দারাসবাড়ি মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
টেমপ্লেট যুক্ত করা হল
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{এশিয়ার মসজিদ}}
'''দারাসবাড়ি মসজিদ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ]] জেলার [[ছোট সোনা মসজিদ|ছোট সোনা মসজিদের]] সন্নিকটে। মসজিদটির অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। [[সোনামসজিদ স্থল বন্দর]] থেকে [[মহানন্দা]] নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস-এর [[সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি]] ; এই ঘাটিঁর অদূরে অবস্থিত [[দখল দরওয়াজা]]। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কি্লোমিটার হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দিঘী পার হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারাসবাড়ি মসজিদ ও দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত। ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি [[গৌড়]] ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী ; এ সময়ই এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। অনুমিত হয়েছে যে ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে [[শামসুদ্দিন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ]]-এর আমলে বড় আকারের এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আকারে এটি ছোট সোনা মসজিদের চেয়েও বড়। দীর্ঘদিন মাটিচাপা পড়েছিল এ মসজিদ। সত্তর দশকের প্রথমভাগে খনন করে এটিকে উদ্ধার করা হয়। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে, বর্তমানে চারপাশে গাছগাছালির ঘের। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান। এর সংলগ্ন সমসাময়িক আরেকটি স্থাপনা হহলো [[দারাসবাড়ি মাদ্রাসা]]। দিঘীর এক পারে মসজিদ এবং অন্য পারে মাদ্রাসা অবস্থিত।
'''দারাসবাড়ি মসজিদ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ]] জেলার [[ছোট সোনা মসজিদ|ছোট সোনা মসজিদের]] সন্নিকটে। মসজিদটির অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। [[সোনামসজিদ স্থল বন্দর]] থেকে [[মহানন্দা]] নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস-এর [[সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি]] ; এই ঘাটিঁর অদূরে অবস্থিত [[দখল দরওয়াজা]]। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কি্লোমিটার হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দিঘী পার হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারাসবাড়ি মসজিদ ও দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত। ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি [[গৌড়]] ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী ; এ সময়ই এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। অনুমিত হয়েছে যে ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে [[শামসুদ্দিন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ]]-এর আমলে বড় আকারের এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আকারে এটি ছোট সোনা মসজিদের চেয়েও বড়। দীর্ঘদিন মাটিচাপা পড়েছিল এ মসজিদ। সত্তর দশকের প্রথমভাগে খনন করে এটিকে উদ্ধার করা হয়। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে, বর্তমানে চারপাশে গাছগাছালির ঘের। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান। এর সংলগ্ন সমসাময়িক আরেকটি স্থাপনা হহলো [[দারাসবাড়ি মাদ্রাসা]]। দিঘীর এক পারে মসজিদ এবং অন্য পারে মাদ্রাসা অবস্থিত।



০৭:২৪, ১৪ জুন ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একটি সিরিজের অংশ
মসজিদ

স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলী
মসজিদের তালিকা
অন্যান্য

দারাসবাড়ি মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। মসজিদটির অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে মহানন্দা নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস-এর সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি ; এই ঘাটিঁর অদূরে অবস্থিত দখল দরওয়াজা। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কি্লোমিটার হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দিঘী পার হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারাসবাড়ি মসজিদ ও দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত। ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি গৌড় ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী ; এ সময়ই এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। অনুমিত হয়েছে যে ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে শামসুদ্দিন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ-এর আমলে বড় আকারের এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আকারে এটি ছোট সোনা মসজিদের চেয়েও বড়। দীর্ঘদিন মাটিচাপা পড়েছিল এ মসজিদ। সত্তর দশকের প্রথমভাগে খনন করে এটিকে উদ্ধার করা হয়। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে, বর্তমানে চারপাশে গাছগাছালির ঘের। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান। এর সংলগ্ন সমসাময়িক আরেকটি স্থাপনা হহলো দারাসবাড়ি মাদ্রাসা। দিঘীর এক পারে মসজিদ এবং অন্য পারে মাদ্রাসা অবস্থিত।