মানি লন্ডারিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:


== অর্থশোধন আইন ==
== অর্থশোধন আইন ==
[[বাংলাদেশ সরকার]] ২০০২ সালে অর্থশোধনরোধ আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তন করে যার নাম "অর্থ লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২"। যেহেতু অর্থশোধন কার্যক্রমে [[মুদ্রা পাচার]] জড়িত এবং এতে ব্যাংকসমূহের সহায়তা প্রয়োজন, তাই এই আইন প্রয়োগের দায়িত্ব কেন্দ্রিয় ব্যাংক অর্থাৎ [[বাংলাদেশ ব্যাংক|বাংলাদেশ ব্যাংককে]] দেয়া হয়েছে।<ref>[http://www.bangladesh-bank.org/mediaroom/circulars/aml/may1802aml01e.pdf www.bangladesh-bank.org]</ref>
[[বাংলাদেশ সরকার]] ২০০২ সালে অর্থশোধনরোধ আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তন করে যার নাম "অর্থ লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২"। যেহেতু অর্থশোধন কার্যক্রমে [[মুদ্রা পাচার]] জড়িত এবং এতে ব্যাংকসমূহের সহায়তা প্রয়োজন, তাই এই আইন প্রয়োগের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ [[বাংলাদেশ ব্যাংক|বাংলাদেশ ব্যাংককে]] দেয়া হয়েছে।<ref>[http://www.bangladesh-bank.org/mediaroom/circulars/aml/may1802aml01e.pdf www.bangladesh-bank.org]</ref>


== অর্থশোধন প্রতিরোধ ==
== অর্থশোধন প্রতিরোধ ==

০২:২৪, ৩ মে ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অর্থশোধন বা মানি লন্ডারিং (ইংরেজি: Money laundering) হল একটি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেই সম্পদের আংশিক বা পূর্ণ অংশ রুপান্তর বা এমন কোন বৈধ জায়গায় বিনিয়োগ করা হয় যাতে করে সেই বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে অর্জিত আয় বৈধ বলে মনে হয়, তাকে আর্থোশোধন বা মানি লন্ডারিং বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের সক্রিয় সহায়তায় অর্থশোধন কার্যক্রম চলে। অর্থশোধন একটি ফৌজদারী অপরাধ

সাধারণত, এক খাতের টাকা আরেক খাতে নিয়ে, সেই টাকা আবার আরেক খাতে নিতে নিতে বিষয়টি এমন দাড়ায় যে মূল উৎস খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। ফলে আইনের লোকজনের পক্ষে অবৈধ উৎসটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। এরকম করার কারণ হল এছাড়া এ অর্থের মালিক ঐ টাকা খরচ করতে পারেনা। কারণ, সেক্ষেত্রে সে আইনের হাতে ধরা পড়ে যেতে পারে। সাধারণত: মাদকদ্রব্য কারবারী, অসৎ রাজনৈতিক নেতা বা সরকারী আমলারা এরকম পন্থার আশ্রয় নেয়।

অর্থশোধনের উদ্দেশ্য

অর্থশোধনের প্রধান উদ্দেশ্য দুটি। প্রথমতঃ যদি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আয় হয়ে থাকে তবে সে আয়ের উৎস গোপন করা। যেমন চোরাচালানের মাধ্যমে উপার্জিত আয় তথা আয়ের সূত্র গোপন করা। দ্বিতীয়তঃ বৈধ অর্থনৈতক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর ফাঁকি দেয়া।

মানি লন্ডারিং করার প্রকৃয়া

মানি লন্ডারিং সগঠনের কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। তবে সাধারণত তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়ে থাকে।

সংযোজন বা প্লেসমেন্ট

যখন কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড হতে উপার্জিত অর্থ প্রথমবারের মত অর্থ ব্যাবস্থায় প্রবেশ করানো হয় তাকে সংযোজন বা প্লেসমেন্ট বলে। যেমন চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান বা ঘুষের অর্থ যখন একটি ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয় তখন তাকে সংযোজন বা প্লেসমেন্ট বলে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে জমি ক্রয়, বাড়ি বা গাড়ি ক্রয়, শেয়ার ক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমেও প্রথমবারের মত অবৈধ অর্থ, অর্থ ব্যাবস্থায় প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াকে প্লেসমেন্ট বলে।

স্তরিকরন বা লেয়ারিং

এই প্রক্রিয়ায় সংযোজনকৃত অর্থ পর্যায়ক্রমে জটিল লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরে সরানো হয়। এই প্রক্রিয়া অর্থের উৎস গোপন করার কাজে ব্যাবহৃত হয়। যেমন একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, বিদেশে অর্থ প্রেরণ, ট্রাভেলার্স চেকে রুপান্তর, একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অন্যান্ন শাখায় বিভিন্ন নামে অর্থের স্থানান্তর বা জমা দেওয়া।

পূনর্বহাল বা ইন্টিগ্রেশন

স্তরিকরন সফল হলে পরবর্তীতে অবৈধ অর্থ এমনভাবে ব্যাবহৃত হয় যাতে করে মনে হয় এটি বৈধ পন্থায় উপার্জিত। এভাবেই লন্ডারিংকৃত অর্থ অর্থনিতীতে পূনর্বহাল হয়। যেমন অবৈধ অর্থ দিয়ে ক্রয়কৃত জমি বিক্রয় করে পুনরায় সেই অর্থ দিয়ে জমি কেনা বা বাড়ি, গাড়ি, বীমা পলিসি ঘন ঘন বাতিল এবং পূনর্বহাল করা ইত্যাদি।

অর্থশোধন আইন

বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালে অর্থশোধনরোধ আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তন করে যার নাম "অর্থ লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২"। যেহেতু অর্থশোধন কার্যক্রমে মুদ্রা পাচার জড়িত এবং এতে ব্যাংকসমূহের সহায়তা প্রয়োজন, তাই এই আইন প্রয়োগের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া হয়েছে।[১]

অর্থশোধন প্রতিরোধ

কালোটাকা বৈধকরণের সুযোগ

অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত আয় বা কালোটাকা বৈধকরণের সুযোগও সরকারের তরফ থেকে দেয়া হয়। এ সুযোগের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ সুযোগের উদ্দেশ্য হলো গোপনে উপার্জ্জিত ও সংরক্ষিত কালোটাকাকে মূল অর্থনৈতিক প্রবাহে সংযুক্ত করা। এটিও একপ্রকার অর্থশোধন যার নৈতিক গ্রহণযোগত্য বিতর্কিত। সাধারণত, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জরিমানা বা কর প্রদান করলে এরূপ আয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় না এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই অর্থ বৈধ আয় নির্ভয়ে হিসেবে ব্যবহার (ব্যয়/বিনিয়োগ) করতে পারেন।

তথ্যসূত্র

  1. www.bangladesh-bank.org

বহিঃসংযোগ