হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পরিমার্জন
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:


==জন্ম ও শৈশব==
==জন্ম ও শৈশব==
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলীর উত্তরপাড়া গ্রামে। কুলীনের ঘরে জন্ম। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সর্বজ্যৈষ্ঠ। পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অতিশয় দরিদ্র। কৌলীন্যের বলে কৈলাসচন্দ্র গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম নিবাসী কলকাতা আদালতের মোক্তার রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান আনন্দময়ীকে বিবাহ করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কৈলাসচন্দ্র বিশেষ কোনও কাজকর্ম করতেন না বিধায় শ্বশুরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হেমচন্দ্র কলকাতার খিদিরপুর বাঙ্গালা স্কুলে পাঠকালে রাজচন্দ্র চক্রবর্তী মৃত্যুমুখে পতিত হলে আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় হেমচন্দ্রকে কলকাতার হিন্দু কলেজে (১৮১৭) সিনিয়র স্কুল বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন (১৮৫৩)। জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাসিক দশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন (১৮৫৫)। একই বছর কলকাতার ভবানীপুর নিবাসী কালীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা কামিনী দেবীর সংগে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৫৭ সালে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে দুই বছরের জন্য মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণিতে পাঠকালে বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লেখাপড়া ত্যাগ করে মিলিটারি অডিট অফিসে কেরানীগিরির চাকরি গ্রহণ করেন ১৮৫৯ সালে।<ref name="ReferenceA">[[সেলিনা হোসেন]] ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪৪২-৪৪৩।</ref>
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলীর উত্তরপাড়া গ্রামে। কুলীনের ঘরে জন্ম। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সর্বজ্যৈষ্ঠ। পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অতিশয় দরিদ্র। কৌলীন্যের বলে কৈলাসচন্দ্র গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম নিবাসী কলকাতা আদালতের মোক্তার রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান আনন্দময়ীকে বিবাহ করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কৈলাসচন্দ্র বিশেষ কোনও কাজকর্ম করতেন না বিধায় শ্বশুরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হেমচন্দ্র কলকাতার খিদিরপুর বাঙ্গালা স্কুলে পাঠকালে রাজচন্দ্র চক্রবর্তী মৃত্যুমুখে পতিত হলে আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় হেমচন্দ্রকে কলকাতার হিন্দু কলেজে (১৮১৭) সিনিয়র স্কুল বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন (১৮৫৩)। জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাসিক দশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন (১৮৫৫)। একই বছর কলকাতার ভবানীপুর নিবাসী কালীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা কামিনী দেবীর সংগে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৫৭ সালে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে দুই বছরের জন্য মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণিতে পাঠকালে বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লেখাপড়া ত্যাগ করে মিলিটারি অডিট অফিসে কেরানী পদে চাকরি গ্রহণ করেন ১৮৫৯ সালে।<ref name="ReferenceA">[[সেলিনা হোসেন]] ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪৪২-৪৪৩।</ref>
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
{{Reflist}}

১৫:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম১৭ এপ্রিল, ১৮৩৮
গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম, হুগলী
মৃত্যু২৪ মে, ১৯০৩
খিদিরপুর, কলকাতা
পেশাকবি
পরিচিতির কারণবাঙালি কবি

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ এপ্রিল, ১৮৩৮ - ২৪ মে, ১৯০৩) হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। মধুসূদনের পরবর্তী কাব্য রচয়িতাদের মধ্যে ইনি সে সময় সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন। বাংলা মহাকাব্যের ধারায় হেমচন্দ্রের বিশেষ দান হচ্ছে স্বদেশ প্রেমের উত্তেজনা সঞ্চার। হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্য চিন্তাতরঙ্গিনী (১৮৬১)। বীরবাহু (১৮৬৪), আশাকানন (১৮৭৬), সাঙ্গরূপক কাব্য, ছায়াময়ী (১৮৮০), বিবিধ কবিতা (১৩০০) ও বৃত্রসংহার (১৮৭৫) তাঁর অন্যান্য প্রধান কাব্যগ্রন্থ। 'বৃত্রসংহার' মহাকাব্য এবং কবির শ্রেষ্ঠ রচনা।[১]

জন্ম ও শৈশব

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলীর উত্তরপাড়া গ্রামে। কুলীনের ঘরে জন্ম। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সর্বজ্যৈষ্ঠ। পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অতিশয় দরিদ্র। কৌলীন্যের বলে কৈলাসচন্দ্র গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম নিবাসী কলকাতা আদালতের মোক্তার রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান আনন্দময়ীকে বিবাহ করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কৈলাসচন্দ্র বিশেষ কোনও কাজকর্ম করতেন না বিধায় শ্বশুরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হেমচন্দ্র কলকাতার খিদিরপুর বাঙ্গালা স্কুলে পাঠকালে রাজচন্দ্র চক্রবর্তী মৃত্যুমুখে পতিত হলে আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় হেমচন্দ্রকে কলকাতার হিন্দু কলেজে (১৮১৭) সিনিয়র স্কুল বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন (১৮৫৩)। জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাসিক দশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন (১৮৫৫)। একই বছর কলকাতার ভবানীপুর নিবাসী কালীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা কামিনী দেবীর সংগে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৫৭ সালে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে দুই বছরের জন্য মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণিতে পাঠকালে বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লেখাপড়া ত্যাগ করে মিলিটারি অডিট অফিসে কেরানী পদে চাকরি গ্রহণ করেন ১৮৫৯ সালে।[২]

তথ্যসূত্র

  1. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু জাফর ও আবুল কাসেম ফজলুল হক সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৫১-৪৫২।
  2. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪৪২-৪৪৩।