আব্দুল মালেক উকিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ →ব্যক্তিগত জীবন: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে |
|||
২৮ নং লাইন: | ২৮ নং লাইন: | ||
== ব্যক্তিগত জীবন == |
== ব্যক্তিগত জীবন == |
||
আব্দুল মালেক উকিল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শিল্প কাউন্সিল এবং নোয়াখালী জেলার পাবলিক লাইব্রেরীর সচিব ছিলেন। নোয়াখালী কলেজ, মাইজদি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাধের হাট আবদুল মালেক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মজীবনীসমূহের একজন নিয়মিত পাঠক ছিলেন এবং এগুলো তিনি সংগ্রহে রাখতেন। |
আব্দুল মালেক উকিল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শিল্প কাউন্সিল এবং নোয়াখালী জেলার পাবলিক লাইব্রেরীর সচিব ছিলেন। নোয়াখালী কলেজ, মাইজদি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাধের হাট আবদুল মালেক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মজীবনীসমূহের একজন নিয়মিত পাঠক ছিলেন এবং এগুলো তিনি সংগ্রহে রাখতেন। |
||
১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। |
১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। |
১৫:১০, ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আব্দুল মালেক উকিল | |
---|---|
জন্ম | অক্টোবর ১, ১৯২৪ নোয়াখালী জেলার রাজাপুর গ্রামে |
মৃত্যু | অক্টোবর ১৭, ১৯৮৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ |
সন্তান | ৭ |
আব্দুল মালেক উকিল (জন্ম: ১ অক্টোবর, ১৯২৪ - মৃত্যু: ১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭) বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন এবং নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
আব্দুল মালেক উকিল নোয়াখালী জেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষা জীবন নোয়াখালী আহমদিয়া উচ্চ মাদ্রাসায় শুরু হয়, যেখানে তিনি সাধারণ গণিতে লেটার মার্ক নিয়ে মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তিনি ছাত্রবৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি কলকাতার কিছু বৎসর শিক্ষা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি যশোর জেলার তৎকালিন মহকুমা মাগুরা কলেজ বর্তমানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা থেকে আইএ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এর দুই বছর পরে ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেন। পরের বছর তিনি তাঁর এম.এ. ডিগ্রী লাভ করে এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৫২ সালে নোয়াখালী জেলা বারে অ্যাডভোকেট হিসাবে তিনি তাঁর পেশাদার জীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা হাই কোর্ট বারের সদস্যপদ লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
আব্দুল মালেক উকিল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শিল্প কাউন্সিল এবং নোয়াখালী জেলার পাবলিক লাইব্রেরীর সচিব ছিলেন। নোয়াখালী কলেজ, মাইজদি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাধের হাট আবদুল মালেক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মজীবনীসমূহের একজন নিয়মিত পাঠক ছিলেন এবং এগুলো তিনি সংগ্রহে রাখতেন।
১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
রাজনৈতিক পেশাজীবন
ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ছাত্র হিসেবে তিনি ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতার আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৪৬ সালে তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলা, বিহার এবং আসামে একনিষ্ঠভাবে প্রচারণা চালান।
আবদুল মালেক উকিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবাস সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে তাঁকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁকেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পরবর্তীতে ২২ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এবং ১৯৫৪ সালের জুন মাসে ইস্ট বেঙ্গল পাবলিক সেফটি অধ্যাদেশ অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যার পর সেনাবাহিনী তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
তিনি ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬২-৬৪ সময়কালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন এবং ১৯৭২ সালে এখানে থেকে পদত্যাগ করেন। উপরন্তু, মালেক উকিল ১৯৫৬, ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা এবং সংযুক্ত প্রাদেশিক পরিষদ ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন সময় মালেক উকিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির নয়টি সদস্যদের একজন হিসাবে নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে লাহোরে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে তাঁরা একসাথে করাচীতে ভ্রমণ যান। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নোয়াখালী থেকে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।