সূরা শুআরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
|sound_title =
|sound_title =
}}
}}
{{কুরআন}}
'''সূরা আশ শুআরা ''', ({{lang-ar| سورة الشعراء}}, (কবিগণ), [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ২৬ তম [[সূরা]]। এই সূরাটি [[মাক্কী সূরা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২২৭ টি।
'''সূরা আশ শুআরা ''', ({{lang-ar| سورة الشعراء}}, (কবিগণ), [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ২৬ তম [[সূরা]]। এই সূরাটি [[মাক্কী সূরা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২২৭ টি।



০৬:২৪, ৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সূরা শুআরা
সূরা শুআরা
পরিসংখ্যান
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা ফুরকান
পরবর্তী সূরা →সূরা নম্‌ল
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা আশ শুআরা , (আরবি: سورة الشعراء, (কবিগণ), মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৬ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২২৭ টি।

নামকরণ

২২৪ আয়াত থেকে সূরাটির নামটি গৃহীত হয়েছে।

আয়াতসমূহ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১-১০

طسم

১. ত্বা, সীন, মীম।

تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ

২. এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।

لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ

৩. তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।

إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّن السَّمَاء آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ

৪. আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।

وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ

৫. যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاء مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون

৬. তারা অবশ্যই উপদেশকে প্রত্যাখান করেছে। তারা যা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছে, খুব শীঘ্রই তার সত্যতা সম্বন্ধে জানতে পারবে ।

أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ

৭. তারা কি পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখে না ? সেখানে আমি পরম সুন্দর নানা রকম কত কি সৃষ্টি করেছি ।

نَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ

৮. অবশ্যই এটা একটা নিদর্শন। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা বিশ্বাস করে না।

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ

৯. আর নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু মহা শক্তিশালী , পরম করুণাময় ।

وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

১০. দেখো, তোমার প্রভু মুসাকে ডেকে বলেছিলো, "তুমি অন্যায়কারী সম্প্রদায়ের নিকট যাও

১১-২০

قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلَا يَتَّقُونَ

১১."ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি আল্লাহ্‌কে ভয় করবে না ? "

الَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ

১২.সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।

وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَى هَارُونَ

১৩. এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।

وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ

১৪.আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।

قَالَ كَلَّا فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ

১৫. আল্লাহ্ বললেন, “কখখনো না, তোমরা দু’জন যাও আমার নিদর্শনগুলো নিয়ে, আমি তোমাদের সাথে সবকিছু শুনতে থাকবো।

فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ

১৬. ফেরাউনের কাছে যাও এবং তাকে বলো, রব্বুল আলামীন আমাদের পাঠিয়েছেন,

فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ

১৭. যাতে তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দাও সে জন্য।”

الَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ

১৮. ফেরাউন বললো, “আমরা কি তোমাকে আমাদের এখানে প্রতিপালন করিনি যখন ছোট্ট শিশুটি ছিলে? বেশ ক’টি বছর আমাদের এখানে কাটিয়েছো,

وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ

১৯.তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।

قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ

২০.মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।

তথ্যসূত্র