সৈয়দ আবদুস সামাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আমাদের ফুটবল জাদুকর সামাদ
103.245.204.155-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Bodhisattwa-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি ফুটবলার]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি ফুটবলার]]

প্রায় ৮০ বছর আগের ঘটনা। তখনো ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তী ব্রাজিলের পেলের জন্ম হয়নি। আর আরেক কিংবদন্তীর ম্যারাডোনার কথা তো বহুদূরে। সালটা খুব সম্ভবত ১৯৩৩ কি ৩৪ হবে।
ফুটবল তখন হালের ক্রেজ। সর্বভারতীয় ফুটবল দল সফরে গেছে ইন্দোনেশিয়া। খেলার মাঠে প্রজাপতির মতো উড়ছেন ৬ ফিট উচ্চতার এক কৃষ্ণকায় যুবক। ইন্দোনেশিয়ার ৪-৫ জন প্লেয়ারকে কাটিয়ে বল মারলেন গোলপোস্ট বরাবর। আফসোস, গোল হলো না। বল লাগলো গোলবারে।
কি অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার। মিনিট ৫ এর ভেতর আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এইবার গোধরে বসেছেন যুবকটি। তার শর্ট মেজারমেনট তো এমন হবার কথা না। তিনি সরাসরি ম্যাচ পরিচালনা কমিটির কাছে নালিশ করে বসলেন। গোলপোস্টের মাপ ছোট আছে। অবিশ্বাস্যের সুরে মাপা হলো গোলপোস্ট। হ্যাঁ, আসলেই ইঞ্চি চারেক ছোট গোলপোস্ট!
কি আর করা। শেষে বারে লাগা সবগুল শর্ট গোল হিসেবে ধরা হলো! যে মানুষটির কথা এতক্ষণ বলা হলো তিনি আর কেউ নন। আমাদের দেশের মানুষ। সামাদ জাদুকর। ফুটবল জাদুকর সামাদ। যিনি কিনা পেলে, ম্যারাডোনা, স্টেফানো, গারিঞ্জা, বেকেনবাওয়ার, পুস্কাসের বহুবছর আগেই ফুটবলকে দান করেছিলেন শৈল্পিকতা, আর নৈপুণ্যতা। যিনি কিনা পায়ের জাদুতে হতবাক করেছেন হাজারো দর্শককে।
SAMAD-t {focus_keyword} আমাদের ফুটবল জাদুকর সামাদ SAMAD tমূলত তার একক নৈপুণ্যে সর্বভারতীয় ফুটবল টিম তৎকালীন গ্রেট ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী টিমকে ৪-১ গোলে আর ইউরোপীয় টিমকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। হতবাক হয়ে যায় পুরো ইউরোপের ফুটবল বোদ্ধারা। ফুটবল জাদুকর সামাদ তার বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন অনেক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন।
তার ২৫ বছরের বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের সূচনা হয় কিন্তু রংপুরের তাজ ক্লাবের হয়ে। সেখান থেকে তিনি যোগদেন কলকাতার এরিয়েন্স ক্লাবে। পরবর্তীতে তিনি ইস্টবেঙ্গল রেলওয়ে ক্লাব, কলকাতা মোহনবাগান, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়েও খেলেছেন। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে তিনি কলকাতা মোহমেডানের হয়ে কিছু দিন খেলেছেন।
খুব কষ্ট লাগে আমাদের দেশের তরুণরা পেলে চেনে, ম্যারাডোনা চেনে, হালের মেসি, রোনাল্ডো, নেইমারকে চেনে, কিন্তু দেশের গর্ব সামাদ জাদুকরকে চেনে না। ভালো মতো জানে না। অবশ্য এদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সরকার ই যখন জানানোর ব্যাবস্থা করে না, পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করে না, তখন তরুণেরা জানবেই বা কীভাবে?
সৈয়দ আব্দুস সামাদের নামের আগে জাদুকর উপাধিটি দিয়ে ছিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর। তিনি তাকে ডাকতেন wizard of football বলে।

২৩:১৭, ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন আবদুস সামাদ
সৈয়দ আবদুস সামাদ
জন্ম১৮৯৫
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ২, ১৯৬৪
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত
পরিচিতির কারণফুটবল খেলোয়াড়

সৈয়দ আবদুস সামাদ (জন্ম: ১৮৯৫ - মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৬৪) এই ভারত উপমহাদেশের ফুটবল যাদুকর হিসেবে খ্যাত। উপমহাদেশের ফুটবলামোদীদের কাছে জাদুকর সামাদ নামে পরিচিত।[১]

জন্ম

১৮৯৫ সালে, ভারতের বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়ায়।

খেলোয়াড় জীবন

১৯১৩ সালে রংপুরের তাজ ক্লাবের হয়ে কলিকাতায় খেলতে গিয়ে ফুটবল সংগঠকদের নজরে পড়েন। ১৯১৫ সালে কলিকাতা দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব এরিয়ান্স সামাদ কে দলভুক্ত করে। সেবার অনেকটা সামাদের অসাধারণ নৈপুন্যে এরিয়ান্স ক্লাব প্রথম বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯২০ সালে সামাদ ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্লাবে যোগ দেন। ১৯২৪ সালে ভারতীয় জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বার্মা, যুক্তরাজ্য এবং চীন সফর করেন। ১৯২৭ সালে তিনি ঢাকার তৎকালীন শীর্ষ দল ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব এবং কলিকাতা মোহনবাগান ক্লাবে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ১৯৩৩ সালে তিনি কলিকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দেন এবং এই ক্লাবে খেলেই তিনি ফুটবল থেকে অবসর নেন। বিভিন্ন সূত্রমতে তিনি ১৯৪১ সাল অর্থাৎ প্রায় ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত ফুটবল খেলেছেন। ১৯৫৭ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বেতনভুক্ত ফুটবল কোচ হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদক দিয়ে সম্মানিত করে।[২]

বৈশিষ্ট্য

সামাদ ড্রিবলিং এবং গোলে লক্ষ্যভেদী শটের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

মৃত্যু

১৯৬৪ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের সৈয়দপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র