বালুবোরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিবর্ধন করা হলও
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:


==দৈহিক বর্ণনা ও স্বভাব==
==দৈহিক বর্ণনা ও স্বভাব==
বালুবোরা দৈর্ঘে ৬০ সেন্টিমিটার হতে পারে, স্ত্রী প্রজাতির বালুবোরার দৈর্ঘ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের দেহ মোটসোটা ও আকারে ছোট, শরীর ভারী, বেশী নড়াচড়া করতে সক্ষম নয়। এদের ত্বক আইশযুক্ত ও লেজ ছোট, চাপানো ও মোচাকৃত। এদের ডিম্বাকৃতির চক্ষু আকারে ক্ষুদ্রকার। এদের গাত্রবর্ণ লালচে বাদামী, হলদে সাদা, গাঢ় বাদামী ইত্যাদি হতে পারে। এদের দেহের পশ্চৎভাগে কালো ছোপ থাকে এবং বুকের দিকটা হলদে সাদাটে হয়ে থাকে। এর পায়ূ পথ তিনটি। এটি শুষ্ক পরিবেশে এবং বনে-জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। এরা নিশাচর হলেও এরা দিনের বেলায় শিকারে বের হয়। ইঁদুর এদের প্রিয় খাদ্য্; অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ, টিকটিকি, সাপ, পাখি ইত্যাদি। এই প্রাণী প্রজনন মৌসুমে নিজ ডিম্বনালীতে ডিম পাড়ে। জুলাই মাসের আশে পাশের সময়ে এদের ৬ থেকে ৮টি বাচ্চা হয়৤ নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে সচরাচর দেখা যায়। <ref>[http://www.redorbit.com/education/reference_library/animal_kingdom/reptilia/1112974193/rough-scaled-sand-boa-gongylophis-conicus/ Rough-scaled sand boa]</ref><ref>[http://animaldiversity.ummz.umich.edu/accounts/Gongylophis_conicus/classification/ Rough-tailed Sand Boa ]</ref><ref>[http://indiabiodiversity.org/species/show/238860 Gongylophis conicus Schneider]</ref>
বালুবোরা দৈর্ঘে ৬০ সেন্টিমিটার হতে পারে, স্ত্রী প্রজাতির বালুবোরার দৈর্ঘ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের দেহ মোটসোটা ও আকারে ছোট, শরীর ভারী, বেশী নড়াচড়া করতে সক্ষম নয়। এদের ত্বক আইশযুক্ত ও লেজ ছোট, চাপানো ও মোচাকৃত। এদের ডিম্বাকৃতির চক্ষু আকারে ক্ষুদ্রকার। এদের গাত্রবর্ণ লালচে বাদামী, হলদে সাদা, গাঢ় বাদামী ইত্যাদি হতে পারে। এদের দেহের পশ্চৎভাগে কালো ছোপ থাকে এবং বুকের দিকটা হলদে সাদাটে হয়ে থাকে। এর পায়ূ পথ তিনটি। এটি শুষ্ক পরিবেশে এবং বনে-জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। এরা নিশাচর হলেও এরা দিনের বেলায় শিকারে বের হয়। ইঁদুর এদের প্রিয় খাদ্য্; অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ, টিকটিকি, সাপ, পাখি ইত্যাদি। এই প্রাণী প্রজনন মৌসুমে নিজ ডিম্বনালীতে ডিম পাড়ে। জুলাই মাসের আশে পাশের সময়ে এদের ৬ থেকে ৮টি বাচ্চা হয়৤ নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে সচরাচর দেখা যায়। <ref>[http://www.redorbit.com/education/reference_library/animal_kingdom/reptilia/1112974193/rough-scaled-sand-boa-gongylophis-conicus/ Rough-scaled sand boa]</ref><ref>[http://animaldiversity.ummz.umich.edu/accounts/Gongylophis_conicus/classification/ Rough-tailed Sand Boa ]</ref><ref>[http://indiabiodiversity.org/species/show/238860 Gongylophis conicus Schneider]</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০০:৫৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বালুবোরা সাপ
Gongylophis conicus
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Boidae
উপপরিবার: Erycinae
গণ: Gongylophis
প্রজাতি: G. conicus
দ্বিপদী নাম
Gongylophis conicus
(Schneider, 1801)
প্রতিশব্দ
  • [Boa] Conica Schneider, 1801
  • Boa Viperina Shaw, 1802
  • Boa ornata Daudin, 1803
  • Erix Bengalensis Guérin, 1830
  • [Tortrix] eryx bengalensis - Schlegel, 1837
  • Gongylophis conicus - Wagler, 1842
  • Eryx conicus - Duméril & Bibron, 1844
  • Eryx conicus var. laevis Peters, 1869
  • Gongylophis conicus - Boulenger, 1890
  • Eryx conicus - Boulenger, 1893
  • Eryx conicus brevis Deraniyagala, 1951
  • Eryx conicus conicus - Rajendran, 1967
  • Eryx conicus gansi Rajendran In St. Xavier's College Magazine, 1971
  • Gongylophis (Gongylophis) conicus - Tokar, 1989
  • [Eryx] conicus - Kluge, 1993
  • E[ryx]. conicus - Szyndlar & Schleich, 1994
  • Gongylophis [(Gongylophis)] conicus - Tokar, 1995[১]

বালুবোরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Gongylophis conicus) হচ্ছে Boidae পরিবারের এক প্রজাতির সাপ। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]

দৈহিক বর্ণনা ও স্বভাব

বালুবোরা দৈর্ঘে ৬০ সেন্টিমিটার হতে পারে, স্ত্রী প্রজাতির বালুবোরার দৈর্ঘ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের দেহ মোটসোটা ও আকারে ছোট, শরীর ভারী, বেশী নড়াচড়া করতে সক্ষম নয়। এদের ত্বক আইশযুক্ত ও লেজ ছোট, চাপানো ও মোচাকৃত। এদের ডিম্বাকৃতির চক্ষু আকারে ক্ষুদ্রকার। এদের গাত্রবর্ণ লালচে বাদামী, হলদে সাদা, গাঢ় বাদামী ইত্যাদি হতে পারে। এদের দেহের পশ্চৎভাগে কালো ছোপ থাকে এবং বুকের দিকটা হলদে সাদাটে হয়ে থাকে। এর পায়ূ পথ তিনটি। এটি শুষ্ক পরিবেশে এবং বনে-জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। এরা নিশাচর হলেও এরা দিনের বেলায় শিকারে বের হয়। ইঁদুর এদের প্রিয় খাদ্য্; অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ, টিকটিকি, সাপ, পাখি ইত্যাদি। এই প্রাণী প্রজনন মৌসুমে নিজ ডিম্বনালীতে ডিম পাড়ে। জুলাই মাসের আশে পাশের সময়ে এদের ৬ থেকে ৮টি বাচ্চা হয়৤ নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে সচরাচর দেখা যায়। [৩][৪][৫]

তথ্যসূত্র

  1. McDiarmid RW, Campbell JA, Touré T. 1999. Snake Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference, vol. 1. Herpetologists' League. 511 pp. ISBN 1-893777-00-6 (series). ISBN 1-893777-01-4 (volume).
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৪৪
  3. Rough-scaled sand boa
  4. Rough-tailed Sand Boa
  5. Gongylophis conicus Schneider

বহি:সংযোগ