মানসা মূসা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান) |
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান) |
||
৪৮ নং লাইন: | ৪৮ নং লাইন: | ||
== বহিঃসংযোগ == |
== বহিঃসংযোগ == |
||
[http://www. |
[http://www.africanholocaust.net/africanlegends.htm#mansa আফ্রিকান লিজেন্ড পেজ] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:মালি সাম্রাজ্য]] |
[[বিষয়শ্রেণী:মালি সাম্রাজ্য]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৩৩৭-এ জন্ম]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৩৩৭-এ জন্ম]] |
০৪:৫১, ৩০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মুসা ১ সম্রাট | |
---|---|
মানসা অব মালি | |
রাজত্ব | সি ১৩১২ – ১৩৩৭ (২৫ বছর) |
পূর্বসূরি | আবুবাকারী ২ |
উত্তরসূরি | মাঘান মুসা |
জন্ম | ১২৮০ মালি |
মৃত্যু | সি ১৩৩৭ অজানা |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইনারী কুনাতে |
বংশধর | মাঘান মুসা |
রাজবংশ | কেইতা ডাইনেস্টি |
পিতা | কানকাউ মুসা |
ধর্ম | ইসলাম |
মানসা মূসা (আনুমানিক ১২৮০ থেকে আনুমানিক ১৩৩৭ পর্যন্ত) অথবা মালির প্রথম মূসা ছিলেন ১৪শতকের মালি সম্রাজ্যের একজন মানসা বা সম্রাট। তিনি ছিলেন মালি সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সান্দিয়াতা কেইতা'র ভাগ্নে। ১৩০৭ সালে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি প্রথম আফ্রিকান শাসক যিনি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।[১]
হজ্জব্রত পালন ও স্বর্ণ বিতরণ
মূসা অধিক পরিচিত ছিলেন তার কথিত হজ্জপালনের জন্য (১৩২৪-৫)। প্রচলিত আছে, তার হজ্জবহরের কাফেলায় রসদপূর্ণ থলে বহনকারী ৬০,০০০ লোক ছিল, সাথে ছিল ৫০০ গোলম যারা প্রত্যেকে একটি করে সোনার দন্ড বহন করছিল এবং ৮০ থেকে ১০০টি উট ছিল, যেগুলো প্রত্যেকটি প্রায় ১৪০ কেজি সোনার গুড়ো বহন করছিলো। তার এই যাত্রাপথে তিনি প্রায় কয়েকশত কোটি টাকা মূল্যের সোনা বিতরণ করেছিলেন। কায়রোতে তিনি এত বেশি স্বর্ণ বিতরণ করেছিলেন যে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে স্বর্ণের দাম তুলনামুলকভাবে অনেক কম ছিল।
ইসলাম প্রচারে সহায়তা
মানসা মূসা ইসলাম প্রচারেও সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি একজন অনুগত মুসলিম ছিলেন এবং কুর'আনের শিক্ষার উপল ভিত্তি করে অনেকগুলো বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। তিনি উত্তর আফ্রিকার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী প্রেরণ করতেন।[২]
রাজকার্যে অবদান
মানসা মূসা তার রাজত্বকালে রাজ্যব্যবস্থা ও রাজকার্যাবলি নতুনভাবে সাজাতে সাহায্য করেছিলেন। তার রাজত্বকালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল ছিলো।
ইউরোপীয় মানচিত্রে মানসা মূসা
মানসা মূসার হজ্জপালনের পর, ইউরোপীয় মানচিত্র-অঙ্কনকারীরা তাঁদের মানচিত্রগুলোতে মানসা মূসার ছবি আঁকা শুরু করে। মালি সাম্রাজ্যের পতনের পর মানসা মূসার খ্যাতিও কমে যেতে থাকে। এরপর থেকে তাঁকে আর কখনোই মানচিত্রগুলোতে সম্মানিত রাজা হিসেবে আঁকা হয় নি, বরঞ্চ আরও অসভ্যভাবে দেখানো হয়েছে। তাঁকে ইউরোপীয় রাজপরিবারের ব্যাঙ্গাত্মক নমুনারুপে আঁকা হত, যা ছিল একজন রাজমুকুট পরিহিত জংলী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র
- ↑ Goodwin 1957, পৃ. 109
- ↑ Goodwin 1957, পৃ. 110