সামন্ততন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রচনাশৈলী
Hmcyrus1990 (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{wikify|date=জুন ২০১২}}
{{wikify|date=জুন ২০১২}}
{{unreferenced|date=জুন ২০১২}}
{{unreferenced|date=জুন ২০১২}}
'''সামন্ত্রতন্ত্র''' বা '''সামন্তবাদ''' মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরত্ত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান বা প্রথা। মধ্য যুগে ইউরোপে যে তিনটি স্তম্ভ ( জার্মান জাতিগোষ্ঠীর রাজ্য শাসন পদ্ধতি, খ্রিষ্ট ধর্ম ও সামন্ত্রতন্ত্র ) এর উপর ভিত্তি করে তাদের সমাজ ও সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়েছিল বলে স্বীকৃত, সেই তিনটি স্তম্ভের মধ্যে নিঃসন্দেহে সামন্ত্রতন্ত্র বিশেষভাবে আলোচিত। কারণ সামন্ত্রতন্ত্র ইউরোপের ইতিহাসে এতো বেশি আলোচিত যে, মধ্যযুগকে অনেক সময় সামন্ত্রতন্ত্রের যুগ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
'''সামন্ততন্ত্র''' বা '''সামন্তবাদ''' মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরত্ত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান বা প্রথা। মধ্য যুগে ইউরোপে যে তিনটি স্তম্ভ ( জার্মান জাতিগোষ্ঠীর রাজ্য শাসন পদ্ধতি, খ্রিষ্ট ধর্ম ও সামন্ত্রতন্ত্র ) এর উপর ভিত্তি করে তাদের সমাজ ও সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়েছিল বলে স্বীকৃত, সেই তিনটি স্তম্ভের মধ্যে নিঃসন্দেহে সামন্ত্রতন্ত্র বিশেষভাবে আলোচিত। কারণ সামন্ত্রতন্ত্র ইউরোপের ইতিহাসে এতো বেশি আলোচিত যে, মধ্যযুগকে অনেক সময় সামন্ত্রতন্ত্রের যুগ বলেও চিহ্নিত করা হয়।


সামন্ত্রতন্ত্র ছিল মুলত এক প্রকার ভূমি ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থা সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী আর্থাৎ, নবম শতক হতে পনের শতক পর্যন্ত ইউরোপবাসীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন এবং তাদের আচার-আচরন ও ভাবধারার উপর বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। উৎপত্তি গত ভাবে দেখতে গেলে দেখা যায় সামন্ত্রতন্ত্র একটি ল্যাটিন শব্দ Feudam থেকে এসেছে। এখানে Feudam অর্থ Fief বা ক্ষুদ্র জমি। অন্যদিকে হিস্তান্তরিত ক্ষুদ্র জমিকে অথবা শর্তাধীনে জমি দানকে বলা হতো Feif বা Feud । আর এই Feud থেকে Feudal(সামন্ত্র) এবং Feudal শব্দ থেকেই সামন্ত্রতন্ত্র বা Feudalism শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে।
সামন্ততন্ত্র ছিল মুলত এক প্রকার ভূমি ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থা সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী আর্থাৎ, নবম শতক হতে পনের শতক পর্যন্ত ইউরোপবাসীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন এবং তাদের আচার-আচরন ও ভাবধারার উপর বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। উৎপত্তি গত ভাবে দেখতে গেলে দেখা যায় সামন্ত্রতন্ত্র একটি ল্যাটিন শব্দ Feudam থেকে এসেছে। এখানে Feudam অর্থ Fief বা ক্ষুদ্র জমি। অন্যদিকে হিস্তান্তরিত ক্ষুদ্র জমিকে অথবা শর্তাধীনে জমি দানকে বলা হতো Feif বা Feud । আর এই Feud থেকে Feudal(সামন্ত্র) এবং Feudal শব্দ থেকেই সামন্ত্রতন্ত্র বা Feudalism শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে।


সামন্ত্রতন্ত্র বিকোশিত হয়েছিল তখন যখন সম্পদ ও ক্ষমতার উৎস ছিল একমাত্র জমি। জার্মান অভিবাসনের সময় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এ সময় মুলত জমি কেন্দ্রিক উৎপাদন গুরত্ব লাভ করায় জমির মালিকের নিকট ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত হয়েছিল। সামন্ত্র প্রথার উৎপাদনের কাজে সামন্ত্র প্রভূদের কোন ভূমিকা থাকতোনা। উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকতো কৃষক ও ভূমিদাসগন অথচ উৎপাদিত ফসলের এক বিরাট অংশ পেত সামন্ত্র প্রভূরা।
সামন্ততন্ত্র বিকশিত হয়েছিল তখন যখন সম্পদ ও ক্ষমতার উৎস ছিল একমাত্র জমি। জার্মান অভিবাসনের সময় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এ সময় মুলত জমি কেন্দ্রিক উৎপাদন গুরত্ব লাভ করায় জমির মালিকের নিকট ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত হয়েছিল। সামন্ত প্রথার উৎপাদনের কাজে সামন্ত প্রভূদের কোন ভূমিকা থাকতোনা। উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকতো কৃষক ও ভূমিদাসগন অথচ উৎপাদিত ফসলের এক বিরাট অংশ পেত সামন্ত প্রভূরা।


সামন্ত্রতন্ত্র মূলত ভূমিকেন্দ্রীক একটি সরকার ব্যবস্থা। যেখানে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রিভূত হয়েছিল। তবে যথাযথভাবে সামন্ত্রতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত দুরহ ব্যাপার। কেননা একক কোন সংগায় সামন্ত্রতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করা যায় না। তাছারা ঐতিহাসিকদের মধ্যেই এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
সামন্ততন্ত্র মূলত ভূমিকেন্দ্রীক একটি সরকার ব্যবস্থা। যেখানে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রিভূত হয়েছিল। তবে যথাযথভাবে সামন্ত্রতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত দুরহ ব্যাপার। কেননা একক কোন সংগায় সামন্ত্রতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করা যায় না। তাছারা ঐতিহাসিকদের মধ্যেই এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।


কেউ কেউ বলেন যে , দশ ও এগার শতকে ইউরোপে যে বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তাই সামন্ত্র ব্যবস্থা।
কেউ কেউ বলেন যে , দশ ও এগার শতকে ইউরোপে যে বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তাই সামন্ত্র ব্যবস্থা।

২১:০৮, ২৩ মে ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সামন্ততন্ত্র বা সামন্তবাদ মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরত্ত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান বা প্রথা। মধ্য যুগে ইউরোপে যে তিনটি স্তম্ভ ( জার্মান জাতিগোষ্ঠীর রাজ্য শাসন পদ্ধতি, খ্রিষ্ট ধর্ম ও সামন্ত্রতন্ত্র ) এর উপর ভিত্তি করে তাদের সমাজ ও সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়েছিল বলে স্বীকৃত, সেই তিনটি স্তম্ভের মধ্যে নিঃসন্দেহে সামন্ত্রতন্ত্র বিশেষভাবে আলোচিত। কারণ সামন্ত্রতন্ত্র ইউরোপের ইতিহাসে এতো বেশি আলোচিত যে, মধ্যযুগকে অনেক সময় সামন্ত্রতন্ত্রের যুগ বলেও চিহ্নিত করা হয়।

সামন্ততন্ত্র ছিল মুলত এক প্রকার ভূমি ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থা সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী আর্থাৎ, নবম শতক হতে পনের শতক পর্যন্ত ইউরোপবাসীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন এবং তাদের আচার-আচরন ও ভাবধারার উপর বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। উৎপত্তি গত ভাবে দেখতে গেলে দেখা যায় সামন্ত্রতন্ত্র একটি ল্যাটিন শব্দ Feudam থেকে এসেছে। এখানে Feudam অর্থ Fief বা ক্ষুদ্র জমি। অন্যদিকে হিস্তান্তরিত ক্ষুদ্র জমিকে অথবা শর্তাধীনে জমি দানকে বলা হতো Feif বা Feud । আর এই Feud থেকে Feudal(সামন্ত্র) এবং Feudal শব্দ থেকেই সামন্ত্রতন্ত্র বা Feudalism শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে।

সামন্ততন্ত্র বিকশিত হয়েছিল তখন যখন সম্পদ ও ক্ষমতার উৎস ছিল একমাত্র জমি। জার্মান অভিবাসনের সময় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এ সময় মুলত জমি কেন্দ্রিক উৎপাদন গুরত্ব লাভ করায় জমির মালিকের নিকট ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত হয়েছিল। সামন্ত প্রথার উৎপাদনের কাজে সামন্ত প্রভূদের কোন ভূমিকা থাকতোনা। উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকতো কৃষক ও ভূমিদাসগন অথচ উৎপাদিত ফসলের এক বিরাট অংশ পেত সামন্ত প্রভূরা।

সামন্ততন্ত্র মূলত ভূমিকেন্দ্রীক একটি সরকার ব্যবস্থা। যেখানে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রিভূত হয়েছিল। তবে যথাযথভাবে সামন্ত্রতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত দুরহ ব্যাপার। কেননা একক কোন সংগায় সামন্ত্রতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করা যায় না। তাছারা ঐতিহাসিকদের মধ্যেই এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

কেউ কেউ বলেন যে , দশ ও এগার শতকে ইউরোপে যে বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তাই সামন্ত্র ব্যবস্থা।

এছাড়া জার্মান ঐতিহাসিক Ganshop বলেন, মধ্যযুগে ইউরোপে কতগুলো অদ্ভুত ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল যা বিকাশ লাভ করেছিল একখন্ড জমিকে কেন্দ্র করে। এর অর্থ একজন আর একজনকে জমি দান করবে এবং জমি দান কারী হচ্ছেন লর্ড আর যিনি গ্রহন করছেন তিনি হলেন ভেসাল। এ লর্ড ও ভেসালের মধ্যে যে সম্পর্ক এবং তার ফলে যে ব্যাবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তাই হলো সামন্ত্রতন্ত্র বা সামন্ত্র ব্যবস্থা।

সুতরাং সামন্ত্রতন্ত্র বলতে আমরা বুঝি এমন কতগুলো প্রথা, বিধি ও ব্যবস্থার সমষ্টি যেখানে শক্তিশালি মানুষ দুর্বল মানুষকে সাহায্য করবে এবং এর বিনিময়ে দুর্বল মানুষ শক্তিশালি মানুষকে সেবা করবে।

তথ্যসূত্র