মিখাইল বাকুনিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ টেমপ্লেটে সংশোধন |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক ব্যক্তি |
|||
{{Infobox person |
|||
|birthname=মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিচ বাকুনিন |
|birthname=মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিচ বাকুনিন |
||
|image=Bakunin.png |
|image=Bakunin.png |
||
|birth_date={{ |
|birth_date={{জন্ম তারিখ|1814|05|30}} |
||
|birth_place=প্রিয়ামাখিনো (কুভশিনোভস্কি জেলা), [[রুশ সাম্রাজ্য]] |
|birth_place=প্রিয়ামাখিনো (কুভশিনোভস্কি জেলা), [[রুশ সাম্রাজ্য]] |
||
|death_date={{ |
|death_date={{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1876|07|01|1814|05|30}} |
||
|death_place=[[বার্ন]], [[সুইজারল্যান্ড]] |
|death_place=[[বার্ন]], [[সুইজারল্যান্ড]] |
||
|movement=[[নৈরাজ্যবাদ]] ([[সম্মিলিত নৈরাজ্যবাদ]]) |
|movement=[[নৈরাজ্যবাদ]] ([[সম্মিলিত নৈরাজ্যবাদ]]) |
১৯:৫৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মিখাইল বাকুনিন | |
---|---|
জন্ম | মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিচ বাকুনিন ৩০ মে ১৮১৪ প্রিয়ামাখিনো (কুভশিনোভস্কি জেলা), রুশ সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ১ জুলাই ১৮৭৬ | (বয়স ৬২)
প্রতিষ্ঠান | লীগ অব পিস এন্ড ফ্রিডম, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং মেনস অ্যাসোসিয়েশন |
আন্দোলন | নৈরাজ্যবাদ (সম্মিলিত নৈরাজ্যবাদ) |
মিখাইল আলেক্সান্দ্রোভিচ বাকুনিন (রুশ: Михаил Александрович Бакунин) (জন্ম: ৩০ মে, ১৮১৪; মৃত্যু: ১ জুলাই, ১৮৭৬) একজন বিখ্যাত রুশ বিপ্লবী এবং সম্মিলিত নৈরাজ্যবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা। তাকে কখনও কখনও নৈরাজ্যবাদী তত্ত্বের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।[১] বাকুনিনের শৈশব কাটে রাশিয়ার প্রিয়ামাখিনোতে। সেখান থেকে তিনি দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য মস্কো গমন করেন। সেখানে তিনি প্রথমে ফিশে ও পরবর্তীতে হেগেলের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন।
বাকুনিন রাষ্ট্র, ধর্ম ও সমাজব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু মৌলিক মতবাদের জন্য বিখ্যাত।
জীবন ইতিহাস
মিখাইল বাকুনিন রাশিয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক। বাকুনিন প্রথমে সামরিক বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির কারণে পোল্যান্ডে অবস্থানকালে পোলিশ বিদ্রোহীদের প্রতি সাম্রাজ্যবাদী রুশ সরকারের অমানবিক আচরণে ব্যথিত হয়ে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দেন। অতঃপর হেগেলের দর্শন অধ্যয়ন করার জন্য তিনি জার্মানি গমন করেন। সেদেশের বিভিন্ন চরমপন্থী আন্দোলনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। জার্মানি থেকে তিনি প্যারিসে চলে যান। প্যারিসে অবস্থানকালে মার্ক্স, এঙ্গেলস ও প্রুধোঁর সঙ্গে বাকুনিনের পরিচয় হয়। ইতিমধ্যে বাকুনিন পুরোমাত্রায় বিপ্লবীতে পরিণত হন এবং পোল্যান্ডের নির্বাসিত নেতাদের দ্বারা পরিচালিত ষড়যন্ত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
চরমপন্থী মতবাদের জন্য ফরাসী সরকার বাকুনিনকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করে। তিনি প্রথমে বেলজিয়াম ও পরে পুনরায় জার্মানিতে ফেরত আসেন। ১৮৪৯ সালে ডেসড্রেন বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু বাকুনিন বিদেশী নাগরিক হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ মকুব করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাকে রুশ সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার পর স্থায়ীভাবে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করা হয়।
১৮৬১ সালে বাকুনিন জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র হয়ে ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান। সেখানে অল্পকিছুকাল অবস্থানের পর তিনি সুইজারল্যান্ড গমন করেন এবং মৃত্যুকাল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। ১৮৬৯ সালে তিনি "সোশাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স" নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং অল্প কয়েকদিনের মধ্যে দলটিকে মার্ক্সের "ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিংমেনস অ্যাসোসিয়েশন"এর সাথে যুক্ত করে ফেলেন। মতাদর্শগত কারণে মার্ক্সের সাথে তার মতবিরোধ হওয়ায় তাকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তবে তিনি ইতিমধ্যে চরমপন্থী আন্দোলনের এবং প্যারিস কমিউনের নেতা হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। প্রবন্ধ, লিফলেট, প্রচার পুস্তিকা বিভিন্ন আকারে বাকুনিন ফরাসী, স্পেনীয় ও জার্মান ভাষায় বহু পুস্তক রচনা করেন এবং প্রতিটি রচনায় তার নৈরাজ্যবাদী আদর্শ প্রচার করেন। ফরাসী ভাষায় বাকুনিনের প্রায় সমগ্র রচনার সংকলন Oevres প্রকাশিত হয়। ইংরেজিতে গড অ্যান্ড দি স্টেট নাম দিয়ে তার অংশবিশেষের অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এই অনূদিত অংশেই অবশ্য বাকুনিনের মৌল আদর্শ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদর্শন
নৈরাজ্যবাদকে তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গিয়ে হাজির করার জন্য মিখাইল বাকুনিন বিপ্লবের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। একটু গভীরভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, বাকুনিন তার নৈরাজ্যবাদ তত্ত্বকে বিবর্তনবাদ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বলেন যে- মানবজীবনের বিকাশ শুরু হয় এক অবস্থায়, কিন্তু তা বিবর্তনের ধারা বেয়ে পরিণতি লাভ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায়। বিকাশের আদি পর্বে মানুষের জীবনে পশুপ্রবৃত্তি ও প্রাকৃতিক বাধা-বিপত্তিসমূহ বেশ প্রবল থাকে। এসব প্রতিকূল শক্তি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র, ধর্ম, সম্পত্তি প্রভৃতি কর্তৃত্ব প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হওয়ার ফলে যখন এসব প্রতিকূল শক্তি পরাজয় বরণ করে, তখন মানুষের জীবন এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়, যে অবস্থায় কর্তৃত্ব প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের আর কোন প্রয়োজনীয়তা থাকে না।
বাকুনিন রাষ্ট্র, ধর্ম ও সমাজব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু মৌলিক মতবাদের জন্য বিখ্যাত।
তথ্যসূত্র
- ↑ Masters, Anthony (১৯৭৪), Bakunin, the Father of Anarchism, Saturday Review Press, আইএসবিএন 0-8415-0295-1
বহিঃসংযোগ
- ১৮১৪-এ জন্ম
- ১৮৭৬-এ মৃত্যু
- কুভশিনোভস্কি জেলার ব্যক্তি
- মিখাইল বাকুনিন
- ১৯শ শতাব্দীর দার্শনিক
- নৈরাজ্যবাদ তাত্ত্বিক
- নাস্তিক দার্শনিক
- নিরীশ্বরবাদ কর্মী
- সাবেক প্রাচ্য অর্থডক্স খ্রিস্টান
- স্বাধীনপন্থী সমাজতান্ত্রিক
- বস্তুবাদী
- ইন্টারন্যাশনাল ওয়াকিংম্যান'স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য
- ১৮৪৮-এর বিপ্লবের মানুষ
- রুশ নৈরাজ্যবাদী
- রুশ নাস্তিক
- রুশ পলাতক
- রুশ দার্শনিক
- রুশ রাজনৈতিক লেখক
- রাশিয়ার বিপ্লবী