নোয়াখালী জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′০.০০০″ উত্তর ৯১°১০′০.০১২″ পূর্ব / ২২.৭৫০০০০০০° উত্তর ৯১.১৬৬৬৭০০০° পূর্ব / 22.75000000; 91.16667000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৪৮ নং লাইন: ১৪৮ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান]]

০৫:১১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নোয়াখালী জেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′০.০০০″ উত্তর ৯১°১০′০.০১২″ পূর্ব / ২২.৭৫০০০০০০° উত্তর ৯১.১৬৬৬৭০০০° পূর্ব / 22.75000000; 91.16667000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৮০১ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ৭৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।

অবস্থান ও আয়তন

চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের অধীন নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২ বর্গ কিলোমিটার। নোয়াখালী জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফেনী জেলাচট্টগ্রাম জেলা এবং পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলাভোলা জেলা অবস্থিত।

ভৌগোলিক উপাত্ত

বছরব্যাপী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিমি। এই জেলার প্রধান নদী মেঘনা. এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদ-নদীর মাঝে ছোট ফেনী, ডাকাতিয়া অন্যতম। ডাকাতিয়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হতে কুমিল্লার বাগছাড়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ডাকাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য ২০৭ কিমি. যার মধ্যে ১৮০ কিমি কুমিল্লায় ও ২৭ কিমি নোয়াখালীতে প্রবাহিত হয়েছে। ছোট ফেনী নদী ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়ি অঞ্চল হতে কুমিল্লার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গুনবতি নামক স্থান দিয়ে নোয়াখালীতে প্রবেশ করেছে।

এছাড়াও নোয়াখালীতে বহু খাল রয়েছে যার মধ্যে নোয়াখালী খাল, মধুখালি খাল, রহমতখালি খাল, আতিয়াবাড়ি খাল, কালির খাল, পেটকাটা খাল, কথাকলি খাল, গোয়ালখালি খাল, আত্রা খাল, হুরা খাল, গাহজাতলি খাল, ভবানিগঞ্জ খাল, মহেন্দ্রক খাল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

ইতিহাস

নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় "নোয়া (নতুন) খাল" বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে "নোয়াখালী" হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।

নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় থেকেই। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ ১৪ টির মধ্যেও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড, লক্ষ্মীপুর ,ফেনী , ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।

নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের জিহাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলন। জাতিগত সংঘাত ও দাঙ্গার পর ১৯৪৬ সালে মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা "গান্ধী আশ্রম" নামে পরিচিত।

১৭৯০ সালের পর হতে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন।

১৯৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে বহু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নোয়াখালীর মাটি রঞ্জিত হয়ে আছে। ১৫ই জুন, ১৯৭১ সালে সোনাপুর আহমদীয়া স্কুলের সম্মুখ যুদ্ধে প্রায় ৭০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। ১৯৭১ সালের ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জ থানার গোপালপুরে গণহত্যা চালায়; নিহত হন প্রায় ৫০ জন নিরস্ত্র মানুষ। নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর।

নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন এ জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। এবং বর্তমানে জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা নয়টি। হাতিয়া নামক উপজেলাটির কিছু অংশ জেলার মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলে ও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চর্তুদিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

নোয়াখালী জেলায় ৯টি উপজেলা, ৮ টি পৌরসভা, ৭২ টি ওয়ার্ড, ১৫৩ টি মহল্লা, ৯১ টি ইউনিয়ন, ৮৮২ টি মৌজা এবং ৯৬৭ টি গ্রাম রয়েছে।

উপজেলা

নোয়াখালী জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হলো:

  1. নোয়াখালী সদর
  2. বেগমগঞ্জ
  3. চাটখিল
  4. কোম্পানীগঞ্জ
  5. হাতিয়া
  6. সেনবাগ
  7. সুবর্ণ চর
  8. সোনাইমুড়ি
  9. কবিরহাট
পৌরসভা

নোয়াখালী জেলায় ৮ টি পৌরসভা রয়েছে। এগুলো হলো:

  1. নোয়াখালী পৌরসভা
  2. চৌমুহানী পৌরসভা
  3. চাটখিল পৌরসভা
  4. বসুরহাট পৌরসভা
  5. হাতিয়া পৌরসভা
  6. সেনবাগ পৌরসভা
  7. সোনাইমুড়ি পৌরসভা
  8. কবিরহাট পৌরসভা

জনসংখ্যা উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনূযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩১,০৮,০৮৩ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১৪,৮৫,১৬৯ জন এবং মহিলা ১৬,২২,৯১৪ জন। পুরুষ এবং মহিলার অনুপাত ৯২ঃ১০০। এখানে বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৪৩ জন এবং জন্মহার ১.৮৩%। প্রধান শহর মাইজদীর জনসংখ্যা ৭৪,৫৮৫ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৫১.৫০% ও মহিলা ৪৮.৫০%। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৯১৫/ বর্গ কিলোমিটার।

ধর্ম

জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪২% ইসলাম, ৪.৫২% হিন্দু, ০.০২% খ্রীস্টান, ০.০৩% বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯ টি মসজিদ, ৪৯৭ টি ঈদগাহ, ২৩৯ টি মন্দির, ২ টি প্যাগোডা এবং ১ টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে।

নোয়াখালীর শহর

নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। বৃটিশদের পরিকলপনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিলো তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোলো একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো প্যাটার্ণে তৈরী হয় সরকারী সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হতো মূলত: শহরে জলাধার হিসে্বে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস- আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি-সরবরাহ করা হতো। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিলো। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।

অর্থনীতি

নোয়াখালী জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ৪০ % কৃষি খাত থেকে আসে এবং জেলার ৮০ ভাগ লোক এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। কৃষির মধ্যে মূলত মৎস্য চাষ ও মৎস্য আহরনের সাথে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়িত। বছরজুড়ে নৌকা তৈরি ও মেরামত, মাছ ধরা, পক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, শুটকি উৎপাদন, জাল মেরামত এর সাথে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শ্রমজীবী জড়িত থাকে। নিন্মভূমি অঞ্চল হওয়াতে এই জেলায় প্রচুর মৎস্যচাষ হয়ে থাকে যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ফসল উৎপাদন মূলত বছরে একবারই হয়। শীত মৌসুমে জেলার সর্বত্ত বিশেষ করে দক্ষিনের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রকমারি ফসলের চাষ হয়। এছাড়াও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ও দ্বীপগুলোতে গরূ, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন ব্যাপকতা লাভ করেছে।

নোয়াখালী জেলায় শিল্প কারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি কিন্তু নোয়াখালী জেলার অনেক ব্যাক্তি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। নোয়াখালীর মানুষ মূলত কাজের জন্য দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে গমন করেন। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানো জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী জেলা গুরূত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।

জেলার মোট আয়ের অন্যান্য খাতে আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪% , বানিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরি ১৬.১১%, নির্মানখাত ১.৪৯% , রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে।

শিক্ষা

নোয়াখালীর শিক্ষার হার ৫১.৩০%। শহুরে লোকদের মধ্যে শিক্ষিতের হার প্রায় ৬০.৭০%। নোয়াখালীতে ০১ টি বিশ্ববিদ্যালয় , ১ টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ, একটি সরকারী টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ, ১২৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় , ৩৫ টি কলেজ, ১৬১ টি মাদ্রাসা রয়েছে।

যাতায়াত ব্যবস্থা

সড়ক, রেল ও নৌ পথে নোয়াখালী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। নোয়াখালী থেকে সড়ক পথে রাজধানী ঢাকাএবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দূরত্ব যথাক্রমে ১৫১ ও ১৩৪ কি মি। বাসই মূলত দূর যাতায়াতের প্রধানতম মাধ্যম।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

চিত্তাকর্ষক স্থান

নোয়াখালী জিলা স্কুল;মাইজদি;নোয়াখালী।

তথ্যসুত্র

বহিঃসংযোগ

আরো দেখুন