জাখসেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→অর্থনীতি: + |
|||
৩৭ নং লাইন: | ৩৭ নং লাইন: | ||
==অর্থনীতি== |
==অর্থনীতি== |
||
জ্যাক্সোনির অর্থনীতি সাবেক পূর্ব জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী। ২০১০ সালে জ্যাক্সোনির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১.৯%। কিন্তু টা সত্ত্বেও জ্যাক্সোনিতে বেকারত্ব বিদ্যমান। এখানে বিনিয়োগ অপেক্ষাকৃত কম। জ্যাক্সোনির প্রকাশনা ও পোর্সেনিল শিল্প প্রসিদ্ধ। স্থানীয় সরকার জ্যাক্সোনির পর্যট শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। |
জ্যাক্সোনির অর্থনীতি সাবেক পূর্ব জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী। ২০১০ সালে জ্যাক্সোনির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১.৯%। কিন্তু টা সত্ত্বেও জ্যাক্সোনিতে বেকারত্ব বিদ্যমান। এখানে বিনিয়োগ অপেক্ষাকৃত কম। জ্যাক্সোনির প্রকাশনা ও পোর্সেনিল শিল্প প্রসিদ্ধ। স্থানীয় সরকার জ্যাক্সোনির পর্যট শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। |
||
২০১০ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার ছিল ১১.৯%। জার্মানির পুণএকত্রীকরণের আগে বেকারত্বের হার জ্যাক্সোনিতে ছিল ১২% এবং সমগ্র জার্মানিতে ছিল ৭.৭%। তবে ২০১২ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন ৮.৮%-এ পৌছেছিল। |
২০১০ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার ছিল ১১.৯%। জার্মানির পুণএকত্রীকরণের আগে বেকারত্বের হার জ্যাক্সোনিতে ছিল ১২% এবং সমগ্র জার্মানিতে ছিল ৭.৭%। তবে ২০১২ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন ৮.৮%-এ পৌছেছিল। |
||
জ্যাক্সোনির লাইপজিগ অঞ্চলে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে [[বিএমডব্লিউ]] ও [[পোর্শা]]-এর বিনিয়োগের পরেও বেকারত্ব খুব একটা হ্রাস পায়নি। মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প জ্যাক্সোনির অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। জ্যাক্সোনির ফ্রাইবার্গ আগে খনি শিল্পভিত্তিক ছিল, তবে এটি বর্তমানে সৌর শক্তি সম্পর্কিত প্রযুক্তির জন্যে সুপরিচিত। ড্রেসডেন এবং আশেপাশের কিছু এলাকা জৈবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। এসব উচ্চ-প্রযুক্তিগত খাত খুব বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করলেও তা জ্যাক্সোনির মেধা-স্থানান্তর বা ব্রেইন-ড্রেন নিরসণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্থানীয় শিল্প-কারখানাগুলির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের মান উন্নয়ন করছে। ড্রেসডেন ও লাইপজিগের জনসংখ্যা হার ক্রমবর্ধমান হলেও জ্যাক্সোনির অন্যান্য ছোট শহরের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। |
|||
== তথ্যসূত্র== |
== তথ্যসূত্র== |
১২:১৫, ২০ জুন ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
Free State of Saxony Freistaat Sachsen (de) Swobodny stat Sakska (wen) | |
---|---|
জার্মানির রাজ্য | |
স্থানাঙ্ক: ৫১°১′৩৭″ উত্তর ১৩°২১′৩২″ পূর্ব / ৫১.০২৬৯৪° উত্তর ১৩.৩৫৮৮৯° পূর্ব | |
দেশ | জার্মানি |
রাজধানী | ড্রেসডেন |
সরকার | |
• Minister-President | Stanislaw Tillich (CDU) |
• শাসক দলসমূহ | CDU / ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি |
• বুনডেসরাটে ভোট | 4 (of 69) |
আয়তন | |
• মোট | ১৮,৪১৫.৬৬ বর্গকিমি (৭,১১০.৩৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2013-12-31)[১] | |
• মোট | ৪০,৪৬,৩৮৫ |
• জনঘনত্ব | ২২০/বর্গকিমি (৫৭০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইডিটি (ইউটিসি+২) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | DE-SN |
জিডিপি/নামমাত্র | € 94.99 বিলিয়ন (2010) [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
বাদাম অঞ্চল | DED |
ওয়েবসাইট | sachsen.de |
জ্যাক্সোনি (জার্মান: Freistaat Sachsen [ˈfʁaɪ̯ʃtaːt ˈzaksən]) জার্মানির ষোলটি অঙ্গরাজ্যের একটি। এই রাজ্যের সীমানায় রয়েছে ব্র্যান্ডেনবুর্গ, জ্যাক্সোনি-আনহাল্ট, থুরিনগিয়া এবং বাভারিয়া। এছাড়া পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র রয়েছে এর সীমানায়। জ্যাক্সোনির রাজধানী ড্রেসডেন। আয়তনের দিক থেকে এটি জার্মানির দশম বৃহত্তম রাজ্য। এর আয়তন ১৮,৪১৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৪.৩ মিলিয়ন। জনসংখ্যার দিক থকে এটি ষষ্ঠ বৃহত্তম রাজ্য।
অতীতে জ্যাক্সোনি ইউরোপের জার্মান ভাষা ব্যবহৃত হয়, এমন অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। এর ইতিহাস একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে রচিত। এটি মধ্যযূগীয় ডাচি, পুণ্য রোমান সাম্রাজ্যের ইলেক্টোরেট, একবার স্বতন্ত্র রাজ্য এবং দুইবার প্রজাতন্ত্র ছিল
বর্তমান জ্যাক্সোনি রাজ্যের সীমানা পুরনো জ্যাক্সোনির থেকে আলাদা। পুরনো জ্যাক্সোনিতে জ্যাক্সোন্সরা বাস করতো। পুরনো জ্যাক্সোনির এলাকা থেকে বর্তমান জার্মানির লোয়া জ্যাক্সোনি এবং জ্যাক্সোনি-আনহাল্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অর্থনীতি
জ্যাক্সোনির অর্থনীতি সাবেক পূর্ব জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী। ২০১০ সালে জ্যাক্সোনির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১.৯%। কিন্তু টা সত্ত্বেও জ্যাক্সোনিতে বেকারত্ব বিদ্যমান। এখানে বিনিয়োগ অপেক্ষাকৃত কম। জ্যাক্সোনির প্রকাশনা ও পোর্সেনিল শিল্প প্রসিদ্ধ। স্থানীয় সরকার জ্যাক্সোনির পর্যট শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ২০১০ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার ছিল ১১.৯%। জার্মানির পুণএকত্রীকরণের আগে বেকারত্বের হার জ্যাক্সোনিতে ছিল ১২% এবং সমগ্র জার্মানিতে ছিল ৭.৭%। তবে ২০১২ সালে জ্যাক্সোনির বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন ৮.৮%-এ পৌছেছিল।
জ্যাক্সোনির লাইপজিগ অঞ্চলে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে বিএমডব্লিউ ও পোর্শা-এর বিনিয়োগের পরেও বেকারত্ব খুব একটা হ্রাস পায়নি। মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প জ্যাক্সোনির অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। জ্যাক্সোনির ফ্রাইবার্গ আগে খনি শিল্পভিত্তিক ছিল, তবে এটি বর্তমানে সৌর শক্তি সম্পর্কিত প্রযুক্তির জন্যে সুপরিচিত। ড্রেসডেন এবং আশেপাশের কিছু এলাকা জৈবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। এসব উচ্চ-প্রযুক্তিগত খাত খুব বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করলেও তা জ্যাক্সোনির মেধা-স্থানান্তর বা ব্রেইন-ড্রেন নিরসণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্থানীয় শিল্প-কারখানাগুলির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের মান উন্নয়ন করছে। ড্রেসডেন ও লাইপজিগের জনসংখ্যা হার ক্রমবর্ধমান হলেও জ্যাক্সোনির অন্যান্য ছোট শহরের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।