রক্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NS Sizan (আলোচনা | অবদান)
NS Sizan (আলোচনা | অবদান)
৪৯ নং লাইন: ৪৯ নং লাইন:
==রক্ত কনিকার বিভিন্ন রোগ==
==রক্ত কনিকার বিভিন্ন রোগ==


১) পলিসাইথিমিয়া :— লোহিত রক্ত কনিকা বেড়ে গেলে ৷
১) পলিসাইথিমিয়া :— [[লোহিত রক্ত কনিকা]] বেড়ে গেলে ৷


২) এনিমিয়া :— লোহিত রক্ত কনিকা কমে গেলে ৷
২) এনিমিয়া :— [[লোহিত রক্ত কনিকা]] কমে গেলে ৷


৩) লিউকোমিয়া :— শ্বেতরক্ত কনিকা বেড়ে গেলে যদি ৫০০০ -১০০০০ হয় ৷
৩) লিউকোমিয়া :— [[শ্বেতরক্ত কনিকা]] বেড়ে গেলে যদি ৫০০০ -১০০০০ হয় ৷


৪) লিউকোসাইটোসিস :— শ্বেতরক্ত কনিকা বেড়ে যদি ২০০০-৩০০০ হয় ৷
৪) লিউকোসাইটোসিস :— [[শ্বেতরক্ত কনিকা]] বেড়ে যদি ২০০০-৩০০০ হয় ৷


৫) থ্রম্বোসাইটোসিস :— অনুচক্রিকার সংখা বেড়ে গেলে ৷
৫) থ্রম্বোসাইটোসিস :— [[অনুচক্রিকার]] সংখা বেড়ে গেলে ৷
(i) করোনারী থম্বোসিস :— হ্দপিন্ডে রক্ত জমাট বাধায় ৷
(i) করোনারী থম্বোসিস :— [[হ্দপিন্ডে]] রক্ত জমাট বাধায় ৷
(ii) সেরিব্রাল থম্বোসিস :— মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধায় ৷
(ii) সেরিব্রাল থম্বোসিস :— [[মস্তিষ্কে]] রক্ত জমাট বাধায় ৷


৬) পারপুরা :— অনুচক্রিকা কমে গেলে ৷
৬) পারপুরা :— [[অনুচক্রিকা]] কমে গেলে ৷


৭) থ্যালাসেমিয়া :— বিভিন্ন ধরনের অনুচক্রিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে ৷
৭) থ্যালাসেমিয়া :— বিভিন্ন ধরনের [[অনুচক্রিকার]] সংখ্যা বেড়ে গেলে ৷


== রক্তচাপ ==
== রক্তচাপ ==

১১:০৮, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রক্তের বিভিন্ন কণিকা

রক্ত (Blood) হল উচ্চশ্রেণীর প্রাণিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিন্ড, ধমনী, শিরাকৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। রক্ত একধরণের তরল যোজক কলা। রক্ত প্রধানত দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। রক্ত হল আমাদেরে দেহের জ্বালানি স্বরূপ।

রক্তের অংশ

রক্তের মূল অংশ দুইটি। যথা:

রক্তরস

রক্তের তরল অংশকে রক্তরস (plasma) বলে। রক্তকণিকা ব্যতীত রক্তের বাকি অংশই রক্ত রস। মেরুদন্ডী প্রাণিদের রক্তের প্রায় ৫৫% রক্তরস, এটি ঈষৎ হলুদাভ। এতে প্রায় ৯১-৯২% জল এবং বাকি ৮-৯% জৈব ও অজৈব কঠিন পদার্থ থাকে।

কাজ:

  1. এর মাধ্যমে পাচিত খাদ্যবস্তু, হর্মোন, উৎসেচক ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়।
  2. রক্তরসের প্রোটিনের পরিমাণ রক্তের সান্দ্রতা (ঘনত্ব), তারল্য (fluidity), প্রবাহধর্ম (rheology) বজায় রাখে এবং পানির অভিস্রবণিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  3. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  4. অ্যান্টিবডি, কম্প্লিমেন্টস ইত্যাদি প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ উপকরণ ধারণ করে।

মানব রক্তরসের কিছু প্রোটিন উপাদান

  1. রক্তের অ্যালবুমিন
  2. নানান গ্লোব্যুলিন (অ্যান্টিবডি গামা/ইম্যুনো গ্লোব্যুলিন)
  3. প্রতঞ্চকপ্রতিতঞ্চক উপাদান সমূহ
  4. ফাইব্রোনেক্টিনভিট্রোনেক্টিন
  5. কম্প্লিমেন্টস (২০টির বেশী)
  6. সি আর পি
  7. ট্রান্সফেরিন
  8. ট্রান্সথাইরেটিন
  9. সেরুলোপ্লাজমিন
  10. হ্যাপ্টোগ্লোবিন
  11. হিমোপেক্সিন
  12. সাইটোকাইনস
  13. লাইপোপ্রোটিনকাইলোমাইক্রন
  14. এল বি পি

রক্তকণিকা

রক্তের প্লাজমার মধ্যে নির্দিষ্ট আকার ও গঠন বিশিষ্ট উপাদান বা রক্ত কোষসমূহকে রক্ত কণিকা বলে। রক্তে প্রায় তিন ধরণের কণিকা পাওয়া যায়। যথা:

ক. লোহিত রক্তকণিকা (Erythorcytes),

খ. শ্বেত রক্তকণিকা (Leucocytes)

  1. নিউট্রোফিল।
  2. ইওসিনোফিল।
  3. বেসোফিল।
  4. লিম্ফোসাইট (বৃহৎ ও ক্ষুদ্র)।
  5. মনোসাইট।

গ. অণুচক্রিকা (Thrombocytes)।

রক্ত কনিকার বিভিন্ন রোগ

১) পলিসাইথিমিয়া :— লোহিত রক্ত কনিকা বেড়ে গেলে ৷

২) এনিমিয়া :— লোহিত রক্ত কনিকা কমে গেলে ৷

৩) লিউকোমিয়া :— শ্বেতরক্ত কনিকা বেড়ে গেলে যদি ৫০০০ -১০০০০ হয় ৷

৪) লিউকোসাইটোসিস :— শ্বেতরক্ত কনিকা বেড়ে যদি ২০০০-৩০০০ হয় ৷

৫) থ্রম্বোসাইটোসিস :— অনুচক্রিকার সংখা বেড়ে গেলে ৷

   (i) করোনারী থম্বোসিস :— হ্দপিন্ডে রক্ত জমাট বাধায় ৷
   (ii) সেরিব্রাল থম্বোসিস :— মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধায় ৷

৬) পারপুরা :— অনুচক্রিকা কমে গেলে ৷

৭) থ্যালাসেমিয়া :— বিভিন্ন ধরনের অনুচক্রিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে ৷

রক্তচাপ

হৃদপিন্ডের সংকোচন-প্রসারণের কারণে মানুষের ধমনীশিরায় রক্তের চাপ সৃষ্টি হয়। মানুষের শরীরে ৮০/১২০ হলো আদর্শ রক্তচাপ, ৮০/১৩০ হলো সবচেয়ে অনুকুল রক্তচাপ এবং ৮৫/১৪০ হলো সর্বোচ্চ রক্তচাপ

রক্তচাপের গুরুত্ব রক্তচাপ রক্তসংবহনে এবং জালকতন্ত্রে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।এই [[পরিস্রাবণ[] প্রক্রিয়া রক্ত থেকে কোশে

পুষ্টি সরবরাহ করা, মূত্রউৎপাদন করা প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজের সঙ্গে জড়িত।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনকারী কারণসমূহ

  1. হৃৎপিন্ডের সংকোচন করার ক্ষমতা।
  2. রক্তবাহের স্থিতিস্থাপকতা।
  3. হরমোন।
  4. খাদ্য গ্রহণ।
  5. ঘুমানো।
  6. দৈহিক পরিশ্রম।


টেমপ্লেট:রক্তবিদ্যা

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA