জ্যাক লিওন্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray ব্যবহারকারী জ্যাক লিওন পাতাটিকে জ্যাক লিওন্স শিরোনামে কোনো পুনর্নির্দেশনা ছাড়াই স্থা...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৫:৫৩, ২৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জে.জে. লিওন
জ্যাক লিওন
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১৫৩
রানের সংখ্যা ৭৩১ ৬৭৫৩
ব্যাটিং গড় ২৭.০৭ ২৫.৫৭
১০০/৫০ ১/৩ ১১/২৮
সর্বোচ্চ রান ১৩৪ ১৪৯
বল করেছে ৩১৬ ৬৮৪৩
উইকেট ১০৭
বোলিং গড় ২৪.৮৩ ৩০.১৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৩০ ৬/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/০ ৬০/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

জন জেমস জ্যাক বা জে.জে. লিওন (ইংরেজি: Jack Lyons; জন্ম: ২১ মে, ১৮৬৩ - মৃত্যু: ২১ জুলাই, ১৯২৭) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার গলারে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৭ থেকে ১৮৯৭ সময়কালে ১৪ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক লিওন। এছাড়াও, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৮৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল তাঁর।

১৮৮৮, ১৮৯০ ও ১৮৯৩ সালে সর্বমোট তিনবার ইংল্যান্ড সফরে যান। এ সফরগুলোয় তিনি ব্যাট হাতে হার্ড হিটার ভূমিকা পালন করেন। জর্জ বোনরের ন্যায় তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। পার্সি ম্যাকডোনেলের ন্যায় সকল ধরনের উইকেটেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেননি। তবে স্পিন বল যদি বাঁক নিতো তাহলে তিনি সহজেই বোলারের শিকারে পরিণত হতেন। কিন্তু, হার্ড ও প্রকৃত উইকেটে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতেন। বিশেষ করে সেরা বোলারগণ তাঁর হাতে বেশ নাকানি-চুবানি খেতেন। প্রথম সফরেই তিনি সফলতা পান। ১৮৯১-৯২ মৌসুমের শীতকালে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের নেতৃত্বাধীন লর্ড শেফিল্ডের দলের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ১৩৪ রানের চমকপ্রদ ইনিংস খেলেন। ১৮৯৩ সালে ইংরেজরা তাঁর সেরা খেলা অবলোকন করে। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ১,৬০৫ রান তুলে ২৮ ঊর্ধ্ব গড়ে। তন্মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর করেন ১৪৯। এর পরের বারও তিনি ২৩ ইনিংসে ৩৩ গড়ে ৭৬১ তোলেন। মে, ১৮৯৩ সালে লর্ডসে লিওন তাঁর সেরা ইনিংসটি উপহার দেন। অস্ট্রেলীয়রা দ্বিতীয়বারের মতো শক্তিশালী এমসিসি দলের বিপক্ষে ১৮১ রান পিছনে থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন। এক উইকেট পতনের পর লিওন ও আলিক ব্যানারম্যান উইকেটে নামেন। এবার তিনি করেন ১৪৯ রান। ১২৪ রানের জুটিতে তাঁর সংগৃহীত ১০০ রান তুলেন এক ঘন্টায়। সম্পূর্ণ ইনিংসে তিনি বাইশ চার, তিনটি তিন, বিশটি দুই এবং বারোটি একক রান ছিল। ঐদিন দর্শকেরা লর্ডসে অন্যতম সেরা ব্যাটিং প্রদর্শনী অবলোকন করেন।

লিওনের ব্যাটিং কৌশল তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রভাববিস্তার করলেও একসময় কার্যকরী বোলার হিসেবেও নিজের পরিচিতি ঘটান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে ৭/৯৪ পান। ১৮৯০ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৫/৩০ লাভের পাশাপাশি ৫৫ ও ৩৩ রান তুলে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন।

অবসর

১৯২৫-২৬ মৌসুমে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত এক খেলায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের খেলায় অংশ নেন। সকল ধরনের উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিল £১,২৫২ পাউন্ড।[১]

৬৪ বছর বয়সে অ্যাডিলেডের মাগিল এলাকায় তাঁর দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ