শাফী ইমাম রুমী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ragib (আলোচনা | অবদান)
সূচনার তারিখ ঠিক করা হলো ভিতরের তথ্য অনুসারে।
Arahf Kashemi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
| portaldisp = }}
| portaldisp = }}


'''শাফি ইমাম রুমী''' (জন্ম: [[মার্চ ২৯|২৯ মার্চ]], [[১৯৫২]] - নিখোঁজ: [[সেপ্টেম্বর ৩০|৩০ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৭১]]) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত [[জাহানারা ইমাম|জাহানারা ইমামের]] জ্যেষ্ঠ পুত্র। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/165600 দৈনিক প্রথম আলো]</ref> জাহানারা ইমাম রচিত [[একাত্তরের দিনগুলি]] গ্রন্থে<ref name=GuardianBangladesh>{{cite news|last=Hensher|first=Philip|title=Bangladesh's bestseller about its brutal birth|url=http://www.theguardian.com/books/2013/mar/01/of-blood-and-fire-jahanara-imam-review|accessdate=29 December 2013|newspaper=The Guardian|date=1 March 2013}}</ref> রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয় এবং তার মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম ''শহীদ জননী'' উপাধি পান।
'''শাফি ইমাম রুমী''' (জন্ম: [[মার্চ ২৯|২৯ মার্চ]], [[১৯৫২]] - নিখোঁজ: [[আগস্ট ৩০|৩০ আগস্ট]], [[১৯৭১]]) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত [[জাহানারা ইমাম|জাহানারা ইমামের]] জ্যেষ্ঠ পুত্র। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/165600 দৈনিক প্রথম আলো]</ref> জাহানারা ইমাম রচিত [[একাত্তরের দিনগুলি]] গ্রন্থে<ref name=GuardianBangladesh>{{cite news|last=Hensher|first=Philip|title=Bangladesh's bestseller about its brutal birth|url=http://www.theguardian.com/books/2013/mar/01/of-blood-and-fire-jahanara-imam-review|accessdate=29 December 2013|newspaper=The Guardian|date=1 March 2013}}</ref> রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয় এবং তার মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম ''শহীদ জননী'' উপাধি পান।


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==

২০:২৭, ২৩ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শাফি ইমাম রুমী
পেশামুক্তিযোদ্ধা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

শাফি ইমাম রুমী (জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯৫২ - নিখোঁজ: ৩০ আগস্ট, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের জ্যেষ্ঠ পুত্র। [১] জাহানারা ইমাম রচিত একাত্তরের দিনগুলি গ্রন্থে[২] রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয় এবং তার মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম শহীদ জননী উপাধি পান।

প্রারম্ভিক জীবন

শাফি ইমাম রুমী ১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ শরীফ ও জাহানারা ইমামের উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আই.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ১৯৭১‌ সালের মার্চ মাসে রুমী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তিনি ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সুযোগ পেলেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার পর আদর্শগত কারণে দেশকে যুদ্ধের মধ্যে রেখে বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে যাননি।

মুক্তিযুদ্ধ

যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, রুমী ধারাবাহিকভাবে তার মা ও বাবাকে নিজের যুদ্ধে যাবার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মাকে অবশেষে রাজি করিয়ে ২ মে রুমী সীমান্ত অতিক্রমের প্রথম প্রয়াস চালান। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তাঁকে ফেরত আসতে হয় এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সফল হন। তিনি সেক্টর-২ এর অধীনে মেলাঘরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই সেক্টরটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মোশাররফরশিদ হায়দার। প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি ঢাকায় ফেরত আসেন এবং ক্র্যাক প্লাটুনে যোগ দেন। ক্র্যাক প্লাটুন হল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একটি সংগঠন। রুমী ও তার দলের ঢাকায় আসার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন হামলা করা। এ সময় তাকে ঝুঁকিপূর্ণ আক্রমণ পরিচালনা করতে হয় যার মধ্যে ধানমণ্ডি রোডের একটি আক্রমণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

ধানমণ্ডি রোডের অপারেশনের পর রুমী তার সহকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে কাটান, এবং এই রাতেই বেশকিছু গেরিলা যোদ্ধার সাথে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী একটি অজ্ঞাত উৎস থেকে তথ্য নিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক যোদ্ধাকে গ্রেফতার করেন যার মধ্যে ছিলেন আলতাফ মাহমুদ, আবুল বারাক, আজাদ ও জুয়েল। রুমীর সাথে তার বাবা শরীফ এবং ভাই জামীকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের স্থানে রুমীকে ভাই ও বাবাসহ একঘরে আনলে রুমী সবাইকে তার যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করতে বলেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, পাক বাহিনী তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন এবং এর সব দায়-দায়িত্ব তিনি নিজেই নিতে চান। ৩০ আগস্টের পর রুমী ও তার সহযোদ্ধা বদী এবং চুল্লুকে আর দেখা যায়নি।

ইয়াহিয়া খান ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলে অনেক আত্মীয় তাঁর জন্য আবেদন করতে বলেন। কিন্তু রুমী যে বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধরা পড়েছে, তাদের কাছেই ক্ষমা চাইতে রুমীর বাবা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী, দেশপ্রেমিক শরীফ ইমাম রাজি ছিলেন না।[৩]

হত্যার রায়

২০১৩ সালের ১৭ই জুলাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ-এর বিরুদ্ধে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা, রুমী হত্যা ও নির্যাতন ইত্যাদীসহ মোট উত্থাপিত ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিতে দোষী প্রমানিত হয়। এর মাঝে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড আদেশ দেয়া হয়।[৪][৫][৬][৭]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো
  2. Hensher, Philip (১ মার্চ ২০১৩)। "Bangladesh's bestseller about its brutal birth"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  3. দৈনিক প্রথম আলো, "মুক্তিযুদ্ধের নিভৃত এক সহযাত্রী", প্রশান্ত কর্মকার | তারিখ: ৩০-১০-২০০৯
  4. "Bangladesh Islamist leader sentenced to death for 1971 war crimes"Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  5. "Bangladesh Islamist party leader sentenced to death for war crimes"Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  6. "Jamaat secretary-general gets death penalty for war crimes"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  7. Khan, Tamanna (১৮ জুলাই ২০১৩)। "They now can rest in peace"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 

বহি:সংযোগ