ইংরেজি ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lokman Choudhury Rabby (আলোচনা | অবদান)
পৃষ্ঠাকে 'গ্রাম;দক্ষিণ বাগ ইউনিয়ন;বাহাদুরসাদ...' দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হল
ট্যাগ: তথ্য অপসারণ
Lokman Choudhury Rabby-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে CAPTAIN RAJU-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে...
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox language
গ্রাম;দক্ষিণ বাগ
|name =ইংরেজি
ইউনিয়ন;বাহাদুরসাদী
|altname = ইংরাজি
থানা;কালীগঞ্জ
|nativename = English
জেলা;গাজীপুর
|region = ([[#ভৌগোলিক বন্টন|নিচে]] দেখুন)
ঢাকা বাংলাদেশ
|speakers = প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন (২০০১)<!--Ethn. updated to 364M, not yet pub.-->
দক্ষিণবাগ একটি ঐতিহাসীক স্থান এবং
|date =
|ref = <ref name=economist/>
|speakers2 = [[দ্বিতীয় ভাষা|এল২]]: ≈ ২৫০&nbsp;মিলিয়ন (২০০১)<ref name=economist>[http://www.economist.com/world/europe/displayStory.cfm?Story_ID=883997 The Triumph of English], The Economist, 20 Dec. 2001</ref><br />থেকে ≈ ১.৮&nbsp;বিলিয়ন (২০০৪)<ref name="wwenglish">{{cite web |url=http://classic-web.archive.org/web/20070401233529/http://www.ehistling-pub.meotod.de/01_lec06.php |title=Lecture 7: World-Wide English |accessdate=26 March 2007|publisher=<sub>E</sub>HistLing }}</ref>
|familycolor = Indo-European
|fam2 = [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয়]]
|fam3 = [[পশ্চিম জার্মানীয় ভাষাসমূহ|পশ্চিম জার্মানীয়]]
|script = [[রোমান লিপি]]
|nation = [[ইংরেজি ভাষা সরকারি ভাষা হিসাবে দেশের তালিকা|৫৪টি দেশসমূহ ও ২৭টি অ-সার্বভৌম সত্তা]]<br />[[জাতিসংঘ]]<br />[[ইউরোপীয় ইউনিয়ন]]<br />[[কমনওয়েলথ অফ নেশনস]]<br />[[কাউন্সিল অব ইউরোপ|সিওএ]]<br />[[ন্যাটো]]<br />[[উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি|এনএএফটিএ]]<br />[[আমেরিকান রাষ্ট্রের সংস্থা|ওএএস]]<br />[[অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কর্পোরেশন|ওআইসি]]<br />[[প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম|পিআইএফ]]<br />[[UKUSA Agreement|ইউকেইউএসএ]]
|iso1 = en
|iso2 = eng
|iso3 = eng
|lingua = 52-ABA
|map = Anglospeak.svg
|mapcaption =
{{legend|#0000ff|দেশসমূহ যেখানে ইংরেজি একটি প্রাতিষ্ঠানিক বা কার্যত সরকারি ভাষা, অথবা জাতীয় ভাষা, এবং জনসংখ্যার বেশীরভাগের অনর্গল কথিত}}
{{legend|#8ddada|দেশসমূহ যেখানে এটি একটি সরকারি কিন্তু প্রধান ভাষা নয়}}
}}

'''ইংরেজি''' বা '''ইংরাজি''' ({{lang|en|English}}) হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জানা ও কথিত ভাষা। ইংরেজি কে বিশ্বের [[লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা]]ও মনে করা হয়। [[ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার|ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের]] [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয় শাখার]] পশ্চিম দলের একটি ভাষা। [[জার্মানীয় গোত্র]] অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে [[ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ|ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের]] দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার [[কেল্টীয় ভাষাসমূহ|কেল্টীয় ভাষাভাষী]] আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে [[স্কটল্যান্ড]], [[কর্নওয়াল]], [[ওয়েল্‌স]] ও [[আয়ারল্যান্ড|আয়ারল্যান্ডে]] হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই [[প্রাচীন ইংরেজি]]র ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর [[জার্মানি]]তে প্রচলিত নিম্ন [[জার্মান উপভাষা]]গুলিতে ও [[ওলন্দাজ ভাষা]]য় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে [[নরওয়ে|নরওয়েজীয়]] [[ভাইকিং]] হানাদারদের [[প্রাচীন নর্স ভাষা|প্রাচীন নর্স ভাষাও]] প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

==ইতিহাস==
[[File:EN English Language Symbol ISO 639-1 IETF Language Tag Icon.svg|thumb|left|upright|EN ([[ISO 639]]-1)]]
[[১০৬৬]] সালে উত্তর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[নরমঁদি]] অঞ্চলে বসবাসকারী [[নর্মান জাতি]] [[ইংলিশ চ্যানেল]] পাড়ি দিয়ে [[ইংল্যান্ড]] আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নর্মান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]] সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্মীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশির ভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ [[মধ্য ইংরেজি ভাষা|মধ্য ইংরেজি ভাষার]] আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে ''[[বেওউল্‌ফ]]'' এবং [[চসার|চসারের]] ''[[দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস]]''।

[[১৫০০]] সালের দিকে বিরাট স্বরধ্বনি সরণ সংঘটিত হয় এবং [[আধুনিক ইংরেজি|আধুনিক ইংরেজির]] উদ্ভব ঘটে। [[উইলিয়াম শেক্‌স্‌পিয়ার|শেক্‌সপিয়ারের]] রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। [[এথ্‌নোলগ]] অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান [[ম্যান্ডারিন]], [[হিন্দি]] ও [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষার]] পরেই।

প্রথমে [[ইংল্যান্ড]] ও পরে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে বিশ্বের অন্য যেকোন ভাষার চেয়ে ইংরেজিই বেশি বিস্তার লাভ করেছে। ইংরেজি প্রায় ৫২টি দেশের জাতীয় বা সরকারী ভাষা। বিশ্বের [[ইন্টারনেট]] ব্যবহারকারী জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই ইংরেজিভাষী। আধুনিক যোগাযোগে ও বিভিন্ন পেশায় ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত [[দ্বিতীয় ভাষা]]। সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আন্তর্জাতিক পরিভাষার অধিকাংশই ইংরেজি থেকে এসেছে।

== ভৌগোলিক বন্টন ==
'''ইংরেজি ভাষা''' প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা হিসেবে [[যুক্তরাজ্য]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[কানাডা]], [[অস্ট্রেলিয়া]], [[প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড|আয়ারল্যান্ড]], [[নিউজিল্যান্ড]] ও অনেক [[ক্যারিবীয়]] দেশে স্বীকৃত। এছাড়া [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[ফিলিপাইন]] ও অনেক [[আফ্রিকা]]ন দেশে ইংরেজি সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।

== আরও দেখুন ==
* [[উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ইংরেজি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ]]

== তথ্যসূত্র ==
* গ্রন্থপঞ্জিতে নির্দেশিত গ্রন্থাবলি
{{reflist|2}}

== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.ethnologue.org/show_language.asp?code=eng ইংরেজি ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট]

{{বাংলাদেশের ভাষাসমূহ}}
{{Official UN languages}}
{{পৃথিবীর প্রধান ভাষা}}

[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষা| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজি ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:আমেরিকান সামোয়ার ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রাজিলের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বারমুডার ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বতসোয়ানার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ক্যামেরুনের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:কানাডার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফিজির ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঘানার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:গ্রেনাডার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:গুয়ামের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:গায়ানার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:হংকং এর ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:আইসল্যান্ডের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:জামাইকার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:কেনিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:কিরিবাসের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:লেসোথোর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:লাইবেরিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মালাউইর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মালয়েশিয়ার ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:মাল্টার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মরিশাসের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নামিবিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নাউরুর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নিউজিল্যান্ডের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নাইজেরিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নিউই এর ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পালাউ এর ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাপুয়া নিউ গিনির ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:রুয়ান্ডার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সেন্ট কিটস ও নেভিসের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সেন্ট লুসিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সামোয়ার ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সেশেলের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সিয়েরা লিওনের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সিঙ্গাপুরের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ সুদানের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সুদানের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সোয়াজিল্যান্ডের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:গাম্বিয়ার ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফিলিপাইনের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের ভাষাসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:টোকেলাউ এর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:উগান্ডার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভানুয়াটুর ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:জাম্বিয়ার ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:জিম্বাবুয়ের ভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বিষয়-ক্রিয়া-বস্তুর ভাষাসমূহ]]

২০:২৫, ২৪ জুন ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইংরেজি
ইংরাজি
English
অঞ্চল(নিচে দেখুন)
মাতৃভাষী
প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন (২০০১)[১]
এল২: ≈ ২৫০ মিলিয়ন (২০০১)[১]
থেকে ≈ ১.৮ বিলিয়ন (২০০৪)[২]
রোমান লিপি
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা
৫৪টি দেশসমূহ ও ২৭টি অ-সার্বভৌম সত্তা
জাতিসংঘ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
কমনওয়েলথ অফ নেশনস
সিওএ
ন্যাটো
এনএএফটিএ
ওএএস
ওআইসি
পিআইএফ
ইউকেইউএসএ
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-১en
আইএসও ৬৩৯-২eng
আইএসও ৬৩৯-৩eng
লিঙ্গুয়াস্ফেরা52-ABA
  দেশসমূহ যেখানে ইংরেজি একটি প্রাতিষ্ঠানিক বা কার্যত সরকারি ভাষা, অথবা জাতীয় ভাষা, এবং জনসংখ্যার বেশীরভাগের অনর্গল কথিত
  দেশসমূহ যেখানে এটি একটি সরকারি কিন্তু প্রধান ভাষা নয়

ইংরেজি বা ইংরাজি (English) হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জানা ও কথিত ভাষা। ইংরেজি কে বিশ্বের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কাও মনে করা হয়। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। জার্মানীয় গোত্র অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে স্কটল্যান্ড, কর্নওয়াল, ওয়েল্‌সআয়ারল্যান্ডে হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই প্রাচীন ইংরেজির ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর জার্মানিতে প্রচলিত নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলিতেওলন্দাজ ভাষায় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে নরওয়েজীয় ভাইকিং হানাদারদের প্রাচীন নর্স ভাষাও প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

ইতিহাস

EN (ISO 639-1)

১০৬৬ সালে উত্তর ফ্রান্সের নরমঁদি অঞ্চলে বসবাসকারী নর্মান জাতি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নর্মান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন ফরাসি ভাষায় সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্মীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশির ভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ মধ্য ইংরেজি ভাষার আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে বেওউল্‌ফ এবং চসারের দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস

১৫০০ সালের দিকে বিরাট স্বরধ্বনি সরণ সংঘটিত হয় এবং আধুনিক ইংরেজির উদ্ভব ঘটে। শেক্‌সপিয়ারের রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। এথ্‌নোলগ অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান ম্যান্ডারিন, হিন্দিস্পেনীয় ভাষার পরেই।

প্রথমে ইংল্যান্ড ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে বিশ্বের অন্য যেকোন ভাষার চেয়ে ইংরেজিই বেশি বিস্তার লাভ করেছে। ইংরেজি প্রায় ৫২টি দেশের জাতীয় বা সরকারী ভাষা। বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই ইংরেজিভাষী। আধুনিক যোগাযোগে ও বিভিন্ন পেশায় ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত দ্বিতীয় ভাষা। সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আন্তর্জাতিক পরিভাষার অধিকাংশই ইংরেজি থেকে এসেছে।

ভৌগোলিক বন্টন

ইংরেজি ভাষা প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা হিসেবে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অনেক ক্যারিবীয় দেশে স্বীকৃত। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও অনেক আফ্রিকান দেশে ইংরেজি সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  • গ্রন্থপঞ্জিতে নির্দেশিত গ্রন্থাবলি
  1. The Triumph of English, The Economist, 20 Dec. 2001
  2. "Lecture 7: World-Wide English"EHistLing। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০০৭ 

বহিঃসংযোগ