বালুচরী শাড়ি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+description
BengaliHindu (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
}}
}}
'''বালুচরী''' পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ শাড়ি, ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতি এবং বয়নশৈলীতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্ম৷ আঁচলে বিবিধ পৌরাণিক ও অন্যান্য নকশা-বোনা এই শাড়ি আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে গণ্য৷ বালুচরী শাড়ি তৈরিতে মোটামুটি ১ সপ্তাহ ও তার বেশি সময় লাগে ।<ref>{{cite news|last=BALASUBRAMANIAM|first=CHITRA|title=Recreating the age-old Baluchari magic|url=http://www.thehindu.com/arts/magazine/article2795487.ece|accessdate=20 July 2012|newspaper=The Hindu|date=14 January 2012|location=Chennai, India}}</ref>
'''বালুচরী''' পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ শাড়ি, ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতি এবং বয়নশৈলীতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্ম৷ আঁচলে বিবিধ পৌরাণিক ও অন্যান্য নকশা-বোনা এই শাড়ি আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে গণ্য৷ বালুচরী শাড়ি তৈরিতে মোটামুটি ১ সপ্তাহ ও তার বেশি সময় লাগে ।<ref>{{cite news|last=BALASUBRAMANIAM|first=CHITRA|title=Recreating the age-old Baluchari magic|url=http://www.thehindu.com/arts/magazine/article2795487.ece|accessdate=20 July 2012|newspaper=The Hindu|date=14 January 2012|location=Chennai, India}}</ref>
<ref>{{cite news|last=Mookerji|first=Madhumita|title=Baluchari silk loses its sheen to Benarasi|url=http://www.dnaindia.com/india/report_baluchari-silk-loses-its-sheen-to-benarasi_1121911|accessdate=20 July 2012|newspaper=DNA}}</ref> এই শাড়ি ভারতের ভৌগলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয় । <ref>{{cite web|title=Journal 41 GI Application 173|url=http://ipindia.nic.in/girindia/journal/Journal_41.pdf|publisher=Controller General of Patents, Designs, and Trade Marks, Government of India|accessdate=11 January 2013}}</ref>
<ref>{{cite news|last=Mookerji|first=Madhumita|title=Baluchari silk loses its sheen to Benarasi|url=http://www.dnaindia.com/india/report_baluchari-silk-loses-its-sheen-to-benarasi_1121911|accessdate=20 July 2012|newspaper=DNA}}</ref> এই শাড়ি ভারতের ভৌগলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। <ref>{{cite web|title=Journal 41 GI Application 173|url=http://ipindia.nic.in/girindia/journal/Journal_41.pdf|publisher=Controller General of Patents, Designs, and Trade Marks, Government of India|accessdate=11 January 2013}}</ref>


== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==


এই শাড়ির নাম হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কয়েক মাইল উত্তরস্থিত<ref>[http://www.telegraphindia.com/1150524/jsp/opinion/story_21749.jsp History of a weave - Of tapestries, hookahs and howdas], The Telegraph, Kolkata, 24 May, 2015</ref> বালুচর গ্রাম থেকে৷ নবাব মুর্শিদকুলি খানের উদ্যোগে সেখানে এই শিল্পের রমরমা দেখা দেয়৷ সেখানে এই শিল্পের শেষ বিখ্যাত কারিগর দুবরাজ দাস মারা যান ১৯০৩ সালে, তিনি চিত্রশিল্পীদের মত শাড়িতে নিজের নাম সই করতেন৷<ref>[http://gaatha.com/baluchari-saree-bangal/ Photoloomic ~ Baluchari], Gaatha</ref> গঙ্গার বন্যায় এই গ্রাম বিধ্বস্ত হলে শিল্পীরা আশ্রয় নেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে৷ সেখানে মল্ল রাজাদের পৃষ্ঠপোষণে এই শিল্পের সমৃদ্ধি ঘটে৷ মল্ল রাজাদের সময়ে নির্মিত টেরাকোটার মন্দির ও অন্যান্য শিল্পের প্রভাব পড়ে এই শাড়ির নকশায়৷ পরে ব্রিটিশ জমানায় অন্যান্য দেশীয় বয়নশিল্পের মত বালুচরীও দুর্দশাগ্রস্ত হয়৷ ১৯৫৬ সালে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুভগেন্দ্রনাথ (সুভো) ঠাকুরের উদ্যোগে এই শাড়ির বাণিজ্যিক বিস্তার ঘটে৷ তিনি তখনকার বিখ্যাত কারিগর অক্ষয়কুমার দাসকে রিজিওনাল ডিজাইন সেন্টারে (সুভো ঠাকুর এর ডিরেক্টর ছিলেন) সাবেক জালা তাঁতের পরিবর্তে জ্যাকার্ড তাঁতের ব্যবহার শেখান৷ পরের বছর অক্ষয় দাস অজন্তা-ইলোরার মোটিফ লাগিয়ে নতুন বালুচরী বাজারে আনলে এই শিল্পের উত্থান ঘটে৷
এই শাড়ির নাম হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কয়েক মাইল উত্তরস্থিত<ref>[http://www.telegraphindia.com/1150524/jsp/opinion/story_21749.jsp History of a weave - Of tapestries, hookahs and howdas], The Telegraph, Kolkata, 24 May, 2015</ref> বালুচর গ্রাম থেকে৷ নবাব মুর্শিদকুলি খানের উদ্যোগে সেখানে এই শিল্পের রমরমা দেখা দেয়৷{{Citation needed}} সেখানে এই শিল্পের শেষ বিখ্যাত কারিগর দুবরাজ দাস মারা যান ১৯০৩ সালে, তিনি চিত্রশিল্পীদের মত শাড়িতে নিজের নাম সই করতেন৷<ref>[http://gaatha.com/baluchari-saree-bangal/ Photoloomic ~ Baluchari], Gaatha</ref> গঙ্গার বন্যায় এই গ্রাম বিধ্বস্ত হলে শিল্পীরা আশ্রয় নেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে৷ সেখানে মল্ল রাজাদের পৃষ্ঠপোষণে এই শিল্পের সমৃদ্ধি ঘটে৷ মল্ল রাজাদের সময়ে নির্মিত টেরাকোটার মন্দির ও অন্যান্য শিল্পের প্রভাব পড়ে এই শাড়ির নকশায়৷ পরে ব্রিটিশ জমানায় অন্যান্য দেশীয় বয়নশিল্পের মত বালুচরীও দুর্দশাগ্রস্ত হয়৷ ১৯৫৬ সালে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুভগেন্দ্রনাথ (সুভো) ঠাকুরের উদ্যোগে এই শাড়ির বাণিজ্যিক বিস্তার ঘটে৷ তিনি তখনকার বিখ্যাত কারিগর অক্ষয়কুমার দাসকে রিজিওনাল ডিজাইন সেন্টারে (সুভো ঠাকুর এর ডিরেক্টর ছিলেন) সাবেক জালা তাঁতের পরিবর্তে জ্যাকার্ড তাঁতের ব্যবহার শেখান৷ পরের বছর অক্ষয় দাস অজন্তা-ইলোরার মোটিফ লাগিয়ে নতুন বালুচরী বাজারে আনলে এই শিল্পের উত্থান ঘটে৷


== পদ্ধতি ==
== পদ্ধতি ==

০৯:৫৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বালুচরী শাড়ি
ভৌগোলিক নির্দেশক
বর্ণনাবালুচরী শাড়ি এক প্রকারের রেশমজাত হাতে বোনা শাড়ি যার আঁচলের উপর বিবিধ পৌরাণিক ও অন্যান্য নকশা কাজ করা থাকে।
ধরনহস্তশিল্প
অঞ্চলমুর্শিদাবাদ ,পশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
উপাদানরেশম
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটhttp://ipindia.nic.in/girindia/

বালুচরী পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ শাড়ি, ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতি এবং বয়নশৈলীতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্ম৷ আঁচলে বিবিধ পৌরাণিক ও অন্যান্য নকশা-বোনা এই শাড়ি আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে গণ্য৷ বালুচরী শাড়ি তৈরিতে মোটামুটি ১ সপ্তাহ ও তার বেশি সময় লাগে ।[১] [২] এই শাড়ি ভারতের ভৌগলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। [৩]

ইতিহাস

এই শাড়ির নাম হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কয়েক মাইল উত্তরস্থিত[৪] বালুচর গ্রাম থেকে৷ নবাব মুর্শিদকুলি খানের উদ্যোগে সেখানে এই শিল্পের রমরমা দেখা দেয়৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সেখানে এই শিল্পের শেষ বিখ্যাত কারিগর দুবরাজ দাস মারা যান ১৯০৩ সালে, তিনি চিত্রশিল্পীদের মত শাড়িতে নিজের নাম সই করতেন৷[৫] গঙ্গার বন্যায় এই গ্রাম বিধ্বস্ত হলে শিল্পীরা আশ্রয় নেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে৷ সেখানে মল্ল রাজাদের পৃষ্ঠপোষণে এই শিল্পের সমৃদ্ধি ঘটে৷ মল্ল রাজাদের সময়ে নির্মিত টেরাকোটার মন্দির ও অন্যান্য শিল্পের প্রভাব পড়ে এই শাড়ির নকশায়৷ পরে ব্রিটিশ জমানায় অন্যান্য দেশীয় বয়নশিল্পের মত বালুচরীও দুর্দশাগ্রস্ত হয়৷ ১৯৫৬ সালে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুভগেন্দ্রনাথ (সুভো) ঠাকুরের উদ্যোগে এই শাড়ির বাণিজ্যিক বিস্তার ঘটে৷ তিনি তখনকার বিখ্যাত কারিগর অক্ষয়কুমার দাসকে রিজিওনাল ডিজাইন সেন্টারে (সুভো ঠাকুর এর ডিরেক্টর ছিলেন) সাবেক জালা তাঁতের পরিবর্তে জ্যাকার্ড তাঁতের ব্যবহার শেখান৷ পরের বছর অক্ষয় দাস অজন্তা-ইলোরার মোটিফ লাগিয়ে নতুন বালুচরী বাজারে আনলে এই শিল্পের উত্থান ঘটে৷

পদ্ধতি

এই শাড়ি মূলতঃ রেশম শাড়ি, যদিও পরে তুলো থেকে তাঁতের বালুচরী ও আজকাল বাঁশ, কলা ইত্যাদি গাছ থেকে পাওয়া সুতো থেকে জৈব বালুচরীও বানানো হয়েছে৷ একটা শাড়ি বানাতে দুজন কারিগরের এক সপ্তাহ বা বেশি সময় লাগে৷ প্রথমে গুটিপোকা থেকে রেশম সংগৃহীত হয়, পরে তা সোডা ও গরম জলে সেদ্ধ করা হয় ও অ্যাসিড রঙে চোবানো হয়৷ তারপর দুদিক দিয়ে টেনে টানটান করা হয়, যাতে সুতো দিয়ে কাপড় বোনা যায়৷ শাড়ির নকশাগুলি কাগজে এঁকে পাঞ্চিং কার্ডের সাহায্যে শাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়৷ আজকাল পরিবেশ বাঁচাতে নানা জৈব রঙও ব্যবহৃত হচ্ছে৷

প্রকার

রেশম বালুচরীতে নিত্য নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে তৈরি হয়েছে অনেক ধরণের শাড়ি৷ এক বা দুই রঙের সাধারণ বালুচরী, রঙে ঝলমল মীনাকরী বালুচরী, গুরুদাস লক্ষ্মণ আবিষ্কৃত স্বর্ণচরী, অমিতাভ পালের সৃষ্টি রূপশালি ও মধুমালতী, অমিত লক্ষ্মণের সৃষ্টি দ্রৌপদী বালুচরী (মহাভারত টিভি সিরিয়ালের দ্রৌপদীর সাজসজ্জার অনুকরণে) ইত্যাদি এর নানা প্রকার৷[৬]

ভবিষ্যৎ

বাঁকুড়া জেলা ও রেশম, এর ওপর সরকারি ভৌগোলিক তকমা পড়ায় অন্যত্র ও অন্য জিনিসে তৈরি হলে বালুচরী নাম দেওয়া যাবে না৷ জাতীয় পুরস্কার, শিল্পমেলা ইত্যাদির কারণে বাংলা ও ভারতের বাইরেও এখন এ শাড়ির খ্যাতি ব্যাপ্ত৷ ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরের সময় রফতানি সংস্থা ওবিটি ও লরা অ্যাশলি কোম্পানির চুক্তি হয় ব্রিটেন ও জাপানের বাজারে লরা অ্যাশলির দোকানে বালুচরী, শীতলপাটি ও অন্যান্য বঙ্গজ সামগ্রী বিক্রির, বিশ্ব বাংলা সংস্থার জোগানদারিতে৷[৭] এসবের ফলে বালুচরীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. BALASUBRAMANIAM, CHITRA (১৪ জানুয়ারি ২০১২)। "Recreating the age-old Baluchari magic"The Hindu। Chennai, India। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১২ 
  2. Mookerji, Madhumita। "Baluchari silk loses its sheen to Benarasi"DNA। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১২ 
  3. "Journal 41 GI Application 173" (পিডিএফ)। Controller General of Patents, Designs, and Trade Marks, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৩ 
  4. History of a weave - Of tapestries, hookahs and howdas, The Telegraph, Kolkata, 24 May, 2015
  5. Photoloomic ~ Baluchari, Gaatha
  6. পুজোর বাজারে নতুন বালুচরী, স্বর্ণচরী, আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫
  7. Laura Ashley to sell Bengal craft in UK, Japan, The Times of India, August 4, 2015