সূরা মারইয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান) অ পরিমার্জন |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox Sura |
{{Infobox Sura |
||
|Name_of_Surah= |
| Name_of_Surah = সূরা মারইয়াম |
||
|Arabic_name= مريم |
| Arabic_name = مريم |
||
|Screenshot_of_Surah= |
| Screenshot_of_Surah = |
||
|Caption= |
| Caption = |
||
|Classification= |
| Classification = মাক্কী সূরা |
||
|Meaning_of_name= মারইয়াম ( |
| Meaning_of_name = [[মারইয়াম|বিবি মরিয়ম]] ([[যিশু|নবী ঈসা]]-এর মাতা) |
||
|Other_names= |
| Other_names = |
||
| Sura_number = ১৯ |
|||
|Time_of_revelation= |
|||
| Para_number = ১৬ |
|||
|Sura_number= ১৯ |
|||
| Time_of_revelation = |
|||
|Para_number= ১৬ পারা |
|||
|Number_of_Rukus= ৬ |
| Number_of_Rukus = ৬ |
||
|Number_of_Ayats= ৯৮ |
| Number_of_Ayats = ৯৮ |
||
|Number_of_words= |
| Number_of_words = ৯৭২ |
||
|Number_of_letters= |
| Number_of_letters = ৩৮৩৫ |
||
|Subjectwise_ayat= |
| Subjectwise_ayat = |
||
|Number_of_sijdahs= |
| Number_of_sijdahs = ১ (৫৮ নং [[আয়াত|আয়াতে]]) |
||
|Previous_Sura= [[আল কাহফ]] |
| Previous_Sura = [[আল কাহফ]] |
||
|Next_Sura= [[ত্বোয়া-হা]] |
| Next_Sura = [[ত্বোয়া-হা]] |
||
|sound = |
| sound = |
||
|sound_title= |
| sound_title = |
||
|sound_description= |
| sound_description = |
||
}} |
}} |
||
'''সূরা মারইয়াম''' ([[আরবি|আরবি ভাষায়]]: سورة مريم) [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ১৯ নম্বর [[সূরা]] |
'''সূরা মারইয়াম''' ([[আরবি|আরবি ভাষায়]]: سورة مريم) [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ১৯ নম্বর [[সূরা]]; এর [[আয়াত]] অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৮ এবং [[রূকু]] তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। সূরা মারইয়াম [[মক্কা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথমে [[জাকারিয়া|হযরত জাকারিয়া (আঃ)]] এর প্রার্থনার কথা, পরে [[মারইয়াম|বিবি মরিয়ম]] এবং পুত্র [[ঈসা|হযরত ঈসা (আঃ)]]-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে। |
||
== তথ্যসূত্র == |
|||
== আয়াতসমূহ == |
|||
{{reflist}} |
|||
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। |
|||
কাফ-হা-ইয়া-'আইন-স্বাদ। (1) |
|||
এ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি তোমার প্রভুর অনুগ্রহের বিবরণ। (2) |
|||
স্মরণ করো, তিনি তাঁর প্রভুর প্রতি মৃদু স্বরে আহ্বান করলেন -- (3) |
|||
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! আমার ভেতরের হাড়-গোড় জিরজিরে হয়ে গেছে আর মাথাটি হয়ে গেছে জড়ভরত পাকাচুল বিশিষ্ট, আর আমার প্রভু! আমি তো তোমার কাছে আমার প্রার্থনায় কখনো নিরাশ হই নি। (4) |
|||
''আর আমি অবশ্য আশংকা করছি আমার পরে আমার জ্ঞাতিগোষ্ঠীদের, আর আমার স্ত্রী বন্ধ্যা, সেজন্য তোমার কাছ থেকে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী প্রদান করো, -- (5) |
|||
''যে আমাকে উত্তরাধিকার করবে এবং ইয়াকুবের বংশধরদের উত্তরাধিকার করবে, আর আমার প্রভু, তাকে সন্তোষভাজন বানিয়ো।’’ (6) |
|||
''হে যাকারিয়া, নিঃসন্দেহ আমরা তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছি একটি বেটা-ছেলের, তার নাম হবে ইয়াহ্য়া, এর আগে কাউকেও আমরা তার নামধর বানাই নি।’’ (7) |
|||
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! কেমন ক’রে আমার ছেলে হবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা আর আমিও বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি! (8) |
|||
সে বললে -- ''এমনটাই হবে যেমন তুমি ভাব, তোমার প্রভু বলেছেন -- 'এটি আমার জন্য সহজসাধ্য, আর আমি তো তোমাকে এর আগে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না’।’’ (9) |
|||
তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! আমার জন্য একটি নিদর্শন স্থাপন করো।’’ তিনি বললেন, ''তোমার নিদর্শন হচ্ছে -- তুমি লোকের সাথে কথা বলবে না তিন রাত্রি পর্যন্ত সুস্থাবস্থায় থেকে।’’ (10) |
|||
তারপর তিনি উপাসনার কামরা থেকে তাঁর লোকদের কাছে বেরুলেন এবং তাদের প্রতি ঘোষণা করলেন -- ''মহিমা কীর্তন করো সকালে ও সন্ধ্যায়।’’ (11) |
|||
''হে ইয়াহ্য়া, ধর্মগ্রন্থ শক্ত ক’রে ধারণ করো।’’ আর আমরা তাঁকে জ্ঞানদান করেছিলাম শৈশবেই, (12) |
|||
আর আমাদের তরফ থেকে সহৃদয়তা ও পবিত্রতা। আর তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ, (13) |
|||
আর তাঁর পিতামাতার প্রতি অনুগত, আর তিনি ছিলেন না উদ্ধত, অবাধ্য। (14) |
|||
আর শান্তি তাঁর উপরে যেদিন তাঁর জন্ম হয়েছিল ও যেদিন তিনি মারা গিয়েছিলেন আর যেদিন তাঁকে পুরুত্থিত করা হবে জীবিত অবস্থায়। (15) |
|||
আর গ্রন্থখানাতে মরিয়মের কথা স্মরণ করো -- যখন তিনি তাঁর পরিবারবর্গ থেকে সরে গিয়েছিলেন পুবদিকের এক জায়গায়, (16) |
|||
তারপর তিনি তাদের থেকে পর্দা অবলন্বন করলেন, তখন আমরা তাঁর কাছে পাঠালাম আমাদের দূতকে, কাজেই তাঁর কাছে সে এক পুরোপুরি মানুষের অনুরূপে দেখা দিল। (17) |
|||
তিনি বললেন -- ''নিঃসন্দেহ আমি তোমার থেকে আশ্রয় খুজঁছি পরম করুণাময়ের কাছে, যদি তুমি ধর্মভীরু হও।’’ (18) |
|||
সে বললে -- ''আমি তো শুধু তোমার প্রভুর বাণীবাহক -- 'যে আমি তোমাকে দান করব এক নিখুঁত ছেলে’।’’ (19) |
|||
তিনি বললেন -- ''কেমন ক’রে আমার ছেলে হবে, যেহেতু আমাকে পুরুষ-মানুষ স্পর্শ করে নি এবং আমি অসতীও নই?’’ (20) |
|||
সে বললে -- ''মনটা হবে! তোমার প্রভু বলেছেন -- 'এটি আমার জন্য সহজ-সাধ্য। আর যেন আমরা তাঁকে লোকদের জন্য একটি নিদর্শন বানাতে পারি, আর আমাদের থেকে এক করুণা, আর এ তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার’।’’ (21) তারপর তিনি তাঁকে গর্বধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে সরে গেলেন। (22) |
|||
তখন প্রসব-বেদনা তাঁকে এক খেজুর গাছের গুড়িতে নিয়ে এল। তিনি বললেন -- ''হায় আমার দুর্ভোগ! এর আগে যদি আমি মরেই যেতাম এবং সম্পূর্ণ বিস্মৃতিতে বিস্মৃত হতাম!’’ (23) |
|||
তখন তাঁর নিচে থেকে তাঁকে ডেকে বললে -- ''দুঃখ করো না, তোমার প্রভু অবশ্য তোমার নিচে দিয়ে একটি জলধারা রেখেছেন।’’ (24) |
|||
''আর খেজুর গাছের কান্ডটি তোমার দিকে টানতে থাক, এটি তোমার উপরে টাটকা-পাকা খেজুর ফেলবে। (25) |
|||
''সুতরাং খাও ও পান করো এবং চোখ জুড়াও। আর লোকজনের কাউকে যদি দেখতে পাও তবে বলো -- 'আমি পরম করুণাময়ের জন্য রোযা রাখার মানত করেছি, কাজেই আমি আজ কোনো লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলব না’।’’ (26) |
|||
তারপর তিনি তাঁকে নিয়ে এলেন তাঁর লোকদের কাছে তাঁকে চড়িয়ে। তারা বললে -- ''হে মরিয়ম! তুমি আলবৎ এক অদ্ভুত ফেসাদ নিয়ে এসেছ। (27) |
|||
''হে হারূনের ভগিনী! তোমার বাপ তো খারাপ লোক ছিল না এবং তোমার মা’ও পাপিষ্ঠা নয়!’’ (28) |
|||
তখন তিনি তাঁর দিকে ইশারা করলেন। তারা বললে -- ''আমরা কেমন ক’রে কথা বলব তার সঙ্গে যে দোলনার শিশু?’’ (29) |
|||
তিনি বললেন -- ''নিঃসন্দেহ আমি আল্লাহ্র একজন বান্দা, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন, (30) |
|||
''আর তিনি আমাকে মঙ্গলময় করেছেন যেখানেই আমি থাকি না কেন, আর তিনি আমার প্রতি বিধান দিয়েছেন নামায পড়তে ও যাকাত দিতে যতদিন আমি জীবিত অবস্থায় অবস্থান করি, (31) |
|||
''আর আমার মায়ের প্রতি অনুগত থাকতে, আর তিনি আমাকে বিদ্রোহীভাবাপন্ন হতভাগ্য করেন নি। (32) |
|||
''আর শান্তি আমার উপরে যেদিন আমার জন্ম হয়েছিল, আর যেদিন আমি মারা যাব আর যেদিন আমাকে পুনরুত্থিত করা হবে জীবিত অবস্থায়।’’ (33) |
|||
এই হচ্ছে মরিয়মপুত্র ঈসা, সত্য বিবৃতি যে-সন্বন্ধে তারা বিতর্ক করে। (34) |
|||
এ আল্লাহ্র জন্য নয় যে তিনি এক সন্তান গ্রহণ করবেন। তাঁরই সব মহিমা! তিনি যখন কোনো-কিছু সিদ্ধান্ত করেন তখন সেজন্য তিনি শুধু বলেন -- 'হও’, আর তা হয়ে যায়। (35) |
|||
''আর নিশ্চয় আল্লাহ্ আমার প্রভু ও তোমাদেরও প্রভু, অতএব তাঁরই এবাদত করো। এটিই সহজ-সঠিক পথ।’’ (36) |
|||
কিন্তু গোত্রেরা তাদের পরস্পরের মধ্য মতানৈক্য সৃষ্টি করল, সুতরাং ধিক্ তাদের প্রতি যারা অবিশ্বাস পোষণ করে সেই ভয়ঙ্কর দিনে হাজিরাদানের কারণে। (37) |
|||
কত স্পষ্টভাবে তারা শুনবে ও দেখবে সেইদিন যেদিন তারা আমাদের কাছে আসবে! কিন্তু অন্যায়কারীরা আজ স্পষ্ট ভুলের মধ্যে রয়েছে। (38) |
|||
আর তাদের সতর্ক করে দাও সেই দারুণ পরিতাপের দিন সন্বন্ধে যখন ব্যাপারের সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আর তারা তো গাফিলতিতে রয়েছে, আর তারা বিশ্বাসও করে না। (39) |
|||
নিঃসন্দেহ আমরা নিজেরাই পৃথিবী ও তার উপরে যারা আছে সে-সমস্তের উত্তরাধিকারী, আর আমাদের কাছেই তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। (40) |
|||
আর গ্রন্থখানার মধ্যে ইব্রাহীমের কথা স্মরণ করো। নিঃসন্দেহ তিনি ছিলেন সত্য-পরায়ণ, একজন নবী। (41) |
|||
দেখো! তিনি তাঁর পিতৃপুরুষকে বললেন -- ''হে আমার বাপা! তুমি কেন তার উপাসনা কর যে শোনে না ও দেখে না এবং তোমাকে কোনো কিছুতেই সমৃদ্ধ করে না? (42) |
|||
''হে আমার আব্বু! নিঃসন্দেহ আমার কাছে অবশ্যই জ্ঞান এসেছে যা তোমার কাছে আসে নি, সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করব। (43) |
|||
''হে আমার বাপা! শয়তানের উপাসনা করো না। নিশ্চয়ই শয়তান পরম করুণাময়ের অবাধ্য। (44) |
|||
''হে আমার বাপুজি! আমি আলবৎ আশঙ্কা করি যে পরম করুণাময়ের কাছ থেকে শাস্তি তোমাকে স্পর্শ করবে, ফলে তুমি হয়ে পড়বে শয়তানের সঙ্গিসাথী।’ (45) |
|||
সে বললে -- ''হে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে বীতশ্রদ্ধ? তুমি যদি না থামো তবে তোমাকে আমি নিশ্চিত পাথর ছুঁড়ে তাড়া করব, আর তুমি আমার থেকে এই মুহূর্তে দূর হয়ে যাও।’’ (46) |
|||
তিনি বললেন, ''তোমার উপরে শান্তি, আমি অবশ্য আমার প্রভুর কাছে তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিঃসন্দেহ তিনি আমার প্রতি পরম স্নেহময়। (47) |
|||
''আর আমি সরে যাচ্ছি তোমাদের থেকে ও আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তোমরা যাদের ডাকো ওদের থেকে, আর আমি আমার প্রভুকেই ডাকব, হতে পারে যে আমার প্রভুকে ডেকে আমি করুণাবঞ্চিত হব না।’’ (48) |
|||
তারপর যখন তিনি সরে গেলেন তাদের থেকে ও আল্লাহ্কে ছেড়ে দিয়ে তারা যাদের ডাকত ওদের থেকে, আমরা তাঁকে দিয়েছিলাম ইসহাককে ও ইয়াকুবকে। আর আমরা প্রত্যেককেই বানিয়েছিলাম নবী। (49) |
|||
আর তাঁদের আমরা দান করেছিলাম আমাদের করুণা থেকে, আর আমরা তাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছিলাম সমুচ্চ সুখ্যাতি। (50) |
|||
আর গ্রন্থখানাতে মূসার কথা স্মরণ করো। নিঃসন্দেহ তিনি ছিলেন প্রিয়প্রাত্র, আর তিনি ছিলেন একজন নবী। (51) |
|||
আর আমরা তাঁকে ডেকেছিলাম পাহাড়ের ডান দিক থেকে, এবং আমরা তাঁকে নিকটে এনেছিলাম যোগাযোগে। (52) |
|||
আর আমাদের করুণা বশত আমরা তাঁকে দিয়েছিলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে। (53) |
|||
আর কিতাবখানাতে স্মরণ করো ইসমাইলের কথা। নিঃসন্দেহ তিনি ছিলেন ওয়াদাতে সত্যপরায়ণ, আর তিনি ছিলেন একজন রসূল, একজন নবী। (54) |
|||
আর তিনি তাঁর পরিজনবর্গকে নামাযের ও যাকাতের নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর তাঁর প্রভুর কাছে তিনি ছিলেন সন্তোষভাজন। (55) |
|||
আর কিতাবখানাতে ইদ্রীসের কথা স্মরণ করো। নিঃসন্দেহ তিনি ছিলেন সত্যপরায়ণ, একজন নবী। (56) |
|||
আর আমরা তাঁকে উন্নীত করেছিলাম অত্যুচ্চ পর্যায়ে। (57) |
|||
এরাই তাঁরা যাঁদের উপরে আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছিলেন, -- আদমসন্তানদের থেকে নবীদের মধ্যেকার, আর যাদের আমরা নূহের সাথে বহন করেছিলাম তাদের মধ্যেকার, আর ইব্রাহীম ও ইসমাইলের বংশধরদের মধ্যের এবং যাদের আমরা সৎপথে চালিয়েছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম তাদের মধ্যেকার। যখনি পরম করুণাময়ের বাণী তাদের কাছে পাঠ করা হতো তারা লুটিয়ে পড়ত সিজদারত হয়ে ও অশ্রুমোচন করতে করতে। [۩] (58) তারপর তাদের পরে এল পরবর্তিদল যারা নামায বাদ দিল ও কামনা-লালসার অনুসরণ করল, সেজন্য তারা অচিরেই দেখতে পাবে বঞ্চনা, -- (59) |
|||
তারা ছাড়া যে তওবা করে ও ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই তবে বেহেশতে প্রবেশ করবে, আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না, -- (60) |
|||
নন্দন কানন যা পরম করুণাময় তাঁর বান্দাদের জন্য ওয়াদা করেছেন অদৃশ্য জগতে। নিঃসন্দেহ তাঁর প্রতিশ্রুতি সদাসর্বদা এসেই থাকে। (61) |
|||
তারা সেখানে শুনবে না কোনো খেলো কথা 'সালাম’ ব্যতীত। আর তাদের জন্য সেখানে রয়েছে তাদের রিযেক সকালে ও সন্ধ্যায়। (62) |
|||
এই সেই বেহেশত যেটি আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে দিয়েছি আমাদের বান্দাদের মধ্যের তাদের যারা ধর্মপরায়ণ। (63) |
|||
আর -- ''আমরা অবতরণ করি না তোমার প্রভুর নির্দেশ ব্যতীত, যা কিছু আমাদের সামনে রয়েছে ও যা কিছু আমাদের পেছনে আর যা কিছু রয়েছে এই দুইয়ের মধ্যে সে সমস্ত তাঁরই, আর তোমার প্রভু ভুলো নন। (64) |
|||
''তিনি মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর এবং এ দুইয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তার প্রতিপালক প্রভু। সুতরাং তাঁকেই উপাসনা কর এবং তাঁর উপাসনায় অবিরাম সাধনা কর। তুমি কি কাউকে তাঁর সমকক্ষ জ্ঞান কর?’’ (65) |
|||
আর লোকে বলে -- ''কি! আমি যখন মরে যাব তখন কি আমাকে বের করে আনা হবে জীবিত অবস্থায়?’’ (66) |
|||
কি? মানুষ কি স্মরণ করে না যে আমরা তাকে ইতিপূর্বে সৃষ্টি করেছিলাম যখন সে কিছুই ছিল না? (67) |
|||
কাজেই তোমার প্রভুর কসম, আমরা অতি অবশ্য তাদের সমবেত করব, আর শয়তানদেরও, তারপর আমরা অবশ্যই তাদের হাজির করব জাহান্নামের চারিদিকে নতজানু অবস্থায়। (68) |
|||
তারপর আমরা নিশ্চয় বের করে আনব প্রত্যেক দল থেকে তাদের মধ্যের ওকে যে পরম করুণাময়ের প্রতি সর্বাধিক অবাধ্য। (69) |
|||
আর আমরা নিশ্চয় ভাল জানি তাদের যারা নিজেরাই সেখানে দগ্ধ হবার জন্যে সব চাইতে যোগ্য। (70) |
|||
আর তোমাদের মধ্যে এমন একজনও নেই যে সেখানে না আসবে, -- এটি তোমার প্রভুর জন্যে এক অনিবার্য সিদ্ধান্ত। (71) |
|||
আর আমরা উদ্ধার করব তাদের যারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে, আর অন্যায়কারীদের সেখানে রেখে দেব নতজানু অবস্থায়। (72) |
|||
আর যখন তাদের কাছে আমাদের সুস্পষ্ট বাণীসমূহ পড়া হয় তখন যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের -- ''দুই দলের মধ্যে কোনটি প্রতিষ্ঠার দিকে শ্রেষ্ঠতর ও জাঁকজমকে গুলজার?’’ (73) |
|||
আর তাদের আগে কত মানবগোষ্ঠীকে আমরা ধ্বংস করেছি যারা ধনসম্পদে ও বাগাড়ন্বরে জমজমাট ছিল! (74) |
|||
বলো -- ''যে বিভ্রান্তিতে রয়েছে পরম করুণাময় তার জন্য ঢিলে দিয়ে লন্বা করে দেন যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পায় যা তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল -- হয় শাস্তি নয়তো ঘড়িঘন্টা, তখন তারা জানতে পারবে কে হচ্ছে অবস্থানে বেশী নিকৃষ্ট এবং শক্তিসামর্থের বেশী দুর্বল।’’ (75) |
|||
আর যারা সৎপথে চলে আল্লাহ্ তাদের সুগতি বাড়িয়ে দেন, আর স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রভুর কাছে পুরস্কার প্রদানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আর সুফল ফলনের জন্যেও সর্বশ্রেষ্ঠ। (76) |
|||
তুমি কি তাকে দেখেছ যে আমাদের বাণীসমূহ অবিশ্বাস করে ও বলে -- ''আমাকে আলবৎ ধনদৌলত ও সন্তানসন্ততি দেয়া হবে’’? (77) |
|||
সে কি অদৃশ্য সন্বন্ধে জেনে গেছে, না কি সে পরম করুণাময়ের কাছ থেকে কোনো চুক্তি আদায় করেছে? (78) |
|||
নিশ্চয়ই না! সে যা বলে তা সঙ্গে সঙ্গে আমরা লিখে রাখব, আর তার জন্য আমরা লম্বা করে দেব শাস্তির লম্বাই। (79) |
|||
আর সে যা বলে সে ব্যাপারে আমরা তাকে উত্তরাধিকার করব, আর আমাদের কাছে সে আসবে নিঃসঙ্গ অবস্থায়। (80) |
|||
আর তারা আল্লাহ্কে ছেড়ে দিয়ে অন্য উপাস্য গ্রহণ করেছে যেন তারা তাদের জন্য হতে পারে এক সহায় সন্বল। (81) |
|||
কখনোই না! তারা শীঘ্রই তাদের বন্দনা অস্বীকার করবে। আর তারা হবে এদের বিরোধিপক্ষ। (82) |
|||
তুমি কি লক্ষ্য কর নি যে আমরা শয়তানদের পাঠিয়েছি অবিশ্বাসীদের নিকটে বিশেষ উসকানিতে উসকানি দিতে। (83) |
|||
সুতরাং তাদের জন্য ব্যস্ত হয়ো না। আমরা তো তাদের জন্য সংখ্যা গণনা করছি। (84) |
|||
সেদিন ধর্মপরায়ণদের আমরা সমবেত করব পরম করুণাময়ের কাছে রাজদূতরূপে, (85) |
|||
আর অপরাধীদের আমরা তাড়িয়ে নেব জাহান্নামের দিকে তৃষ্ণাতুর অবস্থায়। (86) |
|||
পরম করুণাময়ের নিকট থেকে যে কোনো কড়ার লাভ করেছে সে ব্যতীত কারোর সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না। (87) |
|||
আর তারা বলে -- ''পরম করুণাময় একটি সন্তান গ্রহণ করেছেন।’’ (88) |
|||
তোমরা অবশ্যই এক বিকট ব্যপার অবতারণা করেছ। (89) |
|||
এর দ্বারা মহাকাশমন্ডল বিদীর্ণ হয়ে যাবার উপক্রম করছে আর পৃথিবী চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে চলছে আর পাহাড়পর্বত খন্ডবিখন্ড হয়ে ভেঙ্গে পড়ছে -- (90) |
|||
যেহেতু তারা পরম করুণাময়ের প্রতি সন্তান দাবি করছে। (91) |
|||
আর পরম করুণাময়ের পক্ষে এটি সমীচীন নয় যে তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন। (92) |
|||
মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে পরম করুণাময়ের কাছে আসবে বান্দারূপে ছাড়া। (93) |
|||
তিনি অবশ্যই তাদের হিসেব রেখেছেন, আর তিনি তাদের গণনা করছেন গুনতিতে। (94) |
|||
আর তাদের সবকয়জনকেই কিয়ামতের দিনে তাঁর কাছে আসতে হবে নিঃসঙ্গ অবস্থায়। (95) |
|||
নিঃসন্দেহ যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদের জন্য পরম করুণাময় এখনি যোগান ধরবেন প্রেম। (96) |
|||
সুতরাং আমরা তো এটিকে তোমার মাতৃভাষায় সহজবোধ্য করে দিয়েছি যেন এর দ্বারা তুমি ধর্মপরায়ণদের সুসংবাদ দিতে পার আর এর দ্বারা সাবধান করে দিতে পার বিতর্কপ্রিয় সম্প্রদায়কে। (97) |
|||
আর তাদের আগে আমরা কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি! তুমি কি তাদের মধ্যের একজনকেও দেখতে পাও অথবা তাদের থেকে গুনগুনানি শুনতে পাও? (98) |
|||
== বহিঃসংযোগ == |
== বহিঃসংযোগ == |
||
* [http://www.quran.gov.bd/ ডিজিটাল 'আল কোরআন'] - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ। |
|||
* [http://www.tafsir.com/Default.asp তাফসীর ইবন কাসির] |
|||
* [http://quraanshareef.org/index.php কোরআন শরীফ.অর্গ।] |
|||
* [http://www.islamicity.com/mosque/QURAN/19.htm সূরা মারইয়াম] |
|||
{{wikisource|The Holy Qur'an (Maulana Muhammad Ali)/19. Mary|মারইয়াম (সূরা)}} |
|||
* [http://www.islamicity.com/mosque/SURAI.HTM কুরআন], ইংরেজিতে অনুবাদ। |
|||
* [http://www.altafsir.com/Quran.asp?SoraNo=19&Ayah=1&NewPage=0&Tajweed=1 সূরা মারইয়াম] at Altafsir.com |
|||
{{প্রবেশদ্বার|কুরআন}} |
|||
{{সূরা|আল ইমরান|[[আল কাহফ]]|[[ত্বোয়া-হা]]}} |
|||
{{সূরা}} |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:সূরা]] |
[[বিষয়শ্রেণী:সূরা]] |
২০:১৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পরিসংখ্যান | |
---|---|
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা কাহফ |
পরবর্তী সূরা → | সূরা ত্বোয়া-হা |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
সূরা মারইয়াম (আরবি ভাষায়: سورة مريم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৯ নম্বর সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। সূরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথমে হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর প্রার্থনার কথা, পরে বিবি মরিয়ম এবং পুত্র হযরত ঈসা (আঃ)-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ডিজিটাল 'আল কোরআন' - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
- কোরআন শরীফ.অর্গ।