কাপ্তাই বাঁধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
বাংলাদেশে কোন চাকমা আদিবাসী নেই তারা সবাই উপজাতি ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৭৯ নং লাইন: | ৭৯ নং লাইন: | ||
== প্রভাব == |
== প্রভাব == |
||
কাপ্তাই এলাকার স্থায়ী অধিবাসীরা পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারিয়েছেন। চল্লিশ হাজারেরও অধিক [[চাকমা]] [[উপজাতি]] সম্প্রদায় প্রতিবেশী দেশ [[ভারত|ভারতে]] স্থানান্তরিত হয়েছেন। জমি অধিগ্রহণের ফলে ঐ এলাকায় সৃষ্ট সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।<ref>[http://www.internal-displacement.org/idmc/website/countries.nsf/(httpEnvelopes)/C2EA848CB001371D802570B8005A719E?OpenDocument "The construction of the Kaptai dam uproots the indigenous population (1957-1963)". Retrieved 2007-02-01.]</ref> এছাড়াও, এ বাঁধ নির্মাণজনিত কারণে [[জীববৈচিত্র্য]] ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। [[বন্যপ্রাণী]] এবং তাদের বসবাস উপযোগী আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। |
কাপ্তাই এলাকার স্থায়ী অধিবাসীরা পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারিয়েছেন। চল্লিশ হাজারেরও অধিক [[চাকমা]] [[উপজাতি|আদিবাসীআদিবাসী]] সম্প্রদায় প্রতিবেশী দেশ [[ভারত|ভারতে]] স্থানান্তরিত হয়েছেন। জমি অধিগ্রহণের ফলে ঐ এলাকায় সৃষ্ট সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।<ref>[http://www.internal-displacement.org/idmc/website/countries.nsf/(httpEnvelopes)/C2EA848CB001371D802570B8005A719E?OpenDocument "The construction of the Kaptai dam uproots the indigenous population (1957-1963)". Retrieved 2007-02-01.]</ref> এছাড়াও, এ বাঁধ নির্মাণজনিত কারণে [[জীববৈচিত্র্য]] ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। [[বন্যপ্রাণী]] এবং তাদের বসবাস উপযোগী আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
৯২ নং লাইন: | ৯২ নং লাইন: | ||
== আরও দেখুন == |
== আরও দেখুন == |
||
* [[টিপাইমুখ বাঁধ]] |
* [[টিপাইমুখ বাঁধ]] |
||
* [[কাপ্তাই হ্রদ]] |
* [[কাপ্তাই হ্রদ|কাপ্]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বাঁধ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বাঁধ]] |
১৫:১০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কাপ্তাই বাঁধ | |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থা | পরিকল্পিত |
কাপ্তাই বাঁধ বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ও কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে সৃষ্ট কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত একটি বাঁধ। ১৯৬২ খ্রীস্টাব্দে নির্মিত বাংলাদেশের বৃহত্তম এ বাঁধটির মাধ্যমে একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১] বাঁধের সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানি সংরক্ষণ করে প্রতিদিন প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।[২]
ইতিহাস
তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে ১৯৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ণে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ কার্য শুরু হয় ও ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়।[৩] ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং ইউতাহ ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেট ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ ও ৫৪.৭ মিটার উচ্চতার এ বাঁধটি নির্মাণ করে। এ বাঁধের পাশে ১৬টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দীর্ঘ একটি পানি নির্গমন পথ বা স্প্রিলওয়ে রাখা হয়েছে। এ স্প্রিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গমন করতে পারে। প্রকল্পের জন্য তখন প্রায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা ৪৮ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
প্রভাব
কাপ্তাই এলাকার স্থায়ী অধিবাসীরা পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারিয়েছেন। চল্লিশ হাজারেরও অধিক চাকমা আদিবাসীআদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। জমি অধিগ্রহণের ফলে ঐ এলাকায় সৃষ্ট সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[৪] এছাড়াও, এ বাঁধ নির্মাণজনিত কারণে জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। বন্যপ্রাণী এবং তাদের বসবাস উপযোগী আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ সংগ্রহকাল: ১ নভেম্বর, ২০১২ইং বাংলাদেশের বৃহত্তম, সর্বোচ্চ, দীর্ঘতম ও ক্ষুদ্রতম-বাংলানিউজ২৪.কম
- ↑ "Dam - Kaptai Dam". Retrieved 2007-02-01.
- ↑ দৈনিক যায়যায়দিন, জানুয়ারি ১০, ২০০৮, পৃষ্ঠা: ১০, মুদ্রিত সংস্করণ
- ↑ "The construction of the Kaptai dam uproots the indigenous population (1957-1963)". Retrieved 2007-02-01.
বহিঃসংযোগ
- Dams Caused Environmental Refugees of Ethnic Minorities
- Profile
- Embankment Dams
- Jum Cultivation and Environmental Degradation in CHT