কো জে চেয়ল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২২ নং লাইন: ২২ নং লাইন:
=== আগর্সবার্গ ===
=== আগর্সবার্গ ===
২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট কো জে চেয়ল আগর্সবার্গে যোগ দেয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে হ্যাট্রিকের মাধ্যমে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম হ্যাট্রিক করেন।
২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট কো জে চেয়ল আগর্সবার্গে যোগ দেয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে হ্যাট্রিকের মাধ্যমে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম হ্যাট্রিক করেন।

== আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ==
২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপে দক্ষিন কোরিয়ার হয়ে খেলেন এবং টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান অধিকার করে। টুর্নামেন্টে ৫ টি গোল এবং ৩ টি এসিস্ট করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে দক্ষিন কোরিয়া জাতীয় দলে সেন্টাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেন। তার দেয়া একটি গোলের সুবাদে আরেক এশিয়ান দল জাপানকে ২-০ গোলে হারিয়ে তামা জিতে নেয় দক্ষিন কোরিয়া। দক্ষিন কোরিয়া ফুটবল দল সেবার অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার তামা জিতে।

২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়। তার দেয়া গোলের পরেও গ্রুপের ২য় ম্যাচে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে পরাজিত হয় দক্ষিন কোরিয়া। ২০১৫ এশিয়ান কাপের জন্য তিনি দক্ষিন কোরিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত হন। দক্ষিন কোরিয়া প্রথম ম্যাচেই ওমানকে ১-০ গোলে হারায় এবং কো জে চেয়ল 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' নির্বাচিত হন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচে ইনজুরি হন বিধায় বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারেনি।

০৮:৪৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কো জে চেয়ল (হান্‌গেউল্: 구자철; জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) একজন দক্ষিন কোরিয়ান মিডফিল্ডার, যিনি বুন্দেসলিগায় এফসি আর্গসবার্গ এর হয়ে খেলেন এবং দক্ষিন কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া বিমান বাহিনির দুত হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুন কো তার থেকে ৩ বছরের বড় জেজু নামক মহিলাকে শেরাটন গ্র্যান্ড অয়েল্কারহিল হোটেলে বিয়ে করেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার

কো ১০ বছর বয়সে তার স্কুল দলের হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। প্রথমে ডিফেন্ডার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি বোইন হাই স্কুল ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন, কো একটি টুর্নামেন্টে তার স্কুল দলকে নেতৃত্ব দেন। ঐ টুর্নামেন্টে চমৎকার খেলে রানার্স-আপ করান দলকে। টুর্নামেন্ট চলাকালে তিনি জেজু ইউনাইটেডের কোচ জুং হায় সেয়ং এর নজরে পড়েন।

জেজু ইউনাইটেড

২০০৭ সালে কে-লিগের ড্রাফটে জেজু ইউনাইটেডে যোগ দেয়। তিনি ১ম দুই বছর ইনজুরির কারনে জেজু ইউনাইটেডের হয়ে ভালো খেলতে পারেনি। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে কো ইংলিশ ক্লাব ব্র্যাকবার্ন রোভার্সের ট্রায়ালে আমন্ত্রিত হন, কিন্তু ট্রায়ালে উর্ত্তীন হতে পারেননি। ২০১০ সালে জেজু ইউনাইটেডের হয়ে সেরা মৌসুম কাটান, সেবার তার ক্লাব রানার্স-আপ হয়। তিনি ঐ মৌসুমে ব্যাক্তিগত বেশ কয়েকটি পুরুস্কার জেতেন। 'ফ্যান্টাস্টিক প্লেয়ার পুরুস্কার' এবং 'টপ এসিস্ট পুরুস্কার' জিতে দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন।

ভিএফএল উলসবার্গ

২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারিতে কো শীতকালীন দলবদলে জার্মান ক্লাব উলসবার্গে ৩ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ১২ অক্টোবরে হ্যামবার্গার এসভি'র বিপক্ষে অভিষেক হয়, ঐ ম্যাচে ৬৪ মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে খেলেন এবং ১-০ গোলে হেরে যান।

আগর্সবার্গ (লোন)

২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে লিগ প্রতিদন্ধি এফসি আগর্সবার্গে যোগ দেন। লোনে খেলা চলাকালীন ৫ টি গোল দেন। তার চমৎকার পার্ফরমেন্সে আগর্সবার্গ তাদের প্রথম বুন্দেসলিগায় অবনমন এড়াতে সক্ষম হয়।

২য় মৌসুমে তিনি বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ডিএফবি-পোকাল কাপে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হন। ঐ ম্যাচে তিনি ফরাসি ফুটবলার ফ্রাঙ্ক রিবেরির সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একটি ফ্রি কিকের সময়ে রিবেরির কাছে এগিয়ে আসেন এবং রিবেরির মুখ স্পর্শ করেন, এতে রিবেরি মেজাজ হারিয়ে তাকে থাপ্পড় মেরে বসেন। এই ঘটনায় রেফারি থরস্টেন কিংহোফার রিবেরিকে হলুদ কার্ড দেখায়। এই ঘটনার জন্য বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ইয়ুর্প হেয়ঙ্কেস দুইজনকেই দায়ী করেন।

মেইঞ্জ জিরো ফাইভ

২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারিতে কো জে চেয়ল সাড়ে ৪ বছরের চুক্তিতে জার্মান ক্লাব মেইঞ্জ জিরো ফাইভে যোগ দেয়। এসসি ফেইবার্গের বিপক্ষে তার ১ম গোলের সুবাদে ২-০ গোলে জয় পায় মেইঞ্জ জিরো ফাইভ।

আগর্সবার্গ

২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট কো জে চেয়ল আগর্সবার্গে যোগ দেয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে হ্যাট্রিকের মাধ্যমে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম হ্যাট্রিক করেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপে দক্ষিন কোরিয়ার হয়ে খেলেন এবং টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান অধিকার করে। টুর্নামেন্টে ৫ টি গোল এবং ৩ টি এসিস্ট করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে দক্ষিন কোরিয়া জাতীয় দলে সেন্টাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেন। তার দেয়া একটি গোলের সুবাদে আরেক এশিয়ান দল জাপানকে ২-০ গোলে হারিয়ে তামা জিতে নেয় দক্ষিন কোরিয়া। দক্ষিন কোরিয়া ফুটবল দল সেবার অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার তামা জিতে।

২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়। তার দেয়া গোলের পরেও গ্রুপের ২য় ম্যাচে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে পরাজিত হয় দক্ষিন কোরিয়া। ২০১৫ এশিয়ান কাপের জন্য তিনি দক্ষিন কোরিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত হন। দক্ষিন কোরিয়া প্রথম ম্যাচেই ওমানকে ১-০ গোলে হারায় এবং কো জে চেয়ল 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' নির্বাচিত হন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচে ইনজুরি হন বিধায় বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারেনি।