শয়তানবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আর্টিকেল পুরাটাই সুন্দর করে সাজানো
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Pentagram4.svg|200px|thumb| শয়তানের চিহ্ন]]
[[চিত্র:Pentagram4.svg|200px|thumb| শয়তানের চিহ্ন]]
'''স্যাটানিজম''' এমন একটি শব্দ যা মানুষের বিশ্বাসের সাথে জড়িত। সাধারণভাবে শয়তানের ওপর ভক্তি বা প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। [[হিব্রু বাইবেল]] অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সেই [[শয়তান]] [[গ্রিক]] নিউ টেস্টামেন্টে আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে [[যিশু|যিশুর]] প্রলুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। [[আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|আব্রাহামিক ধর্মে]] শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিস্টান ধর্ম]] অনুযায়ী শয়তানকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। [[ইউরোপ|ইউরোপে]] রেঁনেসা হওয়ার পরে শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার স্বাধীনতা, জ্ঞান এবং আলোকিত হওয়াকে। সাহিত্যে আমরা শয়তানকে দেখি পারাডাইজ লস্ট-এ।
'''স্যাটানিজম''' ({{lang-en|Satanism}}) বা '''শয়তানবাদ''' সাধারণভাবে [[হিব্রু বাইবেল]] (ও [[কোরআন]]) অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সেই [[শয়তান|শয়তানের]] উপাসনা, ভক্তি বা প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। [[নিউ টেস্টামেন্ট|নিউ টেস্টামেন্টে]] আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে [[যিশু|যিশুর]] প্রলুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। [[আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|আব্রাহামিক ধর্মে]] শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিষ্টান ধর্ম]] অনুযায়ী শয়তানকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। [[ইউরোপ|ইউরোপে]] রেঁনেসা হওয়ার পরে শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার স্বাধীনতা, জ্ঞান এবং আলোকিত হওয়াকে। সাহিত্যে আমরা শয়তানকে দেখি মিল্টনের ''প্যারাডাইজ লস্ট''-এ।
১৯৬০ সালের আগে শয়তান উপাসকদলগুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড ও অবৈধ মনে করা হত। ডাকিনীবিদ্যা বিরোধী আইন যেমন ব্রিটিশ [[ডাকিনীবিদ্যা]] আইন ১৭৩৫( যা ১৯৫১ সালের আগে বাতিল হয়নি) জনগণের ডাকিনীবিদ্যা ও স্যাটানিজম বিরোধী আবেগকে প্রকাশ করে।আধুনিক স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে [[শয়তানের চার্চ]] প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।আধুনিক শয়তানের দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু’টি ধারা হচ্ছে আস্তিক স্যাটানিজমনাস্তিক স্যাটানিজম। আস্তিক শয়তানের দলগুলো শয়তানকে পূজা করে একটি অতিপ্রাকৃতিক দেবতা হিসেবে। অন্যদিকে নাস্তিক শয়তানের দলগুলো নিজেদের নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের একটি প্রতীক হিসাবে।


১৯৬০ সালের আগে শয়তান-উপাসকদলগুলোকে গুপ্ত ও অবৈধ মনে করা হত। [[ডাকিনীবিদ্যা]] বিরোধী আইন যেমন ''ব্রিটিশ [[ডাকিনীবিদ্যা]] আইন ১৭৩৫'' (যা ১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল) জনগণের ডাকিনীবিদ্যা ও শয়তানবাদ বিরোধী আবেগকে প্রকাশ করে। আধুনিক স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে [[চার্চ অব স্যাটান]] ({{lang-en|Church of Satan}}) বা "শয়তানের গির্জা" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আধুনিক শয়তানবাদি দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু'টি ধারা হচ্ছে আস্তিক ও নাস্তিক। আস্তিক শয়তানবাদি দলগুলো শয়তানকে একজন [[পৌত্তলিকতাবাদ|পৌত্তলিক]] দেবতা হিসেবে উপাসনা করে। অন্যদিকে [[দার্শনিক শয়তানবাদ|নাস্তিক শয়তানবাদিরা]] নিজেদের নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের একটি প্রতীকরপ হিসাবে।
=== আস্তিক স্যাটানিজম ===

===আস্তিক শয়তানবাদ===
[[চিত্র:Devil-goat.jpg|200px|thumb| শয়তান (কাল্পনিক)]]
[[চিত্র:Devil-goat.jpg|200px|thumb| শয়তান (কাল্পনিক)]]
আস্তিক স্যাটানিজম-এ যা প্রাচীনপন্থী বা আধ্যাত্বিক স্যাটানিজম নামেও পরিচিত, শয়তানকে দেবতা হিসেবে উপাসনা করা হয়।আস্তিক স্যাটানিজমকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যাতে কালো যাদুর উপর বিশ্বাস স্থাপন যা শয়তানকে পূজার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে। আস্তিক স্যাটানিজমে শিথিলায়নের রীতি এবং আত্নার উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্ত। আস্তিক স্যাটানিজম প্রাচীন সূত্রগুলো থেকেও অনুপ্রেরণা লাভ করে (১৯৬০ সালের [[স্যাটানিক বাইবেল]]-এর আগের সূত্র) যেমন ১৮৬২ সালের বই ’’স্যাটানিজম ডাকিনীবিদ্যা’’।
আস্তিক শয়তানবাদে (''থেইস্টিক স্যাটানিজম'', যা প্রাচীনপন্থী বা আধ্যাত্বিক শয়তানবাদ বলেও পরিচিত) শয়তানকে দেবতা হিসেবে উপাসনা করা হয়। থেইস্টিক স্যাটানিজমকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যাতে আছে [[কালো জাদু|কালো যাদুর]] উপর বিশ্বাস স্থাপন, যা শয়তানের পূজার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে। আস্তিক স্যাটানিজমে শিথিলায়নের রীতি এবং আত্নার উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্ত। আস্তিক শয়তানবাদ প্রাচীন আধ্যাত্বিকতা সম্পর্কিত সূত্রগুলো থেকেও অনুপ্রেরণা লাভ করে (১৯৬০ সালের [[স্যাটানিক বাইবেল|স্যাটানিক বাইবেলের]] পূর্বের সূত্রসমূহ), যেমন ফরাসী ঐতিহাসিক জুল মিশলের ১৮৬২ সালের বই '''স্যাটানিজম অ্যান্ড উইচক্রাফট'''।
আরেকটি দলকে আস্তিক স্যাটানিজম ভাগে ফেলা যায়, যাদের নাম ’’বিপরীত খ্রিস্টান’’।এই শব্দটি একটি খারাপ শব্দ হিসাবে করে অন্যান্য আস্তিক শয়তানের দলগুলো। খ্রিস্টানরা অভি্যোগ করে যে বিপরীত খ্রিস্টানরা [[ব্ল্যাক মাস]]-এর চর্চা করে থাকে ।
আরেকটি দলকে আস্তিক স্যাটানিজমের ভাগে ফেলা যায়। এদের বলা হয় "রিভার্স ক্রিশ্চিয়ান" বা "বিপরীত খ্রিষ্টবাদি" যা অন্যান্য আস্তিক শয়তানবাদি দলগুলো একটি খারাপ শব্দ হিসাবে ধরে । খ্রিষ্টানরা অভিযোগ করে যে রিভার্স ক্রিশ্চিয়ানরা [[ব্ল্যাক মাস|ব্ল্যাক মাসের]] চর্চা করে থাকে ।


=== নাস্তিক স্যাটানিজম ===
===নাস্তিক শয়তানবাদ===
[[main|দার্শনিক শয়তানবাদ]]
নাস্তিক স্যাটানিজম একটি ধর্ম যা লাভেয়ান স্যাটানিজম নামেও পরিচিত।১৯৬৬ সালে আন্তন লাভেয়ান এই ধর্ম প্রচার শুরু করে। এর শিক্ষা গুলো আত্নকেন্দ্রিকতা, স্বভোগ ও '''চোখের জন্য চোখ''' নৈতিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। আন্তন লাভেয়ান শয়তানের দলেরা নাস্তিক এবং [[অজ্ঞেয়বাদ]]-এ বিশ্বাসী, যারা শয়তানকে মানুষের সহজাত সুপ্ত প্রবৃত্তির প্রতীক মনে করে। নাস্তিক শয়তানের দল একটি ছোট ধর্মীয় দল যারা কোন ধরণের বিশ্বাসের সাথে জড়িত নয় এবং যার সদস্যরা নিজের ইচ্ছা পূরণে সচেষ্ট থাকে, বন্ধুদের প্রতি সদয় থাকে তাদের শত্রুদের আক্রমণ করে।তাদের বিশ্বাসগুলো [[স্যাটানিক বাইবেল]]-এ লিপিবদ্ধ যা [[শয়তানের চার্চ]] দেখাশোনা করে।
নাস্তিক শয়তানবাদ (''অ্যাথেইস্টিক স্যাটানিজম'', যা দার্শনিক শয়তানবাদ বলেও পরিচিত) একটি ধর্ম যা লাভেয়ান স্যাটানিজম ({{lang-en|LaVeyan Satanism}}) নামে বেশি পরিচিত। ১৯৬৬ সালে অ্যান্টন লাভেই এই ধর্ম প্রচার শুরু করে। এর মূল তত্ত্বগুলো আত্নকেন্দ্রিকতা, স্বভোগ ও "চোখের জন্য চোখ" ({{lang|en|"Eye for an Eye"}}) নৈতিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। লাভীয় শয়তানবাদি দলগুলো নাস্তিকতা [[অজ্ঞেয়বাদ|অজ্ঞেয়বাদে]] বিশ্বাসী এবং তারা শয়তানকে মানুষের সহজাত সুপ্ত প্রবৃত্তির প্রতীক মনে করে। এরা সংখ্যালঘু একটি মতবাদের লোক যারা কোন ধরণের ধর্মবিশ্বাসের সাথে জড়িত নয় এবং যার অনুসারীরা নিজ ইচ্ছাপূরণে সচেষ্ট, বন্ধুদের প্রতি সদয় ও শত্রুদের অনিষ্টে বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাসগুলো স্যাটানিক বাইবেলে লিপিবদ্ধ যা চার্চ অব স্যাটান দেখাশোনা করে।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১২:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শয়তানের চিহ্ন

স্যাটানিজম (ইংরেজি: Satanism) বা শয়তানবাদ সাধারণভাবে হিব্রু বাইবেল (ও কোরআন) অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সেই শয়তানের উপাসনা, ভক্তি বা প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। নিউ টেস্টামেন্টে আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে যিশুর প্রলুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। আব্রাহামিক ধর্মে শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী শয়তানকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ইউরোপে রেঁনেসা হওয়ার পরে শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার স্বাধীনতা, জ্ঞান এবং আলোকিত হওয়াকে। সাহিত্যে আমরা শয়তানকে দেখি মিল্টনের প্যারাডাইজ লস্ট-এ।

১৯৬০ সালের আগে শয়তান-উপাসকদলগুলোকে গুপ্ত ও অবৈধ মনে করা হত। ডাকিনীবিদ্যা বিরোধী আইন যেমন ব্রিটিশ ডাকিনীবিদ্যা আইন ১৭৩৫ (যা ১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল) জনগণের ডাকিনীবিদ্যা ও শয়তানবাদ বিরোধী আবেগকে প্রকাশ করে। আধুনিক স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে চার্চ অব স্যাটান (ইংরেজি: Church of Satan) বা "শয়তানের গির্জা" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আধুনিক শয়তানবাদি দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু'টি ধারা হচ্ছে আস্তিক ও নাস্তিক। আস্তিক শয়তানবাদি দলগুলো শয়তানকে একজন পৌত্তলিক দেবতা হিসেবে উপাসনা করে। অন্যদিকে নাস্তিক শয়তানবাদিরা নিজেদের নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের একটি প্রতীকরপ হিসাবে।

আস্তিক শয়তানবাদ

শয়তান (কাল্পনিক)

আস্তিক শয়তানবাদে (থেইস্টিক স্যাটানিজম, যা প্রাচীনপন্থী বা আধ্যাত্বিক শয়তানবাদ বলেও পরিচিত) শয়তানকে দেবতা হিসেবে উপাসনা করা হয়। থেইস্টিক স্যাটানিজমকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যাতে আছে কালো যাদুর উপর বিশ্বাস স্থাপন, যা শয়তানের পূজার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে। আস্তিক স্যাটানিজমে শিথিলায়নের রীতি এবং আত্নার উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্ত। আস্তিক শয়তানবাদ প্রাচীন আধ্যাত্বিকতা সম্পর্কিত সূত্রগুলো থেকেও অনুপ্রেরণা লাভ করে (১৯৬০ সালের স্যাটানিক বাইবেলের পূর্বের সূত্রসমূহ), যেমন ফরাসী ঐতিহাসিক জুল মিশলের ১৮৬২ সালের বই স্যাটানিজম অ্যান্ড উইচক্রাফট। আরেকটি দলকে আস্তিক স্যাটানিজমের ভাগে ফেলা যায়। এদের বলা হয় "রিভার্স ক্রিশ্চিয়ান" বা "বিপরীত খ্রিষ্টবাদি" যা অন্যান্য আস্তিক শয়তানবাদি দলগুলো একটি খারাপ শব্দ হিসাবে ধরে । খ্রিষ্টানরা অভিযোগ করে যে রিভার্স ক্রিশ্চিয়ানরা ব্ল্যাক মাসের চর্চা করে থাকে ।

নাস্তিক শয়তানবাদ

দার্শনিক শয়তানবাদ নাস্তিক শয়তানবাদ (অ্যাথেইস্টিক স্যাটানিজম, যা দার্শনিক শয়তানবাদ বলেও পরিচিত) একটি ধর্ম যা লাভেয়ান স্যাটানিজম (ইংরেজি: LaVeyan Satanism) নামে বেশি পরিচিত। ১৯৬৬ সালে অ্যান্টন লাভেই এই ধর্ম প্রচার শুরু করে। এর মূল তত্ত্বগুলো আত্নকেন্দ্রিকতা, স্বভোগ ও "চোখের জন্য চোখ" ("Eye for an Eye") নৈতিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। লাভীয় শয়তানবাদি দলগুলো নাস্তিকতা ও অজ্ঞেয়বাদে বিশ্বাসী এবং তারা শয়তানকে মানুষের সহজাত সুপ্ত প্রবৃত্তির প্রতীক মনে করে। এরা সংখ্যালঘু একটি মতবাদের লোক যারা কোন ধরণের ধর্মবিশ্বাসের সাথে জড়িত নয় এবং যার অনুসারীরা নিজ ইচ্ছাপূরণে সচেষ্ট, বন্ধুদের প্রতি সদয় ও শত্রুদের অনিষ্টে বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাসগুলো স্যাটানিক বাইবেলে লিপিবদ্ধ যা চার্চ অব স্যাটান দেখাশোনা করে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ