শতপথ ব্রাহ্মণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
== বিষয়বস্তু ==
== বিষয়বস্তু ==
এই ধর্মগ্রন্থের প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলির একটি হল এর পৌরাণিক অংশ। এখানে সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথা ও [[শ্রদ্ধাদেব মনু#মহাপ্রলয়|মনুর প্রলয়ের]] উল্লেখ আছে।<ref>{{cite book |title=A Survey of Hinduism|author= Klaus K. Klostermaier|authorlink=Klaus Klostermaier|publisher=SUNY Press|year=2007|isbn=0-7914-7082-2 |page=97 |url=http://books.google.co.in/books?id=E_6-JbUiHB4C&pg=PA97&lpg=PA97&dq=the+great+flood+in+Hinduism&source=bl&ots=FgjVIGJ4I_&sig=w0AjLPuc9f-6QDQe7oro4ylibZs&hl=en&ei=8QWzTceHHIjTrQeJ7rjIDQ&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=9&ved=0CFwQ6AEwCA#v=onepage&q=the%20great%20flood%20in%20Hinduism&f=false |ref= }}</ref><ref>{{cite book |title=Encyclopaedia of Hinduism: T-Z, Volume 5|author=Sunil Sehgal|publisher=Sarup & Sons|year=1999|isbn=81-7625-064-3 |page=401 |url=http://books.google.co.in/books?id=zWG64bgtf3sC&pg=PA401&dq=Noah%27s+Ark+in+Hinduism&hl=en&ei=sQqzTeeRINCxrAe4h9zIDQ&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=2&ved=0CDgQ6AEwAQ#v=onepage&q=Noah%27s%20Ark%20in%20Hinduism&f=false |ref= }}</ref> এই সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথার সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণের অনেক সাদৃশ্য আছে। যেমন, প্রাগৈতিহাসিক বন্যা ([[বাইবেল|বাইবেলে]] যেমন পাওয়া যায়), আলো ও অন্ধকারের প্রসার, ভালো ও মন্দের বিভাজন এবং সময়ের ব্যাখ্যা। শতপথ ব্রাহ্মণে যজ্ঞবেদী নির্মাণ, যজ্ঞের উপকরণ, যজ্ঞে মন্ত্রোচ্চারণ ও [[সোমরস]] প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতীকী ব্যাখ্যার একটি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
এই ধর্মগ্রন্থের প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলির একটি হল এর পৌরাণিক অংশ। এখানে সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথা ও [[শ্রদ্ধাদেব মনু#মহাপ্রলয়|মনুর প্রলয়ের]] উল্লেখ আছে।<ref>{{cite book |title=A Survey of Hinduism|author= Klaus K. Klostermaier|authorlink=Klaus Klostermaier|publisher=SUNY Press|year=2007|isbn=0-7914-7082-2 |page=97 |url=http://books.google.co.in/books?id=E_6-JbUiHB4C&pg=PA97&lpg=PA97&dq=the+great+flood+in+Hinduism&source=bl&ots=FgjVIGJ4I_&sig=w0AjLPuc9f-6QDQe7oro4ylibZs&hl=en&ei=8QWzTceHHIjTrQeJ7rjIDQ&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=9&ved=0CFwQ6AEwCA#v=onepage&q=the%20great%20flood%20in%20Hinduism&f=false |ref= }}</ref><ref>{{cite book |title=Encyclopaedia of Hinduism: T-Z, Volume 5|author=Sunil Sehgal|publisher=Sarup & Sons|year=1999|isbn=81-7625-064-3 |page=401 |url=http://books.google.co.in/books?id=zWG64bgtf3sC&pg=PA401&dq=Noah%27s+Ark+in+Hinduism&hl=en&ei=sQqzTeeRINCxrAe4h9zIDQ&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=2&ved=0CDgQ6AEwAQ#v=onepage&q=Noah%27s%20Ark%20in%20Hinduism&f=false |ref= }}</ref> এই সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথার সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণের অনেক সাদৃশ্য আছে। যেমন, প্রাগৈতিহাসিক বন্যা ([[বাইবেল|বাইবেলে]] যেমন পাওয়া যায়), আলো ও অন্ধকারের প্রসার, ভালো ও মন্দের বিভাজন এবং সময়ের ব্যাখ্যা। শতপথ ব্রাহ্মণে যজ্ঞবেদী নির্মাণ, যজ্ঞের উপকরণ, যজ্ঞে মন্ত্রোচ্চারণ ও [[সোমরস]] প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতীকী ব্যাখ্যার একটি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।

মধ্যণ্ডিন শাখার ১৪টি খণ্ডকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। প্রথন নয়টি বই [[যজুর্বেদ]] সংহিতার প্রথম ১৮টি খণ্ডের পুথিগত টীকা দিয়েছে। এই টীকা স্থানে স্থানে পংক্তি ধরে ধরে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পাঁচটি বই অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত নতুনতর দ্রব্য ও অন্যান্য দ্রব্যের বর্ণনা বর্ণনা দিয়েছে। ১৪শ এবং শেষ খণ্ডটি [[বৃহদারণ্যক উপনিষদ্‌]] নামে খ্যাত।

১২:১৭, ১২ জুন ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শতপথ ব্রাহ্মণ (शतपथ ब्राह्मण śatapatha brāhmaṇa, "একশো পথের ব্রাহ্মণ") হল যজুর্বেদ#শুক্ল যজুর্বেদের সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গদ্য ধর্মগ্রন্থ। এটিতে বৈদিক আচার-অনুষ্ঠানের বর্ণনা রয়েছে।[১] এই ব্রাহ্মণটি দুটি শাখায় পাওয়া যায় – মধ্যণ্ডিন (বাজসনেয় মধ্যণ্ডিন শাখার) এবং কান্ব (কান্ব শাখার)। প্রথমটি ১৪টি খণ্ডে ১০০টি অধ্যায় ও ৭,৬২৪টি কাণ্ডিকে এবং দ্বিতীয়টি ১৭টি খণ্ডে ১০৪টি অধ্যায় ও ৬,৮০৪টি কাণ্ডিকে বিভক্ত

রচনাকাল

ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে জানা যায়, শতপথ ব্রাহ্মণ বৈদিক সংস্কৃতের (অর্থাৎ, মোটামুটিভাবে খ্রিস্টপূর্ব ৮ম থেকে ৬ষ্ঠ শতাব্দী, লৌহযুগীয় ভারত) ব্রাহ্মণ পর্যায়ের সর্বশেষ অংশে রচিত হয়।[২]

জন এন. ব্রামারের মতে এটির রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ অব্দের কাছাকাছি কোনো সময়ে।[৩] জুলিয়াস এগেলিঙের মতে, এই ব্রাহ্মণের সর্বশেষ সংস্করণটির রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ। যদিও এর কোনো কোনো অংশ “অনেক প্রাচীনতর, যা অজ্ঞাত প্রাচীনকাল থেকে মুখে মুখে প্রচলিত ছিল।”[৪]

বিষয়বস্তু

এই ধর্মগ্রন্থের প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলির একটি হল এর পৌরাণিক অংশ। এখানে সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথা ও মনুর প্রলয়ের উল্লেখ আছে।[৫][৬] এই সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণকথার সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টি-সংক্রান্ত পুরাণের অনেক সাদৃশ্য আছে। যেমন, প্রাগৈতিহাসিক বন্যা (বাইবেলে যেমন পাওয়া যায়), আলো ও অন্ধকারের প্রসার, ভালো ও মন্দের বিভাজন এবং সময়ের ব্যাখ্যা। শতপথ ব্রাহ্মণে যজ্ঞবেদী নির্মাণ, যজ্ঞের উপকরণ, যজ্ঞে মন্ত্রোচ্চারণ ও সোমরস প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতীকী ব্যাখ্যার একটি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।

মধ্যণ্ডিন শাখার ১৪টি খণ্ডকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। প্রথন নয়টি বই যজুর্বেদ সংহিতার প্রথম ১৮টি খণ্ডের পুথিগত টীকা দিয়েছে। এই টীকা স্থানে স্থানে পংক্তি ধরে ধরে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পাঁচটি বই অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত নতুনতর দ্রব্য ও অন্যান্য দ্রব্যের বর্ণনা বর্ণনা দিয়েছে। ১৪শ এবং শেষ খণ্ডটি বৃহদারণ্যক উপনিষদ্‌ নামে খ্যাত।

  1. Jones, Constance (২০০৭)। Encyclopedia of Hinduism। New York: Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 404। আইএসবিএন 0816073368 
  2. Keith, Aitareya Aranyaka, p. 38 (Introduction): "by common consent, the Satapatha is one of the youngest of the great Brahmanas"; footnotes: "Cf. Macdonell, Sanskrit Literature, pp. 203, 217. The Jaiminiya may be younger, cf. its use of aadi, Whitney, P.A.O.S, May 1883, p.xii."
  3. Jan N. Bremmer (২০০৭)। The Strange World of Human Sacrifice। Peeters Publishers। পৃষ্ঠা 158–। আইএসবিএন 978-90-429-1843-6। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  4. The Satapatha Brahmana. Sacred Books of the East, Vols. 12, 26, 24, 37, 47, translated by Julius Eggeling [published between 1882 and 1900]
  5. Klaus K. Klostermaier (২০০৭)। A Survey of Hinduism। SUNY Press। পৃষ্ঠা 97। আইএসবিএন 0-7914-7082-2 
  6. Sunil Sehgal (১৯৯৯)। Encyclopaedia of Hinduism: T-Z, Volume 5। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 401। আইএসবিএন 81-7625-064-3