লিওনেল প্যালেরিট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
৭৮ নং লাইন: ৭৮ নং লাইন:


== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
অক্সফোর্ডে ভর্তি হবার প্রথম বছরেই [[Oxford University Cricket Club|অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের]] পক্ষে খেলার জন্য লিওনেল পালাইরেটকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মে, ১৮৯০ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।<ref name="fcm">{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/260/First-Class_Matches.html |title=First-Class Matches played by Lionel Palairet (267) |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> পালাইরেট খেলায় ছয় ও [[শূন্য রান]] এবং এক উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া [[ইনিংস]] ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3544.html |title=Oxford University v Australians: Australia in England 1890 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> পরের খেলায় পালাইরেটের উত্তরণ ঘটে। অক্সফোর্ডের সদস্যরূপে [[Gentlemen v Players|জেন্টলম্যানের]] বিপক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে [[ব্যাটিং অর্ডার|আট নম্বরে]] ব্যাটিং করে ৫৪ রান তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। এটিই তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম অর্ধ-শতক ছিল।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3550.html |title=Oxford University v Gentlemen of England: University Match 1890 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> ঐ গ্রীষ্মে অক্সফোর্ডের পক্ষে আর একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন। এমসিসি’র বিপক্ষে ৭২ রান করেছিলেন তিনি।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3586.html |title=Marylebone Cricket Club v Oxford University: University Match 1890 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> ঐ [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুমে]] বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে সকল খেলায় অংশ নিয়ে ১৯.০০ গড়ে ২৮৫ রান করেন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Seasons/Seasonal_Averages/ENG/1890_f_Batting_by_Average.html |title=First-class Batting and Fielding in England for 1890 (Ordered by Average) |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> ১৮৯০ সালে মন্দ আবহাওয়ার কারণে প্রত্যাশার তুলনায় [[ব্যাটিং গড়]] অত্যন্ত নিম্নগামী ছিল। পালাইরেটের গড়টি অক্সফোর্ড দলের পক্ষে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করে। এছাড়াও, তাঁর সংগৃহীত সর্বমোট ২৮৫ রান দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। ফলশ্রুতিতে, ব্লু লাভ করেন ও অক্সফোর্ডের পোশাকে ১৮৯০ সালে অনুষ্ঠিত [[The University Match (cricket)|বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায়]] [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব|কেমব্রিজের]] মুখোমুখি হতে তাঁকে রাখা হয়। এ খেলায় তিনি কিছুটা সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।<ref>Bolton (1962), pp. 133–135.</ref> ঐ মৌসুমে সমারসেট দল তেরোটি খেলায় অংশ নেয়। তন্মধ্যে, বারোটিতে জয় পায় ও অন্য একটি [[Result (cricket)#Tie|টাইয়ে]] পরিণত হয়। খেলাগুলোর দশটিতে পালাইরেটের অংশগ্রহণ ছিল। প্রথম খেলাটিতে [[Leicestershire County Cricket Club|লিচেস্টারশায়ারের]] বিপক্ষে মনোরম সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সমারসেটের এ অসামান্য অর্জনের প্রেক্ষিতে দলটি ১৮৯১ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।<ref name="bailys"/>
অক্সফোর্ডে ভর্তি হবার প্রথম বছরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্য লিওনেল পালাইরেটকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মে, ১৮৯০ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।

অক্সফোর্ডের [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]] সম্পর্কে অক্সফোর্ড ক্রিকেট ঐতিহাসিক জিওফ্রে বোল্টন মন্তব্য করেন যে, ১৮৯১ সালে খেলার মান অগ্রহণযোগ্য। তখন পালাইরেট বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বৎসর পার করছিলেন। পালাইরেটের ব্যাটিং গড় ১৫.৭৮ যা সতীর্থদের মাঝে পঞ্চম স্থান এনে দেয়। এবারও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় দুই ও এগারো রান তুলে কঠিন সময় পার করেন।<ref>Bolton (1962), pp. 136–139.</ref> অক্সফোর্ডে অবস্থানকালে সচরাচর মাঝারিসারিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন লিওনেল পালাইরেট। অপ্রত্যাশিতভাবে সমারসেটের দলীয় [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|অধিনায়ক]] হার্বি হিউইটের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন। এ অবস্থানে থেকে সমারসেট আশাতীত সফলতা পায়। দশ খেলায় ৩১.১১ গড়ে রান তুলেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের একজন হন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Events/0/County_Championship_1891/Batting_by_Average.html |title=Batting and Fielding in County Championship 1891 (Ordered by Average) |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> ঐ বছরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তাঁর প্রথম [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরি]] হাঁকান। [[Gloucestershire County Cricket Club|গ্লুচেস্টারশায়ারের]] বিপক্ষে তিনি ১০০ রান তুলেছিলেন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3743.html |title=Gloucestershire v Somerset: County Championship 1891 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref>

১৮৯১-৯২ মৌসুমে [[মার্টিন হক|লর্ড হকের]] নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে উত্তর আমেরিকা গমনে সম্মতিজ্ঞাপন করেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ও সমারসেটের দলীয় সঙ্গী [[স্যামি উডস]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।<ref>{{cite book |url=https://books.google.com/?id=4eqYvTHFYgYC&pg=PA83&dq=Palairet+golf#v=onepage&q=Palairet&f=false |title=Lord Hawke: A Cricketing Legend |last=Coldham |first=James P. |publisher=Tauris Park Paperbacks |year=2003 |location=London |page=83 |isbn=1-86064-823-1 |accessdate=14 December 2012}}</ref>

১৮৯২ সালে পালাইরেটকে অক্সফোর্ড দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] ভাষ্য মতে, মৌসুমটি সর্বাধিক সফলতম ছিল। পালাইরেট নিজেকে [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলার]] হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালান। কেবলমাত্র [[George Berkeley (cricketer)|জর্জ বার্কলি]] তাঁর তুলনায় অধিক বল করেছিলেন।<ref name="Bolton1892">Bolton (1962), pp. 140–144.</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, জেন্টলম্যানের বিপক্ষে অক্সফোর্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3795.html |title=Oxford University v Gentlemen of England: University Match 1892 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারের উভয় ইনিংসে চারটি করে উইকেট তুলে নেন ও খেলায় তিনি অর্ধ-শতকেরও সন্ধান পান।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3802.html |title=Oxford University v Lancashire: University Match 1892 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> ফিরতি খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬/৮৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3824.html |title=Lancashire v Oxford University: University Match 1892 |publisher=CricketArchive |accessdate=19 November 2012}}</ref> পরের খেলায় সাসেক্সের বিপক্ষে দুইটি মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন ও বোলিং করেন যা বোল্টনের ভাষ্য মতে খেলায় বেশ প্রভাববিস্তার করে।<ref name="Bolton1892"/> বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের মুখোমুখি হন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নেন। তবে, [[Malcolm Jardine|ম্যালকম জারদিন]] ও [[Vernon Hill|ভার্নন হিলের]] সেঞ্চুরির বদৌলতে অক্সফোর্ড ৩৬৫ রান তুলে। কেমব্রিজ দল ১৬০ রানে অল-আউট হলে [[ফলো-অন|ফলো-অনের]] কবলে পড়ে। ৩৮৮ রানে গুটিয়ে গেলে অক্সফোর্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৮৪। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডিং]] চলাকালে পালাইরেট আহত হন। ব্যাটিং উদ্বোধনের জন্য [[Frank Phillips (cricketer)|ফ্রাঙ্ক ফিলিপসকে]] তাঁর স্থলে দাঁড় করান। শুরুটা অক্সফোর্ড ভালো করতে পারেনি। ১৭/২ থাকা অবস্থায় ছিল। পালাইরেট পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। প্রায় দেড়ঘন্টা ক্রিজ আঁকড়ে থেকে ৭১ রান তুলেন ও দলের বিজয়ে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। ১৮৯২ সালে অক্সফোর্ডের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ৩৬.৩৫ গড়ে ৫০৯ রান তুলেন ও ২২.২৮ গড়ে ২৮ উইকেট পান।<ref name="Bolton1892"/>

বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অসামান্য ভূমিকার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় তাঁকে মনোনীত করা হয়। লর্ডস ও ওভালের ঐ খেলাগুলোয় তিনি জেন্টলম্যানের পক্ষাবলম্বন করেন। সমারসেটে ফিরে জুলাইয়ে শুরুতে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষ সেঞ্চুরি হাঁকান।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3842.html |title=Gloucestershire v Somerset: County Championship 1892 |publisher=CricketArchive |accessdate=20 November 2012}}</ref> আগস্টের শেষদিকে [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ারের]] বিপক্ষে ১৩২ রান তুলেন। এ সময় হিউইটের সাথে ৩৪৬ রানে জুটি গড়েন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/3/3881.html |title=Somerset v Yorkshire: County Championship 1892 |publisher=CricketArchive |accessdate=20 November 2012}}</ref> এ পর্যায়ে ১৮৬৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম উইকেট জুটিতে [[ডব্লিউ. জি. গ্রেস]] ও [[ব্রান্সবি কুপার|ব্রান্সবি কুপারের]] ২৮৩ রানে জুটির সংগ্রহকে ম্লান করে দেন তাঁরা।<ref>Roebuck (1991), p. 62.</ref> যদিও তাঁদের গড়া এ রেকর্ডটি পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায়; তবুও অদ্যাবধি সমারসেটের প্রথম উইকেট জুটিতে বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে। {{efn|name="asof"}}<ref>{{cite web |url=https://cricketarchive.com/Archive/Records/England/Firstclass/Somerset/Partnership_Records/Highest_Partnership_Each_Wicket_For.html |title=Highest Partnership for Each Wicket for Somerset |publisher=CricketArchive |accessdate=20 November 2012}}</ref> এইচ.এস. অ্যাল্থাম ও ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের যৌথভাবে রচিত এ হিস্ট্রি অব ক্রিকেট গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে যে, এক প্রান্তে বিশুদ্ধ চাকচিক্যময় ও অন্য প্রান্তে খাঁটি আক্রমণ ছিল।<ref name="altham">Altham, Swanton (1938), p. 205.</ref>


== পাদটীকা ==
== পাদটীকা ==

১৭:৪২, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লিওনেল পালাইরেট
লিওনেল পালাইরেটের সাদা-কালো প্রতিকৃতি
১৮৯০-এর দশকে লিওনেল পালাইরেটের প্রতিকৃতি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলিওনেল চার্লস হ্যামিল্টন পালাইরেট
জন্ম(১৮৭০-০৫-২৭)২৭ মে ১৮৭০
গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডস, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৭ মার্চ ১৯৩৩(1933-03-27) (বয়স ৬২)
এক্সমাউথ, ডেভন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম,
ডানহাতি স্লো (আন্ডারআর্ম)
সম্পর্কহেনরি পালাইরেট (বাবা)
রিচার্ড পালাইরেট (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৪)
২৪ জুলাই ১৯০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১১ আগস্ট ১৯০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৯০–১৯০৯সমারসেট
১৮৯০–১৮৯৩অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৬৭
রানের সংখ্যা ৪৯ ১৫৭৭৭
ব্যাটিং গড় ১২.২৫ ৩৩.৬৩
১০০/৫০ ০/০ ২৭/৮৩
সর্বোচ্চ রান ২০ ২৯২
বল করেছে ৮৭৮১
উইকেট  – ১৪৩
বোলিং গড়  – ৩৩.৯০
ইনিংসে ৫ উইকেট  –
ম্যাচে ১০ উইকেট  –
সেরা বোলিং  – ৬/৮৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ২৪৮/১৪
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

লিওনেল চার্লস হ্যামিল্টন পালাইরেট (ইংরেজি: Lionel Palairet; জন্ম: ২৭ মে, ১৮৭০ - মৃত্যু: ২৭ মার্চ, ১৯৩৩) ল্যাঙ্কাশায়ারের গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ শৌখিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট ও অক্সফোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, মিডিয়াম কিংবা ডানহাতি স্লো (আন্ডারআর্ম) বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন লিওনেল পালাইরেট

বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ খ্যাতি ছিল তাঁর। ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুইবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন লিওনেল পালাইরেট। সমসাময়িক খেলোয়াড়েরা তাঁকে ঐ সময়ের অন্যতম সেরা আক্রমণধর্মী খেলোয়াড়ের মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর স্মরণে দ্য টাইমস উল্লেখ করে যে, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন লিওনেল পালাইরেট।[১] তবে, পরবর্তী শীতকালে সফরে যেতে অনাগ্রহতার কারণে পালাইরেটের টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ফলশ্রুতিতে আরও টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ নষ্ট হয় তাঁর।

রেপটন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন লিওনেল পালাইরেট। বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলে চার বছর খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছর দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর অক্সফোর্ডের অরিয়্যাল কলেজে চলে যান। অক্সফোর্ডে চার বছর থাকাকালে প্রত্যেক বছরই ব্লু লাভে সক্ষমতা দেখান তিনি। এছাড়াও, ১৮৯২ ও ১৮৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দলের অধিনায়কত্ব করেন। সমারসেটে থাকাকালে নিয়মিতভাবে হার্বি হিউইটের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৮৯২ সালে প্রথম উইকেট জুটিতে তাঁর সাথে ৩৪৬ রান তুলে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন। তাঁদের ঐ রেকর্ডটি অদ্যাবধি সমারসেটের প্রথম উইকেট জুটিতে টিকে রয়েছে স্ব-মহিমায়।[ক] ঐ মৌসুমে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা পাঁচজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে ঘোষিত হন লিওনেল পালাইরেট।

পরবর্তী দশকে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় শৌখিন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন। সাত মৌসুমে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছেন। দুইটি দ্বি-শতকও হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৮৯৫ সালে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯২ রান তুলেছেন। তৎকালীন সমারসেটের এ রেকর্ডটি ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত টিকেছিল।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র দুইটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন লিওনেল পালাইরেট। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ও পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড মাত্র এক উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল।

১৯০৪ সালের পর থেকে সমারসেটের পক্ষে অনিয়মিতভাবে অংশ নিতে থাকেন। তবে, ১৯০৭ সালে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলেন। ঐ বছর তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯০৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরো হাজারেরও অধিক রান তুলেছেন লিওনেল পালাইরেট।

প্রারম্ভিক জীবন

২৭ মে, ১৮৭০ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিখ্যাত সমুদ্র অবকাশ যাপন কেন্দ্র গ্রাঞ্জ-ওভার-স্যান্ডসে লিওনেল পালাইরেটের জন্ম।[২] হেনরি হ্যামিল্টন পালাইরেট ও এলিজাবেথ অ্যান বিগ দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ ছিলেন।[৩] তাঁর পিতা হুগুইনট বংশোদ্ভূত। ক্রিকেটের প্রতি সুগভীর আগ্রহ ছিল তাঁর। ১৮৬০-এর দশকের শেষার্ধ্বে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৪] সমারসেটের ক্লেভডনে অবস্থিত রেভারেন্ড এস. কর্নিশ স্কুলে প্রথম পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি উপর্যুপরি সাত বলে সাত উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর রেপটন স্কুলে স্থানান্তরিত হন।[৫] রেপটনে সর্বক্রীড়ায় দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হন। দুই, এক ও অর্ধ-মাইলের মাঝারীপাল্লার দৌঁড়ে বিদ্যালয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৮৮৬ থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছর বিদ্যালয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৯ সালে সি. বি. ফ্রাইয়ের পর বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মাননা লাভ করেন।[৬] রেপটনের সর্বশেষ বছরে ২৯-এর অধিক গড়ে রান তুলেন ও ১৩-এর কম গড়ে ৫৬ উইকেট লাভ করেছিলেন।[৭]

লিওনেল পালাইরেটের শুরুরদিকের বেশকিছু সফলতার জন্য পিতার সহযোগিতা বেশ গুরুত্বতা পায়। তিনি পরবর্তীকালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদ্বয় - ফ্রেডরিক মার্টিনউইলিয়াম অ্যাটওয়েলের ন্যায় পেশাদার খেলোয়াড়দেরকে দুই পুত্রের উত্তরণে ইস্টার হলিডেতে বোলিং করতে অর্থ ব্যয় করেন। এছাড়াও, পরবর্তী ক্রিকেট মৌসুমে তাঁদেরকে সংগঠিত করার প্রয়াস চালান। ১৮৮৯ সালের শেষদিকে পালাইরেট প্রথমবারের মতো সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন।[৮] ঐ সময় সমারসেট দ্বিতীয় শ্রেণীর কাউন্টি দল ছিল। দলটিকে গ্রীষ্মকালে পূর্ব-নির্ধারিত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হতো।[৯] জন্মসূত্রে ল্যাঙ্কাশায়ারীয় হলেও পালাইরেটের পরিববার ডরসেটে ক্যাটিস্টক এলাকায় বসবাস করতেন। দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করার কারণে যে-কোন দলে ক্রিকেট খেলার পছন্দ তাঁর ছিল।[১০] রেপটনে অধ্যয়ন শেষে অক্সফোর্ডের অরিয়্যাল কলেজে ভর্তি হন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

অক্সফোর্ডে ভর্তি হবার প্রথম বছরেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্য লিওনেল পালাইরেটকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মে, ১৮৯০ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।[১১] পালাইরেট খেলায় ছয় ও শূন্য রান এবং এক উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[১২] পরের খেলায় পালাইরেটের উত্তরণ ঘটে। অক্সফোর্ডের সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাটিং করে ৫৪ রান তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। এটিই তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম অর্ধ-শতক ছিল।[১৩] ঐ গ্রীষ্মে অক্সফোর্ডের পক্ষে আর একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন। এমসিসি’র বিপক্ষে ৭২ রান করেছিলেন তিনি।[১৪]মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে সকল খেলায় অংশ নিয়ে ১৯.০০ গড়ে ২৮৫ রান করেন।[১৫] ১৮৯০ সালে মন্দ আবহাওয়ার কারণে প্রত্যাশার তুলনায় ব্যাটিং গড় অত্যন্ত নিম্নগামী ছিল। পালাইরেটের গড়টি অক্সফোর্ড দলের পক্ষে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করে। এছাড়াও, তাঁর সংগৃহীত সর্বমোট ২৮৫ রান দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। ফলশ্রুতিতে, ব্লু লাভ করেন ও অক্সফোর্ডের পোশাকে ১৮৯০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের মুখোমুখি হতে তাঁকে রাখা হয়। এ খেলায় তিনি কিছুটা সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।[১৬] ঐ মৌসুমে সমারসেট দল তেরোটি খেলায় অংশ নেয়। তন্মধ্যে, বারোটিতে জয় পায় ও অন্য একটি টাইয়ে পরিণত হয়। খেলাগুলোর দশটিতে পালাইরেটের অংশগ্রহণ ছিল। প্রথম খেলাটিতে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে মনোরম সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সমারসেটের এ অসামান্য অর্জনের প্রেক্ষিতে দলটি ১৮৯১ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।[১০]

অক্সফোর্ডের ব্যাটিং সম্পর্কে অক্সফোর্ড ক্রিকেট ঐতিহাসিক জিওফ্রে বোল্টন মন্তব্য করেন যে, ১৮৯১ সালে খেলার মান অগ্রহণযোগ্য। তখন পালাইরেট বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বৎসর পার করছিলেন। পালাইরেটের ব্যাটিং গড় ১৫.৭৮ যা সতীর্থদের মাঝে পঞ্চম স্থান এনে দেয়। এবারও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় দুই ও এগারো রান তুলে কঠিন সময় পার করেন।[১৭] অক্সফোর্ডে অবস্থানকালে সচরাচর মাঝারিসারিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন লিওনেল পালাইরেট। অপ্রত্যাশিতভাবে সমারসেটের দলীয় অধিনায়ক হার্বি হিউইটের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন। এ অবস্থানে থেকে সমারসেট আশাতীত সফলতা পায়। দশ খেলায় ৩১.১১ গড়ে রান তুলেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের একজন হন।[১৮] ঐ বছরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান। গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে তিনি ১০০ রান তুলেছিলেন।[১৯]

১৮৯১-৯২ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে উত্তর আমেরিকা গমনে সম্মতিজ্ঞাপন করেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ও সমারসেটের দলীয় সঙ্গী স্যামি উডস তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।[২০]

১৮৯২ সালে পালাইরেটকে অক্সফোর্ড দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। উইজডেনের ভাষ্য মতে, মৌসুমটি সর্বাধিক সফলতম ছিল। পালাইরেট নিজেকে বোলার হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালান। কেবলমাত্র জর্জ বার্কলি তাঁর তুলনায় অধিক বল করেছিলেন।[২১] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, জেন্টলম্যানের বিপক্ষে অক্সফোর্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।[২২] এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারের উভয় ইনিংসে চারটি করে উইকেট তুলে নেন ও খেলায় তিনি অর্ধ-শতকেরও সন্ধান পান।[২৩] ফিরতি খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬/৮৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।[২৪] পরের খেলায় সাসেক্সের বিপক্ষে দুইটি মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন ও বোলিং করেন যা বোল্টনের ভাষ্য মতে খেলায় বেশ প্রভাববিস্তার করে।[২১] বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের মুখোমুখি হন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নেন। তবে, ম্যালকম জারদিনভার্নন হিলের সেঞ্চুরির বদৌলতে অক্সফোর্ড ৩৬৫ রান তুলে। কেমব্রিজ দল ১৬০ রানে অল-আউট হলে ফলো-অনের কবলে পড়ে। ৩৮৮ রানে গুটিয়ে গেলে অক্সফোর্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৮৪। ফিল্ডিং চলাকালে পালাইরেট আহত হন। ব্যাটিং উদ্বোধনের জন্য ফ্রাঙ্ক ফিলিপসকে তাঁর স্থলে দাঁড় করান। শুরুটা অক্সফোর্ড ভালো করতে পারেনি। ১৭/২ থাকা অবস্থায় ছিল। পালাইরেট পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। প্রায় দেড়ঘন্টা ক্রিজ আঁকড়ে থেকে ৭১ রান তুলেন ও দলের বিজয়ে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। ১৮৯২ সালে অক্সফোর্ডের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ৩৬.৩৫ গড়ে ৫০৯ রান তুলেন ও ২২.২৮ গড়ে ২৮ উইকেট পান।[২১]

বিশ্ববিদ্যালয় খেলায় অসামান্য ভূমিকার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় তাঁকে মনোনীত করা হয়। লর্ডস ও ওভালের ঐ খেলাগুলোয় তিনি জেন্টলম্যানের পক্ষাবলম্বন করেন। সমারসেটে ফিরে জুলাইয়ে শুরুতে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষ সেঞ্চুরি হাঁকান।[২৫] আগস্টের শেষদিকে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ১৩২ রান তুলেন। এ সময় হিউইটের সাথে ৩৪৬ রানে জুটি গড়েন।[২৬] এ পর্যায়ে ১৮৬৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম উইকেট জুটিতে ডব্লিউ. জি. গ্রেসব্রান্সবি কুপারের ২৮৩ রানে জুটির সংগ্রহকে ম্লান করে দেন তাঁরা।[২৭] যদিও তাঁদের গড়া এ রেকর্ডটি পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায়; তবুও অদ্যাবধি সমারসেটের প্রথম উইকেট জুটিতে বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে। [ক][২৮] এইচ.এস. অ্যাল্থাম ও ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের যৌথভাবে রচিত এ হিস্ট্রি অব ক্রিকেট গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে যে, এক প্রান্তে বিশুদ্ধ চাকচিক্যময় ও অন্য প্রান্তে খাঁটি আক্রমণ ছিল।[২৯]

পাদটীকা

  1. As of September 2013.

তথ্যসূত্র

  1. The Times, Wednesday, Mar 29, 1933; pg. 6; Issue 46405; col D
  2. "Palairet, Lionel Charles Hamilton"Who Was Who. A & C Black. 1920–2008। Online edition Oxford University Press। ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
  3. Lart, Charles E. (২০০২) [1924]। Huguenot Pedigrees। London: Genealogical Publishing Company। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 0-8063-0207-0এলসিসিএন 67028595 
  4. "Player Profile: Henry Palairet"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  5. "Obituary: Lionel Palairet"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  6. Messiter, Minna (১৯২২)। "Repton School register : supplement to 1910 edition"। London: Edson (Printers) Limited। পৃষ্ঠা 112। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  7. "Batsman of the Year – 1893: Lionel Palairet"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  8. "Miscellaneous Matches played by Lionel Palairet (45)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  9. "Other matches in England 1889"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  10. "Mr. Lionel Charles Hamilton Palairet"Baily's Magazine of Sports & Pastimes। London: Vinton। LXXV (495)। মে ১৯০১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  11. "First-Class Matches played by Lionel Palairet (267)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  12. "Oxford University v Australians: Australia in England 1890"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  13. "Oxford University v Gentlemen of England: University Match 1890"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  14. "Marylebone Cricket Club v Oxford University: University Match 1890"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  15. "First-class Batting and Fielding in England for 1890 (Ordered by Average)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  16. Bolton (1962), pp. 133–135.
  17. Bolton (1962), pp. 136–139.
  18. "Batting and Fielding in County Championship 1891 (Ordered by Average)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  19. "Gloucestershire v Somerset: County Championship 1891"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  20. Coldham, James P. (২০০৩)। Lord Hawke: A Cricketing Legend। London: Tauris Park Paperbacks। পৃষ্ঠা 83। আইএসবিএন 1-86064-823-1। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ 
  21. Bolton (1962), pp. 140–144.
  22. "Oxford University v Gentlemen of England: University Match 1892"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  23. "Oxford University v Lancashire: University Match 1892"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  24. "Lancashire v Oxford University: University Match 1892"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ 
  25. "Gloucestershire v Somerset: County Championship 1892"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  26. "Somerset v Yorkshire: County Championship 1892"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  27. Roebuck (1991), p. 62.
  28. "Highest Partnership for Each Wicket for Somerset"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  29. Altham, Swanton (1938), p. 205.

গ্রন্থপঞ্জী

  • Altham, H.S.; Swanton, E.W. (১৯৩৮) [1926]। A History of Cricket (Second সংস্করণ)। London: George Allen & Unwin Ltd.। ওসিএলসি 316121857 
  • Bolton, Geoffrey (১৯৬২)। History of the O.U.C.C. (First সংস্করণ)। Oxford: Holywell Press Ltd। ওসিএলসি 75422 
  • Chesterton, George; Doggart, Hubert (১৯৮৯)। Oxford and Cambridge Cricket। London: Willow Books। আইএসবিএন 0-00-218295-5 
  • Foot, David (১৯৮৬)। Sunshine, Sixes and Cider: The History of Somerset Cricket। Newton Abbot, Devon: David & Charles। আইএসবিএন 0-7153-8890-8 
  • Green, Benny, সম্পাদক (১৯৭৯)। Wisden Anthology 1862–1900। London: Queen Anne Press। আইএসবিএন 0-354-08555-7 
  • Green, Benny, সম্পাদক (১৯৮০)। Wisden Anthology 1900–1940। London: Queen Anne Press। আইএসবিএন 0-362-00513-3 
  • Ranjitsinhji, K. S. (১৮৯৭)। The Jubilee Book of Cricket। Edinburgh: W. Blackwood and Sons। ওসিএলসি 2207619 
  • Roebuck, Peter (১৯৯১)। From Sammy to Jimmy: The Official History of Somerset County Cricket Club। London: Partridge Press। আইএসবিএন 1-85225-085-2 

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
স্যামি উডস
সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯০৭
উত্তরসূরী
জন ড্যানিয়েল