ইহুদি গণহত্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
Robot: sw:Maangamizi makuu dhidi ya Wayahudi wa Ulaya is a featured article; কসমেটিক পরিবর্তন
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
Bot: pt:Holocausto is a former featured article
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
{{Link FA|el}}
{{Link FA|el}}
{{Link FA|hr}}
{{Link FA|hr}}

{{Link FA|pt}}
{{Link FA|sw}}
{{Link FA|sw}}
{{Link FA|ur}}
{{Link FA|ur}}

০৭:১৭, ১৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বুশেনভাল্ড কন্সেন্ট্রেশান ক্যাম্পের কয়েকজন বন্দী, এই ছবিটি ১৯৪৫ সালে মার্কিন ৮০ তম ডিভিশনের সেনাদের বুশেনভাল্ড অধিকারের সময় তোলা

হলোকস্ট (ইংরেজি: The Holocaust) হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের উপর চালানো গণহত্যাহিটলারের অধীনস্ত জার্মান নাৎসি সামরিক বাহিনী ইউরোপের তদানীন্তন ইহুদী জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি অংশকে বন্দী শিবিরশ্রম শিবিরে হত্যা করে। আভিধানিক অর্থে হলোকস্ট শব্দটি এতদিন নানারকম দুর্ঘটনা, দুর্যোগ ও হত্যাযজ্ঞকে বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে তা বিশেষভাবে হিটলারের নাৎসি বাহিনী কর্তৃক জার্মানির ইহুদি এবং আরও কিছু সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যার ঘটনাকে বোঝায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল সোসালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির পরিচালিত গণহত্যায় তখন আনুমানিক ষাট লক্ষ ইহুদি এবং আরও অনেক সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষ প্রাণ দিয়েছে।

হিটলারের বাহিনী ষাট লক্ষ ইহুদি ছাড়াও সোভিয়েত যুদ্ধবন্দী, কমিউনিস্ট, রোমানী ভাষাগোষ্ঠীর (যাযাবর) জনগণ, অন্যান্য স্লাবিক ভাষাভাষী জনগণ, প্রতিবন্ধী, সমকামী পুরুষ এবং ভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শের মানুষদের ওপর এই অমানবিক গণহত্যা পরিচালনা করে। অনেক লেখক অন্যসব জনগোষ্ঠীর নিহত হওয়াকে হলোকস্টের সংজ্ঞার আওতায় না এনে তারা শুধুমাত্র ইহুদি গণহত্যাকেই 'হলোকস্ট' নামে অভিহিত করতে চান যাকে নাৎসিরা নাম দিয়েছে 'ইহুদি প্রশ্নের চরম উপসংহার' বলে। নাৎসি অত্যাচারের সকল ঘটনা আমলে নিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে নব্বই লক্ষ থেকে এক কোটি দশ লক্ষের মত।

অত্যাচার ও গণহত্যার এসব ঘটনা বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর অনেক আগেই নাগরিক সমাজ থেকে ইহুদিদের উৎখাতের জন্য জার্মানিতে আইন প্রণয়ন করা হয়। জনাকীর্ণ বন্দী শিবিরে রাজনৈতিক ও যুদ্ধবন্দীদেরকে ক্রীতদাসের মতো কাজে লাগাতো যারা পরে অবসন্ন হয়ে রোগভোগের পর মারা যেত। জার্মানিতে নাৎসীদের উত্থানকে থার্ড রাইখ বলা হয়। নাৎসী জার্মানি তখন পূর্ব ইউরোপের কিছু এলাকা দখল করেছে। তারা সেখানে বিরুদ্ধাচরণকারী ও ইহুদিদের গণহারে গুলি করে হত্যা করে। ইহুদি এবং রোমানি ভাষাগোষ্ঠীর লোকদের তারা ধরে নিয়ে গ্যাটোতে রাখে। গ্যাটো একধরনের বস্তি এলাকা যেখানে গাদাগাদি করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে এসব মানুষদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হত। তারপর গ্যাটো থেকে তাদেরকে মালবাহী ট্রেনে করে শত শত মাইল দূরের বধ্যশিবিরগুলোতে নিয়ে যেত। মালবাহী ট্রেনের পরিবহনেই অধিকাংশ মারা পড়ত। যারা বেঁচে থাকত তাদেরকে গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে হত্যা করা হত। তখনকার জার্মানির আমলাতন্ত্রের সকল শাখা সর্বাত্মকভাবে গণহত্যায় জড়িত ছিল। একজন হলোকস্ট বিশেষজ্ঞ বলেছেন তারা জার্মানিকে একটি 'নরঘাতক রাষ্ট্রে' পরিণত করেছিল।

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA