মল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Arr4 (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:মানববিদ্যা যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Elephant feces in the wildlife.jpg|thumbnail|হাতির মল]]
[[চিত্র:Elephant feces in the wildlife.jpg|thumbnail|হাতির মল]]
'''মল''' বা '''বিষ্ঠা''' {{lang-en|Feces}} হল প্রাণীর পরিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ যা পায়ু বা অপসারণ নালী দিয়ে নির্গত হয়, এবং এই প্রক্রিয়াকে মলত্যাগ বলা হয়।
'''মল''' বা '''বিষ্ঠা''' {{lang-en|Feces}} হল প্রাণীর পরিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ যা পায়ু বা অপসারণ নালী দিয়ে নির্গত হয়, এবং এই প্রক্রিয়াকে মলত্যাগ বলা হয়।
==বাস্তুতন্ত্রে ভূমিকা==
== বাস্তুতন্ত্রে ভূমিকা ==
প্রানী যে খাদ্য গ্রহণ করে পরিপাকের পর তার অবশিষ্টাংশ বর্জ্য বা মল হিসেবে নির্গত হয়। যদিও খাদ্যের বেশিরভাগ পুষ্টি ই প্রাণির শরীরে শোষিত হয়ে যায় তবুও মলে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে। এই পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভর করে অনেক প্রাণী বেচে থাকে যেমন [[ব্যাক্টেরিয়া]], [[ছত্রাক]], [[গুবরে পোকা|গুবরে পোকাসহ]] বহু প্রানী।<ref>Biology(4th edition) N.A.Campbell (Benjamin Cummings NY, 1996) [[ISBN 0-8053-1957-3]]</ref>
প্রানী যে খাদ্য গ্রহণ করে পরিপাকের পর তার অবশিষ্টাংশ বর্জ্য বা মল হিসেবে নির্গত হয়। যদিও খাদ্যের বেশিরভাগ পুষ্টি ই প্রাণির শরীরে শোষিত হয়ে যায় তবুও মলে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে। এই পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভর করে অনেক প্রাণী বেচে থাকে যেমন [[ব্যাক্টেরিয়া]], [[ছত্রাক]], [[গুবরে পোকা|গুবরে পোকাসহ]] বহু প্রানী।<ref>Biology(4th edition) N.A.Campbell (Benjamin Cummings NY, 1996) [[ISBN 0-8053-1957-3]]</ref>
এছাড়া পরোক্ষভাবেও বহু প্রাণী মলের উপর নির্ভর করে।
এছাড়া পরোক্ষভাবেও বহু প্রাণী মলের উপর নির্ভর করে।
পাখি ও অন্যান্য প্রানী যে ফল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে তার বীজ অনেক ক্ষেত্রেই পরিপাক হয় না এবং মলের সাথে বেরিয়ে আসে। এভাবে প্রানীর মলের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রজাতিগুলো একস্থান হতে দূরবর্তীস্থানসমূহে ছড়িয়ে পড়ে এবং বনায়নসহ বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পাখি ও অন্যান্য প্রানী যে ফল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে তার বীজ অনেক ক্ষেত্রেই পরিপাক হয় না এবং মলের সাথে বেরিয়ে আসে। এভাবে প্রানীর মলের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রজাতিগুলো একস্থান হতে দূরবর্তীস্থানসমূহে ছড়িয়ে পড়ে এবং বনায়নসহ বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন প্রাণীর মল ব্যক্টেরিয়া ও অন্যান্য বিয়োজোকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জৈব অণু সৃষ্টি করে যেগুলি উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা প্রস্তুতিতে ব্যবহার করে সমগ্র প্রানীজগতের জন্য খাদ্যের যোগান দেয়।
বিভিন্ন প্রাণীর মল ব্যক্টেরিয়া ও অন্যান্য বিয়োজোকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জৈব অণু সৃষ্টি করে যেগুলি উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা প্রস্তুতিতে ব্যবহার করে সমগ্র প্রানীজগতের জন্য খাদ্যের যোগান দেয়।
===বিরুপ ভূমিকা===
=== বিরুপ ভূমিকা ===
উন্মুক্ত পরিবেশে প্রাণীর মল দীর্ঘ সময় থাকলে তাতে ব্যকটেরিয়া সংক্রমন ঘটে এবং পচণ শুরু হয় ফলে বিভিন্ন গ্যাস ও দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশের দূষণ ঘটে। প্রাণীর মল পানিতে মিশলে পানিকে দূষিত করে ঐ পানি পানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিভিন্ন রোগ হতে পারে, বিশেষ করে পানিবাহিত রোগ, যেমন [[কলেরা]], [[ডাইরিয়া]] ইত্যাদী রোগের জীবাণু মলের সাথে দেহের বাহিরে বের হয়।
উন্মুক্ত পরিবেশে প্রাণীর মল দীর্ঘ সময় থাকলে তাতে ব্যকটেরিয়া সংক্রমন ঘটে এবং পচণ শুরু হয় ফলে বিভিন্ন গ্যাস ও দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশের দূষণ ঘটে। প্রাণীর মল পানিতে মিশলে পানিকে দূষিত করে ঐ পানি পানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিভিন্ন রোগ হতে পারে, বিশেষ করে পানিবাহিত রোগ, যেমন [[কলেরা]], [[ডাইরিয়া]] ইত্যাদী রোগের জীবাণু মলের সাথে দেহের বাহিরে বের হয়।


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
{{reflist}}



১৮:৫৫, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাতির মল

মল বা বিষ্ঠা ইংরেজি: Feces হল প্রাণীর পরিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ যা পায়ু বা অপসারণ নালী দিয়ে নির্গত হয়, এবং এই প্রক্রিয়াকে মলত্যাগ বলা হয়।

বাস্তুতন্ত্রে ভূমিকা

প্রানী যে খাদ্য গ্রহণ করে পরিপাকের পর তার অবশিষ্টাংশ বর্জ্য বা মল হিসেবে নির্গত হয়। যদিও খাদ্যের বেশিরভাগ পুষ্টি ই প্রাণির শরীরে শোষিত হয়ে যায় তবুও মলে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে। এই পুষ্টি উপাদানের উপর নির্ভর করে অনেক প্রাণী বেচে থাকে যেমন ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক, গুবরে পোকাসহ বহু প্রানী।[১] এছাড়া পরোক্ষভাবেও বহু প্রাণী মলের উপর নির্ভর করে। পাখি ও অন্যান্য প্রানী যে ফল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে তার বীজ অনেক ক্ষেত্রেই পরিপাক হয় না এবং মলের সাথে বেরিয়ে আসে। এভাবে প্রানীর মলের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রজাতিগুলো একস্থান হতে দূরবর্তীস্থানসমূহে ছড়িয়ে পড়ে এবং বনায়নসহ বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন প্রাণীর মল ব্যক্টেরিয়া ও অন্যান্য বিয়োজোকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জৈব অণু সৃষ্টি করে যেগুলি উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা প্রস্তুতিতে ব্যবহার করে সমগ্র প্রানীজগতের জন্য খাদ্যের যোগান দেয়।

বিরুপ ভূমিকা

উন্মুক্ত পরিবেশে প্রাণীর মল দীর্ঘ সময় থাকলে তাতে ব্যকটেরিয়া সংক্রমন ঘটে এবং পচণ শুরু হয় ফলে বিভিন্ন গ্যাস ও দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশের দূষণ ঘটে। প্রাণীর মল পানিতে মিশলে পানিকে দূষিত করে ঐ পানি পানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিভিন্ন রোগ হতে পারে, বিশেষ করে পানিবাহিত রোগ, যেমন কলেরা, ডাইরিয়া ইত্যাদী রোগের জীবাণু মলের সাথে দেহের বাহিরে বের হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Biology(4th edition) N.A.Campbell (Benjamin Cummings NY, 1996) ISBN 0-8053-1957-3