বর্মী ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বর্মী
বর্মী
বামাসা
উচ্চারণ	[bəmàsà]
অঞ্চল	মায়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, লাওস এবং সিঙ্গাপুর
মাতৃভাষী	৩ কোটি ২০ লক্ষ মাতৃভাষী ; দ্বিতীয় ভাষা: ১ কোটি ;
ভাষা পরিবার	চীনা-তিব্বতি তিব্বতী-বর্মী লোলো-বর্মী বর্মিশ দক্ষিণ বর্মী; ; ; ; ;
লিখন পদ্ধতি	বর্মী লিপি
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা	মায়ানমার
নিয়ন্ত্রক সংস্থা	মায়ানমার ভাষা কমিশন
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-১	my
আইএসও ৬৩৯-২	bur (বি) ; mya (টি)
আইএসও ৬৩৯-৩	mya

ইতিহাস ব্রাউজ করুন

← পূর্বের পার্থক্য পরবর্তী পার্থক্য →

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে

দৃশ্যমানউইকিপাঠ্য

রৈখিক

১১:৩৭, ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বর্মী ভাষা বা মায়ানমার ভাষা চীনা-তিব্বতী ভাষা পরিবারের তিব্বতী-বর্মী শাখার লোলো-বর্মী উপশাখার একটি ভাষা। বর্মীভাষী জনগণ ঠিক কবে মায়ানমারে এসেছিল, তা বলা যায় না। তবে বর্মী ভাষায় লেখা সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় লেখাগুলি খ্রিস্টীয় ১০ম শতক পর্যন্ত পুরনো। ধারণা করা হয় মধ্য মায়ানমারের নিম্ন উপত্যকাভূমিতে প্রচলিত একটি উপভাষা থেকে আদর্শ বর্মী ভাষার উৎপত্তি ঘটে। বর্তমানের মায়ানমারের অধিকাংশ জনগণ এই বর্মী ভাষার কোন না কোন আঞ্চলিক উপভাষায় কথা বলেন।

বর্মী ভাষার প্রথমে পালি ও পরে মোন ভাষার (১২শ -১৩শ শতক) প্রভাব পড়ে। এরপর ১৬শ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত ভাষাটি বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষা যেমন পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সংস্পর্শে আসে। এই ভাষাগুলি কথ্য বর্মী ভাষাকে প্রচুর প্রভাবিত করে, তবে এগুলি লিখিত বর্মী ভাষায় তেমন কোন পরিবর্তন আনেনি। ফলশ্রুতিতে, মায়ানমারের জনগণ যে আধুনিক কথ্য বর্মী ভাষায় কথা বলেন এবং যে লিখিত ভাষাটি পাঠ্যপুস্তক, সংবাদপত্র, সাহিত্য ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। লিখিত ভাষাটিতে প্রচুর পালি শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং এমন সমস্ত বাক্য কাঠামো ব্যবহৃত হয় যেগুলির কথ্য ভাষায় দেখা মেলে না বললেই চলে। মায়ানমারে কথ্য ভাষাটির নাম বামা, আর লিখিত ভাষাটির নাম মিয়ানমা। তবে উভয়কে একত্রে বর্মী ভাষাই বলা হয়।

বর্মী ভাষা মায়ানমারের রাষ্ট্রভাষা। এটি মায়ানমারের ২ কোটিরও বেশি লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও মায়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির প্রায় ৩০ লক্ষ লোক দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বর্মী ভাষায় কথা বলেন। মায়ানমারের বাইরে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাষাটি প্রচলিত। এথ্‌নোলগ অনুসারে সারা বিশ্বে বর্মীভাষী লোকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ।

মায়ানমারে বর্মী ভাষা সরকারী প্রশাসন, গণমাধ্যম, এবং প্রাথবিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সমস্ত স্তরে ব্যবহৃত হয়।

@@ ২৪ নং লাইন: / ২৪ নং লাইন: @@
 '''বর্মী ভাষা''' বা '''মায়ানমার ভাষা''' চীনা-তিব্বতী ভাষা পরিবারের তিব্বতী-বর্মী শাখার লোলো-বর্মী উপশাখার একটি ভাষা। বর্মীভাষী জনগণ ঠিক কবে মায়ানমারে এসেছিল, তা বলা যায় না। তবে বর্মী ভাষায় লেখা সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় লেখাগুলি খ্রিস্টীয় ১০ম শতক পর্যন্ত পুরনো। ধারণা করা হয় মধ্য মায়ানমারের নিম্ন উপত্যকাভূমিতে প্রচলিত একটি উপভাষা থেকে আদর্শ বর্মী ভাষার উৎপত্তি ঘটে। বর্তমানের মায়ানমারের অধিকাংশ জনগণ এই বর্মী ভাষার কোন না কোন আঞ্চলিক উপভাষায় কথা বলেন।
 বর্মী ভাষার প্রথমে পালি ও পরে মোন ভাষার (১২শ -১৩শ শতক) প্রভাব পড়ে। এরপর ১৬শ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত ভাষাটি বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষা যেমন পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সংস্পর্শে আসে। এই ভাষাগুলি কথ্য বর্মী ভাষাকে প্রচুর প্রভাবিত করে, তবে এগুলি লিখিত বর্মী ভাষায় তেমন কোন পরিবর্তন আনেনি। ফলশ্রুতিতে, মায়ানমারের জনগণ যে আধুনিক কথ্য বর্মী ভাষায় কথা বলেন এবং যে লিখিত ভাষাটি পাঠ্যপুস্তক, সংবাদপত্র, সাহিত্য ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। লিখিত ভাষাটিতে প্রচুর পালি শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং এমন সমস্ত বাক্য কাঠামো ব্যবহৃত হয় যেগুলির কথ্য ভাষায় দেখা মেলে না বললেই চলে। মায়ানমারে কথ্য ভাষাটির নাম বামা, আর লিখিত ভাষাটির নাম মিয়ানমা। তবে উভয়কে একত্রে বর্মী ভাষাই বলা হয়।
 বর্মী ভাষা মায়ানমারের রাষ্ট্রভাষা। এটি মায়ানমারের ২ কোটিরও বেশি লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও মায়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির প্রায় ৩০ লক্ষ লোক দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বর্মী ভাষায় কথা বলেন। মায়ানমারের বাইরে [[বাংলাদেশ]], [[মালয়েশিয়া]], [[থাইল্যান্ড]], এবং [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] ভাষাটি প্রচলিত। [[এথ্‌নোলগ]] অনুসারে সারা বিশ্বে বর্মীভাষী লোকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ।
 মায়ানমারে বর্মী ভাষা সরকারী প্রশাসন, গণমাধ্যম, এবং প্রাথবিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সমস্ত স্তরে ব্যবহৃত হয়।
 {{পৃথিবীর প্রধান ভাষা}}
-[[বিষয়শ্রেণী:লোলো-বর্মী ভাষা]]
 [[বিষয়শ্রেণী:লোলো-বর্মী ভাষা]]
 [[বিষয়শ্রেণী:মিয়ানমারের ভাষা]]

দে স বিশ্বের প্রধান কিছু ভাষা
আফ্রো-এশীয়	আরবি ভাষা • হিব্রু ভাষা • হাউসা ভাষা • অরোমো ভাষা • সোমালি ভাষা • আমহারীয় ভাষা • বার্বার ভাষা (তামাশেক ভাষা)
নাইজার-কঙ্গো	ইয়োরুবা ভাষা • সোয়াহিলি ভাষা • হাউসা ভাষা • তিগ্রিনিয়া ভাষা • ফুলা ভাষা • ইগবো ভাষা • খোসা ভাষা • জুলু ভাষা • মান্দিং ভাষা • গবে ভাষা • সোনিনকে ভাষা • চিচেওয়া ভাষা • লিংগালা ভাষা • ওলোফ ভাষা • ভেন্ডা ভাষা • বান্টু ভাষা (সোয়াজি ভাষা • সোথো ভাষা)
নীল-সাহারা	সোংগে ভাষা • জার্মা ভাষা
জার্মানীয়	ইংরেজি ভাষা • জার্মান ভাষা • ওলন্দাজ ভাষা • ডেনীয় ভাষা • নরওয়েজীয় ভাষা • সুয়েডীয় ভাষা • আইসল্যান্ডীয় ভাষা • আফ্রিকান্স ভাষা
রোমান্স	ফরাসি ভাষা • স্পেনীয় ভাষা • পর্তুগিজ ভাষা • ইতালীয় ভাষা • রুমানীয় ভাষা • কাতালান ভাষা • অক্সিতঁ ভাষা
স্লাভীয়	রুশ ভাষা • ইউক্রেনীয় ভাষা • পোলীয় ভাষা • চেক ভাষা • স্লোভাক ভাষা • সার্বীয় ভাষা • ক্রোয়েশীয় ভাষা • স্লোভেনীয় ভাষা • বুলগেরীয় ভাষা • বেলারুশীয় ভাষা • আলবেনীয় ভাষা
কেল্টীয়	আইরিশ ভাষা • ওয়েলশ ভাষা • স্কটীয় গালীয় ভাষা • ব্রতোঁ ভাষা • কর্নিশ ভাষা • মাংক্স‌ ভাষা
উরালীয়	ফিনীয় ভাষা • হাঙ্গেরীয় ভাষা • এস্তোনীয় ভাষা • উত্তর সামি ভাষা
ককেসীয়	জৰ্জীয় ভাষা • আৰ্মেনীয় ভাষা • চেচেন ভাষা • আবখাজ ভাষা
ইন্দো-আৰ্য	বাংলা ভাষা • অসমীয়া ভাষা • ওড়িয়া ভাষা • হিন্দি ভাষা • উর্দু ভাষা • পাঞ্জাবি ভাষা • মারাঠি ভাষা • নেপালি ভাষা . গুজরাটি ভাষা • সিন্ধি ভাষা • সিংহলী ভাষা • দিবেহী ভাষা
ইরানীয়	ফার্সি ভাষা (দারি ভাষা) • পশতু ভাষা • কুর্দি ভাষা • বেলুচি ভাষা • অসেটীয় ভাষা
দ্রাবিড়	তামিল ভাষা • তেলুগু ভাষা • কন্নড় ভাষা • মালয়ালম ভাষা • তুলু ভাষা
তুর্কীয়	তুর্কি ভাষা • আজেরি ভাষা • উজবেক ভাষা • কাজাখ ভাষা • তুর্কমেন ভাষা • উইগুর ভাষা • কিরগিজ ভাষা
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়, অস্ট্রো-এশীয় ও অস্ট্রোনেশীয়	বর্মী ভাষা • থাই ভাষা • ভিয়েতনামীয় ভাষা • লাও ভাষা • মালয় ভাষা • ইন্দোনেশীয় ভাষা • খমের ভাষা • তাগালোগ ভাষা • মালাগাসি ভাষা • জাভানীয় ভাষা • সেবুয়ানো ভাষা • সুন্দানীয় ভাষা • সামোয়ান ভাষা
পূর্ব এশীয়	চীনা ভাষা (ম্যান্ডারিন • হাক্কা • ইউয়ে • উ • মিন • কান • শিয়াং) • জাপানি ভাষা • কোরীয় ভাষা • মঙ্গোলীয় ভাষা • তিব্বতি ভাষা
আদিবাসী আমেরিকান	আইমারা ভাষা • কেচুয়া ভাষা • গুয়ারানি ভাষা
অন্যান্য ইন্দো-ইউরোপীয়	গ্রিক ভাষা
ধ্রুপদী	লাতিন ভাষা • প্রাচীন গ্রিক ভাষা • সংস্কৃত ভাষা • পালি ভাষা • ধ্রুপদী চীনা ভাষা
নির্মিত	এসপেরান্তো ভাষা