জরাথুস্ট্রবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→প্রাথমিক তথ্য
==প্রাথমিক তথ্য==
জরাথুস্ত্রীয় বা পারসিক ধর্মের প্রবর্তক [[জরাথুস্ত্র]]। তাঁর নাম অনুসারেই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এই ধর্মের নাম হয়েছে "জরোয়াস্ট্রিয়ানিজ্ম" বা জরাথুস্ত্রীয়বাদ। এ ধর্মে ঈশ্বরকে
==অনুসারীর সংখ্যা==
বর্তমানে পৃথিবীতে জরাথুস্ত্রীয়দের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার। [[ভারত]], [[আমেরিকা]], [[কানাডা]], [[ব্রিটেন]], [[ইরান]] সহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশে এদের বাস। তবে ধর্মটির অনুসারী বা পারসীদের অর্ধেকই বর্তমানে ভারতে বসবাস করছে। ভারতে বসবাসকারী এসব পারসীদের ৯০ শতাংশ থাকেন [[মুম্বই]]য়ে। বাকি ১০ শতাংশ ছড়িয়ে রয়েছেন সারা ভারতে। [[কলকাতা]]য় পারসিক জনসংখ্যা প্রায় চারশো। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৫ সালে [[ইরাক|ইরাকের]] [[
[[File:Parsi-navjote-sitting.jpg|thumb|left|200px|জরাথুস্ট্রীয় ধর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে দীক্ষিত করার অনুষ্ঠান '''নভজোত''' একটি দৃশ্য]]
==বিস্তারিত==
[[File:Farvahar001.JPG|thumb|right|250px|প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্য ও জরাথুস্ত্রীয়বাদের প্রতীক
এককালের [[হাখমানেশী সাম্রাজ্য|হাখমানেশী]], পার্থীয় এবং [[সাসানীয় সাম্রাজ্য|সাসানীয়]] সাম্রাজ্যগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ছিল জরাথুস্ট্রবাদ। <ref name="a">[http://www.adherents.com/Religions_By_Adherents.html Major Religions of the World Ranked by Number of Adherents] retrieved 14 April 2013</ref> পারসীদের প্রধানত 'অগ্নি-উপাসক' নামে সংজ্ঞায়িত করা হলেও জরাথুস্ত্রীয়দের অগ্নি উপাসনার ধারণাটি মূলত জরাথুস্ত্রীয়বাদ-বিরোধী বিতর্ক থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। প্রকৃতপক্ষে আগুনকে পারসিক ধর্মে শুদ্ধতার প্রতিনিধি এবং ন্যায় ও সত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এমনকি তাদের অগ্নি-মন্দিরেও (পারসিক পরিভাষায় সরল অর্থে আগুনের ঘর) এই একই ধারণা পোষণ করা হয়। বর্তমানকালে এই বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে যে অগ্নি প্রজ্বলনের কারণ হল তা সর্বদা যে কোন ঊর্ধ্বমুখী বস্তুবিশেষকে পুড়িয়ে ফেলে এবং তা কখনোয় দূষিত হয় না। তা সত্ত্বেও "সাদে" এবং "চহারশনবা-এ-সূরী" হল বৃহত্তর ইরানের সর্বত্র উদযাপিত দুটি অগ্নি-সম্পর্কিত উৎসব এবং এই দুটি উৎসবে সেই যুগের রীতিতে ফিরে যাওয়া হয় যে যুগে জরাথুস্ত্রীয় ধর্ম ইরানে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ধর্ম ছিল।
|