রামকৃষ্ণ বিশ্বাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Ramkrishna Biswas.jpg|thumb|রামকৃষ্ণ বিশ্বাস]]
[[File:Ramkrishna Biswas.jpg|thumb|রামকৃষ্ণ বিশ্বাস]]
'''রামকৃষ্ণ বিশ্বাস''' ({{lang-en|Ramkrishna Bishwas}}) ([[জানুয়ারি ১৬|১৬ জানুয়ারি]], [[১৯১০]] - [[আগস্ট ৪|৪ আগস্ট]], [[১৯৩১]]) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন। ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন|চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের]] নেতা [[সূর্য সেন|সূর্য সেনের]] বিপ্লবী দলের সভ্য হিসেবে ১৯৩০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বোমাপ্রস্তুত করার সময় সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। মাস্টারদার নির্দেশে [[১৯৩০]] সালের [[জানুয়ারি ১২|১২ জানুয়ারি]] তিনি এবং কালী চক্রবর্তী [[চাঁদপুর]] স্টেশনে ইনস্পেক্টর জেনারেল ক্রেগকে হত্যা করতে গিয়ে তারিণী মুখার্জিকে হত্যা করেন। ২২ মাইল দূরে গিয়ে ধরা পড়েন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬৫৭, ISBN 978-81-7955-135-6</ref><ref>[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''[[জেলে ত্রিশ বছর]]'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৮৩।</ref>
'''রামকৃষ্ণ বিশ্বাস''' ({{lang-en|Ramkrishna Bishwas}}) ([[জানুয়ারি ১৬|১৬ জানুয়ারি]], [[১৯১০]] - [[আগস্ট ৪|৪ আগস্ট]], [[১৯৩১]]) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন। ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন|চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের]] নেতা [[সূর্য সেন|সূর্য সেনের]] বিপ্লবী দলের সভ্য হিসেবে ১৯৩০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বোমাপ্রস্তুত করার সময় সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। মাস্টারদার নির্দেশে [[১৯৩০]] সালের [[জানুয়ারি ১২|১২ জানুয়ারি]] তিনি এবং কালী চক্রবর্তী [[চাঁদপুর]] স্টেশনে ইনস্পেক্টর জেনারেল ক্রেগকে হত্যা করতে গিয়ে তারিণী মুখার্জিকে হত্যা করেন। ২২ মাইল দূরে গিয়ে ধরা পড়েন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬৫৭, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref><ref>[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''[[জেলে ত্রিশ বছর]]'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৮৩।</ref>


==জন্ম==
==জন্ম==

২৩:১৫, ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রামকৃষ্ণ বিশ্বাস

রামকৃষ্ণ বিশ্বাস (ইংরেজি: Ramkrishna Bishwas) (১৬ জানুয়ারি, ১৯১০ - ৪ আগস্ট, ১৯৩১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন। ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের নেতা সূর্য সেনের বিপ্লবী দলের সভ্য হিসেবে ১৯৩০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বোমাপ্রস্তুত করার সময় সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। মাস্টারদার নির্দেশে ১৯৩০ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এবং কালী চক্রবর্তী চাঁদপুর স্টেশনে ইনস্পেক্টর জেনারেল ক্রেগকে হত্যা করতে গিয়ে তারিণী মুখার্জিকে হত্যা করেন। ২২ মাইল দূরে গিয়ে ধরা পড়েন।[১][২]

জন্ম

রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম চট্টগ্রামের সারোয়াতলীতে। তাঁর পিতার নাম দুর্গাকৃপা বিশ্বাস।[১]

রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সান্নিধ্যে প্রীতিলতা

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রীতিলতার ভাস্কর্য।

১৯৩০ সালে টি জে ক্রেগ বাংলার ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পদে নতুন দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম সফরে আসেন। তাঁকে হত্যা করার জন্য মাষ্টার’দা রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং কালীপদ চক্রবর্তীকে মনোনীত করলেন। পরিকল্পনা অনু্যায়ী ১৯৩০ সালের ২রা ডিসেম্বর চাঁদপুর রেলস্টেশনে তাঁরা রিভলবার নিয়ে আক্রমণ চালায় কিন্তু ভুল করে তাঁরা মিঃ ক্রেগের পরিবর্তে চাঁদপুরের এস ডি ও তারিণী মুখার্জিকে হত্যা করেন। সেদিনেই পুলিশ বোমা আর রিভলবার সহ রামকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং কালীপদ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে।[৩][৪] এই বোমাগু্লোই কলকাতা থেকে মনোরঞ্জন রায় চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। তারিণী মুখার্জি হত্যা মামলার রায়ে রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের মৃত্যুদন্ড এবং কালীপদ চক্রবর্তীকে নির্বাসন দন্ড দেয়া হয়।[৫] ব্যয়বহুল বলে আলিপুর জেলের ফাঁসির সেলে মৃত্যু গ্রহণের প্রতীক্ষারত রামকৃষ্ণের সাথে চট্টগ্রাম থেকে আত্নীয়দের মধ্যে কেউ দেখা করতে আসা সম্ভব ছিল না। এ খবর জানার পর মনোরঞ্জন রায় প্রীতিলতার কাছে লেখা এক চিঠিতে রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে দেখা করার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেন। মনোরঞ্জন রায়ের মা হিজলী জেলে ছেলের সাথে দেখা করতে গেলে গোপনে তিনি প্রীতিলতাকে লেখা চিঠিটা তাঁর হাতে দেন।[৬] গুনু পিসির উপদেশ অনুযায়ী প্রীতিলতা মৃত্যুপ্রতীক্ষারত রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে দেখা করার জন্য আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষের কাছে “অমিতা দাস” ছদ্মনামে “কাজিন” পরিচয় দিয়ে দরখাস্ত করেন।[৭] জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে তিনি প্রায় চল্লিশবার রামকৃষ্ণের সাথে দেখা করেন।[৮] এ সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন “তাঁর (রামকৃষ্ণ বিশ্বাস) গাম্ভীর্যপুর্ণ চাউনি, খোলামেলা কথাবার্তা, নিঃশঙ্ক চিত্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা, ঈশ্বরের প্রতি অচলা ভক্তি, শিশুসুলভ সারল্য, দরদীমন এবং প্রগাঢ় উপলব্দিবোধ আমার উপর গভীর রেখাপাত করল। আগের তুলনায় আমি দশগুন বেশি কর্মতৎপর হয়ে উঠলাম। আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত এই স্বদেশপ্রেমী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ আমার জীবনের পরিপূর্ণতাকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল।”[৯] ১৯৩১ সালের ৪ আগস্ট রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসী হয়।[১০] এই ঘটনা প্রীতিলতার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। তাঁর ভাষায় “রামকৃষ্ণদার ফাঁসীর পর বিপ্লবী কর্মকান্ডে সরাসরি যুক্ত হবার আকাঙ্ক্ষা আমার অনেক বেড়ে গেল।”[৬][৭][৯]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬৫৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৮৩।
  3. সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন, রুপময় পাল, পৃ ১৫৪, ১৯৮৬, দীপায়ন, কলকাতা
  4. প্রীতিলতা, সম্পাদনা শংকর ঘোষ, পৃ ৩৪, ২০০৮, প্রমিথিউসের পথে, কলকাতা
  5. সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন, রুপময় পাল, পৃ ১৬১, ১৯৮৬, দীপায়ন, কলকাতা
  6. সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন, রুপময় পাল, পৃ ১৬২, ১৯৮৬, দীপায়ন, কলকাতা
  7. DO AND DIE: The Chittagong Uprising: 1930-34, Manini Chatterjee, Page 182, 1999, Penguin Books, India
  8. প্রীতিলতা, সম্পাদনা শংকর ঘোষ, পৃ ১৩৯, ২০০৮, প্রমিথিউসের পথে, কলকাতা
  9. প্রীতিলতা, সম্পাদনা শংকর ঘোষ, পৃ ১১১, ২০০৮, প্রমিথিউসের পথে, কলকাতা
  10. সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন, রুপময় পাল, পৃ ১৬৩, ১৯৮৬, দীপায়ন, কলকাতা