উপসর্গ (ব্যাকরণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইফাজ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
প্রতাপ (প্র+তাপ) যার অর্থ
প্রতাপ (প্র+তাপ) যার অর্থ
পরাক্রান্ত বা বীরত্ব ।
পরাক্রান্ত বা বীরত্ব ।
অনুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ
অণুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ
অনুশোচনা বা আফসোস
অণুশোচনা বা আফসোস
ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত
ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত
হয়েছে এবং ‘তাপ’ শব্দের
হয়েছে এবং ‘তাপ’ শব্দের

১২:৩১, ১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

‘তাপ’ (বিশেষ্য পদ) তৎসম পদ । ‘তাপ’ অর্থ উষ্ণতা বা উত্তাপ । এর পূর্বে ‘প্র’ বা ‘অনু’ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে প্রতাপ (প্র+তাপ) যার অর্থ পরাক্রান্ত বা বীরত্ব । অণুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ অণুশোচনা বা আফসোস ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে এবং ‘তাপ’ শব্দের অর্থের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । আবার ‘প্র’ বা ‘অনু’ এর নিজস্ব কোন অর্থ নেই বা এগুলো স্বাধীনভাবে কোন বাক্যেও ব্যবহৃত হতে পারে না । তাই ভাষাবিদগণ এরূপ অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশের নাম দিয়েছেন উপসর্গ । ‘উপসর্গ’ কথাটির মূল অর্থ ‘উপসৃষ্ট’ । এর কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা । উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে । মনে রাখতে উপসর্গ সব সময় মূল শব্দের পূর্বে যুক্ত হয় । যেমন- ‘হার’ একটি শব্দ । এর সাথে উপ, আ, প্র, বি উপসর্গ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে উপহার, আহার, প্রহার, বিহার শব্দ গঠিত হয়েছে । এভাবে উপসর্গের সাহায্যে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভার সমৃদ্ধি লাভ করেছে । অতএব, কতকগুলো অব্যয় নামবাচক বা কৃদান্ত শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে এবং অর্থের পরির্বতন সাধন করে, এগুলোকে উপসর্গ বলে । ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয় । এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে ।” ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, “যেসব অব্যয় শব্দ কৃদান্ত বা নামপদের পূর্বে বসে শব্দগুলোর অর্থের সংকোচন, সম্প্রসারণ বা অন্য কোন পরিবর্তন সাধন করে, ঐ সব অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে ।” অশোক মুখোপাধ্যায়ের মতে, “বাংলা ভাষায় কিছু অব্যয় আছে যারা ধাতু বা শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তাদের অর্থ বদল করে দেয় । এদেরই বলা হয় উপসর্গ ।”

উপসর্গের প্রকারভেদ

উপসর্গ সাধারণত তিন প্রকার।

সংস্কৃত উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ বিশটি; যথা- প্র, প্ররা, অপ, সম্‌, নি, অব, অনু, নির্‌, দুর্‌, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

খাঁটি বাংলা উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত খাঁটি বাংলা উপসর্গ একুশটি; যথা- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়্‌, আন্‌, আব্‌, ইতি, উন্‌ (উনু, উনা), কদ্‌, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

বিদেশী উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশী উপসর্গের মধ্যে ফার্সিইংরেজি উপসর্গই বেশি দেখ যায়। কিছু উদাহরণ-

ফার্সি উপসর্গের উদাহরণ- আম্‌, কার, খাস, সে (তিন), গর্‌, দর্‌, না (লা), নিম্‌, ফি, বর, ব, বদ্‌, বে, বাজে, হর্‌।

ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ- ফুল, সাব, হাফ, হেড।