হেয়াত মামুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Linkon Mortuza (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি হেয়াত মামুদ, কবি হেয...
 
Linkon Mortuza (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন। ছিলেন সূফী সাধনার প্রতি গভীর অনুরাগী। একদিকে জীবনের প্রতি গভীর অনুরাগ অন্যদিকে ধর্ম নিষ্ঠ জীবন যাপনে প্রগাঢ় নিষ্ঠা ও অঙ্গীকার। নৈতিকতা সম্পন্ন জীবনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ছিল সব চাইতে বেশী। নৈতিকতার আলোকে তাঁর জীবন ছিল উদ্ভাসিত। তাই তো তাঁকে বলা যায় নৈতিকতায় বিভা দীপ্ত কবি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন। ছিলেন সূফী সাধনার প্রতি গভীর অনুরাগী। একদিকে জীবনের প্রতি গভীর অনুরাগ অন্যদিকে ধর্ম নিষ্ঠ জীবন যাপনে প্রগাঢ় নিষ্ঠা ও অঙ্গীকার। নৈতিকতা সম্পন্ন জীবনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ছিল সব চাইতে বেশী। নৈতিকতার আলোকে তাঁর জীবন ছিল উদ্ভাসিত। তাই তো তাঁকে বলা যায় নৈতিকতায় বিভা দীপ্ত কবি।


রংপুরবাসীর দাবী এবং দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে "কবি হেয়াত মামুদ
রংপুরবাসীর দাবী এবং দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে "কবি হেয়াত মামুদ ভবন।

১৯:৪০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি হেয়াত মামুদ,

কবি হেয়াত মামুদ সম্ভবত ১৬৮০ হইতে ১৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোন এক সনে পীরগঞ্জের ঝাড়বিশিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন"। তাঁর পিতার নাম কবির মাহমুদ এবং মায়ের নাম নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় তাঁর মায়ের নাম ছিল খায়রুননেসা। কবির পরিবার ছিল একটি সম্রান্ত পরিবার যাঁদের পারিবারিক উপাধি ছিল শাহ্‌। তাঁর পিতা ঘোড়াঘাট সরকারের দেওয়ান ছিলেন। তিনি বাগদ্বার পরগণার কাজী ছিলেন বলেও ভিন্ন মত রয়েছে। তবে ডঃ মযহারুল ইসলাম এর মতে পিতার মৃত্যুর পরে ১৭২৩-২৭ সালের দিকে তিনি বাগদ্বার পরগণার (বর্তমান ঘোড়াঘাট উপজেলাধীন) কাজী পদ লাভ করেন। ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ থেকে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে উত্তর বাংলার এই সাধক কবি ইন্তেকাল করেন। সে যাই হোক, কবি হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী ছিলেন। এর সমর্থনে যুক্তি হিসেবে তাঁর কাব্যে ব্যবহৃত রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির কথা উল্লেখ করা যায়।

সর্বজন স্বীকৃত ভাবে তাঁর চারটি কাব্যের পরিচয় পাওয়া যায়। এবং কবির বাঁধানো কবরের গায়ে পাথরে তা লিপিবদ্ধ আছে। তাঁর কাব্যসমূহ হচ্ছে-

১) জঙ্গনামা : রচনাকাল ১৭২৩ খ্রিষ্টাব্দ (১১৩০ সন) ২) সর্ব ভেদ বাণী কাব্য : রচনাকাল ১৭৩২ খ্রিষ্টাব্দ (১১৩৯ সন) ৩) হিতজ্ঞান বাণী : রচনাকাল ১৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দ (১১৬০ সন) ৪) আম্বিয়া বাণী : রচনাকাল ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ (১১৬৪ সন)

ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন। ছিলেন সূফী সাধনার প্রতি গভীর অনুরাগী। একদিকে জীবনের প্রতি গভীর অনুরাগ অন্যদিকে ধর্ম নিষ্ঠ জীবন যাপনে প্রগাঢ় নিষ্ঠা ও অঙ্গীকার। নৈতিকতা সম্পন্ন জীবনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ছিল সব চাইতে বেশী। নৈতিকতার আলোকে তাঁর জীবন ছিল উদ্ভাসিত। তাই তো তাঁকে বলা যায় নৈতিকতায় বিভা দীপ্ত কবি।

রংপুরবাসীর দাবী এবং দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে "কবি হেয়াত মামুদ ভবন।