জলঙ্গী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সংশোধন |
তথ্য সূত্র দেওয়া হচ্ছে। ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৯০ নং লাইন: | ৯০ নং লাইন: | ||
==বর্তমান অবস্থা== |
==বর্তমান অবস্থা== |
||
নদীকে দখল করে চাষবাস শুরু নদীর পারে যে পাড়বাঁধ রয়েছে, তার অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও পাড়বাঁধের উপরেই বসতি স্থাপন হয়েছে। কচুরি পানায় ভরেছে জলঙ্গি নদী। জলঙ্গি নদী যত্রতত্র নদীর ধার থেকে মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় নদীর গতিশীল ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। নদীর বুকে অবৈধ ভাবে ভেড়ি ও নদী অববাহিকা জুড়ে ভূমিক্ষয় বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী অগভীর হয়ে পড়ছে। |
|||
==শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী== |
==শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী== |
||
সত্যজিত রায়ের অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। জীবনানন্দ দাশের কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে |
সত্যজিত রায়ের অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। জীবনানন্দ দাশের কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে |
০৯:৪৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জলঙ্গী নদী | |
জলঙ্গী নদী
| |
দেশ | ভারত |
---|---|
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলাসমূহ | মুর্শিদাবাদ জেলা, নদিয়া জেলা |
নগরসমূহ | ইসলামপুর, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, মায়াপুর, ডোমকল, |
উৎস | পদ্মা নদী |
মোহনা | ভাগীরথী নদী |
দৈর্ঘ্য | ২২০ কিলোমিটার কিলোমিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "ক"। মাইল) |
জলঙ্গী নদী ভারত এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা ও নদিয়া জেলা দিয়ে প্রবাহিত।নদীটি মুর্শিদাবাদ জেলায় পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয় নদিয়া জেলার তেহট্ট,কৃষ্ণনগর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মায়াপুরের কাছে ভাগীরথী নদীতে মিলিত হয়েছে ।এই মিলিত নদী প্রবাহ এর পর হুগলি নদী নামে পরিচিত।নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।[১]।বর্তমানে নদীটিতে পলি জমে যাওয়ায় এটি তার গভীরতা হারিয়েছে।[২]
নদীর প্রবাহ
জলঙ্গী নদী মুর্শিদাবাদ জেলায় চর মধবোনার কাছে পদ্মা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উৎস স্থল থেকে দক্ষিণে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। প্রবাহ পথে নদীটি ইসলামপুর, ডোমকল, তেহট্ট, পলাশিপাড়া, চাপড়া অতিক্রম করে কৃষ্ণনগর এর কাছে এসে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছে। এর পর নদীটি পশ্চিমমুখী হয়ে মায়াপুর এর কাছে সাহেবগঞ্জে গঙ্গা নদী বা ভাগীরথী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই প্রবাহ পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার।নদীটির প্রবাহ পথে প্রচুর নদী বাঁক দেখা যায়। ভৈরব নদী এই নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং এই নদীটিই জলঙ্গী নদীর বেশির ভাগ জলের যোগান দেয়। বর্ষার মরশুম ছাড়া গ্রীষ্মের মরশুমে নদীটির জল অস্বভাবিক ভাবে কমে যায়।[৩]
বর্তমান অবস্থা
নদীকে দখল করে চাষবাস শুরু নদীর পারে যে পাড়বাঁধ রয়েছে, তার অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও পাড়বাঁধের উপরেই বসতি স্থাপন হয়েছে। কচুরি পানায় ভরেছে জলঙ্গি নদী। জলঙ্গি নদী যত্রতত্র নদীর ধার থেকে মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় নদীর গতিশীল ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। নদীর বুকে অবৈধ ভাবে ভেড়ি ও নদী অববাহিকা জুড়ে ভূমিক্ষয় বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী অগভীর হয়ে পড়ছে।
শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী
সত্যজিত রায়ের অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। জীবনানন্দ দাশের কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙ্গায়'। সাগর চট্টোপাধ্যায় ও নদীয়ার গনশিল্পী বাবলু হালদারের গান 'ও আমার জলঙগী নদী, তোর কোলে রইলাম আমি, জনম অবধি'[৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Adrir push for bridge/ Kolkata Plus"। সংগ্রহের তারিখ ০৫-০৮-০২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "জলঙ্গি নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায়,উদ্ববেগ"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৬-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "জলঙ্গি , তোমার জল কোথায়"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৬-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ https://en.wikipedia.org/wiki/Jalangi_River