গ্রাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mithunsusmi143 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Afterlife1010 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
*[[রাইগ্রাম]]
*[[রাইগ্রাম]]


বশিকপুর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন অর্থাৎ লক্ষ্মীপুরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এই উত্তরাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের চারণ ভূমি হিসেবে ও বেশ পরিচিতি রয়েছে। এই ইউিনয়নটি একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন যার আয়তন ১৪ বর্গ কিলোমিটার এবং এই ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪৭০০০ হাজার, এই ইউনিয়নে রয়েছে ১০৮ কি.মি. রাস্তা যার অধিকাংশই পাকা।বশিকপুর ইউনিয়নে ১৯ টি গ্রাম এবং এটি ৯ ওয়ার্ডে বিভক্ত।বাড়ীর সংথ্যা ৫৭১ ও খানার সংখ্যা ৬৮৮৬। ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের মধ্যে বশিকপুর গ্রামটি অন্য সব গ্রামের চাইতে বড় বিধায় এর নামকরন করা হয়েছে বশিকপুর ইউনিয়ন।ধারনা করা হচেছ ১৪২০ সালে এই চরন ভূমিটির জন্ম এবং মানুষ চলাচল ও বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠা।এই ইউনিয়নে হিন্দু,মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে।বশিকপুর ইউনিয়েনে রয়েছে ৩টি বাজার। যার মধ্যে পোদ্দার বাজার লক্ষীপুর উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার এছাড়া ও রয়েছে নাগের হাট ও পাটোয়ারী বাজার ।এই ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম নিবাসী তৎকালীন হিন্দু জমিদার আর কে নাগ (যার বাড়ীতে ১৯৪৬ সালে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার পরই অহিংসা পরম ধর্মের বাণী নিয়ে প্রচারে এসে মহনলাল করমচাঁদ মহাত্নাগান্ধী কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চাটখিলে রাত্রি যাপন করেছিলেন যেটি বর্তমানে মহাত্না গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত) প্রজাকুলের বেচা কেনার সুবিধার্থে নিজস্ব ভূমির উপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাগের হাট যা বশিকপুরের ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার হিসেবে আজ ও পরিচিত। জমিদারের পাইক পেয়াদারের অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যা বশিকপুরের বিরাহিমপুর নিবাসী প্রভাবশালী চন্দ্রনাথ পোদ্দাররের নৌকা নাগের হাটের নৌ-ঘাটে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে তাকে চরমভাবে অপমানিত হতে হয়েছিল। অপরদিকে নাগের হাট মুসলমানদের গরু জবাই করতে নিষেধ করার কারনে প্রতিবাদে মুসলমানরা পাকিস্তানের তৎকালীন পরিষদ সদস্য গোলাম ছারওয়ার মিয়ার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে চন্দ্র নাথ পোদ্দারের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায় এবং গোলাম ছারওয়ার মিয়ার নেতৃত্বাধীন মুসলিম সম্প্রদায় নাগের হাট বর্জন করে এবং নতুন হাট বসানোর পরিকল্পনা করে। চন্দ্রনাথ পোদ্দার জেলা কালেক্টর বরাবরে ০.০৯একর ভূমি সমর্পণ করে নতুন হাট বসায় জায়গা দান করায় তার নামানুসারে তার নাম করন বশিকপুর পোদ্দার হাট। পরবর্তীকালে কিছু সংখ্যক মুসলমান হাটের নামের আগে ‌‍পোদ্দার থাকায় আপত্তি উপস্থাপন করে পোদ্দার বাজারের পূর্ন নামকরন করেন ইসলাম গঞ্জ বাজার কিন্তু বাজার টি আাজ ও বশিকপুর পোদ্দার বাজার নামেই দেশ বিদেশে পরিচিতি।বশিকপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহন করেছে অনেক গুনী মানুষ। যারা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে সরকারী বেসরকারী উচ্চ পদে রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা:মুজাফফর আহম্মদ চৌধুরী সবকিছু মিলেয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন একটি মডেল এবং ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন।
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}


সোহেল রানা
[[বিষয়শ্রেণী:বসতি]]
বশিক পুর নোয়া বাড়ী
[[বিষয়শ্রেণী:প্রশাসনিক একক]]

১৪:৫৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গ্রাম হল জনবসতির একটি একক। এটি প্রধানত কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে মনুষ্য সম্প্রদায়ের ছোট বসতি। যেখানে বসবাসরত সম্প্রদায়রা কৃষিকাজ কৃষিভিত্তিক ও বিভিন্ন ছোটোখাটো কাজের (যেমন কুমোরের বা কর্মকারের কাজ) মাধ্যমে খুব সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করে থাকে। গ্রাম সাধারনত বড় শহর বা রাজধানী থেকে দূরে অবস্থিত হয়। গ্রামে শহরের মত তেমন আধুনিক সুবিধা গুলো থাকেনা। এই কারনে জমিদার ও রাজাগন শহরে বসবাস করলেও গ্রামের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেন। প্রাচীন সামন্ততান্ত্রীক সমাজে কৃষিভিত্তিক গ্রাম ছিল রাজস্ব আহরনের উৎস। একটি গ্রামে কৃষিজীবি ছাড়াও কামার, কুমার, মাঝি, মেথর, জেলে প্রভৃতি পেশার লোকের বসবাস থাকে। গ্রাম মূলত একটি স্বশাসিত এলাকা হিসাবে পরিগনিত হত।

১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর গ্রামীণ শাসন ও কর ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এ ব্যবস্থায় গ্রামের জমির পূর্ণ অধিকার পায় জমিদার। আধুনিক রাষ্ট্রব্যাবস্থায় গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নির্বাচন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং পৃথক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।[১]

বশিকপুর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন অর্থাৎ লক্ষ্মীপুরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এই উত্তরাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের চারণ ভূমি হিসেবে ও বেশ পরিচিতি রয়েছে। এই ইউিনয়নটি একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন যার আয়তন ১৪ বর্গ কিলোমিটার এবং এই ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৪৭০০০ হাজার, এই ইউনিয়নে রয়েছে ১০৮ কি.মি. রাস্তা যার অধিকাংশই পাকা।বশিকপুর ইউনিয়নে ১৯ টি গ্রাম এবং এটি ৯ ওয়ার্ডে বিভক্ত।বাড়ীর সংথ্যা ৫৭১ ও খানার সংখ্যা ৬৮৮৬। ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের মধ্যে বশিকপুর গ্রামটি অন্য সব গ্রামের চাইতে বড় বিধায় এর নামকরন করা হয়েছে বশিকপুর ইউনিয়ন।ধারনা করা হচেছ ১৪২০ সালে এই চরন ভূমিটির জন্ম এবং মানুষ চলাচল ও বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠা।এই ইউনিয়নে হিন্দু,মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে।বশিকপুর ইউনিয়েনে রয়েছে ৩টি বাজার। যার মধ্যে পোদ্দার বাজার লক্ষীপুর উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার এছাড়া ও রয়েছে নাগের হাট ও পাটোয়ারী বাজার ।এই ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম নিবাসী তৎকালীন হিন্দু জমিদার আর কে নাগ (যার বাড়ীতে ১৯৪৬ সালে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার পরই অহিংসা পরম ধর্মের বাণী নিয়ে প্রচারে এসে মহনলাল করমচাঁদ মহাত্নাগান্ধী কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চাটখিলে রাত্রি যাপন করেছিলেন যেটি বর্তমানে মহাত্না গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত) প্রজাকুলের বেচা কেনার সুবিধার্থে নিজস্ব ভূমির উপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাগের হাট যা বশিকপুরের ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার হিসেবে আজ ও পরিচিত। জমিদারের পাইক পেয়াদারের অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যা বশিকপুরের বিরাহিমপুর নিবাসী প্রভাবশালী চন্দ্রনাথ পোদ্দাররের নৌকা নাগের হাটের নৌ-ঘাটে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে তাকে চরমভাবে অপমানিত হতে হয়েছিল। অপরদিকে নাগের হাট মুসলমানদের গরু জবাই করতে নিষেধ করার কারনে প্রতিবাদে মুসলমানরা পাকিস্তানের তৎকালীন পরিষদ সদস্য গোলাম ছারওয়ার মিয়ার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে চন্দ্র নাথ পোদ্দারের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায় এবং গোলাম ছারওয়ার মিয়ার নেতৃত্বাধীন মুসলিম সম্প্রদায় নাগের হাট বর্জন করে এবং নতুন হাট বসানোর পরিকল্পনা করে। চন্দ্রনাথ পোদ্দার জেলা কালেক্টর বরাবরে ০.০৯একর ভূমি সমর্পণ করে নতুন হাট বসায় জায়গা দান করায় তার নামানুসারে তার নাম করন বশিকপুর পোদ্দার হাট। পরবর্তীকালে কিছু সংখ্যক মুসলমান হাটের নামের আগে ‌‍পোদ্দার থাকায় আপত্তি উপস্থাপন করে পোদ্দার বাজারের পূর্ন নামকরন করেন ইসলাম গঞ্জ বাজার কিন্তু বাজার টি আাজ ও বশিকপুর পোদ্দার বাজার নামেই দেশ বিদেশে পরিচিতি।বশিকপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহন করেছে অনেক গুনী মানুষ। যারা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে সরকারী বেসরকারী উচ্চ পদে রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা:মুজাফফর আহম্মদ চৌধুরী সবকিছু মিলেয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন একটি মডেল এবং ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন।

সোহেল রানা বশিক পুর নোয়া বাড়ী

  1. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE