ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
58.97.230.219-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে AftabBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
২০ নং লাইন: ২০ নং লাইন:
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ছিলেন জাতিতে তুর্কি আর পেশায় ভাগ্যান্বেষী সৈনিক। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গের অধিবাসী<ref>Social History of the Muslim of Bengal, Abul Karim পৃষ্ঠাঃ ৮৬</ref>। তার বাল্যজীবন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে মনে করা হয় দারিদ্রের পীড়নে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং নিজের কর্মশক্তির উপর ভর করে অন্যান্য দেশবাসীর ন্যায় ভাগ্যান্বেষণে বের হন। প্রথমেই তিনি গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির সৈন্যবাহিনীতে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে ব্যর্থ হন। আকারে খাটো, লম্বা হাত এবং কুৎসিত চেহারার অধিকারী হওয়ায় সেনাধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। গজনীতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দিল্লিতে [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দীন আইবেকের]] দরবারে হাজির হন। এখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অতঃপর তিনি বদাউনে যান। সেখানকার শাসনকর্তা মালিক হিজবর-উদ্দিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ বেতনে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু উচ্চভিলাসি বখতিয়ার সামান্য বেতনভোগী সিপাহি হয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারেন নি। অল্পকাল পর তিনি বদাউন ত্যাগ করে অযোদ্ধায় যান। অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুইটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। এখানেই বখতিয়ার তার ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎস খুঁজে পান এবং এই দুটি পরগনাই পরবর্তীকালে তার শক্তির উৎস হয়ে ওঠে<ref>বাংলাদেশের ইতিহাস- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পৃষ্ঠাঃ ১৪৯</ref>।
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ছিলেন জাতিতে তুর্কি আর পেশায় ভাগ্যান্বেষী সৈনিক। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গের অধিবাসী<ref>Social History of the Muslim of Bengal, Abul Karim পৃষ্ঠাঃ ৮৬</ref>। তার বাল্যজীবন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে মনে করা হয় দারিদ্রের পীড়নে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং নিজের কর্মশক্তির উপর ভর করে অন্যান্য দেশবাসীর ন্যায় ভাগ্যান্বেষণে বের হন। প্রথমেই তিনি গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির সৈন্যবাহিনীতে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে ব্যর্থ হন। আকারে খাটো, লম্বা হাত এবং কুৎসিত চেহারার অধিকারী হওয়ায় সেনাধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। গজনীতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দিল্লিতে [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দীন আইবেকের]] দরবারে হাজির হন। এখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অতঃপর তিনি বদাউনে যান। সেখানকার শাসনকর্তা মালিক হিজবর-উদ্দিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ বেতনে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু উচ্চভিলাসি বখতিয়ার সামান্য বেতনভোগী সিপাহি হয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারেন নি। অল্পকাল পর তিনি বদাউন ত্যাগ করে অযোদ্ধায় যান। অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুইটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। এখানেই বখতিয়ার তার ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎস খুঁজে পান এবং এই দুটি পরগনাই পরবর্তীকালে তার শক্তির উৎস হয়ে ওঠে<ref>বাংলাদেশের ইতিহাস- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পৃষ্ঠাঃ ১৪৯</ref>।


== বিহার দখল ==
== বিহার বিজয় ==
[[File:Nalanda University India ruins.jpg|thumb|নালন্দা বিহার।]]
[[File:Nalanda University India ruins.jpg|thumb|নালন্দা বিহার।]]
১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দু হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ ও লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার লুটতরাজের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকে, এতে করে তার সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি একদিন এক প্রাচীরবেষ্টিত দুর্গের মতো স্থানে আসেন এবং আক্রমণ করেন। প্রতিপক্ষ কোনো বাধাই দেয় নি। দূর্গজয়ের পর তিনি দেখলেন যে দুর্গের অধিবাসীরা প্রত্যেকেই মুণ্ডিতমস্তক এবং দূর্গটি বইপত্র দিয়ে ভরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানতে পারলেন যে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার দখল করেছেন। এটি ছিল ওদন্ত বিহার বা ওদন্তপুরী বিহার। সেই সময় থেকেই মুসলমানেরা জায়গাটিকে বিহার বা বিহার শরিফ নামে ডাকে।
১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দু হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ ও লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকে, এতে করে তার সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি একদিন এক প্রাচীরবেষ্টিত দুর্গের মতো স্থানে আসেন এবং আক্রমণ করেন। প্রতিপক্ষ কোনো বাধাই দেয় নি। দূর্গজয়ের পর তিনি দেখলেন যে দুর্গের অধিবাসীরা প্রত্যেকেই মুণ্ডিতমস্তক এবং দূর্গটি বইপত্র দিয়ে ভরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানতে পারলেন যে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার জয় করেছেন। এটি ছিল ওদন্ত বিহার বা ওদন্তপুরী বিহার। সেই সময় থেকেই মুসলমানেরা জায়গাটিকে বিহার বা বিহার শরিফ নামে ডাকে।


বিহার দখলের পর বখতিয়ার খলজি অনেক ধনরত্ন সহ কুতুব-উদ্দিন আইবকের সাথে দেখা করতে যান এবং [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দিন]] কর্তৃক সম্মানিত হয়ে ফিরে আসেন। এর পরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন।
বিহার জয়ের পর বখতিয়ার খলজি অনেক ধনরত্ন সহ কুতুব-উদ্দিন আইবকের সাথে দেখা করতে যান এবং [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দিন]] কর্তৃক সম্মানিত হয়ে ফিরে আসেন। এর পরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন।


== বাংলা দখল ==
== বাংলা বিজয় ==
তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী [[নদিয়া জেলা|নদিয়ায়]] অবস্থান করছিলেন কারণ [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। এতে করে [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদিয়ার প্রবেশপথ রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author=Sen, Amulyachandra|year=1954|title=Rajagriha and Nalanda|series=Institute of Indology, volume 4|publisher=Calcutta Institute of Indology, Indian Publicity Society|location=Calcutta|page=52|oclc=28533779}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Far East Kingdoms|url=http://www.historyfiles.co.uk/KingListsFarEast/IndiaBengal.htm}}</ref>। বখতিয়ার সোজা রাজা [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] প্রাসাদদ্বারে উপস্থিত হন এবং দ্বাররক্ষী ও প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। এতে প্রাসাদের ভিতরে হইচই পড়ে যায় এবং লক্ষণ সেন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌপথে বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন। <br />
তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী [[নদিয়া জেলা|নদিয়ায়]] অবস্থান করছিলেন কারণ [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। এতে করে [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদিয়ার প্রবেশপথ রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author=Sen, Amulyachandra|year=1954|title=Rajagriha and Nalanda|series=Institute of Indology, volume 4|publisher=Calcutta Institute of Indology, Indian Publicity Society|location=Calcutta|page=52|oclc=28533779}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Far East Kingdoms|url=http://www.historyfiles.co.uk/KingListsFarEast/IndiaBengal.htm}}</ref>। বখতিয়ার সোজা রাজা [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] প্রাসাদদ্বারে উপস্থিত হন এবং দ্বাররক্ষী ও প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। এতে প্রাসাদের ভিতরে হইচই পড়ে যায় এবং লক্ষণ সেন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌপথে বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন। <br />
নদিয়া দখল করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর ([[গৌড়]]) দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। [[গৌড়]] দখলের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাসণভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।
নদিয়া জয় করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর ([[গৌড়]]) দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। [[গৌড়]] জয়ের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাসণভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।


== তিব্বত আক্রমণ ==
== তিব্বত আক্রমণ ==
৩৯ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:


== বিতর্ক ও সমালোচনা ==
== বিতর্ক ও সমালোচনা ==
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দিন শিরাজের '''তবকাৎ-ই-নাসিরী''' গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা দখলের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণ‌না থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা দখলের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে।
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দিন শিরাজের '''তবকাৎ-ই-নাসিরী''' গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা বিজয়ের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণ‌না থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা জয়ের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে।


১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়।<ref name="Siraj-552">{{harvcol|Minhāju-s Sirāj|1881|p=[http://books.google.com/books?id=u_ixTEEz8ssC&pg=552 552]}}</ref><ref>Dr. Ambedkar speech in Colombo Sri Lanka 29th May 1950.</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Cepe Rākhā Itihāsa (History Hushed Up)|author=Mortajā, Golama Ahamada|year=2007|publisher=Biśvabaṅgīẏa Prakāśana|location=Calcutta|isbn=978-81-88792-12-2|language=Bengali}} <span style="color:blue;">pinpoint page cite requested</span></ref>
১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়। তবে এসম্পর্কিত মূল সূত্র থেকে জানা যায় যে খিলজি এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলেন যে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়।<ref name="Siraj-552">{{harvcol|Minhāju-s Sirāj|1881|p=[http://books.google.com/books?id=u_ixTEEz8ssC&pg=552 552]}}</ref><ref>Dr. Ambedkar speech in Colombo Sri Lanka 29th May 1950.</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Cepe Rākhā Itihāsa (History Hushed Up)|author=Mortajā, Golama Ahamada|year=2007|publisher=Biśvabaṅgīẏa Prakāśana|location=Calcutta|isbn=978-81-88792-12-2|language=Bengali}} <span style="color:blue;">pinpoint page cite requested</span></ref>


== অর্জন ==
== অর্জন ==
১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় বাংলাদেশি কবি [[আল মাহমুদ]] "বখতিয়ারের ঘোড়া" নামক এক কাব্যগ্রন্থ লেখেন যেখানে বখতিয়ার খলজিকে বাংলার একজন গুরুত্ত্বপূর্ণ বীর হিসেবে উল্লেখ করেন৷ <ref>The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith By Sir Thomas Walker Arnold, pg. 227-228</ref>
১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় বাংলাদেশি কবি [[আল মাহমুদ]] "বখতিয়ারের ঘোড়া" নামক এক কাব্যগ্রন্থ লেখেন যেখানে বখতিয়ার খলজিকে বাংলার একজন গুরুত্ত্বপূর্ণ বীর হিসেবে উল্লেখ করেন ৷ বাংলার ইতিহাসে তিনি একজন অন্যতম পরিচিত ব্যক্তি ৷ <ref>The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith By Sir Thomas Walker Arnold, pg. 227-228</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৮:৩৩, ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি
মৃত্যু১২০৬
পেশাসেনাধ্যক্ষ

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (ফার্সি: اختيار الدين محمد بن بختيار الخلجي) একজন তুর্কি সেনাপতি। তিনি ১২০৫-৬ সালের দিকে তৎকালীন বঙ্গের শাসক সেন রাজবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন গৌড় দখল করেন। লক্ষণ সেন প্রাণ নিয়ে পালিয়ে তৎকালীন বঙ্গে পালিয়ে যান এবং তার সৈন্যরা পরাজিত হয়ে নদিয়া শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

বখতিয়ার নদিয়া শহর অধিকার করে তা ধ্বংস করেন এবং এই শহরে রাজধানী না করে গৌড়-লক্ষণাবতীতে গিয়ে রাজধানী স্থাপন করেন।

পূর্ব জীবন

বখতিয়ার খলজি (ফারসি : اختيار الدين محمد بن بختيار الخلجي )যাকে 'মালিক গাজি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, ছিলেন মুসলিম খলজি উপজাতির একজন সদস্য। মুসলিম খলজি উপজাতি উত্তর-পূর্বের প্রায় সকল দখল-যুদ্ধে যোগদানকারী সেনাবাহিনীর অধিপতিদের কাজে নিযুক্ত ছিল।

ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ছিলেন জাতিতে তুর্কি আর পেশায় ভাগ্যান্বেষী সৈনিক। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গের অধিবাসী[১]। তার বাল্যজীবন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে মনে করা হয় দারিদ্রের পীড়নে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং নিজের কর্মশক্তির উপর ভর করে অন্যান্য দেশবাসীর ন্যায় ভাগ্যান্বেষণে বের হন। প্রথমেই তিনি গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির সৈন্যবাহিনীতে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে ব্যর্থ হন। আকারে খাটো, লম্বা হাত এবং কুৎসিত চেহারার অধিকারী হওয়ায় সেনাধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। গজনীতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দিল্লিতে কুতুবউদ্দীন আইবেকের দরবারে হাজির হন। এখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অতঃপর তিনি বদাউনে যান। সেখানকার শাসনকর্তা মালিক হিজবর-উদ্দিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ বেতনে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু উচ্চভিলাসি বখতিয়ার সামান্য বেতনভোগী সিপাহি হয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারেন নি। অল্পকাল পর তিনি বদাউন ত্যাগ করে অযোদ্ধায় যান। অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুইটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। এখানেই বখতিয়ার তার ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎস খুঁজে পান এবং এই দুটি পরগনাই পরবর্তীকালে তার শক্তির উৎস হয়ে ওঠে[২]

বিহার বিজয়

নালন্দা বিহার।

১২০১ সালে বখতিয়ার মাত্র দু হাজার সৈন্য সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যগুলো আক্রমণ ও লুণ্ঠন করতে থাকেন। সেই সময়ে তার বীরত্বের কথা চারিদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং অনেক ভাগ্যান্বেষী মুসলিম সৈনিক তার বাহিনীতে যোগদান করতে থাকে, এতে করে তার সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে তিনি একদিন এক প্রাচীরবেষ্টিত দুর্গের মতো স্থানে আসেন এবং আক্রমণ করেন। প্রতিপক্ষ কোনো বাধাই দেয় নি। দূর্গজয়ের পর তিনি দেখলেন যে দুর্গের অধিবাসীরা প্রত্যেকেই মুণ্ডিতমস্তক এবং দূর্গটি বইপত্র দিয়ে ভরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানতে পারলেন যে তিনি একটি বৌদ্ধ বিহার জয় করেছেন। এটি ছিল ওদন্ত বিহার বা ওদন্তপুরী বিহার। সেই সময় থেকেই মুসলমানেরা জায়গাটিকে বিহার বা বিহার শরিফ নামে ডাকে।

বিহার জয়ের পর বখতিয়ার খলজি অনেক ধনরত্ন সহ কুতুব-উদ্দিন আইবকের সাথে দেখা করতে যান এবং কুতুবউদ্দিন কর্তৃক সম্মানিত হয়ে ফিরে আসেন। এর পরই তিনি বাংলা জয়ের জন্য সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন।

বাংলা বিজয়

তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী নদিয়ায় অবস্থান করছিলেন কারণ নদিয়া ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। এতে করে লক্ষণ সেনের মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদিয়ার প্রবেশপথ রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। লক্ষণ সেনের ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। নদিয়া অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন[৩][৪]। বখতিয়ার সোজা রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদদ্বারে উপস্থিত হন এবং দ্বাররক্ষী ও প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। এতে প্রাসাদের ভিতরে হইচই পড়ে যায় এবং লক্ষণ সেন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌপথে বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন।
নদিয়া জয় করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর (গৌড়) দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। গৌড় জয়ের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাসণভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।

তিব্বত আক্রমণ

বখতিয়ারের রাজ্য পূর্বে তিস্তা নদীকরতোয়া নদী, দক্ষিণে পদ্মা নদী, উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট হয়ে রংপুর শহর পর্যন্ত এবং পশ্চিমে পূর্বে অধিকৃত বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যদিও বাংলাদেশের বৃহদাংশ তার রাজ্যের বাইরে ছিল, ঐসব অঞ্চল দখল না করে তিনি তিব্বত আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। উদ্দেশ্য ছিল তুর্কিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। তিব্বত আক্রমণের রাস্তা আবিষ্কারের জন্য বখতিয়ার বাংলার উত্তর পূর্বাংশের উপজাতীগোষ্টির সদস্য আলী মেচকে নিয়োগ দেন।

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর তিনি তিন জন সেনাপতি ও প্রায় দশ হাজার সৈন্য সামন্ত নিয়ে লখনৌতি থেকে তিব্বতের দিকে রওনা দেন[৫]। সৈন্যবাহিনী বর্ধনকোট শহরের কাছে পৌছালে তারা তিস্তা নদীর চেয়েও তিন গুন চওড়া বেগমতী নদী পার না হয়ে নদীর তীর ধরে তিন দিন দূরত্ব চলার পর একটি পাথরের সেতুর নিকটে আসেন এবং সেখানে তার দুইজন সেনাপতিকে সেতুর সুরক্ষায় রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হন। সামনে একটি কেল্লা পরে। ঐ কেল্লার সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে বখতিয়ার জয় করলেও সৈন্যবাহিনী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। কেল্লার সৈন্যদের থেকে বখতিয়ার জানতে পারেন যে অদূরে করমবত্তন নামক শহরে কয়েক লক্ষ সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এই কথা শুনে বখতিয়ার সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। ফেরার পথে তার সৈন্যরা অসীম কষ্ট সহ্য করে। সেতুর কাছে এসে বখতিয়ার দেখেন যে পার্বত্য লোকেরা তার দুই সেনাপতির উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের মেরে ফেলেছে এবং সেতুটি পুরোপুরি বিদ্ধস্ত করে দিয়েছে। এরপর বখতিয়ার খুব অল্প সংখ্যক সৈন্য সহ ফিরে আসতে সক্ষন হন। এই ঘটনার পরেই বখতিয়ার বুঝতে পারেন যে তিব্বত অভিযান বিফল হওয়ার ফলে তার শক্তি মারাত্বক ভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

মৃত্যু

তিব্বত অভিযান বিফল হলে বখতিয়ার দেবকোটে ফিরে আসেন। গৌহাটির নিকটে ব্রহ্মপুত্রের তীরে কানাই বড়শি বোয়া নামক স্থানে তুর্কি সেনাদলের বিধ্স্ত হওয়ার বিভিন্ন আলামত পাওয়া যায়। তিব্বত অভিযান বিফল এবং সৈন্যবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির ফলে লখনৌতির মুসলিম রাজ্যের প্রজারের মধ্যে বিদ্রোহ ও বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। এরই ফলে বাংলার ছোট ছোট মুসলিম রাজ্যগুলো দিল্লির সাথে সম্ভাব্য বিরোধে আগে থেকেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে। এরকম নানাবিধ চিন্তা, এবং পরাজয়ের গ্লানিতে বখতিয়ার অসুস্থ এবং পরে শয্যাশায়ী হন। এর অল্প কিছুদিন বাদে ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ অনুমান করেন যে বখতিয়ারের মৃত্যুতে তার সেনাপতি আলিমর্দান খলজির হাত ছিল[৬]

বিতর্ক ও সমালোচনা

ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দিন শিরাজের তবকাৎ-ই-নাসিরী গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা বিজয়ের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণ‌না থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা জয়ের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে।

১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়। তবে এসম্পর্কিত মূল সূত্র থেকে জানা যায় যে খিলজি এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলেন যে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়।[৭][৮][৯]

অর্জন

১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় বাংলাদেশি কবি আল মাহমুদ "বখতিয়ারের ঘোড়া" নামক এক কাব্যগ্রন্থ লেখেন যেখানে বখতিয়ার খলজিকে বাংলার একজন গুরুত্ত্বপূর্ণ বীর হিসেবে উল্লেখ করেন ৷ বাংলার ইতিহাসে তিনি একজন অন্যতম পরিচিত ব্যক্তি ৷ [১০]

তথ্যসূত্র

  1. Social History of the Muslim of Bengal, Abul Karim পৃষ্ঠাঃ ৮৬
  2. বাংলাদেশের ইতিহাস- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পৃষ্ঠাঃ ১৪৯
  3. Sen, Amulyachandra (১৯৫৪)। Rajagriha and Nalanda। Institute of Indology, volume 4। Calcutta: Calcutta Institute of Indology, Indian Publicity Society। পৃষ্ঠা 52। ওসিএলসি 28533779 
  4. "Far East Kingdoms" 
  5. Social History of the Muslim of Bengal, Abul Karim পৃষ্ঠাঃ ৮৯
  6. "History of Dinajpur District: Muslim Period" 
  7. (Minhāju-s Sirāj 1881:552)
  8. Dr. Ambedkar speech in Colombo Sri Lanka 29th May 1950.
  9. Mortajā, Golama Ahamada (২০০৭)। Cepe Rākhā Itihāsa (History Hushed Up) (Bengali ভাষায়)। Calcutta: Biśvabaṅgīẏa Prakāśana। আইএসবিএন 978-81-88792-12-2  pinpoint page cite requested
  10. The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith By Sir Thomas Walker Arnold, pg. 227-228