ধর্মরাজ মন্দির, বহড়ু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''ধর্মরাজ মন্দির''' হল পশ্চিমবঙ্গের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা]] জেলার বহড়ুতে অবস্থিত যোগী সম্প্রদায়ের একটি মন্দির। টালিছাওয়া মাটির গৃহে ধর্মরাজ বা [[ধর্মঠাকুর]]-এর প্রাচীন মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। বৈশাখী বুদ্ধ-পূর্ণিমায় পূজা ও উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর মানুষ এখানে সমবেত হন। <ref name=Ghosh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ২৩৭-২৩৮</ref>
'''ধর্মরাজ মন্দির''' হল পশ্চিমবঙ্গের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা]] জেলার [[বহড়ু]]তে অবস্থিত যোগী সম্প্রদায়ের একটি মন্দির। টালিছাওয়া মাটির গৃহে ধর্মরাজ বা [[ধর্মঠাকুর]]-এর প্রাচীন মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। বৈশাখী বুদ্ধ-পূর্ণিমায় পূজা ও উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর মানুষ এখানে সমবেত হন। <ref name=Ghosh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ২৩৭-২৩৮</ref>
==মূর্তির বিবরণ==
==মূর্তির বিবরণ==
এখানে মন্দিরের মধ্যে শিবমূর্তির মতো দেখতে ধর্মরাজের যে মূর্তি বর্তমান, তা মন্দির ঘরের তুলনায় বেশ বড়। উপবিষ্ট অবস্থায় বিশাল পুরুষমূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৫-৬ ফুট। বড়-বড় গোলাকার চোখ, পাকানো লম্বা গোঁফ। মাথায় একটি সাপের ফণা; গায়ের রং ঘন সবুজ, কানে ধুতরা ফুল। ধর্মরাজ ডান-পা মুড়ে বাম পায়ের উপর চোখ রেখে, ডানহাত অভয়মুদ্রার ভঙ্গিতে তুলে উপবিষ্ট। ধর্মরাজের মূর্তির পাশে একটি ছোট শিবলিঙ্গ আছে।এই প্রতিষ্ঠিত ধর্মরাজ কতকালের পুরানো, তা জানা যায় না। বংশপরম্পরায় যোগী পূজারীরা এর পূজা করে আসছেন।<ref name=Ghosh/>
এখানে মন্দিরের মধ্যে শিবমূর্তির মতো দেখতে ধর্মরাজের যে মূর্তি বর্তমান, তা মন্দির ঘরের তুলনায় বেশ বড়। উপবিষ্ট অবস্থায় বিশাল পুরুষমূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৫-৬ ফুট। বড়-বড় গোলাকার চোখ, পাকানো লম্বা গোঁফ। মাথায় একটি সাপের ফণা; গায়ের রং ঘন সবুজ, কানে ধুতরা ফুল। ধর্মরাজ ডান-পা মুড়ে বাম পায়ের উপর চোখ রেখে, ডানহাত অভয়মুদ্রার ভঙ্গিতে তুলে উপবিষ্ট। ধর্মরাজের মূর্তির পাশে একটি ছোট শিবলিঙ্গ আছে।এই প্রতিষ্ঠিত ধর্মরাজ কতকালের পুরানো, তা জানা যায় না। বংশপরম্পরায় যোগী পূজারীরা এর পূজা করে আসছেন।<ref name=Ghosh/>
==বিশেষত্ব==
==বিশেষত্ব==
পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের (বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান) সাধারণ লোকদেবতা 'ধর্মঠাকুর' সাধারণত কূর্মমূর্তিতে পূজিত হন। এনিই ভাগীরথীর তীরে নিম্নবঙ্গের মানুষের অবচেতনায় প্রবাহিত হয়ে মহাদেব শিবের রূপ পরিগ্রহ করেছেন। একসময় যোগী সম্প্রদায় শৈবসম্প্রদায়ের দ্বারা আত্মীকৃত হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের আত্মসাৎ-পূর্ব সংস্কৃতিদ্বন্দ্বের সন্ধিক্ষণের প্রমাণস্বরূপ বহড়ুর ধর্মরাজ বিরাজমান।<ref name=Ghosh/>
পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের (বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান) সাধারণ লোকদেবতা 'ধর্মঠাকুর' সাধারণত কূর্মমূর্তিতে পূজিত হন। ইনিই ভাগীরথীর তীরে নিম্নবঙ্গের মানুষের অবচেতনায় প্রবাহিত হয়ে মহাদেব শিবের রূপ পরিগ্রহ করেছেন। একসময় যোগী সম্প্রদায় শৈবসম্প্রদায়ের দ্বারা আত্মীকৃত হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের আত্মসাৎ-পূর্ব সংস্কৃতিদ্বন্দ্বের সন্ধিক্ষণের প্রমাণস্বরূপ বহড়ুর ধর্মরাজ বিরাজমান।<ref name=Ghosh/>
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
{{পশ্চিমবঙ্গ}}
{{পশ্চিমবঙ্গ}}


[[বিষয়শ্রেণী:মন্দির]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের মন্দির]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা]]

০৯:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ধর্মরাজ মন্দির হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বহড়ুতে অবস্থিত যোগী সম্প্রদায়ের একটি মন্দির। টালিছাওয়া মাটির গৃহে ধর্মরাজ বা ধর্মঠাকুর-এর প্রাচীন মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। বৈশাখী বুদ্ধ-পূর্ণিমায় পূজা ও উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর মানুষ এখানে সমবেত হন। [১]

মূর্তির বিবরণ

এখানে মন্দিরের মধ্যে শিবমূর্তির মতো দেখতে ধর্মরাজের যে মূর্তি বর্তমান, তা মন্দির ঘরের তুলনায় বেশ বড়। উপবিষ্ট অবস্থায় বিশাল পুরুষমূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৫-৬ ফুট। বড়-বড় গোলাকার চোখ, পাকানো লম্বা গোঁফ। মাথায় একটি সাপের ফণা; গায়ের রং ঘন সবুজ, কানে ধুতরা ফুল। ধর্মরাজ ডান-পা মুড়ে বাম পায়ের উপর চোখ রেখে, ডানহাত অভয়মুদ্রার ভঙ্গিতে তুলে উপবিষ্ট। ধর্মরাজের মূর্তির পাশে একটি ছোট শিবলিঙ্গ আছে।এই প্রতিষ্ঠিত ধর্মরাজ কতকালের পুরানো, তা জানা যায় না। বংশপরম্পরায় যোগী পূজারীরা এর পূজা করে আসছেন।[১]

বিশেষত্ব

পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের (বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান) সাধারণ লোকদেবতা 'ধর্মঠাকুর' সাধারণত কূর্মমূর্তিতে পূজিত হন। ইনিই ভাগীরথীর তীরে নিম্নবঙ্গের মানুষের অবচেতনায় প্রবাহিত হয়ে মহাদেব শিবের রূপ পরিগ্রহ করেছেন। একসময় যোগী সম্প্রদায় শৈবসম্প্রদায়ের দ্বারা আত্মীকৃত হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের আত্মসাৎ-পূর্ব সংস্কৃতিদ্বন্দ্বের সন্ধিক্ষণের প্রমাণস্বরূপ বহড়ুর ধর্মরাজ বিরাজমান।[১]

তথ্যসূত্র

  1. ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ২৩৭-২৩৮