বামপন্থী রাজনীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
তথ্যসূত্র প্রদান ও পরিবর্ধন করা হলো
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
==বামপন্থী রাজনীতির কর্মসূচি==
==বামপন্থী রাজনীতির কর্মসূচি==
বিশ শতক পরবর্তীকালে বামপন্থী হতে হলে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা হচ্ছে বামপন্থিদের [[সাম্রাজ্যবাদ]] ও [[সম্প্রসারণবাদ]]বিরোধী হতে হবে। এছাড়াও বামপন্থি হতে হলে তাদের অবশ্যই [[সামন্তবাদ]]বিরোধী তথা সামন্ততন্ত্রের অবশেষ উচ্ছেদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; সবরকম সম্ভাব্য আকার ও রূপে বিরাজমান ভূমিদাস প্রথার জেরগুলো, যেমন বর্গাপ্রথার উচ্ছেদ করে ভূমিসংস্কার করতে হবে। তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কোনো ধরনের [[প্রতিক্রিয়াশীল]] আইন বা বিধিবিধানকে তারা সমর্থন করবে না। চতুর্থত, তারা উগ্র-জাতীয়তাবাদের বিরোধী অবস্থানে সুদৃঢ় থাকবে।<ref>এম আর চৌধুরী; ''আবশ্যকীয় শব্দ পরিচয়''; ঢাকা, এপ্রিল, ২০১২; পৃষ্ঠা-৬৯।</ref>
বিশ শতক পরবর্তীকালে বামপন্থী হতে হলে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা হচ্ছে বামপন্থিদের [[সাম্রাজ্যবাদ]] ও [[সম্প্রসারণবাদ]]বিরোধী হতে হবে। এছাড়াও বামপন্থি হতে হলে তাদের অবশ্যই [[সামন্তবাদ]]বিরোধী তথা সামন্ততন্ত্রের অবশেষ উচ্ছেদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; সবরকম সম্ভাব্য আকার ও রূপে বিরাজমান ভূমিদাস প্রথার জেরগুলো, যেমন বর্গাপ্রথার উচ্ছেদ করে ভূমিসংস্কার করতে হবে। তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কোনো ধরনের [[প্রতিক্রিয়াশীল]] আইন বা বিধিবিধানকে তারা সমর্থন করবে না। চতুর্থত, তারা উগ্র-জাতীয়তাবাদের বিরোধী অবস্থানে সুদৃঢ় থাকবে।<ref>এম আর চৌধুরী; ''আবশ্যকীয় শব্দ পরিচয়''; ঢাকা, এপ্রিল, ২০১২; পৃষ্ঠা-৬৯।</ref>

==অর্থনীতি==
বামপন্থী অর্থনীতি মুলত কেইন্সীয় অর্থনীতিতে বিশ্বাস করে এবং কারখানা গণতন্ত্র ও সামাজিক বাজারের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্রে অর্থনীতির জাতীয়করণে এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায়<ref>Andrew Glyn, ''Social Democracy in Neoliberal Times: The Left and Economic Policy since 1980'', Oxford University Press, 2001, ISBN 978-0-19-924138-5,</ref> একটি নৈরাজ্যবাদী/ সিণ্ডিক্যালবাদের পক্ষে স্বব্যবস্থাপনার নৈরাজ্যবাদী সাম্যবাদের পক্ষে দাঁড়ায়। শিল্প বিপ্লবের সময় বামপন্থীরা ট্রেড ইউনিয়নকে সমর্থন করত। বিশ শতকের শুরুতে, অনেক বামপন্থী অর্থনীতিতে সরকারের শক্তিশালী হস্তক্ষেপের পক্ষে দাঁড়ান।<ref>Eric D. Beinhocker. ''The origin of wealth''. [[Harvard Business Press]]. 2006. ISBN 978-1-57851-777-0 p. 416 [http://www.google.com/books?id=eUoolrxSFy0C&printsec=frontcover&dq=Beinhocker#PPA416,M1 Google Books]</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
১৮ নং লাইন: ২১ নং লাইন:


==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==
* [http://anupsadi.blogspot.com/2014/05/left-wing-politics.html বামপন্থী রাজনীতির সীমাবদ্ধতা এবং তাদের অতীত প্রগতিশীলতা]


{{রাজনৈতিক মতবাদ}}
{{রাজনৈতিক মতবাদ}}

১২:২২, ৪ মে ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বামপন্থী রাজনীতি (ইংরেজি: Left-wing politics) হচ্ছে সেই রাজনৈতিক অবস্থান বা কর্মকাণ্ড যা সামাজিক অসাম্যসামাজিক ক্রমাধিকারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সামাজিক সাম্যকে গ্রহণ বা সমর্থন করে।[১][২][৩][৪] এই রাজনীতি বিশেষভাবে জড়িত থাকে সমাজে যারা অন্যের তুলনায় কম পায় বা সুযোগহীন থাকে তাদের ব্যাপারে এবং পূর্বধারনা করে যে অসাম্যের অবিচার কমানো বা বিলুপ্ত করা উচিত।[৩]

ব্যুৎপত্তি ও ইতিহাস

১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় 'Left' শব্দটির উৎপত্তি হয়। তখন পার্লামেন্টের ডানদিকে বসতেন শাসকদল এবং সভাপতির বাঁ পাশের আসনগুলোয় বসতেন বিরোধীদল। বাঁ দিকে বসার জন্য তাদের বলা হতো বামপন্থী বা Leftist.[৫] সমাজতন্ত্রীপ্রগতিশীলদেরই এখন সাধারণভাবে বামপন্থী বলা হয়। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের অনুকরণে অন্যান্য দেশের আইনসভায়ও বিরোধী দলের সদস্যদের বামদিকে বসার রীতি চালু হয়।[৬]

বামপন্থী রাজনীতির কর্মসূচি

বিশ শতক পরবর্তীকালে বামপন্থী হতে হলে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা হচ্ছে বামপন্থিদের সাম্রাজ্যবাদসম্প্রসারণবাদবিরোধী হতে হবে। এছাড়াও বামপন্থি হতে হলে তাদের অবশ্যই সামন্তবাদবিরোধী তথা সামন্ততন্ত্রের অবশেষ উচ্ছেদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; সবরকম সম্ভাব্য আকার ও রূপে বিরাজমান ভূমিদাস প্রথার জেরগুলো, যেমন বর্গাপ্রথার উচ্ছেদ করে ভূমিসংস্কার করতে হবে। তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল আইন বা বিধিবিধানকে তারা সমর্থন করবে না। চতুর্থত, তারা উগ্র-জাতীয়তাবাদের বিরোধী অবস্থানে সুদৃঢ় থাকবে।[৭]

অর্থনীতি

বামপন্থী অর্থনীতি মুলত কেইন্সীয় অর্থনীতিতে বিশ্বাস করে এবং কারখানা গণতন্ত্র ও সামাজিক বাজারের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্রে অর্থনীতির জাতীয়করণে এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায়[৮] একটি নৈরাজ্যবাদী/ সিণ্ডিক্যালবাদের পক্ষে স্বব্যবস্থাপনার নৈরাজ্যবাদী সাম্যবাদের পক্ষে দাঁড়ায়। শিল্প বিপ্লবের সময় বামপন্থীরা ট্রেড ইউনিয়নকে সমর্থন করত। বিশ শতকের শুরুতে, অনেক বামপন্থী অর্থনীতিতে সরকারের শক্তিশালী হস্তক্ষেপের পক্ষে দাঁড়ান।[৯]

তথ্যসূত্র

  1. Smith, T. Alexander; Tatalovich, Raymond (২০০৩)। Cultures at War: Moral Conflicts in Western Democracies। Toronto, Canada: Broadview Press। পৃষ্ঠা 30। 
  2. Bobbio, Norberto; Cameron, Allan (১৯৯৭)। Left and Right: The Significance of a Political Distinction। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 37। 
  3. Lukes, Steven. 'Epilogue: The Grand Dichotomy of the Twentieth Century': concluding chapter to T. Ball and R. Bellamy (eds.), The Cambridge History of Twentieth-Century Political Thought.
  4. Thompson, Willie (১৯৯৭)। The left in history: revolution and reform in twentieth-century politics। Pluto Press। 
  5. প্রবীর ঘোষ; গোলটেবিলে সাফ জবাব; দেজ পাবলিশিং, কলকাতা; জানুয়ারি, ২০১২; পৃষ্ঠা- ১২০।
  6. হারুনুর রশীদ, রাজনীতিকোষ,মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, সপ্তম মুদ্রণ, জুলাই, ২০১৩, পৃষ্ঠা-২৬৯।
  7. এম আর চৌধুরী; আবশ্যকীয় শব্দ পরিচয়; ঢাকা, এপ্রিল, ২০১২; পৃষ্ঠা-৬৯।
  8. Andrew Glyn, Social Democracy in Neoliberal Times: The Left and Economic Policy since 1980, Oxford University Press, 2001, ISBN 978-0-19-924138-5,
  9. Eric D. Beinhocker. The origin of wealth. Harvard Business Press. 2006. ISBN 978-1-57851-777-0 p. 416 Google Books

অতিরিক্ত পাঠ

বহিঃসংযোগ