মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মন্দির ইতিকথাঃ
১৪ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:
মায়েঁর কৃপায় ছেলেটি প্রাঁনে বাচঁলো।কালিবাড়ির পাশে বাজার বসায় বাজারটির নামকরণ হয় মায়েঁর নামে কালীগঞ্জ বাজার।
মায়েঁর কৃপায় ছেলেটি প্রাঁনে বাচঁলো।কালিবাড়ির পাশে বাজার বসায় বাজারটির নামকরণ হয় মায়েঁর নামে কালীগঞ্জ বাজার।


[[চিত্র:KL|thumbnail]]
== চিত্রকক্ষ ==
== চিত্রকক্ষ ==
<gallery>
<gallery>

২১:২৯, ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বৃহদেশ্বর মন্দিরের সম্মুখভাগ

মন্দির (সংস্কৃত: मंदिर) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। হিন্দু মন্দির একটি পৃথক স্থাপনা বা অন্য কোনো স্থাপনার অঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মন্দিরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল মূর্তির উপস্থিতি। সাধারণত যে দেবতার মন্দির, মন্দিরের কেন্দ্রে সেই দেবতার মূর্তি স্থাপিত হয়। মন্দিরে প্রধান দেবতার পাশাপাশি অন্যান্য দেবতাও পূজিত হতে পারেন। অবশ্য কোনো কোনো মন্দির একাধিক দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। আবার কোথাও কোথাও মূর্তির বদলে প্রতীকের পূজা হয়ে থাকে।

নাম

পরৈকোড়ার কালীগঞ্জ বাজার শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ।

মন্দির ইতিকথাঃ পরৈকোড়ার কালীগঞ্জ বাজার শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির । বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া গ্রামে অবস্থিত এক অনন্য ধর্মীয় পূণ্যভূমি শক্তিপীঠ, এক পরম পূণ্যময় স্থান ।এখানে এসে মানুষ পায় মায়ের স্নেহ ভরা আদরের পরশ, নিমিষে দূর হয়ে যায় জড় জাগতিক যন্ত্রনা,উপশম হয় ভব যাতনা। বৃটিশ আমলে জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায় পরৈকোড়া শাসন করতেন।তখন থেকে প্রবাহমান চাঁন খালী খালের উপরে কালীগঞ্জ পুলটা পাড় হয়ে কালীগঞ্জ বাজারের পাশে শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির । মন্দিরে প্রতিমা ছিল,নিত্য পূজা পালন হত।খালের ভাঙ্গনে কালী মন্দিরটি বিলীন হয়ে যায়।মন্দিরের পাশে ছিল শ্মাশান, মন্দির পরিচালনা কমিটি বতর্মান স্থানে বেড়া দিয়ে কালী মন্দিরটি নির্মান করেন। ১৯৯১ সালের ঘূণিঝড়ে কালী মন্দিরটি বিধ্বস্ত হলে তখন হতে মন্দিরটির বহুদিন সংস্কার কাজ হয়নি।১৯৯৯ সালের সাবেক সভাপতি বাবু সাধন চন্দ্র দাশের(ডিলার) উদ্দ্যোগে সনাতন ধর্মীয় কিছু মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় মন্দিরের আংশিক কাজ সম্পন্ন হয়।মাঝ পথে অর্থ অভাবে মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আংশিক নির্মিত মন্দিরটি একটি পূর্নাঙ্গ মন্দির নির্মানের জন্য এগিয়ে আসেন আমাদের গ্রামের জামাতা দেবব্রত বাবু ও তার শ্যালক কাজল মিত্র মহোদয়।তাদের অনুপ্রেরনায় তাহাদের অতি পরিচিত বিভিন্ন মঠ মন্দির ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বাবু সুধীর রঞ্জন দাশকে আজীবন সভাপতি করে ১০১ সদস্যর কমিটি করে মন্দির নির্মান কাজ শুরু হয়। অনেক বিওবান দানশীল ব্যাক্তি আর্থিক সহযোগিতায় করেন।গম্ভুজ আকৃতির এ মন্দির টাইলস্ দিয়ে তৈরী।মন্দিরে যে টাইলস্ গুলো লাগানো হয়েছে তাহা দান করেছেন আমাদের গ্রামের অতি পরিচিত চট্টগ্রাম জম্মাষ্ঠমী পরিষদের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক বাবু তপন দাশ মহোদয় ও আজীবন সভাপতি সুধীর রঞ্জন দাশ।মন্দিরে ডান পাশে ভোগ ঘর ,বাম পাশে দূর্গা মন্দির।চারিদিকে সবুজ গাছপালা মন্দিরের পরিবেশকে করেছে আরো মনোরম।প্রতিবছর শরৎকাল দূর্গোৎসব এবং কালীপূজার দিনে এখানে অতি আরম্ভর দূর্গোৎসব উদযাপিত হয়।আশে পাশের গ্রাম হতে শত শত দর্শনাথী এসে পূজা মন্ডপে ভাড় করে মাকে প্রনতি নিবেদন করে।মায়েঁর চরনে অঞ্জলী প্রদান করে। রাত্রিতে ঢাক ডোলের বাজনার তালে তালে চলতে থাকে আরতি।আরতির সময় তালে তালে দর্শনাথী হৃদয়ে এক অলৌকিক আনন্দের সঞ্চার হয়। সার্থক হয়,শারদীয়া ও কালীপূজার অনুষ্টান। এই কালী বাড়িতে ঘটেছে অনেক অলৌকিক ঘটনা।এক কালী ভক্ত মন্দির নির্মানের জন্য দুই হাজার টাকা দিলে তার ব্যবসায় প্রচুর অর্থ লাভ হয়।তিনি এখনও মন্দিরে দূর্গোৎসব ও কালীপূজা আর্থিক সহযোগিতায় করেন। আরেক ব্যাক্তি মুসলিম ধর্মের লোক হয়ে ২০০৭ সালে দূর্গাপূজার সময়ে সপ্তমী দিন ( আগের দিন স্বপ্ন দেখে) পূজা দেন। (মা কালীকে অনেক মানুষ কালী বাড়ীর আশ পাশে দেখেছেন। পরৈকোড়া এ কালী বাড়ীতে দূর্গাপূজার সময় এক বার দূর্গাপূজার না হলে মনে হয় পরৈকোড়া কোথায়ও দূর্গাপূজা হচ্ছে না।)কতিত আছে একটি ছেলে এক কালী পূজার সময়ে মা কালীকে পাশের খালে বির্সজন দেয়ার সময় খালের মাঝখানে ডুবে যায়। অনেক খোজাখুজির পর তাকে পাওয়া যাছ্ছে না । তার মা মায়েঁর চরনে ছাগল বলি দিবেন বলে মানত করেন।পরক্ষনে ছেলেটি ভেসে উঠে। মায়েঁর কৃপায় ছেলেটি প্রাঁনে বাচঁলো।কালিবাড়ির পাশে বাজার বসায় বাজারটির নামকরণ হয় মায়েঁর নামে কালীগঞ্জ বাজার।

চিত্র:KL

চিত্রকক্ষ

তথ্যসূত্র

  • কিশোর বিশ্বস্থাপত্য- স্থপতি নিজামউদ্দিন আহমেদ
  • Buddhist and Hindu Architecture in India- Percy Brown

বহিঃসংযোগ