রাজবাড়ী জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Tanmoy Datta (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
Tamanna883 (আলোচনা | অবদান) |
||
৬৪ নং লাইন: | ৬৪ নং লাইন: | ||
* [[কাজী মোতাহার হোসেন]], |
* [[কাজী মোতাহার হোসেন]], |
||
* [[মীর মোশাররফ হোসেন]], |
* [[মীর মোশাররফ হোসেন]], |
||
* [[আজমীর ফকির]] (রিপোর্টার), |
|||
* [[রোজিনা]] (অভিনেত্রী), |
|||
* মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী।<ref>{{cite web |url=http://www.rajbari.gov.bd/node/447208 |title= প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব |author= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |date= ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ |website= |publisher= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |accessdate= ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫}}</ref> |
* মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী।<ref>{{cite web |url=http://www.rajbari.gov.bd/node/447208 |title= প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব |author= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |date= ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ |website= |publisher= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |accessdate= ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫}}</ref> |
||
* [[সোহেলী আক্তার]] একজন [[বাংলাদেশী]] মহিলা ক্রিকেটার [http://cricketarchive.com/Archive/Players/425/425398/425398.html] |
* [[সোহেলী আক্তার]] একজন [[বাংলাদেশী]] মহিলা ক্রিকেটার [http://cricketarchive.com/Archive/Players/425/425398/425398.html] |
১৮:৫৮, ২৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রাজবাড়ী জেলা | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′ উত্তর ৮৯°৩০′ পূর্ব / ২৩.৭০০° উত্তর ৮৯.৫০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৭০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। জনসংখ্যার বিচারে এটি ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম এবং আয়তনের বিচারে ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম জেলা।
ভৌগোলিক সীমানা
রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পদ্মা নদী, পশ্চিম থেকে পূর্বে পদ্মা ও যমুনার সঙ্গমস্থল দৌলতদিয়ার সামান্য উত্তরে আরিচা ঘাট। পদ্মার অপর পারে পাবনা ও মানিকগঞ্জ। দক্ষিণে পদ্মার শাখা নদী গড়াই নদী, গড়াই-এর ওপারে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা। পূর্বে ফরিদপুর ও পশ্চিমে কুষ্টিয়া। রাজবাড়ীকে ঘিরে পদ্মা, চন্দনা, গড়াই নদী ও হড়াই নদী ।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
রাজবাড়ী জেলায় সর্বমোট ৪২টি ইউনিয়ন ও ৫টি উপজেলা রয়েছে।[১] উপজেলাগুলো হচ্ছেঃ
নামকরণের ইতিহাস
রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে কখন থেকে ও কোন রাজার নামানুসারে রাজবাড়ী নামটি এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলার রেল ভ্রমণ পুস্তকের (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) একশ নয় পৃষ্ঠায় রাজবাড়ী সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় সুবাদার নিযুক্ত হয়ে আসেন। এ সময় এ অঞ্চলে পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের জন্যে তিনি সংগ্রাম শাহকে নাওয়ারা প্রধান করে পাঠান। তিনি বানিবহতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং লালগোলা নামক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন। এ লালগোলা দুর্গই রাজবাড়ী শহরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বর্তমানে লালগোলা গ্রাম নামে পরিচিত। সংগ্রাম শাহ্ ও তাঁর পরিবার পরবর্তীকালে বানিবহের নাওয়ারা চৌধুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
এল.এন. মিশ্র উক্ত পুস্তকে উল্লেখ করেন যে, রাজা সংগ্রাম শাহের রাজদরবার বা রাজকাচারী ও প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী অফিস বর্তমান রাজবাড়ী এলাকাকে কাগজে কলমে রাজবাড়ী লিখতেন (লোকমুখে প্রচলিত)। ঐ পুস্তকের শেষের পাতায় রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে রাজবাড়ী নামটি লিখিত পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশনটি ১৮৯০ সালে স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক আনন্দনাথ রায় ফরিদপুরের ইতিহাস পুস্তকে বানিবহের বর্ণনায় লিখেছেন - নাওয়ারা চৌধুরীগণ পাঁচথুপি থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে বানিবহে এসে বসবাস শুরু করেন। বানিবহ তখন ছিল জনাকীর্ণ স্থান। বিদ্যাবাগিশ পাড়া, আচার্য পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া, শেনহাটিপাড়া, বসুপাড়া, বেনেপাড়া, নুনেপাড়া নিয়ে ছিল বানিবহ এলাকা। নাওয়ারা চৌধুরীগণের বাড়ি স্বদেশীগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল। মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজা সূর্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মচারী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সুর্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ করা হয় ১৮৯০ সালে। বিভিন্ন তথ্য হতে জানা যায় যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে করার দাবি তোলা হলে বানিবহের জমিদারগণ প্রবল আপত্তি তোলেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যে স্থানটিতে রাজবাড়ী রেল স্টেশন অবস্থিত উক্ত জমির মালিকানা ছিল বানিবহের জমিদারগণের। তাঁদের প্রতিবাদের কারণেই স্টেশনের নাম রাজবাড়ীই থেকে যায়। এ সকল বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয় যে, রাজবাড়ী নামটি বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। এলাকার নাওয়ারা প্রধান, জমিদার, প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণ রাজা বলে অভিহিত হতেন। তবে রাজা সূর্য কুমার ও তাঁর পূর্ব পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ি বলে সমধিক পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।
জেলার পটভূমি
বর্তমান রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের পর উত্তর পশ্চিম ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কিয়দংশ) অঞ্চল রাজশাহীর জমিদারীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাটোর রাজার জমিদারী চিহ্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে স্নানমঞ্চ, দোলমঞ্চ। পরবর্তীতে এ জেলা এক সময় যশোর জেলার অংশ ছিল। ১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এছাড়াও রাজবাড়ী জেলার বর্তমান উপজেলাগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাংশা থানা এক সময় পাবনাজেলার অংশ ছিল। ১৮৫৯ সালে পাংশা ও বালিয়াকান্দিকে নবগঠিত কুমারখালী মহকুমার অধীনে নেয়া হয়। ১৮৭১ সালে গোয়ালন্দ মহকুমা গঠিত হলে পাংশা ও রাজবাড়ী এ নতুন মহকুমার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং রাজবাড়ীতে মহকুমা সদর দফতর স্থাপিত হয়। ১৮০৭ সালে ঢাকা জালালপুরের হেড কোয়ার্টার ফরিদপুরে স্থানান্তর করা হয় এবং পাংশা থানা ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসির সময় ঢাকা জালালপুর ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলে গোয়ালন্দ তখন ফরিদপুরের অধীনে চলে যায়। তখন পাংশা, বালিয়াকান্দি পাবনা জেলাধীন ছিল। ১৯৮৩ সালে সরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি থানাকে মান উন্নীত থানায় রূপান্তরিত করলে রাজবাড়ীকে মান উন্নীত থানা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই জুলাই থেকে সরকার অধ্যাদেশ জারী করে সকল মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করার ফলে রাজবাড়ী উপজেলা হয়। গোয়ালন্দ মহকুমার প্রশাসনিক দপ্তর রাজবাড়ীতে থাকায় অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ সকল মহকুমাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে রাজবাড়ী জেলায় রূপান্তরিত হয়।
অর্থনীতি
রাজবাড়ি জেলার অর্থনীতি কৃষিনির্ভর।জেলাটিতে ধান,পাট,গম,ইক্ষু,পিঁয়াজ,তামাক এবং ডাল জাতীয় কৃষিজাত পণ্য উৎপাদিত হয়।জেলাটি শিল্পে সমৃদ্ধ না হলেও অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।
চিত্তাকর্ষক স্থান
- রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন - ১৮৭৮ সালে বাণিবহের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও তার ভাই অভয় শংকর মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন; যা ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর এই স্থাপনাকে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে;[২]
- রাজবাড়ী সরকারি কলেজ,রাজবাড়ী
- শাহ পাহলোয়ানের মাজার;
- দাদ্শী মাজার শরীফ - রাজবাড়ী শহর থেকে ১ কিঃমিঃ পূর্বে;
- জামাই পাগলের মাজার - রাজবাড়ী শহরের ৬ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে আহলাদিপুর মোড়;
- নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির - বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া গ্রাম;
- সমাধিনগর মঠ - বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন;
- রথখোলা সানমঞ্চ - বেলগাছি;
- নীলকুঠি;
- মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র - পদমদী;
- দৌলতদিয়া ঘাট;
- চাঁদ সওদাগরের ঢিবি;
- কল্যাণদিঘি;
- গোয়ালন্দ ঘাট।
বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
- কাজী মোতাহার হোসেন,
- মীর মোশাররফ হোসেন,
- আজমীর ফকির (রিপোর্টার),
- মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী।[৩]
- সোহেলী আক্তার একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার [১]
চিত্র গ্যালারি
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫)। "রাজবাড়ী জেলার উপজেলাসমূহের ইউনিয়নগুলোর তালিকা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫)। "রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যাড়য়ের লাল ভবনের ঐতিহ্য"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫)। "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |