হোলবোল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Bangali ind (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
Bangali ind (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
২৫ নং লাইন: | ২৫ নং লাইন: | ||
পাকিস্তানে কাজ নাই মোদের হিন্দুস্তানে চল,<br> |
পাকিস্তানে কাজ নাই মোদের হিন্দুস্তানে চল,<br> |
||
হিন্দুস্তানে গিয়ে মোরা সবাই শান্তি হব।}} |
হিন্দুস্তানে গিয়ে মোরা সবাই শান্তি হব।}} |
||
এই গানে পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার ফুটে এসেছে। গানের পরবর্তী অংশে [[পাকিস্তান]] ছেড়ে [[ভারত|ভারতে]] আগমনের কথার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। |
এই গানে পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার ফুটে এসেছে। গানের পরবর্তী অংশে [[পাকিস্তান]] ছেড়ে [[ভারত|ভারতে]] আগমনের কথার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=বাংলার লোকসাহিত্য_৩ খণ্ড|last=|first=|publisher=আশুতোষ ভট্টাচার্য|year=১৯৬২|isbn=|location=১/১, কলেজ স্কোয়ার, কলকাতা-১২|pages=৭০৩}}</ref> |
||
==অন্য়ান্য়== |
==অন্য়ান্য়== |
১৭:১৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হোলবোল কৃষকসমাজে প্রচলিত একটি লোকসঙ্গীত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলা এবং বাংলাদেশের যশোর জেলার একটি প্রচলিত লোকসঙ্গীত। এর মধ্যে কোনো ধর্মীয় আচার-আচরন সংযুক্ত নেই। নিম্নশ্রেণীর হিন্দু এবং মুসলিম কৃষকরা একইসঙ্গে এই গান গেয়ে তাদের অবসর জীবন অতিবাহিত করে।[১]
গাওয়ার সময়
কৃষিকর্মে কখনো অবসর পেলেই কৃষকেরা তাদের কন্ঠে এই গান গায়। তবে পৌষ মাসেই এই গানের প্রকৃত সময় বলে মনে করা হয়। এই গানের সঙ্গে স্ত্রীদের কোনো সম্পর্ক নেই, পুরুষেরাই এই গান গেয়ে থাকে। মূল গায়েন একটি পদ গাইবার পর অন্যান্যরা ওই কথারই পুনরাবৃত্তি করে।
নিদর্শন
হোলবোল গানের অবলম্বন বলতে রামায়নের কাহিনি অন্যতম। নদিয়া জেলায় একটি গান শুলতে পাওয়া যায়-
“ | আহা উজুদার গো দশরথ গো রাজা ছিল বড় পুণ্যবান। একই দণ্ডে চারি ভাই গো জন্মেছিলেন রাম। |
” |
সাময়িক ঘটনাকে অবলম্বন করেও হোলবোলের গান রচিত হয়। নদিয়া জেলার মাজদিয়াতে এই রকম কিছু গান শোনা যায়-
“ | হাহা, ফাগুন মাসের পাঁচই তারিখে দৈবী গজব হল, হাহা, মটর ছোলা সরষে, সব ফেলায়ে গেল। |
” |
এই গানে পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার ফুটে এসেছে। গানের পরবর্তী অংশে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে আগমনের কথার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।[২]
অন্য়ান্য়
এছাড়া বেহুলা লখীন্দরের কাহিনি নিয়েও এই গান গাওয়া হয়। তবে এগুলি শুধু মনসা পুজোর সময় শোনা যায়। শ্রাবণ মাস ব্যাপী এই গীত হলেও অন্য সময় এই গান গাওয়া হয় না।[৩]