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে একক বিতর্কে” জাঁতীয় ভাবে অংশগ্রহণ করে তাঁরা বিভাগীয় পর্যায়ে সেরাদের তালিকায় থাকে।  গত ৬ ও ৭ মে, ২০১৬ তারিখে জাঁতীয় মানবাধিকার কমিশন, বিডিএফ ও ইউনিসেফ আয়োজিত জাঁতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রংপুর অঞ্চল চ্যাম্পিয়ন হয় । জাতীয়ভাবে উক্ত আয়োজনে তাঁরা প্রথম রানার আপ। ‘সমকাল বিজ্ঞান বিষয়ক বিতর্ক ২০১৬’ এ তাঁরা রংপুর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় । তাঁদের বির্তক বাসনা অদম্য। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত হলেও বির্তক কর্মে প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়েছে সারা দেশে।

প্রতি বছরেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ৯-১৩ ফেব্রুয়ারী এ বিদ্যালয় থেকে দুই কৃতি ছাত্রী উম্মে হাবিবা লিমা ও আফিয়া জাহীন রোদসি এশিয়ান ইংলিশ অলিম্পিকে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় নেয়। ২০১৮ সালে নেপালে পোখারায় ৬-৯ জানুয়ারী আন্তর্জাতিক স্ক্র্যাবল চ্যাম্পিয়নশীপে ১০ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে অংশ নিলেও এ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাকিব চৌধুরী চ্যাম্পিয়ন হয়।

অর্থনীতি

অর্থনীতির মেরুদন্ড কৃষি। কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে ধান.পাট, তামাক, ভুট্টা, গম, শাক-সবজি উল্লেখযোগ্য।

সামাজিক সংগঠন

ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য

কৃতী ব্যক্তিত্ব

*[[নুরুজ্জামান আহমেদ এম পি]], [[বীর মুক্তিযোদ্ধা]]

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে ১৯৫০ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম নূর জাহান বেগম।

জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ তৃণমূল রাজনীতিতে একজন সফল এবং সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত মুখ। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত। জনাব নুরুজ্জামান আহমেদের পিতা আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছের রাজনৈতিক সহচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ পিতার রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ছাত্রজীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তৃণমূলে বিপুল কর্মীবাহিনী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রধান চালিকাশক্তি ও হাতিয়ার। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে জনগণ তাঁকে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে তিনি গণপজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তৃণমূল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে দু’বার তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পালন করেন।

১৯ জুন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং ২১ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি’র আরও একটি বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাবা জনাব আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বি.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে এইচ.এস.সি ও ১৯৬৫ সালে লালমনিরহাট জেলার তুষভান্ডার হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদের সাহিত্য, কবিতা ও গান নিয়ে রয়েছে প্রগাঢ় আগ্রহ। অবসর সময়ে তিনি কবিতা আবৃত্তি চর্চা করেন। অবসরে গান শোনাও তাঁর প্রিয় অভ্যাস। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অন্যতম প্রিয় কবি। কবিতায় মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রিয় উদ্ধৃতির একটি হচ্ছে রবি ঠাকুরের কবিতা-

“আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ,

তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান,

বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।।”

ব্যক্তিগত জীবনে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বিবাহিত এবং ৩ সন্তানের গর্বিত পিতা। তাঁর সহধর্মীনির নাম হোসনে আরা বেগম। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী’র প্রথম সন্তান পারমিতা জামান চৌধুরী, ২য় সন্তান জনাব রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ৩য় সন্তান শাকিলা আজাদ।


মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ৬ নং সেক্টর


স্বীয়কর্ম দ্বারা যে কজন মানুষ নিজেকে কালোত্তীর্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমদ তাদের অন্যতম।

১৯২৩সালের ১৯মার্চ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম গ্রামে জন্মগ্রহনকারী আলোকিত এই মানুষটির বাবা মৌলভী আজিম উদ্দিন আহমদ এবং মা নেছাবি বেওয়া। ১৯৫৪ সালে ইউনিয়ন বোর্ডে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগের প্রথম সুযোগ ঘটার পর বাকী জীবন এ কাজেই ব্যয় করেন তিনি। একনাগাড়ে ১৬বছর ইউনিয়ন বোর্ডে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তান আমলে গঠিত কালীগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের সেক্রেটারী মনোনীত হন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য ‘গভর্ণর’ পুরষ্কারে ভূষিত হন। করিম উদ্দিন আহমদ তরুণ বয়েসেই বৃটিশ বিরোধী ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে মুকুন্দ দাশের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এ আন্দোলনের ভলান্টিয়ার হিসেবে তুষভান্ডার বাজারে খাজনা বন্ধ করতে গেলে তিনি গ্রেফতার হন। তাঁর এই ত্যাগ ও জনসেবার পুরষ্কার মেলে ১৯৭০ সালে। ১৯৭০সালের পকিস্তান প্রাদেশিক সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

শিক্ষার প্রতি মহান অনুরাগী এই মানুষটি জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠ করেন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯সালে প্রতিষ্ঠা করেন উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করিমউদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে করিম উদ্দিন পাবলিক ডিগ্রী কলেজ, ১৯৭৩সালে করিম উদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই বছরে করিমপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠাসহ উপজেলার অসংখ্য স্কুল ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা হিসেবে বরেণ্য হয়ে আছেন।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে করিম উদ্দিন আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। কালীগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে সাবেক ইপিআর, আনসার ও পুলিশ কতর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করেন তিনি। নিজের বাড়ীতেই মুক্তিবাহিনীর প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ চার মাস কালীগঞ্জ ‘মুক্ত এলাকা’ হিসেবে থাকায় স্থানীয় যুবকদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেয়া হত। এই সময়েই কালীগঞ্জ মাঠে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে পাক বাহিনীর কালীগঞ্জ দখলের কারনে তিনি কুচবিহার জেলার সিতাই থানায় আশ্রয় গ্রহন করেন। সেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে তিনি দুটি ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং বাংলাদেশী যুবকদেরকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা করেন। এসময় তিনি উত্তরাঞ্চলীয় মুক্তিবাহিনীর সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেও বিধ্বস্ত কালীগঞ্জ পূণ:র্গঠনে তিনি একক ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।


১৯৭৩ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কালীগঞ্জের উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। শুধু রাজনীতিই নয়, সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিও তার ছিল গভীর অনুরাগ। লোকসাহিত্য ও আঞ্চলিক ভাষার গবেষক ধর্মনারায়ন সরকার ভক্তিশাস্ত্রীকে তাঁর রচিত গবেষণা গ্রন্থ ‘উত্তরবাংলার লোকসাহিত্য ও ভাষা’ গ্রন্থ প্রকাশে মূদ্রণ ব্যয় বহন করে তাকেঁ উতসাহিত ও অনুপ্রানিত করেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় উপজেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অন্বেষা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

১৯৯১ সালের ২৮আগষ্ট কালীগঞ্জের এই কীর্তিমান পুরুষ ৬৮ বছর বয়সে রংপুর মেডিকেল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে কালীগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ