বেঙ্গালুরু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান) |
Amodhkumar704 (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:Amodh.jpg|কেন্দ্র|Thanks bro I miss you so much and we can get the ball rolling and we can get it in the morning and the other one is a bit of the other one is video games with my emails to you in a bit then I]] |
|||
{{Infobox settlement | |
{{Infobox settlement | |
||
| name = বেঙ্গালুরু |
| name = বেঙ্গালুরু |
১৪:৪৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বেঙ্গালুরু ಬೆಂಗಳೂರು | |
---|---|
Megacity | |
Bengaluru | |
ডাকনাম: Silicon Valley of India Garden City | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৫৮′ উত্তর ৭৭°৩৪′ পূর্ব / ১২.৯৬৭° উত্তর ৭৭.৫৬৭° পূর্ব | |
Established | ১৫৩৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | Kempegowda I |
সরকার | |
• ধরন | Mayor–Council |
• শাসক | বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে |
• Mayor | Manjunath Reddy[১] |
• Commissioner | G Kumar Nayak[২] |
জনসংখ্যা (২০০৬) | |
• মোট | ৬১,৫৮,৬৭৭ |
• ক্রম | ৫ম |
বেঙ্গালুরু ⓘ; (কন্নড়: ಬೆಂಗಳೂರು বেঙ্গাল্ড়ূরু আ-ধ্ব-ব: ['beŋgəɭuːru]) বা পূর্বতন বাঙ্গালোর ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী। এই শহরকে "ভারতের সিলিকন ভ্যালি" বলা হয়ে থাকে।
ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সমুদ্র সমতল থেকে ৯০০ মিটার(৩,০০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।এটি মহীশূর মাভূমি অঞ্চলের অর্ন্তগত।এই শহরের আয়তন প্রায় ৭৪১ বর্গ কিলোমিটার (২৮৬ বর্গ মাইল)। ২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, এই শহরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে ব্যাঙ্গালোর ভারতের পঞ্চম জনবহুল মহানগর এবং বিশ্বের অষ্টাদশতম জনবহুল শহর।ব্যাঙ্গালোর তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি থেকে প্রচুর মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য এ শহরে আসে। ২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, ব্যাঙ্গালোরের মোট জনসংখ্যার ৭৮.৯% হিন্দু, ১৩.৯% মুসলমান, ৫.৬% খ্রীষ্টান এবং ১.০% জৈন ধর্মাবলম্বীর মানুষ বসবাস করেন।
কন্নড় ব্যাঙ্গালোরের প্রধান ভাষা।এছাড়া উত্তর ভারত ও পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য আসা লোকজনের মধ্যে ইংরাজী, তামিল, তেলেগু, উর্দু ও হিন্দি ভাষার প্রচলন রয়েছে।
একসময় কলকাতার পর ব্যাঙ্গালোরে অ্যাঙ্গলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বসতি ছিল। বর্তমানে প্রায় ১০,০০০ জন অ্যাঙ্গলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।
দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজবংশ যেমন - পশ্চিম গঙ্গা, চোল, হোয়সালা এখানে রাজত্ব করেছে। ১৫৩৭ খ্রীষ্টাব্দে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কেম্পে গৌড়া নামে এক জমিদার এখানে একটি মাটির দূর্গ তৈরী করেছিলেন। মনে করা হয় যে, এটি আধুনিক ব্যাঙ্গালোর শহরের প্রথম ভিত্তি স্থাপন। ১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দে মারাঠারা ব্যাঙ্গালোর অধিকার করে এবং প্রায় ৫০ বছর মারাঠা সাম্রাজ্যের অধীন ছিল। এরপর মুঘলরা ব্যাঙ্গালোর দখল করে এবং তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে মহীশূর রাজ্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই সময় ওয়াডিয়ার রাজবংশ মহীশূরে রাজত্ব করছিল। ১৭৯৯ খ্রীষ্টাব্দে চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে ব্রিটিশরা জয়লাভ করে এবং তারা মহীশূরের রাজাকে এই শহরের প্রশাসনিক দায়িত্বভার দেয়। বেঙ্গালুরু মহীশূর রাজ্যের রাজধানী হয়।মহীশূর রাজ্য যা কিনা নামেই স্বাধীন রাজ্য ছিল, এর তত্ত্বাবধানে পুরোনো ব্যাঙ্গালোর শহর গড়ে ওঠে। ১৮০৯ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশরা তাদের ক্যান্টনমেন্ট ব্যাঙ্গালোরে স্থানান্তরিত করে এবং পুরানো শহরের বাইরে নতুন একটি শহর গড়ে ওঠে যা ব্যাঙ্গালোর ক্যান্টনমেন্ট নামে পরিচিত হয়। এই নতুন শহর ব্রিটিশ ভারতের শাসনাধীন ছিল।১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ও মহীশূর রাজ্যের রাজধানী ব্যাঙ্গালোর শহর ই থাকে। ১৯৪৯ খ্রীষ্টাব্দে ব্যাঙ্গালোর শহর ও ব্যাঙ্গালোর ক্যান্টনমেন্ট দুটিকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৫৬ খ্রীষ্টাব্দে কন্নড় ভাষাভুক্ত অঞ্চলগুলি নিয়ে নতুন কর্ণাটক রাজ্য স্থাপিত হলে রাজধানী ব্যাঙ্গালোরকে করা হয়।২০০৬ সালে ব্যাঙ্গালোর এর কন্নড় নাম বেঙ্গালুরু সরকারীভাবে গ্রহণ করা হয়।
দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় ব্যাঙ্গালোর ভারতের "সিলিকন উপত্যকা" নামে ও পরিচিত।ভারতের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থা ইসরো, উইপ্রো, ইনফোসিস্ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর এই শহরে রয়েছে।ভারতের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্র- যেমন ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব্ সায়েন্স, ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব্ ম্যানেজমেন্ট ব্যাঙ্গালোর, হিন্দুস্তান এরোনটিকস্, ভারত ইলেকট্রনিকস্ প্রভৃতি ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত। ব্যাঙ্গালোর কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান কেন্দ্র।
ব্যাঙ্গালোরের প্রধান বিমান বন্দর কেম্পেগৌড়া আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর শহরের মূলকেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. (২৫ মাইল) দূরে দেভানাহাল্লিতে অবস্থিত।আগে এর নাম ছিল বেঙ্গালুরু আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর। এটি একটি বেসরকারী বিমানবন্দর। ২০০৮ সালের ২৪ শে মে এই নতুন বিমানবন্দরের বিমান ওঠা-নামা শুরু হয়।এর আগে শহরের পূর্বদিকে বিমানাপুরায় অবস্থিত হাল(হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড)বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করত।যাত্রী সংখ্যা ও বিমান ওঠা-নামার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দিল্লী ও মুম্বাইয়ের পর ব্যাঙ্গালোর ভারতের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।বিমানবন্দর থেকে শহরের সংযোগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সি ও বিএমটিসি পরিচালিত শীততাপনিয়ন্ত্রিত ভলভো বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতীয় রেলপথের দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার বিভাগীয় সদর দপ্তর ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত।
এই শহরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন- জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাস রয়েছে।
মহাবিদ্যালয়্গুলি
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "Manjunath Reddy is the new Mayor of IT City Bengaluru"। The Times of India।
- ↑ "Commissioner "। Bruhat Bangalore Mahanagara Palike। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৫।