আলাউদ্দিন খিলজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা (CSD স১২)। (টুইং)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''আলাউদ্দিন খলজি '''[Alauddin Khalji]:'''- '''নিজ '''পিতৃব্য''' ও '''খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন খলজিকে''' হত্যা করে '''আলাউদ্দিন খলজি''' ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন । তিনি ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । ইলবেরি তুর্কি আমলে ভারতে দিল্লি সুলতানির যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল, আলাউদ্দিন খলজির সময় তা পরিপূর্ণ রূপ গ্রহন করেছিল । উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাম্রাজ্য স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার চালু করে নিজ কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন । এই দিক দিয়ে বিচার করলে তাঁকে সুলতানি আমলের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা যেতে পারে । 
{{db-copyvio}}
<!--
 
'''►আলাউদ্দিন খলজি '''[Alauddin Khalji]:'''- '''নিজ '''পিতৃব্য''' ও '''খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন খলজিকে''' হত্যা করে '''আলাউদ্দিন খলজি''' ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন । তিনি ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । ইলবেরি তুর্কি আমলে ভারতে দিল্লি সুলতানির যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল, আলাউদ্দিন খলজির সময় তা পরিপূর্ণ রূপ গ্রহন করেছিল । উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাম্রাজ্য স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার চালু করে নিজ কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন । এই দিক দিয়ে বিচার করলে তাঁকে সুলতানি আমলের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা যেতে পারে । 

'''♦আলাউদ্দিন খলজির রাজ্যজয়'''[Expansion of the Delhi Sultanate]:'''-''' আলাউদ্দিন খলজি খুব উচ্চাকাঙক্ষী ছিলেন । গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের মতো তিনিও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখতেন । কিন্তু কাজি আলা-উল-মূলকের পরামর্শে তিনি এই অসম্ভব পরিকল্পনা ত্যাগ করে সারা ভারত জুড়ে এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপনের নীতি গ্রহন করেছিলেন । বিশ্বজয়ের পরিকল্পনা ত্যাগ করলেও তিনি তাঁর মুদ্রায় নিজেকে ‘'''দ্বিতীয় আলেকজান্ডার'''’ হিসাবে উল্লেখ করতেন । ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি তিনি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে মোঙ্গল আক্রমণের হাত থেকেও ভারতকে রক্ষা করেন । প্রথমে তিনি ভারতের গুজরাটের রাজা '''কর্ণদেব''', রণ-থম্ভোরের রাজপুত নেতা '''হামির দেব''' , মেবারের রাজা '''রতন সিং''' ও মালবের অধিপতি '''মহ্লক দেব'''কে পরাজিত করেন । এরপর তিনি '''মালিক কাফুরের''' নেতৃত্বে দক্ষিণ ভারতে অভিযান প্রেরণ করেন । কাফুর দেবগিরির রাজা '''রামচন্দ্র''', বরঙ্গলের কাকতীয়রাজ '''প্রতাপ রুদ্র''', দোরসমুদ্রের হোয়্সলরাজ '''তৃতীয় বল্লাল'''কে পরাজিত করবার পর ভাতৃবিরোধের সুযোগ নিয়ে '''পান্ড্য''' রাজ্য অধিকার করেন । এরপর তিনি নাকি রামেশ্বর পর্যন্ত অগ্রসর হন । আলাউদ্দিন খলজি অবশ্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি সরাসরি সাম্রাজ্যভুক্ত না করে সেখানকার রাজাদের মৌখিক আনুগত্য ও করদানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই '''করদ রাজ্যে''' (কর ডাকে স্বীকৃত) পরিণত করেন । বিজেতা হিসাবে আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন দিল্লির সুলতানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । স্যার উলসলে হেগের মতে, তাঁর রাজত্বের সঙ্গে সঙ্গেই সুলতানি সাম্রাজ্যবাদের সুত্রপাত হয় । তাঁর আমলেই প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটে । বিজেতা হিসাবে অনেকে তাঁকে আকবরের সঙ্গে তুলনা করেন । কিন্তু এই তুলনা অনেকাংশে অযৌতিক । আলাউদ্দিন খলজির সাম্রাজ্যবাদ কোনো মহৎ আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না । বাহুবলের প্রাধান্যই ছিল এর একমাত্র ভিত্তি । আকবর সম্পর্কে এই কথা বলা চলে না ।  
'''♦আলাউদ্দিন খলজির রাজ্যজয়'''[Expansion of the Delhi Sultanate]:'''-''' আলাউদ্দিন খলজি খুব উচ্চাকাঙক্ষী ছিলেন । গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের মতো তিনিও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখতেন । কিন্তু কাজি আলা-উল-মূলকের পরামর্শে তিনি এই অসম্ভব পরিকল্পনা ত্যাগ করে সারা ভারত জুড়ে এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপনের নীতি গ্রহন করেছিলেন । বিশ্বজয়ের পরিকল্পনা ত্যাগ করলেও তিনি তাঁর মুদ্রায় নিজেকে ‘'''দ্বিতীয় আলেকজান্ডার'''’ হিসাবে উল্লেখ করতেন । ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি তিনি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে মোঙ্গল আক্রমণের হাত থেকেও ভারতকে রক্ষা করেন । প্রথমে তিনি ভারতের গুজরাটের রাজা '''কর্ণদেব''', রণ-থম্ভোরের রাজপুত নেতা '''হামির দেব''' , মেবারের রাজা '''রতন সিং''' ও মালবের অধিপতি '''মহ্লক দেব'''কে পরাজিত করেন । এরপর তিনি '''মালিক কাফুরের''' নেতৃত্বে দক্ষিণ ভারতে অভিযান প্রেরণ করেন । কাফুর দেবগিরির রাজা '''রামচন্দ্র''', বরঙ্গলের কাকতীয়রাজ '''প্রতাপ রুদ্র''', দোরসমুদ্রের হোয়্সলরাজ '''তৃতীয় বল্লাল'''কে পরাজিত করবার পর ভাতৃবিরোধের সুযোগ নিয়ে '''পান্ড্য''' রাজ্য অধিকার করেন । এরপর তিনি নাকি রামেশ্বর পর্যন্ত অগ্রসর হন । আলাউদ্দিন খলজি অবশ্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি সরাসরি সাম্রাজ্যভুক্ত না করে সেখানকার রাজাদের মৌখিক আনুগত্য ও করদানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই '''করদ রাজ্যে''' (কর ডাকে স্বীকৃত) পরিণত করেন । বিজেতা হিসাবে আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন দিল্লির সুলতানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । স্যার উলসলে হেগের মতে, তাঁর রাজত্বের সঙ্গে সঙ্গেই সুলতানি সাম্রাজ্যবাদের সুত্রপাত হয় । তাঁর আমলেই প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটে । বিজেতা হিসাবে অনেকে তাঁকে আকবরের সঙ্গে তুলনা করেন । কিন্তু এই তুলনা অনেকাংশে অযৌতিক । আলাউদ্দিন খলজির সাম্রাজ্যবাদ কোনো মহৎ আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না । বাহুবলের প্রাধান্যই ছিল এর একমাত্র ভিত্তি । আকবর সম্পর্কে এই কথা বলা চলে না ।  


২৩ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
(৪) বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন ।
(৪) বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন ।


কিন্তু প্রজাপালন এবং জনকল্যাণ যদি কোনো রাষ্ট্রনায়কের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাটি হয়, তাহলে আলাউদ্দিন খলজিকে সুলতানি আমলের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা যায় না ।
কিন্তু প্রজাপালন এবং জনকল্যাণ যদি কোনো রাষ্ট্রনায়কের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাটি হয়, তাহলে আলাউদ্দিন খলজিকে সুলতানি আমলের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা যায় না ।-->

০৯:৪৩, ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আলাউদ্দিন খলজি [Alauddin Khalji]:নিজ পিতৃব্য ও খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন খলজিকে হত্যা করে আলাউদ্দিন খলজি ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন । তিনি ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন । ইলবেরি তুর্কি আমলে ভারতে দিল্লি সুলতানির যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল, আলাউদ্দিন খলজির সময় তা পরিপূর্ণ রূপ গ্রহন করেছিল । উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাম্রাজ্য স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার চালু করে নিজ কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন । এই দিক দিয়ে বিচার করলে তাঁকে সুলতানি আমলের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা যেতে পারে ।