কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Imonreza (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Imonreza (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:
}}
}}


'''কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি''' কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। [[১৯৫২]] সালের [[২১ ফেব্রুয়ারি]] কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক [[মাহবুব উল আলম চৌধুরী (কবি)|মাহবুব উল আলম চৌধুরী]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=একুশের প্রথম কবিতার জন্মকথা…|url=http://www.sachalayatan.com/bipro/21978|website=সচলায়তন.কম|accessdate=২০/০২/২০০৯}}</ref>
'''কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি''' কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। [[১৯৫২]] সালের [[২১ ফেব্রুয়ারি]] কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক [[মাহবুব উল আলম চৌধুরী]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=একুশের প্রথম কবিতার জন্মকথা…|url=http://www.sachalayatan.com/bipro/21978|website=সচলায়তন.কম|accessdate=২০/০২/২০০৯}}</ref>


==রচনার ইতিহাস==
==রচনার ইতিহাস==

১১:৫৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি 
মাহবুব উল আলম চৌধুরী কর্তৃক রচিত
লিখেছেন১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি
প্রথম প্রকাশিতকাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়ভাষা আন্দোলন
গঠনদেশাত্মবোধ
প্রকাশককামালউদ্দিন খান
প্রকাশনার তারিখ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ (1952-02-22)
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত
পৃষ্ঠা১৭

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী[১]

রচনার ইতিহাস

পংক্তি

যারা আমার মাতৃভাষাকে নির্বাসন দিতে চেয়েছে
তাদের জন্য আমি ফাঁসি দাবি করছি।
যাদের আদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের জন্য
ফাঁসি দাবী করছি।
ফাঁসি দাবী করছি যারা এই মৃতদেহের ওপর দিয়ে
ক্ষমতার আসনে আরোহণ করেছে
সেই বিশ্বাসঘাতকদের জন্যে।
আমি তাদের বিচার দেখতে চাই
খোলা ময়দানে সেই নির্দিষ্ট জায়গাতে
শাস্তিপ্রাপ্তদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
আমার দেশের মানুষ দেখতে চায়।

ওরা চল্লিশজন কিংবা আরও বেশি
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে,রসনার রৌদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছের তলায়
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য, বাংলার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
পলাশপুরের মকবুল আহমদের
পুঁথির জন্য, রমেশ শীলের গাঁথার জন্য
জসীমউদ্দীনের সোজন বাঁধিয়ার ঘাটের জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে
ভাটিয়ালি বাউল কীর্তন গজল
নজরুলের ‘খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি’।

হে আমার মৃত ভাইরা,
সেইদিন নিস্তব্ধতার মধ্য থেকে তোমাদের কণ্ঠস্বর
স্বাধীনতার বলিষ্ঠ চিৎকার
ভেসে আসবে
সেইদিন আমাদের দেশের জনতা
খুনি জালিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে
ঝুলাবেই ঝুলাবে
তোমাদের আশা অগ্নিশিখার মতো জ্বলবে
প্রতিশোধ এবং বিজয়ের আনন্দে।

তথ্যসূত্র

  1. "একুশের প্রথম কবিতার জন্মকথা…"সচলায়তন.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০/০২/২০০৯  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)