গোয়াংজু অভ্যুত্থান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিমার্জন , কাজ চলছে
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
== References ==
== References ==
{{Reflist|colwidth = 30em}}
{{Reflist|colwidth = 30em}}

[[বিষয়শ্রেণী:উইকিপিডিয়া নিবন্ধের কাজ চলছে]]

১৩:১৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

''গোয়াংজু অভ্যুত্থান'', যা ইউনেস্কো কর্তৃক প্রায়শঃই মে ১৮ গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান হিসেবে বলা হয় এবং গোয়াংজু গণতান্ত্রীকরণ আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। (Hangul: 광주 민주화 운동; hanja: 光州民主化運動; RR: Gwangju Minjuhwa Undong) ১৯৮০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে ১৮ থেকে ১৭শে মে হয়ে যাওয়া সাধারন মানুষের অভ্যত্থানকেই মূলতঃ গোয়াংজু অভ্যুত্থান বলা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় প্রায় ৬০৬ জন মানুষ এই আন্দোলনে মৃত্যুবরণ করেন। চুন দু-হোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয় চন্নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে তাদের উপর সরকারি বাহিনী কর্তৃক গুলি বর্ষিত হয়। সরকারের বাহিনীর হাতে কিছু শিক্ষার্থীর নির্যাতন এবং গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় গোয়াংজুর সাধারন জনতা স্থানীয় অস্ত্রাগার এবং পুলিশ স্টেশন লুট করে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়।[১][২] ২৭শে মে সাধারন জনতার পরাজয়ের মাধ্যমে এই অভ্যুত্থান শেষ হয়। অভ্যুত্থান শুরুর তারিখানুসারে একে 5·18 (মে ১৮; Hangul: 오일팔; hanja: 五一八; RR: Oilpal) বলা হয়। কিছু সমালোচকের মতে চুন দু-হোয়ান সরকারিভাবে দায়িত্ব শুরুর আগেই এই ঘটনার শুরু হয়। তাই এটি তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বলে চালিয়ে দেয়া উচিৎ নয়। যাইহোক,  চুন দু-হোয়ান  পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়ার  স্বঘোষিত নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[৩][৪]

চুন দু-হোয়ান রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন অবস্থায় সমগ্র ঘটনাটি কম্যুনিস্টদের বিদ্রোহ বলে মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়।[৫] ১৯৯৭ সালে একটি জাতীয় সমাধিস্থান এবং একদিনের (১৮ই মে) শোক দিবস পালনের ঘোষণার মাধ্যমে অভ্যুত্থানে শহীদ ও অংশগ্রহনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।[৬]  


২০১১ সালে,  ১৯৮০ সালে গোয়াংজু সিটি হলে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানকে [[ইউনেস্কো]] বিশ্ব স্মৃতি নিবন্ধনের অংশ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। 


ইতিহাস

আঠারো বছর শাসনের পর রাষ্ট্রপতি পার্ক চুং-হি ১৯৭৯ সালের ২৬শে অক্টোবর আততায়ীর হাতে নিহত হন। এতে দক্ষিণ কোরীয় রাজনীতিতে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হয়। সম্পূর্ণ দেশের উপর নতুন রাষ্ট্রপতি চয় গিউ-হাহ এবং তার মন্ত্রীসভার নিয়ন্ত্রন খুব কমই ছিল। ফলে দ্রুত ক্ষমতা বিস্তার করতে থাকা কোরিয়ান সামরিক বাহিনীর জেনারেল চুন দু-হোয়ান ১৯৭৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর দেশটির শাসনভার দখল করেন। 

References

  1. Sallie Yea, "Rewriting Rebellion and Mapping Memory in South Korea: The (Re)presentation of the 1980 Kwangju Uprising through Mangwol-dong Cemetery," Urban Studies, Vol. 39, no. 9, (2002): 1556-1557
  2. Patricia Ebrey et al., "East Asia: A Cultural, Social, and Political History (Second Edition)" United States of America: Wadsworth Cengage Learning (2009): 500
  3. Sallie Yea, "Rewriting Rebellion and Mapping Memory in South Korea: The (Re)presentation of the 1980 Kwangju Uprising through Mangwol-dong Cemetery," Urban Studies, Vol. 39, no. 9, (2002): 1556
  4. "Dying for democracy: 1980 Gwangju uprising transformed South Korea," The Japan Times, May 17th, 2014: http://www.japantimes.co.jp/news/2014/05/17/asia-pacific/politics-diplomacy-asia-pacific/dying-democracy-1980-gwangju-uprising-transformed-south-korea/#.
  5. "TV shows tarnish Gwangju history," JoongAng Daily, May 21st, 2013: http://koreajoongangdaily.joins.com/news/article/article.aspx?aid=2971886
  6. May, The Triumph of Democracy.